নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধোঁয়াশা

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু।

রওশন জমির

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।

রওশন জমির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাভার-ট্রাজেডি: পোপ ফ্রান্সিস বনাম মোল্লা-মাওলানা ও শাইখ-মাশায়েখ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৫



সাভারের ট্রাজেডির পর পোপ ফ্রান্সিস বাণী প্রদান করেছেন। এতে সাভারের ট্রাজেডির প্রভাব হ্রাস পাবে, তা নয়। কিন্তু পোপ নিজের উপস্থিতির জানান দিলেন, মানবতার পতাকাটুকু ঊর্ধ্বে তুলে ধরলেন। তিনি যদি এ বাণী না-ও দিতেন, মুসলিম-অধ্যূষিত এদেশে কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতো না। ইউরোপেও তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হতেন না। কিন্তু তাঁর এ বাণী-প্রদান আমাদের আবারও সচকিত করে। আমরা হাতড়াতে থাকি।



না, মুসলিমবিশ্বে কোনো পোপ নেই। ইসলামে পোপতন্ত্র নেই। কিন্তু যারা ইসলামের সুমহান প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার, তারা যে মূক, কালা, বধির এবং অনুভূতিহীন, তা আবারও প্রমাণিত হল। ইউরোপে রেঁনেসাসের সময়ও ধর্ম ও ধার্মিকরা তেমনই মূক-কালা-বধির ও অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছিলেন। আর তাই রেঁনেসাসের অগ্রদূতরা মানবিকতার নামে ধর্মীয় খোলসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তেমন কোনো শর্ত কী মুসলিমবিশ্বে আপনাআপনিই তৈরি হচ্ছে?



না, মক্কা-মদিনার কোনো শাইখ এ ব্যাপারে মুখ খুলেন নি। রেওয়াজ নেই। ছদ্মবেশী ইসলামি শাসন-ব্যবস্থার দেশ তুরস্কও কিছু বলে নি। আরব-বসন্তের ঘোড়ায় চড়ে যে-দুজন এখন প্রায়-ইসলামি শাসনের করতাল বাজাচ্ছেন, সেই ‘গান্নুশি’ ও ‘মুরসি’র মুখ থেকেও কোনো বাণী নিঃসৃত হয় নি। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস-এর প্রধান শাইখ কারজাবি সিরিয়ার জেহাদ নিয়ে ব্যস্ত। পাকিস্তান ও ভারতের ধর্মীয় পিরামিডের হর্তা-কর্তারা তো বাংলাদেশের খবরই রাখেন না। যদিও তাদের দোহারটানা ডুগডুগি-ওয়ালা এদেশে অনেক। ছোট্ট একটি গরিব দেশের একটা মাত্র বিল্ডিং-ধ্বস নিয়ে তাদের ভাবার কিছু নেই, সময় নেই। তারা ব্যস্ত মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দাওয়াত এবং আপন আপন তাসবিহ-তাহলিল নিয়ে!



দীন ইসলাম, জিন্দাবাদ!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

নুরুল অমিন বলেছেন: আমরা মুসলিমরা মাঠে আছি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

রওশন জমির বলেছেন: আমিও মাঠে বসেই লিখছি।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: যেই ইন্সানিয়াত আমাদের সাধারন পাবলিকের মাঝে দেখা গেছে । সেটাই আমাদের জন্য বেশি ।ইসলামি দেশের ইন্সানিয়াত আমাদের দরকার নেই ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

রওশন জমির বলেছেন: ইনসানিয়াতের কোনো দেশ-গ্রাম নেই।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

দি সুফি বলেছেন: প্রকাশ্য দোয়ার চেয়ে গোপনে দোয়া বেশি কার্যকর এবং তা আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১০

রওশন জমির বলেছেন: ভাল। দোয়া করুন। মহানবি স- শুধু দোয়াই করতেন।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

এম এম কােজম বলেছেন: আপনার কাছে এইটা দোষ মনে হচ্ছে, আর আমার কাছে এইটাই গুণ মনে হচ্ছে যে, আমাদের আলেমরা বাণীর পূজারী নয়, অমুক তমুক দিবসের পূজারী নয়, কালো পতাকা, অরধ নমিত পতাকা, এক মিনিট নিরবতা ইত্যাদি সব ফালতু জিনিষের পূজারী নয়।

বাণী পাইছেন এবার বাণী ধুয়ে পানি খান। মেয়েরা মায়ের জাতি । তাদের কথা ছিলো ঘরে বসে বসে রানীর মত খাবে, সন্তানকে যোগ্য নাগরিক হিসাবে মানুষ করবে, বাইরের কোন কাজ তাদের করতে হবেনা। কিন্তু তাদেরকে শোষন আর লুন্ঠন করে গরীব বানিয়ে এরপর রাস্তার মজদুর আর কারখানার কামলা বানিয়ে এখন আসছেন পোপের বাণী শুনাইতে।

