নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধোঁয়াশা

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু।

রওশন জমির

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।

রওশন জমির › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম কে? আর কেই-বা ইহুদি, ইহুদি-নাসারার দালাল?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

ক। দেওবন্দীদের কাছে শোনা যায়, তারাই একমাত্র ইসলাম ধর্মের খাঁটি অনুসারী। আর বাকি যারা আছে, এর অধিকাংশই বিভ্রান্ত, গোমরাহ! অবশিষ্টাংশরা হল ইহুদির দালাল! এরা মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে ইহুদি-নাসারার দালালি করে!



খ। বেরেলি গোষ্ঠীর কাছে শোনা যায়, তারাই একমাত্র মুসলমান, মহানবী সা.-এর আশেক। বাকিরা অধিকাংশ ইহুদি-নাসারার দালাল, বে-দীন। আবদুল ওহাব নাজদিসহ তার অনুসারী সালাফি মতবাদের সকল সৌদিয়ানই ইহুদির দালাল।



গ। শিয়াদের মতে, বিশেষত কট্টরপন্থী শিয়াদের মতে, কথিত সুন্নি সবাই কাফের, ইহুদি-নাসারার দালাল। রাসুলের সময় থেকেই এরা এমন ষড়যন্ত্র করে আসছে। সুতরাং এদের বিশ্বাস করা যায় না।



ঘ। সুন্নিদের মতে, শিয়ারা কাফের। এরা ইহুদি-নাসারার দালাল। এরা বাহ্যত ধর্মের কথা বলে নিজ দলের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে মাত্র।



ঙ। তাবলিগিদের কাছে শোনা যায়, তারাই একমাত্র ইসলামের নিবেদিত অনুসারী, ইসলাম-প্রচারক গোষ্ঠী। বাকিরা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ। তাদেরটা ছাড়া ইসলামের নামে প্রচলিত অন্য সকল তৎপরতা ইহুদি-নাসারার ষড়যন্ত্রের অংশ। ইহুদি নাসারা মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে নানা কাজে ব্যস্ত রাখে, যেন মূল দাওয়াতের কাজে অংশ নিতে না পারে।



চ। কওমি মাদরাসা-পড়–য়া গোষ্ঠীর মতে, বেরেলি মতবাদ ও মওদুদি-সালাফিবাদ ইহুদি-নাসারার ষড়যন্ত্রের অংশ। এরা সুপরিকল্পিতভাবে ইহুদি-নাসারার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।



ছ। মওদুদি-অনুসারীদের মতে, তারাই একমাত্র ইসলামের সমঝদার ও একনিষ্ঠ কর্মী। আর বাকিরা বিভ্রান্ত। কওমি মাদরাসা ও তাবলিগিরা ইহুদি নাসারার ষড়যন্ত্রের অংশ। মানুষকে ধর্মীয় আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখার কৌশল হল এই তাবলিগ ও কওমি মাদরাসা।



জ। সালাফিরা বলে, একামত্র তারাই ইসলামের মূলধারার অনুসারী ও ব্যাখ্যাকারী। অর বাকিরা হয় আকিদা-বিশ্বাসের দিক থেকে মুশরিক অথবা ইহুদি-নাসারার অনুসারী।



এ রকমভাবে বর্ণনা আরো বাড়ানো যায়। না বাড়িয়ে উপসংহার টানলেও কোনো ক্ষতি বৃদ্ধি হবে বলে মনে হয় না। আর তাই প্রশ্ন আসে, তাহলে মুসলিম কে? এ-কি অসহিষ্ণুতা, গণ্ডিবদ্ধতা ও জ্ঞানস্বল্পতার পরিণাম, নাকি সত্যিই সত্যিই এরা আচরিত ধর্মের আওতামুক্ত?

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

akash3269 বলেছেন: ভাইরে সত্য বড়ই কুৎসিত

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১

রওশন জমির বলেছেন: না। তা নয়। বরং 'সত্যম শিবম সুন্দরম'!!!

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

হেলাল মোহাম্মদ বলেছেন: Moududir onosari bolthe apni kader bujiechen??? Moulana Moududi islam somporke jesob boi lekechen tha Quran Hsadith thekei, islami andoloner rup rekha uposthapon korechen Nobir jibon oddoyoner maddomei, Quran theke nirdaritho hoyeche Jmate Islamir kormo pontha?? Jamate Islamir prothistatha Moududi saheb but Jamat unar unosoron kore na, Rasuler nirdesitho pothei jamater pothochola,,,,,,,,, kothipoy moududi unosari bolthe kew nai.

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

রওশন জমির বলেছেন: মাওলানা মওদুদির কি কোনো অনুসারীই নেই? বাংলাদেশে? পাকিস্তানে? যদি না থাকে, তাহলে তো মাওলানার জন্য এটা দুঃসংবাদ। কারণ, আপনার মতে, তিনি ইসলাম সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা কুরান-হাদিস থেকেই লিখেছেন। নবীর জীবন থেকেই তিনি আন্দোলনের কর্মপন্থা লাভ করেছেন, জামায়াতের কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন। এমন নির্ধারিত পথ কেউ অনুসরণ করলো না? অবাক কাণ্ড তো! আর হ্যাঁ, মাওলানা মওদুদি ছাড়া অন্যরা কি তাহলে কুরান-হাদিসের বাইরে থেকে, নবীর জীবনের বাইরে থেকে নির্দেশনা, কর্মপন্থা নির্ণয় করেছেন? ইসলামের বই লিখেছেন গীতা বাইবেল দেখে? সম্ভব হলে এই লিঙ্কটি পড়ুনঃ
Click This Link

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

রাফসান রাফী বলেছেন: প্রত্যেকের ভিউ গুলাকে একেবারে সরলিকরন করে ফেললেন!
অন্যদের কথা জানিনা, তবে দেওবন্দিদের ব্যাপারে আমার ধারনা বেশ ভাল।

দেওবন্দ মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে বর্তমান দুনিয়ায় হাদিস, তাফসির ও ফিকাহের চর্চা হচ্ছে। বিশেষ করে হাদিসের সনদের ধারাবাহিকতা একমাত্র দেওবন্দ ভিত্তিক মাদ্রাসাগুলাই ধরে রেখেছে!

সারা দুনিয়ায় তাবলীগের মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে আমলের আর অমুসলিমদের মধ্যের ইসলামের যে প্রসার হয়েছে, সেটার মুল ভিত্তি এই দেওবন্দ মাদ্রাসার আলেমদেরই অবদান।

সারা দুনিয়ায় বর্তমানে যারা সক্রিয়ভাবে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করছেন, সেই তালিবান ও আল কায়দা ও দেওবন্দ মাদ্রাসার চিন্তাধারায় লালিত!

