![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।
প্রাণপণ চেষ্টার পরও গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হল; শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ডিগবাজি-প্রবণ নতজানু নেতার সমর্থন সত্ত্বেও বড় রকমের হার হল; তরিকত ফেডারেশন এবং ইসলামী ঐক্যজোট (মিসবাহুর রহমানের গ্রুপ) পক্ষ্যে অবস্থান নেওয়ার পরও চরম ভরাডুবি হল। এর দায় কার? সদা হাস্যোজ্বল নেতা আজমত উল্লাহর? আওয়ামী লীগসহ এর নানা অঙ্গ সংগঠনের পরম্পরাগত অপরাধী কার্যক্রম? নাকি ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজের সংবেদনশীল অনুভূতি, যাকে আওয়ামী লীগ কখনো বুঝতে না পারে নি এবং পারে না; বরং বরাবর একে নিয়ে ঠাট্টা-মসকরা করার দুর্মতি দেখায়?
পাশ্চাত্য দেশে মানব-জীবনে অস্বাভাবিক চাহিদা নিবারণের উপায় ‘সমকামিতা’ও মানবিকতার আওতাভুক্ত! এ নিয়ে আন্দোলনও মানুষের সহানুভূতি পায়। আমাদের দেশে ধর্মের নামে যে কোনো রকমের আবেদন-নিবেদন হয়ে যায় একান্ত মধ্যযুগীয় বর্বরতা! আর তাই এদেরকে ঠ্যাঙানোর জন্য একদিকে মাঠে নেমে পড়ে ধর্ম ও ধার্মিক সম্পর্কে অনবহিত শেকড়ছিন্ন নাগরিক তরুণ-সমাজ, অন্যদিকে আদাজল খেয়ে নামেন পরজীবী অভিজাত বুদ্ধিনিপুণ ব্যবসায়ীরা; উপরন্তু অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার উস্তাদ সুযোগসন্ধানী সাংবাদিক-সমাজ; আর মতান্ধ, বাস্তবতাবিবর্জিত অসহিষ্ণু আওয়ামী কর্মী-সমর্থকরা তো আছেই। সবাই মিলে সত্যের মাথা খেয়ে ধর্ম নিয়ে বালখিল্যতার একশেষ পরিচয় দিয়েই তারপর তারা ক্ষান্ত হয়। ততক্ষণে বা ততদিনে দেশটার এক নাকাল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ভূঁইফোঁড় হেফাজতকে বিএনপি-জামায়াতের কোলে লাতি দিয়ে কে ফেলে দিল? যে-সব অর্বাচিন বা স্বার্থান্ধ সুমহান ব্যক্তিবর্গ হেফাজতকে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডার তল্পিবাহক বলে মুখে সুখ পায়, তারা কি জানে, হেফাজতের সঙ্গে জামায়াতের দূরত্বটা কোথায় এবং কেন? ইসলাম ইসলাম বলে দুটি দলই মুখে ফেনা তুললেও কেন তাদের যৌক্তিক ও স্বাভাবিক যোগাযোগ গড়ে ওঠে নি এবং উঠবেও না, সেই তলানির সংবাদ কি তারা কখনো নিয়েছে? নেয় নি। নেওয়ার কোনো দায়বোধ নেই। জামায়াতের মাথায় যে টুপি, তা হেফাজতের মাথায় দেখে তারা নেচে উঠলো। টুপি যেহেতু একই রকম, সুতরাং এরা নিশ্চিত জামায়াত-শিবিরের গোপন এজেন্ডার দালাল। মিডিয়ার বাজারে এ কথা বলে সুখ পাওয়া যায়, চামচাদের বাহবাও মেলে। কিন্তু ভোটের বাজারে মিডিয়া ও মুখের সুখের জন্য যে খেসারত দিতে হয়, তা পূরণ করার আর কোনো উপায়ই থাকে না।