সময় নাই অনেক কথা সংক্ষেপে কইলাম। বুঝলে বুঝেন নইলে তো গালির রাস্তা আপনাদের জন্য খোলাই আছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

রওশন জমির বলেছেন: ১- ব্যাপারটি পূজার নয়, অনুভূতির, অনুভবের।
২- মূক, কালা, বধির কারো বাণী শুনতে পায় না। এটা কোনো দোষ না।
৩- কিছুটা বুঝি, বাকিটা বোঝার জন্যই মূলত লিখি। যার থলেতে যা আছে, সে তো অন্যকে তাই দেবে!

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

পথহারা সৈকত বলেছেন: আমাদের আলেমরা বাণীর পূজারী নয়, অমুক তমুক দিবসের পূজারী নয়, কালো পতাকা, অরধ নমিত পতাকা, এক মিনিট নিরবতা ইত্যাদি সব ফালতু জিনিষের পূজারী নয়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

রওশন জমির বলেছেন: ব্যাপারটি পূজার নয়, অনুভূতির, অনুভবের।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

Engr. Atiqur Rahman বলেছেন: অযথা ক্যাচাল বাড়ানো আপনার স্বভাব (আপনার খুব কম পোস্টই ক্যাচাল মুক্ত) , এই রকম সেন্সেটিভ বিষয় নিয়ে ক্যাচাল না করলে হয় না? X( X(

এম এম কােজম বলেছেন: আপনার কাছে এইটা দোষ মনে হচ্ছে, আর আমার কাছে এইটাই গুণ মনে হচ্ছে যে, আমাদের আলেমরা বাণীর পূজারী নয়, অমুক তমুক দিবসের পূজারী নয়, কালো পতাকা, অরধ নমিত পতাকা, এক মিনিট নিরবতা ইত্যাদি সব ফালতু জিনিষের পূজারী নয়।

বাণী পাইছেন এবার বাণী ধুয়ে পানি খান। মেয়েরা মায়ের জাতি । তাদের কথা ছিলো ঘরে বসে বসে রানীর মত খাবে, সন্তানকে যোগ্য নাগরিক হিসাবে মানুষ করবে, বাইরের কোন কাজ তাদের করতে হবেনা। কিন্তু তাদেরকে শোষন আর লুন্ঠন করে গরীব বানিয়ে এরপর রাস্তার মজদুর আর কারখানার কামলা বানিয়ে এখন আসছেন পোপের বাণী শুনাইতে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

রওশন জমির বলেছেন: ১- ক্যাচাল নয়, পরিচিতি-উদ্ধারের চেষ্টা। নিজেকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাতে না পারলে, বুঝতে হবে আপনার হিম্মতের কমতি আছে। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, সর্বোপরি মানবতার স্বার্থে হিম্মতের বিকল্প নেই।

২- এম এম কাজেম-এর জবাব যথাস্থানে দেওয়া আছে। জাবর কাটার দরকার ছিল না।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: pope miar eto onuvuti takle iraq.afgan e unar onusarira ki krse oi jnno boktobbo dik.musolman lok dekani ba ria kari hbe na.mne vondami nie 1 min nirobta kalo badge kno mane nai

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২

রওশন জমির বলেছেন: পোপ ইরাক-আফগান সম্পর্কেও বক্তব্য দিয়েছেন। পৃথিবীতে যত যখন কোনো অঘটন ঘটে, তারা আমাদের মতো চোখ বন্ধ করে থাকেন না। নিজেদের মতো করে মূল্যায়ন করেন এবং ব্যবস্থা নেন।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