সুতরাং, ঈমান, ইলম, আমল, ও জিহাদ সব ক্ষেত্রে ভাগ ভাগ হয়ে এই দেওবন্দি চিন্তাধারার লোকেরাই কাজ করে যাইতেসেন! বাকিরা কেবল প্রচার সর্বস্ব! এবং আমি খেয়াল করে দেখেছি বাকিদের মধ্যে তাকওয়া ও সুন্নাহের অনুসরনের ক্ষেত্রে মারাত্মক অবহেলা রয়েছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

রওশন জমির বলেছেন: ১- হাটহাজারী মাদরাসার মুফতি মরহুম ফয়জুল্লাহ সাহেব যখন নামাজের পর দোয়া করা নিয়ে বেশ চাপাচাপি করছিলেন, তখন পাকিস্তানের মুফতি মরহুম শফি সাহেবের আগমন ঘটেছিল। ফয়জুল্লাহ সাহেবের কাছে নামাজের পর দোয়া বিষয়ে প্রমাণসহ অভিমত জানতে চাইলে তিনি যা বলেন, তাতে শফি সাহেব তৃপ্ত হতে পারেন নি। শেষ পর্যন্ত তিনি বলেন যে, এ ব্যাপারে ফয়জুল্লাহ সাহেবকে নিজ মতামতের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। যদিও নিজে তিনি তৃপ্ত হতে পারেন নি। এখানে শফি সাহেব হলেন সরলতার উদাহরণ। অপরপক্ষে ফয়জুল্লাহ সাহেব হলেন 'বাল সে খাল নিকালনে অয়ালে' গ্রুপের অতর্ভুক্ত। আপনি কোন পক্ষ নেবেন, তা আপনার সিদ্ধান্ত।
২-দেওবন্দ সম্পর্কে আপনার সুধারনাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু নিজেই তো বলেছেন, 'অন্যদের কথা জানিনা'। তাহলে হাদিসের সনদের ধারাবাহিকতা দেওবন্দই ধরে রেখেছে, এটা বলা কি মানায়? অন্যদের সম্পর্কে জানুন, তারপর রায় দিন। ভাল হবে, আমরা সহজে মান্য করতে পারবো। হাদিস-তাফসির-ফিকহ শুধু দেওবন্দকে কেন্দ্র করেই চর্চা হচ্ছে। এটাও জটিলীকরণ না সরলীকরণ, তা আমি বুঝতে পারছি না। আপনিই বলুন!
৩- তাবলিগ সম্পর্কে খোদ 'বানিয়ে-তাবলিগ' কী বলেছেন? এ হল 'নামাজের দাওয়াত'। মাদরাসায় শুধু সুনির্দিষ্ট বয়সের শিক্ষার্থীরাই পড়ে, তিনি আম-জনতার শিক্ষার একটি পদ্ধতি প্রবর্তন করতে চান। হচ্ছেও তাই। এটা বৃহত্তর কোনো আন্দোলন নয়। তাই এ নিয়ে আত্মতৃপ্তির কোনো মানে নেই।
৪-তালিবান ও আল-কায়েদা দেওবন্দ মাদরাসার চিন্তাধারায় লালিত? কীভাবে? তালিবান ও আল-কায়েদা-ই জেহাদ করছেন? কীভাবে? আর বাকিরা কি তাহলে জেহাদী গণ্ডির বাইরে? এটা কি সরলীকরণ না জটিলীকরণ? রায়ের ভার আপনার কাছেই!
৫-'ঈমান, ইলম, আমল, ও জিহাদ সব ক্ষেত্রে ভাগ ভাগ হয়ে এই দেওবন্দি চিন্তাধারার লোকেরাই কাজ করে যাইতেসেন! বাকিরা কেবল প্রচার সর্বস্ব!' আপনার এ মন্তব্যটি আমাকে অনেক ক্ষণ হাসতে সাহায্য করেছে। আপনাকে ধন্যবাদ না দিলে হবে ভুল হবে। আর আপনার চোখটাই যদি সবার হত, তাহলে তাকওয়া ও সুন্নতের অনুসরণকে পরিমাপ করার যোগ্যতা তৈরি হত। সেটা নেই বলেই দেখি, সাদকার টাকা নিয়ে নির্লজ্জ টানাটানি, সুদখোর-ঘুষখোরের টাকায় মাদরাসা চালিয়ে রাসুলের উত্তরাধিকারী হওয়ার ও দাবি করার চমৎকার প্রতিযোগিতা। রাসুল সা- কেন বুকের দিকে ইঙ্গিত করে التقوي ههنا বলেছিলেন, তা নতুন করে বুঝতে হবে বোধহয়।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

রওশন জমির বলেছেন: এ লিঙ্কটাও পড়ুনঃ
Click This Link

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

দি সুফি বলেছেন: ক, ঙ, চ - এই তিনদল তো একি ঘারানার!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

রওশন জমির বলেছেন: হ্যাঁ। ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

রাফসান রাফী বলেছেন: "অন্যদের কথা জানিনা" এটা দিয়ে অন্যরা কতটা সঠিক পথে আছে, সেটার কথা বলেছি। হাদিসের সনদের ধারাবাহিকতা দেওবন্দ ভিত্তিক কওমি মাদ্রাসাই ধরে রেখেছে। এবং ভবিষ্যতেও তারা ধরে রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এখানে হাদিস-তাফসির-ফিকহ চর্চার ক্ষেত্রেই তারাই এগিয়ে, অন্যরা করলেও সেটা দেওবন্দের মত না!


তাবলীগ নিয়ে আপনি বলেছে্ন---
"এটা বৃহত্তর কোনো আন্দোলন নয়।"
এটা পড়ে অনেক্ষন হাসলাম! তবে তাবলীগ নিয়ে যারা তাবলীগ করেন, তারাও আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন না!


আপনি বলেছেন---
"তালিবান ও আল-কায়েদা দেওবন্দ মাদরাসার চিন্তাধারায় লালিত? কীভাবে? তালিবান ও আল-কায়েদা-ই জেহাদ করছেন? কীভাবে? আর বাকিরা কি তাহলে জেহাদী গণ্ডির বাইরে?"

হ্যাঁ, তবে এর মধ্যে হামাস ছাড়া বাকিরা গণ্ডির বাইরে!

আর তাদের চিন্তাধারা যে এক সেটার জন্য ওদের নিয়ে একটু স্টাডি করার অনুরোধ রইলো!


আপনি বলেছেন----
"'ঈমান, ইলম, আমল, ও জিহাদ সব ক্ষেত্রে ভাগ ভাগ হয়ে এই দেওবন্দি চিন্তাধারার লোকেরাই কাজ করে যাইতেসেন! বাকিরা কেবল প্রচার সর্বস্ব!' আপনার এ মন্তব্যটি আমাকে অনেক ক্ষণ হাসতে সাহায্য করেছে।"

আপনি কেন হাসলেন সেটা আমার বোধগম্য নয়, তবে আমার তথ্যকে ভুল প্রমান করার অনুরোধ রইলো!


