![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।
শেষ পর্যন্ত অনুমানটাই, বলা ভাল, আশঙ্কটাই সত্য প্রমাণিত হল। বিএনপির সকল শক্তি যে ভেতরে ভেতের খুইয়ে এসেছে, তারই একটি জাজ্বল্য প্রমাণ দিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আমেরিকার তৃতীয় শ্রেণির একটি পত্রিকায় কলাম নয়, মন্তব্য-জাতীয় পাতায় দেশ সম্পর্কে লিখে জাতীয় দেওলিয়াপনার পরিচয়টুকু একেবারে হাটে হাঁড়ি ভাঙার মতোই প্রকাশ করে দিলেন। এর আগে, বোধ হয় খালেদার প্রথম শাসনামলে, গণতন্ত্রের মানসকন্যা (?) শেখ হাসিনাও দাতাগোষ্ঠীকে এইরূপ চিঠি দিয়েছিলেন। আগেরটা ছিল গোপনে, এখন হল প্রকাশ্যে। এই যা পার্থক্য।
শুরু থেকেই বিএনপির ভেতরে নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীর ভীষণ অভাব। ‘তিনুদ্দিনের’ শাসনে-পেষণে এর শিরদাঁড়া অনেকটা বেঁকে আসে। আবার বর্তমানের আওয়ামী কৌশল ও অত্যাচারের মুখে তা কোনোভাবেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। উপরন্তু, আওয়ামী লীগের একান্ত ভারতমুখী কূটনীতির কারণে ভারতের বিশ্বব্যাপী সুবিস্তৃত কূটনৈতিক তৎপরতা আওয়ামী লীগকে নীরবচ্ছিন্নভাবে ছায়া দিয়ে যাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিএনপি খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছে না, আর পারবে বলেও মনে হয় না।
স্বাধীনতার পর বৃহৎ একটি দলের সাধারণ সম্পাদককে বোধ হয় এতবার, তাও মিথ্যা এবং তুচ্ছ মামলায় জেলে পুরা হয় নি। এজন্য দলটি সামান্য আন্দোলন দাঁড় করাতে পারল না। এর চেয়েও বড় কথা হল, দলে যেহেতু সুবিধাবাদীদের সংখ্যা বেশি, তাই বিরোধী অবস্থানে থেকেও কে কতটা সুবিধা নিতে পারে, দালালি করে নিজের পিট বাঁচাতে পারে এ নিয়ে ব্যস্ত। প্রয়োজনে দল ত্যাগেও প্রস্তুত অনেকে। আবার নিজের এক ধরনের গোঁয়ার্তমি বা লৌহ-স্বভাবের কারণে খালেদার কাছে নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক হতে পারেন না, ঘেঁষতেও পারেন না। অথচ তারেক রহমান সকল বাধা অতিক্রম করে এ দেশের রাজনীতিতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার যে উপায় হাতে নিয়েছিলেন, তা তারই অতি বাড়াবাড়ির কারণে ভেস্তে যায়। তিনি দেশে আদৌ আসতে পারবেন কি-না, তা নিশ্চিত না। কারণ, কি সে এমন চুক্তি হয়েছিল, যার কারণে তাকে দেশত্যাগ করতে হল? তাকে দেশে ফেরানোর জন্য কূটনৈতিক দরবারে চেষ্টা-তদ্বির করেও খালেদা হালে পানি পান নি কেন, তা জনগণের অজানা। আর হয়ত তা কোনোদিন জানাও হবে না।
এভাবেই বৃহত্তর একটি বিরোধী দলের পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপির অন্তর্ধান ঘটলে দেশের রাজনৈতিক মেরুকরণ কেমন দাঁড়াবে? জামায়াত যে চাপের মুখে আছে, তা থেকে দলটি কীভাবে বের হবে, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু বিএনপি না থাকলে, আবারও যদি আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসে, তাহলে জামায়াতে ইসলামী দলটির পরিণতি খুব সুখকর হবে না। বিলুপ্ত না হলেও, ভিন্ন নামে কার্যক্রম চালু রাখলেও এর গতিপ্রবাহ ক্ষীণ হয়ে আসবে। তখন সব চেয়ে সমস্যা হবে সাধারণ জনগণের। আওয়ামী মনমানসিকতা কখনোই দেশের বৃহত্তর জনসমাজকে তোয়াজ করে না। এরা অত্যাচার করেও নিজের গলাটুকু উঁচু রাখতে চায়, পারেও বটে। অর্থাৎ তখন সত্যি সত্যি একদলীয় শাসনের একটা বাঙালি কাঠামো দাড়াবে, যা কখনোই বিনম্র হবে না। কঠোর থেকে কঠোরতর হবে, জীবন-যাপন চলবে গিলোটিনের ভেতর দিয়ে।