মিষ্টিগল্প বলেছেন: বলছি না যে, পপ বিবৃতি দিয়ে খুব মহান কিছু একটা করে ফেলেছেন। কিন্তু এটা সমালোচনার দাবী রাখে যে, এতবড় একটা ট্রাজেডী কিন্তু আমাদের দেশের আলেম সমাজ কিছুই বললো না???!!!
অনেকে বিবৃতি দেওয়াকে পূজা বলে চালিয়ে দিয়ে পার পেয়ে যেতে চান, কিন্তু অন্যান্য ইস্যুতেও আমাদের নামধারী আলেমরা যারা (অনেকের মতে সৌদি.... কাছে বিক্রয় হয়ে গেছেন) তারা আমাদের দেশের মানুষকে মানুষ বলে মানে না। তাদের কাছে বিদেশীদের মূল্যটাই অনেক বেশী।
তাদের দৃষ্টিতে ৩০০০ হাজার টাকা বেতনের একটা নাগরিক আর কিইবা করতে পারে। কিন্তু মহান আল্লাহর কথা হচ্ছে যে মানুষ জাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতিকে হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাকে হেদায়েতের জন্য নবী, রাসূল প্রেরণ করেছেন।
শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর বিদায়ের পর এ দায়িত্ব আলেম সমাজের। যদি বাংলাদেশের সমাজে আজ ধর্মীয় দিক থেকে অধপতন ঘটে থাকে তবে তার জন্য আলেম সমাজও দায়ী। তারা তাদের দায়িত্ব হয় সঠিকভাবে পালন করেনি অথবা তারা জানেই না যে, আসলে কি তাদের দায়িত্ব অথবা তারা জানে যে, কি তাদের দায়িত্ব কিন্তু হেদায়েতের দানের সক্ষমতা না নিয়েই মাথা টুপি পরে ইয়া বড় দাড়ী রেখে নামকরা আলেম সেজে বসেছেন। অথচ হেদায়েতের বিষয়ে তাদের নূন্যতম জ্ঞান নেই। মানুষ আগের যুগের মত অন্ধ বিশ্বাসে বিশ্বাস করে না। তাই উচিত ছিল আলেম সমাজকে মানুষের চিন্তাগত উন্নতির সাথে সাথে নিজেদেরকেও প্রস্তুত করা।
কিন্তু আলেম সমাজ সেই পুরোনো অবস্থাতেই রয়েছেন। এবং পুরোন অস্ত্র নিয়েই হেদায়েতের এ মহান যুদ্ধে নামতে চান।
যে যাই বলেন না কেন বাংলাদেশে অপসাংস্কৃতি প্রবেশের যদি কারণ খুজতে যাই তবে অবশ্যই আলেম সমাজ দোষীদের তালিকা হতে বাদ পড়বে না। কেননা তালেবানি চিন্তা ধারা দিয়ে জোর করে মানুষের উপর শাসন চালানো যায় না। যদি তাই হত তবে আজ ধর্ম বলে কিছুই থাকতো না ধর্মে শত্রুরা নিশ্চিহ্ন করে দিত।
এসব পূজা ও শিরকের ফতওয়া বাদ দিয়ে কিভাবে মানুষের কাছে এসে তাদেরকে হেদায়েত করা যায় সেই চিন্তা করুন। এতে মহান আল্লাহও সন্তুষ্ট হবেন।
কখনো কখনো আলেম সমাজ যে আচরণ করেন তা সাধারণ একজন মানুষও করে না। তাহলে হেদায়েতের বাতী ধরা ঐ লোকটাই যদি এমন হয় তবে সে হেদায়েত দেবে কিভাবে??????!!!
এতবড় একটা ঘটনা মানুষ এত মারা গেল, কত মায়ের কোল খালী হল আর আপনারা কি বললেন 'আল্লাহর গজব পড়েছে' গজব আপনাদের উপর পড়বে। কেয়ামতের দিন প্রথমে আপনাদের মত আলেমদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

রওশন জমির বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

পূরান পাগল বলেছেন: পোপ বানি দিয়েছে ভাল, কিন্তু বানি দিয়েই বিশেষ কিছু করে ফেলেনি। এইসব বানি, শোক প্রকাশের ব্যাবহারিক অর্থে কোন মূল্য দেখিনা।যদিও সৌদি বাদশাহেরা ইসলামিক শাসক হিসেবে তাদের দায়িত্বগুলো সবসময় সঠিকভাবে পালন করেনা কিন্তু আপনি হয়ত ভুলে যাচ্ছেন আমাদের প্রতিটি দুর্যোগে বেশিরভাগ ত্রান সহায়তাই সৌদি থেকে আসে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২২

রওশন জমির বলেছেন:
১- তা বটে, আপাতত পোপের বাণীর কোনো ব্যবহারিক মূল্য নেই। কিন্তু এ বাণীটুকু তার অনুসারীদের প্রতি একটা বার্তা, যা দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনার ইঙ্গিত বহন করে। পরবর্তী কোনো লেখায় এ ব্যাপারে লিখবো।

২- সৌদি শাসকদের ত্রাণ এতো আসলো কিন্তু গেল কই? এবং কেন যায়? সে কি পোপের কারণে, নাকি সৌদি-ভক্ত লোকদের কারণে। নিজেদের অবস্থান মূল্যায়ন করলে আরো ভাল হবে মনে হয়।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

মুহাম্মদ তৌহিদ বলেছেন: ভাই, আমাদের বড় দোষ হচ্ছে কে কি করেনি তা সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিয়ে দেখা। বিশ্বের কয়টি দেশের প্রধান বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

রওশন জমির বলেছেন: কারো দুর্যোগে মুখে কুলুপ এঁটে থাকা কি খুব গুণের পরিচয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.