আপনি আরো বলেছেন---
"সেটা নেই বলেই দেখি, সাদকার টাকা নিয়ে নির্লজ্জ টানাটানি, সুদখোর-ঘুষখোরের টাকায় মাদরাসা চালিয়ে রাসুলের উত্তরাধিকারী হওয়ার ও দাবি করার চমৎকার প্রতিযোগিতা।"

আপনার এই কথাটা সম্ভবত আমার তাকওয়া নিয়ে অন্যদের যেঁ অবহেলা সেটার জবাবে বলা! এটা ঠিক কওমি মাদ্রাসায় কিছু ক্ষেত্রে এটা থাকতে পারে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে দেওবন্দিদের মধ্যে যেরকম তাকওয়া পাওয়া যায়, বাকিদের মধ্যে এটার লেশমাত্র নাই!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

রওশন জমির বলেছেন: ১- ''হাদিসের সনদের ধারাবাহিকতা দেওবন্দ ভিত্তিক কওমি মাদ্রাসাই ধরে রেখেছে। এবং ভবিষ্যতেও তারা ধরে রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এখানে হাদিস-তাফসির-ফিকহ চর্চার ক্ষেত্রেই তারাই এগিয়ে, অন্যরা করলেও সেটা দেওবন্দের মত না! '' সে তো আপনার যুক্তিহীন ও প্রমাণহীন দাবি। এ ব্যাপারে গোঁ ধরে বসে থাকলে আমার তো কিছুই করার নেই। শুধু কওমি ধারা কেন, প্রতিটি কূপমণ্ডুক সমাজের প্রবণতাই হল নিজেকে, নিজের ধারনাকে যুক্তিহীনভাবে শ্রেষ্ঠ বলে যাওয়া।"অন্যদের কথা জানিনা" বলে নিজের সীমাবদ্ধতার স্বীকৃতি দিলেও সিদ্ধান্তের ব্যাপারে 'তালগাছটি আপনারই'! বেশ, বেশ, এমনই হওয়া চাই।
২- তাবলিগের সমালোচনায় খুব চুট লেগেছে বুঝি? তারা তৃপ্তিতে ভোগে না? আবার এর বাইরে চোখও মেলে না কিন্তু! হায়রে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়িনরা কেন যে দেওবন্দিদের প্রবর্তিত তাবলিগি দলের কাজে অংশ নিতে পারেন নি! কবর থেকে তারা এজন্য আফসোস করছেন বোধহয়। তাবলিগিরা নির্ঘাত স্বপ্নে তা জেনে থাকবেন!
৩- না ভাইজান, আমি এতো অন্ধতার চর্চা শিখিনি। তাই একক হামাসকে এমন কৃতিত্ব দেওয়ার মতো হঠকারিতা করতে পারি নি। আপনি হতাশ হলেন বোধহয়! আর ঠিক একই কারণে দেওবন্দিদের পাল্লাকে বড় করে দেখতে পারি না। তবে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। এ শ্রদ্ধা মানে তাদের তিলকে তাল হিসাবে দেখা নয়। তিলকে তাল হিসাবে দেখতে হলে যে যোগ্যতা দরকার, যে চশমার দরকার, তা আমার নেই।
৪- তাকওয়া মানে যদি হয় পোশাক পরে ভড়ং দেখানো, তত্ত্বকথার নামে চমৎকার চমৎকার বুলি আওড়ানো, ধর্মকে বৌদ্ধদের মতো প্যাগোডায় বন্দি করে রাখা, নিজের অহংভাবকে ধর্মের আবরণে ঢেকে রাখা, ক্ষুদ্র স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতাকে রহমত বলে চালিয়ে দেওয়া, সর্বক্ষেত্রে শম্ভুক প্রবণতাকে তুমুল ভাবে আঁকড়ে ধরা, কো-এডুকেশনকে সমালোচনা করে ঘরে নিজ স্ত্রী রেখেও সমকামিতার চর্চা করা, সুদখোর-ঘুষখোরের তোষামোদি করাসহ ইত্যাদি বিষয়, তাহলে আপনার কথা শিরোধার্য। এ ধরনের তাকওয়ার লেশ অন্যদের মাঝে না থাকারই কথা। আর আপনি যাকে 'কিছু ক্ষেত্রে' বলছেন, সে হয়ত আপনার মতো পরিশুদ্ধ চারপাঁচজনকে দেখে। আরেকটু তলিয়ে দেখুন, ঘেঁটে দেখুন, সমাজ-বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন, কুরান-হাদিসের আয়নায় দেখুন, দিবা স্বপ্ন তো কাছের বিষয়, একেবারে গভীর নিশার স্বপনও ভেঙে খানখান হয়ে যাবে। তবে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। কারণ, এরা সাহাবা নন, এরা সত্যের নির্ভেজাল মাপকাঠি নন। সুতরাং সাহসী হোন।
৫- এগুলো বলার ইচ্ছে ছিল না। যার কাছ থেকে তথ্যগুলো নেওয়া তিনি নিজেও তা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করবেন না। কিন্তু আপনার গোঁ-ধরা ভাবের কারণে এসে গেল। তাই ক্ষমা প্রার্থী এবং অবশ্যই ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯

রাফসান রাফী বলেছেন: দেওবন্দিদের অবদানকে আপনি খাটো করে দেখতে চাইছেন, তাতে আমার কোন সমস্যা নাই, কিন্তু আপনি আমাকে এমন একটা প্রতিষ্ঠান দেখান, যেটি দেওবন্দের চেয়েও বৃহৎ পরিসরে দ্বীনের খেদমত করেছে।

উপমহাদেশে দেওবন্দ ভিত্তিক কওমি মাদ্রাসা গুলা প্রতিষ্ঠিত না হলে আজ গ্রামেগঞ্জে কি হাজার হাজার মসজিদ মক্তব তৈরি হতে পারতো? এরাইতো গ্রামে গঞ্জে ঘুরে ওয়াজ নসিহত করে মুসলিমদের ঈমান আকিদা সংরক্ষনের কাজ করেছেন, নাহলে উপমহাদেশে মুসলিমদের সংখ্যা অনেক কম হত। আপনি আমি অনেকেই হয়তো আমুসলিম থাকতাম!