হ্যাঁ, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার এ চিঠি থেকে আমি এ মর্মটিই উদ্ধার করতে পেরেছি। মানে, তার দিন শেষ। কিন্তু তার ছেলে তারেকের কখনো সুদিন আসবে কি? বলা যায় না। আওয়ামী লীগ যদি কখনো ভারতকে তুষ্ট করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, নেতিয়ে পড়ে, পিছিয়ে পড়ে; পশ্চিমা ছড়িওয়ালারা যদি তখন বিকল্প হিসাবে তারেক মিয়াকে ভাবতে শুরু করে, তখনই মাত্র তারেকের সুদিন আসতে পারে। না, জনতার সুদিন আসবে না। সে লক্ষণ কোনো দিন দেখা দেবে না!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
রওশন জমির বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৪
রোদের ক্রোধ বলেছেন: আসলে বি এন পি এখন যদি জামাতের মত জঙ্গিপনা করত , তাহলে আবার এই আমরাই বি এন পি র নিন্দা করতাম । এটা তো সবার জানা যে বি এন পি র কর্মী বাহিনী খুব দুর্বল । আওামিলীগ যে লগি বৈঠা আন্দোলন করল , সেটা বি এন পি দ্বারা কখনই সম্ভব না । সামনে এরকম কিছু করলে তাঁর সম্ভব এক মাত্র জামাত দ্বারাই । তাই মনে হচ্ছে বি এন পি জামাত কে সাথে নিয়েই চলবে , যতদিন না তারেক এই দেশে আসে ( আদৌ কি আসবে ? ) আর আবার সেই রকম ভাবে কর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে পারে ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০
রওশন জমির বলেছেন: যে আঘাত দেয়, সে অত্যাচারী হইতে পারে; কিন্তু সে অক্ষম নহে, বরং সে ক্ষমতাশালী। অন্তত আঘাত দিবার শক্তিও তাহার আছে। এ জন্য সে ভয়ের পাত্র হইতে পারে, কিন্তু ঘৃণার পাত্র নহে। কিন্তু যে নীরবে আঘাত হজম করে, সে নিশ্চয়ই অধম ও অক্ষম; সে চিরকালই ঘৃণার পাত্র- কখনই প্রশংসার পাত্র নহে। (ইসমাইল হোসেন সিরাজী)
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১০
মাহির কাবির বলেছেন: ekmot na..
deyale pith theke gele bangali ki krte pare ta otite bangali kre dakhaice ebong vobissoteo krbe,desher manush k jara beche khaite chaice tader ki krte hy bangal ta jane,jkn bangal jagbe tokn oi sokol so called deshpremiker jnne rastai ekta tiktikio takbe na..
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০
রওশন জমির বলেছেন: সময়ই সব বলে দেবে!!!
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৯
প্রভাত সূ্র্য বলেছেন: হুম! আর এ বুঝতে রাজনীতি করা লাগে না। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। কারণ, বি এন পি তার অদক্ষ কর্মী বাহিনী নিয়ে কতটাই দেশ চালানোর যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবে! আমি রাজনীতি করি না। নতুন ভোটার। তবে এটুকু বুঝি যে, বর্তমান বি এন পির একক ভাবে দেশ চালানোর যোগ্যতা নেই। আর তার শক্তিশালী বন্ধু(?) জামাতকে নিয়ে সে এখন উভয় সংকটে। তবে একদলীয় আওয়ামী শাসনের ফলাফলও বা কী? তারা কতদিন তা চালাতে পারবে? নিজেরা চারিদিকে নিজেদের অন্তকোন্দলে জর্জরিত হবে। বাড়বে জীবিকার খরচ। কমবে জীবনযাত্রার মান। আসলে আমাদের কী হবে?????
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২
রওশন জমির বলেছেন: আসলে আমাদের কী হবে????
তাই তো!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
মদন বলেছেন: ১০০% একমত