![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।
১। রাসুল সা. এর যুগে বাইজান্টাইন মুদ্রার প্রচলন ছিল। এসব মুদ্রায় হিরাক্লিয়াসের ছবি মুদ্রিত ছিল। হিরাক্লিয়াস স্বয়ং রাসুল সা.-কে এ-সব মুদ্রা উপহার হিসাবে পাঠিয়েছিলেন।
২। হজরত আবু বকর, হজরত উমর, হজরত আলীর যুগেও ভিনদেশী আরো নানা রকমের মুদ্রার প্রচলন ছিল, যে-গুলোতে শাসকদের ছবি মুদ্রিত ছিল।
৩। হজরত মুয়াবিয়াহ প্রথম নিজ পরিচিতি ও ছবি খোদাই-করা মুদ্রার প্রচলন করেন।
৪। পরবর্তী খলিফা আবদুল বিন মারওয়ান, খলিফা আল-আমিন, খলিফা আল-মুতাওক্কিল বিল্লাহ, বাদশাহ আল-মুকতাদির বিল্লাহ, বাদশাহ নুরুদ্দিন জঙ্গি প্রমুখ মুদ্রায় নিজ পরিচিতিসহ ছবি মুদ্রণ করেন।
৫। স্পেনের মসজিদ-রাজপ্রাসাদসহ শহরের নানা জায়গায় মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীর ছবি ও ভাস্কর্য ছিল। খলিফা আবদুর রহমানের নিজ দাসী জাহরার নামে যে নগরী নির্মাণ করা হয়, যেখানের প্রধান ফটকে জাহরার ভাস্কর্য ছিল। কর্ডোভার মসজিদের তিন থামে তিনটি ছবি ছিল: (ক) একটিতে নবী মুসার লাঠি; (খ) দ্বিতীয়টিতে আসহাবে কাহাফের ছবি, (গ) তৃতীয়টিতে ছিল নুহের কাক। ‘নাফহুত তিব’ নামক গ্রন্থের রচয়িতা আল-মাগরিবির মতে, আল-জাহরা রাজপ্রাসাদের সম্মুখে ভয়ঙ্কর সিংহমূর্তির ভাস্কর্য ছিল।
৬। ঐতিহাসিক আজরাকি ‘আখবারু মক্কা’ গ্রন্থে একটি বর্ণনা দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে যে, মক্কা-বিজয়ের পর রাসুল সা. যখন কাবায় প্রবেশ করেন, তখন শায়বা বিন উসমানকে বলেন, আমার হাতের নিচ ছাড়া সকল ছবিই ধ্বংস করে দাও। রাসুল সা. হাত সরানোর পর দেখা গেল, সেখানে ঈসা আ. ও তাঁর মা মরিয়মের ছবি।
৭। বিভিন্ন মুসলিম বিজয়ের পর সে-সব অঞ্চলের মূর্তি ও ভাস্কর্যকে অক্ষত ও বহাল রাখার কথা ইতিহাসে নানাভাবে বর্ণিত হয়েছে।
৮। ধ্র“পদী ধারার ফিকহ-শাস্ত্রবিদদের অন্তর্ভুক্ত ইবনে হাজাম, গাজ্জালি, কুরাফি, মাক্কি বিন হামুশ, নুহাস, কুরতুবি প্রমুখ ছবি ও ভাস্কর্যকে বৈধ বলেছেন।
৯। আধুনিক ধারার ফিকহশাস্ত্রবিদদের থেকে মুহাম্মদ আবদুহু, মুহাম্মদ আম্মারাহ, কাজী উমর মুখতার, ইসমাইল আল-ফারুকি ছবি ও ভাস্কর্যশিল্পকে বৈধ বলেছেন।
তথ্যসূত্র:
تطور الكتابات و النقوش علي النقود العربية : الدكتور إلياس البيطار
الإسلام والفنون: الدكتور إسماعيل الفاروقي
فن النحت: الدكتور عمر مختار القاضي
فلسفة الفنون في الإسلام : محمد عبد الواحد حجازي
الإسلام و الفنون الجميلة : محمد عمارة
©somewhere in net ltd.