আর আজ পশ্চিমের দেশ গুলিতেও কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, এগুলু কি কেবল "পোশাক পড়ে ভরং দেখানো" তাকওয়ার জোরে হইতেসে---?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রওশন জমির বলেছেন: ১- দেওবন্দিদের অবদান খাটো করার উদ্দেশ্যে নয়; আপনি যে তিলকে তাল হিসাবে দেখাতে চাইছেন, সুতোকে রশি হিসাবে দেখাতে চাইছেন, আমার অবস্থান এর বিপক্ষে। আর বৃহৎ পরিসরের খেদমত বলতে কী বোঝাতে চাইছেন, খুলে বললে ভাল হত।
২- চীনে যে ধর্মীয় শিক্ষার প্রচলন রয়েছে, সেটা কি দেওবন্দিদের অবদান? মালয়েশিয়া-ব্রুনাই ইত্যাদি রাষ্ট্রগুলোতে কোন শিক্ষা প্রচলিত, সেখানে মক্তব কে প্রতিষ্ঠা করেছে? তিউনিসিয়ায়-আলজেরিয়ায় কোন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত? সেখানকার ইমান-আকিদা কারা রক্ষা করছে?
৩- উপমহাদেশে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ার কারণ দেওবন্দ মাদরাসা? দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠার পূর্বে এদেশে কি আনুপাতিক হারে মুসলমান ছিল না? পৃথিবীর যে-সব এলাকায় দেওবন্দ মাদরাসা নেই, সেখানে কি মুসলিমদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে? এমন কোন পরিসংখ্যান কি আপনার কাছে আছে? আমাকে জানালে বাধিত হব।
৪- আপনি কওমি মাদরাসাকে সম্মান করেন, সে ভাল কথা। এ ব্যাপারে আমার আপত্তি নেই। আমি সবাইকেই সম্মান করি। এ তাদের প্রাপ্য। কিন্তু প্রতিটি দলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, দোষত্রুটি রয়েছে, সেগুলোকে জেনেও না জানার ভাণ করা আমার ধাতে নেই। আর মাওলানা সাহেবগণ ঘুরে ঘুরে ওয়াজ-নসিহত করেন, সে কি আমার লাভে? না তাদের লোভে? যারা আমার লাভের জন্য করেন, তারা কতজন? একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। এখন ওয়াজিনে-কেরামের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না! কেন? এগুলোকে আপনি দীনের খেদমত বলবেন? আজকে যদি টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়, কালকে তাদের কয়জনকে পাওয়া যাবে? আর ইমান-আকিদা সংরক্ষণের কথা বললেন ভাইজান? আগে এ আলেমদেরকে বাড়ি বাড়ি সম্মান করে দাওয়াত দেওয়া হত। মানুষে ভেতর থেকে তাদের শ্রদ্ধা করত! এখন সে দাওয়াতের প্রবণতা নেই! শ্রদ্ধার সে বালাই নেই! কেন? কারণ, 'সেই রামও নাই, সেই অযোদ্ধাও নাই' মতো অবস্থা। এখন ওয়াজ হয় প্রথা-রুসম রক্ষার নিমিত্তে। আর তাই তো মোল্লা-মাওলানার সংখ্যা, ওয়াজ-নসিহতের পরিমাণ বাড়ার পরও মানুষের সংশোধন হচ্ছে না। বরং আলেমদের বদ স্বভাব জনতার মাঝে প্রভাব সৃষ্টি করছে। কীভাবে যে মানুষজন দীন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, তারা নিজেরা বুঝতে পারছে না। এ সব ভেকধারী আলেমরা তা বুঝতে দিচ্ছে না, তাদের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাবার শঙ্কায়। অপেক্ষায় থাকুন, কওমি মাদরাসার অধঃপতন নিয়ে একটি লেখার কথা ভাবছি, আল্লাহ আমাকে তাওফিক দিন।
৫- পশ্চিমে কওমি মাদরাসা হচ্ছে? হবেই তো! কারণ, কওমি মাদরাসা হল বিষহীন সাপ। আর যারা এখানে পড়ে, তাদের পড়াশোনা এবং জানাশোনা যেহেতু পশ্চিমা সমাজে কোনো অভিঘাত তৈরি করে না, করবে না, তাই এব্যাপারে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আপনি হয়ত জানেন, তবুও বলছি, জাহির করার জন্য নয়, আপনার বক্তব্যের সাক্ষ্য হিসাবে যে, আল-আজহারের কোনো শাখা-খোলা ইউরোপে অনুমোদন পায় না। কারণ, এরা এর শিক্ষা-ব্যবস্থাকে ভয় পায়। তিউনিসিয়ার জাইতুনাহ মাদরাসার শাখাও অনুমোদন পায় না। কারণ একই। যদিও, আমার মতে, এদুটি শাখারও নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
৬- আমরা যারা সাধারণ মুসলিম, তারা কি সত্যি জানি, ধর্ম কোনটা না তাকওয়া কোনটা? যে দেশে অজু করে ঘুষ নেওয়ার সময় বলে, অজু অবস্থায় টাকা হাতে নিতে পারবো না, আমার পকেটে রেখে দেন; রোজা রেখে ঘুষ নেওয়ার সময় বলে, রোজা রেখে টাকা ধরতে পারবো না, আমার ড্রয়ারে রেখে দেন, সেখানে দাড়িতে আপনি তাকওয়ার জোর দেখতে পারে্ন, তা তো মন্দ নয়! নাতি কিশতি টুপি কেড়ে নিয়ে গোল পাঁচকল্লি টুপি পরিয়ে দিলে দেওবন্দি দাদা চিল্লিয়ে মাত করেন, অথচ তার ঘরে শরয়ী পর্দা নেই, সেখানে তাকওয়া? মিম্বারে বসে ইসলামী সরল অর্থনীতির কথা বলে মসজিদের বাইরে এসে এমএলএম-এর মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, একি তাকওয়া? মাদরাসার মুষ্টিমেয় কয়েক টাকা নিয়ে যে-সব কেলেঙ্কারি হয়, সেখানে পোশাক-পরিচ্ছদের তাকওয়া? আমি জানি না, শেখ সাদী র- জীবিত থাকলে পোশাককে সম্মান করার এই প্রবণতায় তিনি কী আচরণ করতেন। কারণ, তখনও তো তিনি পোশাকের জন্যই সম্মানের কল্কে পান নি। তাই, পরে পোশাক পরে, সকল খাবার পোশাকের পকেটেই পুরে ছিলেন!
আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫২

মাথানষ্ট০০৭ বলেছেন: রাফসান রাফী, ফজরের নামাজ পইরাই শুরু করে দিছোস? তোরে ুটুতে ড্রোন হামলা হবে কদিন পর। B-)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রওশন জমির বলেছেন: ভাইজান, ড্রোন অস্ত্রটা কি মহাভারতের তীরন্দাজ দ্রোণ-এর নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা?