না, আমি হেফাজতের সকল দাবির পক্ষে না, বা কোনো দাবিরই পক্ষে না। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে কেউ যদি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আসে, এবং অসহিষ্ণু (?) আচরণ করে, এ জন্য কি এদের রাস্তায় পিটয়ে গণতন্ত্রের পাঠ দিতে হবে? দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে গাড়ি ভেঙে, আগুন ধরিয়ে, কুরআন জ্বালিয়ে তাদের নামে প্রচার করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়? মানুষজন বিশ্বাস করে? ভোটাররা কি এত কাঁচা? যে-মাটিতে একজন আওয়ামী ক্যাডারের জন্ম, যে চাউলের ভাত একজন আওয়ামী ক্যাডার খান, যে সব পঞ্চেন্দ্রীয় ও ষষ্ঠেন্দ্রীয় দিয়ে তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন, অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভাঙেন, সমাজের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় জড়ান, ঠিক একই উপায় ও প্রক্রিয়ায় দেশের অন্য সব নাগরিক তথা ভোটাররাও জড়ায়। কিন্তু আওয়ামী লোকজন ও এর সমর্থক মিডিয়া-গোষ্ঠী কাকের মতো চোখ বন্ধ করে খাদ্যবস্তু আড়াল করার সময় ভাবে, অন্যরাও বোধ হয় চোখ বন্ধ করে আছে! এই সব আত্মম্ভরী নির্বোধ আওয়ামী লীগারদের কারণেই বারবার নৌকায় ফুটো হয়। সমস্যা হল, এদের প্রতি আঙুল তুলে কথা বললে এরা আঙুল কেটে দেওয়ার হুমকি দেয়। ক্ষেত্রেবিশেষে আঙুল কাটতে গিয়ে শুধু আঙুল নয়, হাতটাই কেটে ফেলে দেয়। জীবন-নাশ করে ক্ষান্ত হয়।
এমসি কলেজের হোস্টেল জ্বালিয়ে দিয়ে, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে, পরস্পরকে হত্যা করে যে বুকের পাটা প্রকাশ করল, উপরন্তু এক বিশ্বজিৎকে হত্যার জন্য সোনার ছেলে ছাত্রলীগ যে সুনামের হার গলায় পড়ল, তাতে পার্টির কোনোই মাথা ব্যথা নেই। তাদের দায়বোধ উছলে উঠল আততায়ী কর্তৃক নিহত ব্লগার রাজিবের বেলায়। তাকে শহিদ না বললে, দৌড়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় না গেলে আওয়ামী ইতিহাস ম্লান হয়ে পড়ে। তাই মান রক্ষার জন্য তার বাসায় প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত হন! সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক দম্পতির হত্যার কোনোই কুল-কিনারা হয় না, কিন্তু হত্যার সামান্য পরেই রাজিব হত্যার ক্লু বেরিয়ে পড়ে। আততায়ীরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাীকারুক্তি দেয়! মানুষজন এগুলো বিশ্বাস করে প্রাণভরে, আর শুধু হাসে স্বস্থির নিঃশ্বাসে! যাক, তাহলে বলির পাটা পাওয়া গেল!
অর্বাচিন হেফাজত প্রথম লংমার্চ করে দ্বিতীয় কর্মসূচীতে এসে গুবলেট পাকিয়ে ফেলে, এ জন্য সব দায় কি হেফাজতের সদকা-খাওয়া নেতাদের? কুরবানি চামড়া-খাওয়া এতিম-মিসকিনদের? জামায়াত-বিএনপির একান্ত ষড়যন্ত্রের? আওয়ামী লীগ এখানে ধোয়া তুলসি পাতা? রয়ে-সয়ে তাদেরকে ঐ রাতেই আল্লামার শফির উপস্থিতিতে দোয়ার ব্যবস্থা করে সমাপ্তির সুযোগ দিলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত? পূর্বের দিন তাদেরকে নানা ফ্রন্টে ব্যতিব্যস্ত রেখে, আহত-নিহত করে, ঢাকার কোথাও জমায়েতের সুযোগ না দিয়ে, মতিঝিলে অবশেষে অনুমতি দিয়ে, মূল নেতাকে উপস্থিত না করিয়ে, রাতের অন্ধকারে চার দিকের বাতি নিবিয়ে, মিডিয়া বন্ধ করে, লাখ-দেড়লাখের মতো গুলি ব্যবহার করে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে বলা হল দশ মিনিটে তারা স্থান ত্যাগ করেছে এবং নজিরবিহীন অসহিংসভাবে!
