নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধোঁয়াশা

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু।

রওশন জমির

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।

রওশন জমির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ বনাম হেফাজতে ইসলাম

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫২

১। আজ দৈনিক ইত্তেফাকে শুধু আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ বনাম হেফাজতে ইসলামের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনটি সংবাদ পরিবেশিত করেছে। এতে বোঝা যায়, এ দুটি ধর্মীয় সংগঠনের মাঝেকার দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। উল্লেখ্য, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহর সাথে হেফাজত ঘরানার আদর্শ বা মতবাদগত পার্থক্য অনেক পুরনো। কিন্তু দুটো ঘরানাই ধর্মাশ্রিত। অর্থাৎ ধর্মীয় ব্যাখ্যা-কেন্দ্রিক।



২। বর্তমান সরকারের আমলে কতিপয় ব্লগারের ধর্মাবমাননামূলক লেখার প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতের ভূমিকা ও কর্মসূচি একে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ সংগঠনটি অনেক পুরনো। এর ক্রিয়াকর্ম নিজস্ব গতিতেই চলমান। এই আহলুস-সুন্নাহও ব্লগারদের লেখার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। অর্থাৎ পরস্পরে ব্যাখ্যাগত পার্থক্য ও মতবিরোধ থাকলেও ধর্মাবমাননার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অভিন্ন।



৩। আহলুস-সুন্নাহ হোক আর হেফাজত হোক, তাদের লক্ষ্য যেহেতু এক ও অভিন্ন, তাই নিজেদের ব্যাখ্যাগত পার্থক্যের জন্য মূল লক্ষ্য বিচ্যূত হতে পারে, এমন কোনো আচরণ ও কর্মকা-ের প্রকাশ কোনোভাবেই যুক্তিসিদ্ধ হবে না। এ দুটি সংগঠনের কার্যক্রম পরস্পরের বিরুদ্ধে চলে গেলে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে ইসলামেরমই ক্ষতি হয়ে যাবে, এটা ভুলে গেলে চলবে না।



৪। ব্লগারদের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ হেফাজতের প্রধান আহমদ শফির বিরুদ্ধে যে দাবিগুলো তোলে, তা কোনোভাবেই যৌক্তিক ছিল না এবং তা ছিল নিতান্ত অতিরঞ্জন। হেফাজত এ-নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বলে জানা নেই। কিন্তু গত ২৬ তারিখে হেফাজত যে আচরণ আল্লামা আল-কাদরির সঙ্গে করেছে, তা নিন্দনীয়। তবে যাই হোক, এ-নিয়ে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়ানোর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে সমাবেশ-কর্মসূচি অতিদ্রুত বন্ধ করা উচিত।



৫। সারা দেশ যখন সাভার ট্রাজেডির কারণে মুহ্যমান, তখন একদিকে হেফাজত নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে নির্বিকারভাবে সমাবেশ করে যাচ্ছে। আবার আহলুস-সুন্নাহ এর প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এদেশের ধর্মীয় সমাজ যে আসলে কতটা জনবিচ্ছিন্ন, তা এ ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। যে নবি নবুয়ত পাওয়ার আগেই হিলফুল ফুযুল সংগঠন করেছিলেন, যে সংগঠনের সকল তৎপরতা ছিল তখনকার মানুষদের (যাদের সবাই অমুসলিম) সাহায্য-সহায়তা করা, সে নবির উম্মতরা, তাও আবার ওরাসাতুল আমবিয়া, মানুষের, তাও আবার উম্মতে মুহাম্মদির দুর্দিনে পরস্পরে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত, এ যে কত বড় পরিহাস, তা বোঝানোর সাধ্য সত্যিই আমার নেই।



হায়রে ধর্ম! হায়রে ধার্মিক!! হায়রে দেশ ও জনতা!!! হায়রে ওরাসাতুল আমবিয়া!!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪১

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: খেয়াল করুন সরকার এক পক্ষকে উস্কে দিচ্ছে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

রওশন জমির বলেছেন: যারা উষ্কে দেওয়ার তত্ত্ব বুঝেন, সংযম ও ধৈর্যের শক্তি বুঝবেন না, তাতো হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.