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৭

রাফসান রাফী বলেছেন: আমি সামগ্রিকভাবে দেওবন্দের যেঁ আন্দোলন এবং তার অবদান ইলম আমল ও জিহাদের ক্ষেত্রে সেটাই বলার চেষ্টা করতেসি! কিন্তু আপনি বাংলাদেশের মাদ্রাসা আর হুজুরদের নেতিবাচক কাজ গুলাকে ফোকাস করতেসেন! এভাবে দেখলে আপনি অনেক ত্রুটি পাবেন, অন্তত বাংলাদেশের মাদ্রাসগুলিতে এবং এখানকার আলেম সমাজের মধ্যেও! এবং আমি জানি ভারত বা পাকিস্তানের আলেমদের তুলনায় বর্তমান বাংলাদেশে সেইরকম আলেম নেই বললেই চলে! যদিও দুই দশক আগেও বাংলাদেশে যথেষ্ট পরিমান পরহেজগার আলেম ছিলেন!

আর উপমহাদেশে দেওবন্দ না হলে অবশ্যই মুসলিমদের সংখ্যা কমে যেত। অন্তত শিরক বেদাত ভয়াবহ রুপে বিস্তার লাভ করত!
আর আমি একথা বলিনি যেঁ তারা না থাকলে সারা দুনিয়ায় মুসলিমদের সংখ্যা কমে যেত!
উপমহাদেশের বাইরে অন্যরা দ্বীনের যে খেদমত করেছেন,
এখানে সেটাই আরো ভালভাবে করেছেন এই দেওবন্দিরা! আর এখনতো তাবলীগের বদৌলতে সারা দুনিয়ায় ছড়াচ্ছে এই নুরের ঝলক! এখানে একটা মাদ্রাসার ওয়েবসাইট দিলাম, এই মাদ্রাসাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদ & টোবাগোতে অবস্থিত!

http://www.darululoomtt.org/

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

রওশন জমির বলেছেন: ১- ভাইজান, ডেগচির উপর-নিচ নয়, ডান-বাম নয়, একটিতে টিপ দিলেই বুঝা যায়, ভাত হল কি না, কতটুকু হল, কেমন হল? আপনার এই বিভাজনঃ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত-- এভাবে না দেখলেও চলবে। পাকিস্তানের তালেবান খারাপ, আফগানিস্তানের তালেবান ভাল, এমন বলার কোনো মানে আছে? সবই এক। তাই বাংলাদেশের আলেম-ওলামা ভাল ছিল, এখন নেই; একথা ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও সমান। কারণ, আপনার দেওবন্দের আলো তো এখানেও পৌঁছেছে, পৌছার পরও যদি নষ্ট হতে পারে, তাহলে ভারত-পাকিস্তানে কি এমন এন্টি-ভাইরাস আছে, বলুন, যা তাদের বাঁচিয়ে রেখেছে, নষ্ট হতে দেয় নি? একই ঘরানার হওয়া সত্ত্বেও এরা নষ্ট হল কেন? তাহলে কি এ ভাইরাস সব জায়গায় সমানভাবে কাজ করে না?
২- আমি আপনার কাছে যৌক্তিক একটা হিসাব চাইছিলাম, তা না দিয়ে গায়ের জোরে বলে দিলেন, 'আর উপমহাদেশে দেওবন্দ না হলে অবশ্যই মুসলিমদের সংখ্যা কমে যেত'। ও অন্যরাও তাহলে দীনের খেদমত করছেন? সেটা আপনি স্বীকার করেন? এতে দেওবন্দের ভার কমে যাবে নাতো? আর দেওবন্দি তাবলিগিদের নুরের ঝলক? সে তো একমাত্র পোশাকে এবং বাহ্যিকতায়। এই বাহ্যিক চাকচিক্যে যদি আপনার ধাঁধা লেগে থাকে, তাহলে আপনি বলতেই পারেন, 'এখানে সেটাই আরো ভালভাবে করেছেন এই দেওবন্দিরা'। কারণ, গোয়ালার কাছ তো নিজ দুধই শ্রেষ্ঠ এবং নির্ভেজাল। আর বাকি সব নিৎকৃষ্ট ও ভেজাল! ওই গোয়ালার সামনে, কানে لبنا خالصا سائغا للشاربين শীর্ষক আয়াত পাঠ করেও যদি বলেন যে, গাভীর বর্ণে পার্থক্য থাকলেও দুধ খাটি, সে শুনবে না। তার কানে ঢুকবে না। কারণ, সে তো গোয়ালা। গোয়ালার মূল কাজ হল নিজের দুধের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করে বাজারমাত করা।
৩- ধন্যবাদ ভাইজান, এই মাদরাসা সম্পর্কে আমার জানা আছে। কারণ, সাউথ আফ্রিকায় আমার দূর সম্পর্কের একটি ভাই পড়ে, ও আসলে খোঁজ-খবর নিই। ওকে পাঠানোর আগে কোথায় পাঠানো যায়, এ নিয়ে পরিবারে বাদানুবাদ হয়েছে তো, তখন এগুলোর অনুসন্ধান করতে হয়েছে। তখনই এর সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়। ওর কাছেই জানতে পারি, 'ইসলামী প্যাগোডা' কাকে বলে? বৃহত্তর ইসলামকে যদি ক্ষুদ্রতর সংকীর্ণ করে আপনার তাকওয়ার গণ্ডি মজবুত হয় এবং একেই যদি আপনি ইসলাম এবং নির্ভেজাল তাকওয়া ভেবে থাকেন, তাহলে তো মানতে হবে যে, সাহাবা-তাবেঈনও এই গণ্ডির আওতাভুক্ত হতে পারেন নি। কারণ, এদের জীবন প্যাগোডাবদ্ধ ছিল না। তা ছিল সুমহান ইসলামের উদার আকাশ।
ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬

মাথানষ্ট০০৭ বলেছেন: দূরো বোকাচোদা কিছুই বুঝস না! X(

রাফসান রাফীরে ুটু সাবধানে রাখতে বল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

রওশন জমির বলেছেন: ভাইজান, আপনি আসবার লাগছেন, না যাইবার লাগছেন?

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১১

রাফসান রাফী বলেছেন: কেঁউই শতভাগ নিখুত নয়, কিন্তু যেঁ তাকওয়া আর এখলাসের উপর ভর করে দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেটা ছিল শতভাগ নিখুত, যার ফলে কোন প্ল্যান পরিকল্পনা না থাকা সত্ত্বেও এই মাদ্রাসা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়েছে! এটা আল্লাহর রহমত। যেটা হাসিল হয়েছে তাকওয়া আর এখলাসের কারণে!
অথচ দুনিয়ার আরও অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার পরও সেভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি!