মতিঝিলের সেই রাতের জমায়েতে কেউ মরে নি? কোনো রক্ত ঝরে নি? আওয়ামী লীগের মতে, এমন প্রশ্নই উঠে না। কারণ, রাতের অন্ধকারে আওয়ামী পুলিশ ও গুণ্ডপাণ্ডারা টুপি-পাঞ্জাবি-পরা মোল্লা-মাওলানাদের জামাই আদর দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে। তাহলে কাভার্ড ভ্যান দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করতে হল কেন? রাস্তাটাকে পানি দিয়ে ধুইতে হল কেন? অবাক ব্যাপার, যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়েছিল একটি ঐতিহাসিক অনাকাক্সিক্ষত কালো রাত্রির মাধ্যমে, সেই আওয়ামী লীগই রাতের অন্ধকারে কালো রকমের ব্যবস্থা নিল কোন যুক্তিতে? যে-পার্টির নেতা সংঘবদ্ধ খুনিচক্রের হাতে অন্যায় ভাবে প্রাণ দিলেন, সেই পার্টির মানুষজন অন্যকে কীভাবে এভাবে নিপীড়ন করতে পারে? যে নারীর পিতা-মাতা, ভাই-ভ্রাতা নিষ্ঠুরভাবে শহিদ হলেন, তিনি কীভাবে অন্যের প্রতি নিষ্ঠুর হতে পারেন, নিষ্ঠুর একটি আচরণের পক্ষে ঠাট্টা করতে পারেন? যেখানে সুদূর মফস্বল থেকে আসা কিশোর-তরুণ ভয়ঙ্কর স্মৃতি মাথায় নিয়ে ভারমুক্ত হওয়ার পথ খুঁজছে, সেখানে দেশের একমাত্র শীর্ষ অভিভাবক কীভাবে বলতে পারেন, হেফাজত সে-দিন রঙ নিয়ে খেলা করেছে? হ্যাঁ, রঙের খেলা-ই বটে। এই রঙের খেলায়ই হারতে হল আওয়ামী লীগকে। তবে অন্য কারো রঙ নয়, সে রঙ হল হেফাজতের, আর খেলাটা হল একমাত্র আওয়ামী লীগের।
জয় বাংলা।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
রওশন জমির বলেছেন: পাতানো আর আটানো বলি, তিনি কোনো ফ্যাক্টর নন।
ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
ই এইচ মানিক বলেছেন: দুর্ভাগ্য আমাদের পাকিস্তানিরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে এখন স্বাধীনতাফেরীকরা ব্যবসায়ীরা যখন ক্ষমতায় এখনও অত্যাচার করছে..
ক্ষমতায় গেলে সব শাসকরা এক ই রকম আচরন করে।
আমি হেফাজতের সব দাবির সাথে একমত।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
রওশন জমির বলেছেন: মানুষের ভাগ্য তার ছায়ার মতো পেছনে পেছনে লেগে থাকে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, কোনো জাতির ভাগ্য তারা নিজেরা পরিবর্তন না করলে, আল্লাহ তায়ালা নিজে তা পরিবর্তন করেন না।
ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
গেস্টাপো বলেছেন: আওয়ামী-নাস্তিক-কমিউনিস্ট-বামপন্থিদের জন্য তাদের এক মহান নেতার বানি দিলাম শুধু
‘যে নৈরাজ্যবাদী খেয়ে না খেয়ে আল্লাহখোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ওয়াজ করে বেড়ায় সে আসলে মোল্লা-মৌলবি-পুরোহিত আর বুর্জোয়াদের স্বার্থই রক্ষা করে।’ (ভদ্মাদিমির ইলিচ লেনিন)
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
রওশন জমির বলেছেন: আপনি কি কামারের দোকানে গান গাইতে শুরু করলেন?
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০
সরদার হারুন বলেছেন: লেখায় বাস্তবতা আছে । তবে প্রশ্ন আসে যারা মরেছে তাদের ঠিকানা সহ কেন একটা তালিকা
বের করলোনা হেফাজাতিরা বা অন্য কেউ ?
যদি কেউ মনে করে থাকে যে নি,এনপি-জামাতের জনপ্রতার জন্য তারা জিতেছে তাহলে আমার মনে হয় ভুল করবে।তাদের জিতিয়েছে হেফাজাতের প্রতি মানুষের ভালবাসা।এবারের ভোট হয়েছে সরকার বনাম
হেফাজাতে ইসলাম।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
রওশন জমির বলেছেন: ১- তালিকাটি এখন প্রকাশ করলে বিধ্বস্ত পরিবারগুলো যে রোষের শিকার হবে, তা সামাল দেবে কে?
২- বিএনপির পরে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় বসে, তখনও কি আওয়ামী লীগ নিজের যোগ্যতায় বিজয়ী হয়, হয়েছিল কখনো? এখানে নিয়ম হল সেই বঙ্কিমীয় বাণীঃ তুমি অধম হইলে, আমি উত্তম হইব না কেন? একবার আওয়ামী লীগ অধম হয়, জিতে আসে বিএনপি, আবার বিএনপি অধম হয়, জিতে আসে আওয়ামী লীগ। হেফাজত এখানে সাময়িক ফ্যাক্টর মাত্র।
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে গাড়ি ভেঙে, আগুন ধরিয়ে, কুরআন জ্বালিয়ে তাদের নামে প্রচার করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়?
মানুষজন তা' কি বিশ্বাস করে?
ভোটাররা কি এত কাঁচা?
===============================
চমৎকার লেখা। ততোধিক চমৎকার বাংলা।
জাস্ট সুপার্ভ্।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
রওশন জমির বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ক্ষমতায় গেলে সব শাসকরা এক ই রকম আচরন করে।
আমি হেফাজতের সব দাবির সাথে একমত।
দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে গাড়ি ভেঙে, আগুন ধরিয়ে, কুরআন জ্বালিয়ে তাদের নামে প্রচার করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়?
