![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনাকে বলে আর কি হবে!!!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার গতকালের (রোববারের সংবাদ সম্মেলনে) বক্তব্যের পর অনেক শিক্ষক সারারাত কেঁদেছে। তাঁরা অনেকেই আজ নিজেদের ভাগ্যকে দুষছেন যে কেন তাঁরা শিক্ষকতা করতে এসেছিলেন। আপনি হয়তো এসব জানেন না। আপনি জানেন না যে আপনি কত বড় আঘাত করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই তিনি আপনাকে এর জন্য শাসন করতেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয় বলে আপনি বিষোদগার করেছেন। আপনি হয়তো জানেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে, সেই সংখ্যা শুধুমাত্র ঢাকাতে ৫% থেকে ১০%, এবং ঢাকার বাইরে ১% থেকে ৩% এর অধিক নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকুরীর মেয়াদ থাকার খোঁটা দিয়েছেন! আপনি হয়তো জানেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জীবনের যে বয়সে এসে একটু বিশ্রামে থাকার কথা সেই বয়সে কাজ করেও অনেক শিক্ষকের তেমন কিছুই নেই। চাকুরি শেষে শিক্ষকরা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এক টুকরো থাকার ঘরও অনেক ক্ষেত্রে বানাতে পারে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। অনেক শিক্ষককে আমি গ্রামে চলে যেতে দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি একটু দয়া করে আপনার সচিব, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার, কাস্টমস, ট্যাক্স, এরকম অন্যান্য ক্যাডারদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ একটু মিলিয়ে দেখবেন? আপনার পায়ে ধরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এই কাজটি অন্তত করুন, তারপর আমাদেরকে নিয়ে মন্তব্য করুন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি কি জানেন যে কলেজের শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ালেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তা কখনও করেন না। কলেজের শিক্ষকদের যে সম্পদ আছে, আমাদের তা নেই।
প্লিজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি সব কিছু সঠিক ডাটা নিয়ে তারপর মন্তব্য করুন, জানতে চেষ্টা করুন যে আপনার দুর্দিনে আপনার পাশে দাঁড়িয়ে যে শিক্ষকেরা জেল খেটেছিল, আর্মির হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তাঁরা কতটা ভাল আছে; আর তাঁরা আপনার গতকালের বক্তব্যের পরে কতটা মানসিক শান্তিতে আছে!!!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের সম্পদ নেই, টাকাও নেই। তবে যা ছিল, তাও আপনি গতকাল কেড়ে নিলেন!
আজ জাতির জনক বেঁচে থাকলে হয়তো আমাদের এমন কথা শুনতে হতো না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। অন্তত তিনি আপনাকে শাসন করতেন, সেই বিশ্বাস আমার আছে!!!’
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ শ্রেনীর হওয়া উচিত। তারাই তো জাতির ভবিষ্যতকে গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে যাচ্ছেন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
রোষানল বলেছেন: কিন্তু বাস্তবে এই মানুষ তৈরির কারিগরদের জীবনের এখন চরম দুর্দশা ।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
নিষ্কর্মা বলেছেন:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি একটু দয়া করে আপনার সচিব, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার, কাস্টমস, ট্যাক্স, এরকম অন্যান্য ক্যাডারদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ একটু মিলিয়ে দেখবেন? আপনার পায়ে ধরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এই কাজটি অন্তত করুন, তারপর আমাদেরকে নিয়ে মন্তব্য করুন।
উনাদের কথা মোতাবেক সচিবদের সমান বয়েস হতে হবে অধ্যাপকদের। তাহলে অধ্যাপকদেরকেও তিনটা প্রাডো / মিতশুবিশি পাজেরো দিতে হবে সার্বক্ষনিক; দিতে হবে অন্যান্য সব সুবিধা ও ভাতা। উল্টো ভাবেও করতে হবে।একজন অধ্যাপক হতে হলে ডক্টরেট করা লাগে একজন অধ্যাপককে। এখন সচিব হতে হলে তাকেও ডক্টরেট করে আসতে বলুন না মহামান্য মাননীয়া! তাহলে দেখব কয়টা পাঁঠার বাচ্চা কেরানী-কাম-সচিব আপনার পো... পো... ঘুরে!
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
রোষানল বলেছেন: যে দেশে জ্ঞানী গুণীর কদর নাই সেদেশে গুনি পয়দা হয়না পয়দা হয় শুধু খুনি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
প্রতিবিম্ব প্রতিচ্ছায়া বলেছেন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো আসলেই দরকার! I support this.