আর আপনি ওদের কেমন শ্রদ্ধা করেন সেটা আপনার কমেন্ট পড়েই বুঝা যাইতেসে! যাই হোক আপনি স্বীকার করুন আর নাই করুন! মাধ্যপ্রাচ্যের অনেকেই আগে দেওবন্দের নাম শুনলে নাক সিটকাতো! কিন্তু তারাও এখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারতেসে দেওবন্দের অবদানকে! তাই কদিন পর পর আরবের বড় শায়খরা দেওবন্দে আসেন! এসে নিজেকে ধন্য মনে করেন!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫

রওশন জমির বলেছেন: ১- দেওবন্দিরাই একমাত্র নিখুঁত, কথাটি খ্রিস্টান সেই পাদ্রিদের মতো, যারা নিজ-ভক্তদের স্বর্গে্র সার্টিফিকেট দেন এই বলে যে, এরাই নিখুঁত! খ্রিস্টান পাদ্রিরা বলে থাকেন যে, এ অধিকার তারা ঈশ্বরের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত! আপনি এমন সার্টফিকেট দানের অধিকার ও যোগ্যতা কীভাবে প্রাপ্ত হলেন, জানার বড় ইচ্ছে।
২- দেওবন্দিদের তাকওয়া বা ইখলাস নয়, তা এগিয়ে যাচ্ছে, টিকে আছে সাধারণ মানুষের এবং তাদের নিজেদের খণ্ডিত-অপূর্ণ, অথচ তীব্র এবং বিপুল অবিশ্লেষণী ধর্মাচ্ছন্নতার কারণে। আর প্রসারণই যদি ইখলাস ও তাকওয়ার মাপকাঠি হয়ে থাকে, তাহলে তো বলতে হয় খ্রিস্টানদেরই এখলাস ও তাকওয়া বেশি। কারণ, এশিয়ায় সর্বাধিক সম্প্রসারণশীল ধর্ম হল খ্রিস্টবাদ। এই তো চোখের সামনে দিয়ে ভারত উপমহাদেশের পাহাড়ি এলাকায় এর প্রসার বেড়েই চলেছে। তাই প্রসার ও বিস্তার দিয়ে মাপা যায় না। মাপতে হয় অখণ্ড মূল চেতনার নিরিখে। দেওবন্দ বা তাবলিগে সেই চেতনা তৈরি হয় না।
৩- আর কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারে নি? আপনার জানাশোনাকে তো আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়া উচিত! যায়তুনাহ ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ ও প্রভাব কি এর চেয়ে কোনো অংশে কম? সেটাও তো সরকারের পৃষ্টপোষকতায় চলে না। আজহারের কথা না হয় বাদই দিলাম।
৪- আমি শ্রদ্ধা করতে গিয়ে কারো পুজা করি না। ইসলামে শ্রদ্ধা করা বৈধ; পুজা নয়।
৫- মধ্যপ্রাচ্যের অনেক শাইখই দেওবন্দ আসেন আমন্ত্রণে, এদের দাওয়াত দিয়ে আনা হয় পেট্রো-ডলারের পথ খোলা রাখার উদ্দেশ্যে। পেট্রো-ডলার ছাড়া আবার এ সব এখলাসি মাদরাসা চলে না! কেউ কেউ স্বেচ্ছায় আসেন। তাদের উদ্দেশ্য অনেক মহৎ, দেওবন্দিরা এ মহত্ত্বের থৈ পাবেন না। কারণ, মহত্ত্ব অনুধাবনের মানসিকতা তাদের নেই। আর আরবের শাইখদের মতে, দেওবন্দও ইসলামী খেদমতের একটি অংশ, পূর্ণাঙ্গ কোনো প্রক্রিয়া নয়। তাই এরা নিজের উদারতা দিয়ে একে উৎসাহিত করতে চান। দেওবন্দিদের মতো নিজের বানানো খুপড়ির ভেতরে বন্দি থাকতে চান না এরা। আবার দেখুন, এই দেওবন্দিরা-ই কিন্তু আজহার-মাজহার-মক্কা-মদিনায় পড়তে যান! কেন? কারণ দেওবন্দই তাদের কাছে শেষ ঠিকানা নয়, যেমনটি আমাদের ঘরকোণো বাঙ্গালিরা ভেবে থাকে। ভারত-পাকিস্তানের সেই সব দেওবন্দিরা সেখানে গিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। আর এজন্যই শাইখরা জ্ঞান দিয়ে, তা বিতরণ করে নিজেদের ধন্য মনে করেন।

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৮

রাফসান রাফী বলেছেন: আপনি বলেছেন---
"ভারত-পাকিস্তানে কি এমন এন্টি-ভাইরাস আছে, বলুন, যা তাদের বাঁচিয়ে রেখেছে, নষ্ট হতে দেয় নি?"

ভারত-পাকিস্তানে তালিমের পাশাপাশি তারবিয়াতি দিক দিয়ে ভালভাবে খেয়াল করা হয়! যেটা আমাদের এখানে নেই বললেই চলে, আর আমাদের দেশে ৯৫% ছাত্রই দরিদ্র পরিবারের, তাই অনেক সময় পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে তাদের মন মানসিকতা ছোট হয়ে যায়! অনেক ভুল ত্রটি হয়ে যায়! আর এর ফলে এখনি আলেম সমাজে একটা শুন্যতা দেখা দিয়েছে! আর আপনি এটাকে পুজি করে পুরো দেওবন্দের সমালোচনা করতেসেন! আপনার এই চিন্তার সাথে বাংলাদেশের জ্ঞানপাপি নাস্তিকদের চিন্তার কোন তফাৎ নাই!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১

রওশন জমির বলেছেন: ১-ভারত-পাকিস্তানের তারবিয়াতের কথা বলছেন? ভাইজান বোধহয় Inside Madrasa নামক বইখানা পড়েন নি। এতে ভারত-পাকিস্তানের কওমি মাদরাসায় পড়ুয়া মোল্লা-মাওলানা বা আলেম-ওলামার নানা কীর্তিকাণ্ড সন-তারিখ দিয়ে সার্বিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেখানকার স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সুনির্দিষ্ট সূত্র উল্লেখ করে। পড়লে বুঝবেন, আপনি যাদের দেবতা জ্ঞানে পুজা করছেন, এরা আসলে এই মর্ত্য জগতেরই ভুলে ভরা মাটির মানুষ, কেউ কেউ যেন বিষাক্ত কীট! তখন আপনার কথিত তারবিয়াতের মাজেজা অনুধাবন করতে পারবেন। আরে ভাইজান, শুনতে সবই সোনার গাঁও, কিন্তু হাত দিয়ে দেখলে সবই মাটির। তখন সোনা খুঁজে পাওয়া দায়, অসম্ভব। দূর থেকে চাঁদ কত সুন্দর! চাঁদের উপমা দিয়ে কাব্য জগত টইটম্বুর হয়ে আছে। কিন্তু ভাইজান, যারা কাছে গেলেন, ছবি তুললেন; এখন দূর থেকে যে ছবিগুলো তোলা হচ্ছে, তাতে কী দেখা যাচ্ছে? এবড়ো-খেবড়ো খানাখন্দে ভরপুর! ভারত-পাকিস্তানের ওলামাদের কথা-ও ঠিক একই রকম। সবই মাটিরে ভাই, সবই খানা খন্দে ভরা; দূর থেকে দেখতে ও শুনতে শুধু রোমাঞ্চ জাগে!
২- আস্তাগফিরুল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ, আপনি তো দেখছি, বাঙালি মোল্লা-মৌলবির দোষ স্বীকার করে নিচ্ছেন! আপনারও তো ইমানহারা হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান! দ্রুত তওবা করুন, না হয় আপনাকেও নাস্তিক হতে হবে! আর দেওবন্দের সমালোচনা? বাপরে বাপ! দেওবন্দ হল منزل من السماء একটি প্রতিষ্ঠান, এরা দোষ করে না, করতে পারে না। দোষ করলেও বলা যাবে না। যারা এদের কৃত দোষের আলোচনা-সমালোচনা করবে, এরা নির্ঘাত জ্ঞানপাপী। কারণ, من رأي منكم منكرا হাদিসটির পরের অদৃশ্য একটি অংশে রয়েছে, যেখানে সুষ্পষ্টভাবে রয়েছে, দেওবন্দিদের কোনো منكر থাকলেও বলা যাবে না! বলিহারি, আপনার ইমান ও আস্তিকতাকে!! এ ধরনের আস্তিকতা থেকে আল্লাহ আমাদের মুক্ত রাখুন। আমিন।

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

রাফসান রাফী বলেছেন: "আর দেওবন্দি তাবলিগিদের নুরের ঝলক? সে তো একমাত্র পোশাকে এবং বাহ্যিকতায়।"

তারা যদি বাহ্যিকতায় বিশ্বাসী হত, তাহলে অনেক আগেই বৃহৎ শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হত!

আপনাদের সমস্যা হল আপনারা তাবলীগের একটা রাজনৈতিক বা বিপ্লবী চেহারা দেখতে ইচ্ছুক, যেটা দাওয়াত ও তাবলীগের মূলনীতির বিরুধী! তারা ময়দানে কাজ করছেন এই উদ্দেশ্যে যে, যারা নামে মুসলিম, তারা যেন কাজে কর্মেও ভাল মুসলিম হতে পারে! এই উদ্দেশ্য নিয়ে! এবং তারা সফল হইতেসেন! আর আপনাদের মত অনেকেই আছেন ঘরে বসে খালি সমালোচনা করতে পারেন! সাহস আছে কি ওদের মত ময়দানে নেমে কাজ করার??? না আপনার এসব পারবেন না! আপনারা কেবল খুত খুজে বেড়াবেন! আর নিজেকে আর নিজের চিন্তাকে ভাববেন সবচেয়ে নিখুত!

আজ রাতে ঢাকা যাচ্ছি, ইজতেমায় আসার দাওয়াত রইলো! যারা আসবেন তারা সৌভাগ্যবান! আর যারা নাক সিটকানি দিয়ে দূরে থাকবেন, তাদের জন্য হেদায়েতের দোয়া রইলো!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

রওশন জমির বলেছেন: ১- দেওবন্দিদের/ তাবলিগিদের কথিত নুরের ঝলক সত্ত্বেও এরা শুধু ক্রীড়নক নন, অ-মুসলিম পক্ষের পাকা খেলোয়াড়! পূর্বে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছি। কারণ, তাগলিগের কারণে যে অন্ধতা তৈরি হয়, পোশক-পরিচ্ছিদের প্রতি, বাহ্যিকতার প্রতি যে ভাবে এরা ধাবিত হয়, আচ্ছন্ন হয়ে থাকে, তাতে অ-মুসলিমদের কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ার কোনোই সম্ভাবনা নেই। তাই তাবলিগের এই খেলকে ইউরোপ-আমেরিকা সমর্থন করে, খেলবার সুযোগ করে দেয়। তাদের কাছে তাই তাবলিগের এতো কদর!
২- না, এর মানে এই নয় যে, তাবলিগকে আমি রাজনৈতিক বা বিপ্লবী চেহারায় দেখতে ইচ্ছুক। এ ধরনের ইচ্ছা আমার কখনোই হবে না। ভাল লাগলো, এখানে আপনি ইউটার্ন নিলেন, মানে আমার কথায় ফিরে এলেন। আমি পূর্বেই বলেছি, তাবলিগ আমজনতাকে নামাজমুখি করার একটি কৌশল। এটা বৃহৎ কোনো আন্দোলণ নয়, উদ্দেশ্যও নয়; বরং উপায় ও পন্থা মাত্র। এটি দাওয়াতের একটি অংশ মাত্র, যা কোনোভাবেই পূর্নাঙ্গ নয়। একে রাজনৈতিক ও বিপ্লবী করতে গেলে পুরো কাজটাই হুমকির মুখে পড়বে। সেটা কখোনো কাম্য হতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হল, এর পূর্ণতার দাবি ও ভাবনা নিয়ে সমর্থকদের নির্বোধ তুর্কি নাচন!
৩- হ্যাঁ ভাই, আমার কাজ ময়দানেই। হয়ত আপনারই পাশের জন আমি কিংবা আমারই ছোট ভাই। এ নিয়ে অহঙ্কারের কিছু নেই। সমালোচনা নিয়েই কাজ করি, অন্যের সমালোচনাকে গনিমত মনে করি। কারণ, মানুষের কোনো কাজ নিখুত হয় না, হতে পারে না। তবে একমাত্র অহংবাদী, আত্মম্ভরী লোকজনই সমালোচনায় খেপে উঠে। কথায় বলে, মাটিতে বাড়ি দিলে গুনাহগার খেপে ওঠে।
৪- মঞ্জুর নোমানি কিংবা শৈয়দ আবুল হাসান আলী নদবীর লেখায় পড়েছি, জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদি বলেছিলেন যারা জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেবে, তারাই সৌভাগ্যবান! যারা এর বাইরে থাকবে, তারা ইহুদি-নাসারার মতো। আপনিও ঠিক একইভাবে বললেন যারা ইসতেমায় আসবেন, তারা ভাগ্যবান! আর যারা আসুবে না, তাদের জন্য হেদায়েতের দোয়া করেছেন। এর মানে কি? কাশীরামদাসী মহাভারতের সূচনায়ও বলা আছে,
মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
কাশীরাম দাস ভণে শুনে পূণ্যবান।।
৫- নীরব ভাবে শুনুন, কারা নাক সিটকায়, কারা একমাত্র নিজেদের যোগ্য মনে করে, অন্যদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তা শুনতে পাবেন, যদি শোনার মতো কান থেকে থাকে! কারণ, কান থেকেও না থাকার বিষয়টি খোদ কুরআনেই স্বীকৃত!

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২

রাফসান রাফী বলেছেন: দেওবন্দিরাই একমাত্র নিখুঁত,

কথাটা আমি কোথায় বললাম? আমি যেটা বলেছি সেটা হল
যেঁ তাকওয়া আর এখলাসের উপর ভর করে দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেটা ছিল শতভাগ নিখুত,

আর তাবলীগ নিয়ে আপনার বক্তব্যে স্ববিরোধীতা খুজে পেলাম---
আপনি একবার বললেন,
তাবলিগিদের কথিত নুরের ঝলক সত্ত্বেও এরা শুধু ক্রীড়নক নন, অ-মুসলিম পক্ষের পাকা খেলোয়াড়!

আবার বললেন---
আমি পূর্বেই বলেছি, তাবলিগ আমজনতাকে নামাজমুখি করার একটি কৌশল।

তাবলীগ যদি অমুসলিমদের পক্ষের পাকা খেলোয়ার হয়, তাহলে সেটা আবার নামাজের আন্দোলন হয় কি করে???



আর আলেমদের ভুলত্রুটি থাকতেই পারে, সে জন্যই আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন

ثُمَّ أَوْرَثْنَا الْكِتَابَ الَّذِينَ اصْطَفَيْنَا مِنْ عِبَادِنَا فَمِنْهُمْ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ وَمِنْهُم مُّقْتَصِدٌ وَمِنْهُمْ سَابِقٌ بِالْخَيْرَاتِ بِإِذْنِ اللَّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَضْلُ الْكَبِيرُ

অতঃপর আমি কিতাবের অধিকারী করেছি তাদেরকে যাদেরকে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে মনোনীত করেছি। তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর নির্দেশক্রমে কল্যাণের পথে এগিয়ে গেছে। এটাই মহা অনুগ্রহ।

আপনি যদি দেওবন্দের আলেমদের আলেম মনে না করেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই! আর তাদের কিছু লোকের দোষ ত্রুটিকে পুজি করে জ্ঞানপাপিদের মত কু-তর্ক করে যান, তাহলে আপনার সাথে কথা বলে আমি সময় নষ্ট করতে ইচ্ছুক নই!

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

রওশন জমির বলেছেন: ১- 'শতভাগ' বিষয়টি নিয়েই তো প্রশ্ন এবং তর্ক। অন্ধভাবে তা আপনি মেনে নিলে আমার তো কিছুই করার নেই। আমি এটা ভাল করেই জানি, তাবলিগ এবং কওমি-ওয়ালাদের মূল পূঁজি অন্ধতা। জন্মান্ধতারও চিকিৎসা আছে, কিন্তু স্বেচ্ছা জ্ঞান-অন্ধতার কোনো ওষুধ নেই। আপনার এই অন্ধতাকে আমার মোবারকবাদি রইল।
২- যে ভাবে আমার কথা বুঝলেন, তাতেও আপনাকে মোবারকবাদি। কারণ, আপনি তাবলিগকে যেভাবে মহা আন্দোলন হিসাবে আখ্যায়িত করতে চাইছিলেন, তারই জবাবে এটি বলা হয়েছিল যে, এটি হল শুধুমাত্র নামাজের আন্দোলন। এখন প্রশ্ন হল এই নামাজের আন্দোলন কীভাবে ক্রীড়নক হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে? ভাইজান, বাংলাভাইয়ের কথা মানুষ ভুলে নাই, সে ব্যাপারে আপনার কী বিশ্বাস, তা আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু এরা কি বাহ্যত জিহাদের কথা বলে নাই? জিহাদের কথা বলেও সেটা যেমন অ-মুসলিমদের ক্রীড়নক একটি দল ছিল, তাবলিগও সেভাবেই নামাজের কথা বলেও একটি ক্রীড়নক দল। কারণ, নামাজের দিকে ডাকার এই আন্দোলনটাকে এরা মনে করে বৃহৎ ইসলামের সুবৃহৎ আন্দোলন। এর বাইরে আর কিছুই নেই! নামাজ হল কিনা এটা বড় কথা না, এদের দৃঢ় বিশ্বাস হল ইমানে-আমলে চোখ বন্ধ করে একে ধরে থাকাটাই হল ইসলামের শেষ কথা। এর বাইরে কোনো কথা নেই। যেহেতু এভাবে এরা চোখ বন্ধ করে বসে থাকে, এতে অ-মুসলিমরা ভীষণ আনন্দ পায়! এ ধরনের আন্দোলনের পথকে সহজ করে দেয়। আর এভাবেই তা ক্রীড়নকে পরিণত হয়। আশা করি, আমার স্ববিরোধী কথাটার বিরোধটা স্পষ্ট হল এবার!
৩- দোষত্রুটিকে পুঁজি করে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখে দেওবন্দি মোল্লা-মাওলানারাই। কারণ এরা নিজেরা নির্দোষ। একেবারে ধোয়া তুলসি পাতা! কিন্তু আমি দুঃখ পাচ্ছি এই ভেবে যে, আপনি দেখছি নানা এন্টি ভাইরাসের গুণগান গেয়ে শেষ পর্যন্ত আয়াতের মাধ্যমে দেওবন্দিদের দোষ স্বীকার করে নিচ্ছেন! এক্ষণে আপনার ইমান নিয়ে আমার মোটামুটি সন্দেহ শুরু হয়ে গেছে!
৪- আর হ্যাঁ ভাইজান, জ্ঞানপাপী আর কু-তর্ক কাকে বলে, তা দেওবন্দ-ভক্তদের দেখেই বুঝতে পারি। কারণ, দেওবন্দি আলেমদের অপরাধকে অপরাধ বলা বারণ আছে। যে বলবে তাকে, তাকে জ্ঞানপাপী বলা হবে, নাস্তিক-মুরতাদ বলা হবে। একই সঙ্গে তাকে এবং তার চৌদ্দ গোষ্ঠীকে আয়াত ও হাদিসের ব্যাখ্যা ঘুরিয়ে পেছিয়ে জাহান্নামে পৌছিয়ে দেওয়া হবে। ভাব দেখে মনে হয় এরাই জান্নাত-জাহান্নামের দরোজায় পাহারাদার হিসাবে থাকবে। সে থাকুক, এতে আমাদের ভয় নাই। আল্লাহ তায়ালার ওপর আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। সুতরাং মা ভৈ, মা ভৈ!!!
৫- আমার মূল বক্তব্যটা আবার পড়ুন, ভাবুন। নিজের ও মুসলিম বিশ্বের অবস্থা কল্পনা করুন। আপনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে যা বলা হয়েছে, তা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আপনার সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়া আছে। আর আমি আপনার শত্রু নই, যেমন আপনি আমার শত্রু নন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। তাহলে এতো পথ কেন? এতো মত কেন? একটু ভাবুন। ধন্যবাদ। আল্লাহ আমার-আপনার মঙ্গল করুন। আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.