মানুষজন তা' কি বিশ্বাস করে?
ভোটাররা কি এত কাঁচা?
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
রওশন জমির বলেছেন:
'ক্ষমতায় গেলে সব শাসকরা এক ই রকম আচরন করে।' তা যেমন সত্য, তেমনই সুযোগ পেলে সব শালাই আন্দোলন করতে চায়, তাও সত্য। অথচ এরা জানে না যে, কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো যায় বটে। কিন্তু তা অখাদ্য থেকে যায়।
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
aiman_jancw বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ দেওার জন্য লগইন করতে হল......
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
রওশন জমির বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ হেফাজত সে-দিন রঙ নিয়ে খেলা করেছে? হ্যাঁ, রঙের খেলা-ই বটে। এই রঙের খেলায়ই হারতে হল আওয়ামী লীগকে। তবে অন্য কারো রঙ নয়, সে রঙ হল হেফাজতের, আর খেলাটা হল একমাত্র আওয়ামী লীগের।
আপনাকে ধন্যবাদ।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
রওশন জমির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২০
সরদার হারুন বলেছেন: হাজার হাজার পরিবার রোষের সিকার হবে ? তবু মানুষতো কোন দিনই জানতে পারবেনা আসল ঘটনা।আইন শৃঙ্খলা বাহিনির প্রত্যেক বিভাগের প্রধানরা বলছে এক কথা , হেফাজাতের প্রধান শফি চুপ,
শুধু বি.এন.পি জামাত প্রচারনা করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করছে।হাজার হাজার লাশ গুলি
হাওয়ায় উড়ে গেল আর তাদের রক্ত ধুয়ে ফেললো ।
হেফাজাতের পৃধান শফিকে বিমানে করে বাড়ি পাঠালো ,বাবুনগরিকে গ্রেফতার করলো। শপিসাব বললেন যে ঢাকায আসার পরে তাহার হাতের নিয়ন্ত্রন জামাত ও বি,এন.পি.নিয়ে ণিয়েছে।
এখন আবার বলা হচ্ছে অন্য কথা । অন্য দিকে সাভারের রেশমা নাটক নাকি সেনাবাহিনি তৈইরি করেছে।এরা সবাই মিথ্যা বলেছে আর খালেদদা নিজামিরা সত্য বলেছে ।?
আমার মনে হয় জামাতের কাজ শেষ হলে ১৮ দল নতুন নাটক লিখবে যেমন আপনার কথায় সরকার লিখছে। আপনারা সবাই গরিবদের শিখন্ডী করে তাদের তেলে আর কত মাছ ভাজবেন বলতে পারেন ?
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
রওশন জমির বলেছেন:
১- এই যে আপনার সঙ্গে গ্যাজাইতে হচ্ছে, তা কতটা অর্থপূর্ণ, তা জানি না। কিন্তু হেফাজতের জমায়েতে রক্তারক্তি খেলা নিয়ে আপনি আরো কিছু বিষয়কে জড়িয়ে ফেলেছেন। যেমন- রেশমা প্রসঙ্গ, হেফাজতের শফি ও বাবু নগরী প্রসঙ্গ ইত্যাদি। যদি সরলভাবে আলোচনাটি এগিয়ে যেত, তাহলে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সহজ হত। আর আমরা কীভাবে গরিবদের শিখণ্ডী বানাই, তাও স্পষ্ট হত। তবুও দেখা যাক, কতটা সংক্ষেপে বলা যায়!
২- গত টার্মে বিএনপি জজ মিয়া নাটক মঞ্চস্থ করেছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক বিভাগের প্রধানদের সহযোগিতায়, সে আপনার মনে আছে নিশ্চয়। আপনার যা বিশ্বাসের দৌড়, বোধহয় বিনা প্রশ্নেই তখন মেনে নিয়েছিলেন। তা-ই যদি হয়ে থাকে, বর্তমানের ঘটনা বিশ্বাস করলে আমার কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ, আমি বিশ্বাসের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
৩- র্যাবের গুলিতে পঙ্গু লিমন তো অপরাধী! মহা অপরাধী! কারণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই এতে একমত। তাই আওয়ামী সরকারের নিয়োগ দেওয়া মানবাধিকারের 'পুতুল' চেয়ারম্যান তাকে নির্দোষের সার্টিফিকেট দিলেও তার মুক্তি হচ্ছে না। কারণ এদেশে সরকারের নিয়োগ দেওয়া বাহিনী প্রধানগণই একমাত্র সত্য কথা বলেন! তাই আপনার বিশ্বাসকে বলিহারি দিই।
৪- রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ার অব্যবহিত পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ঐ বিল্ডিং-এর লোকজনকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সতর্কতা গ্রহণ করার পর যারা জিনিসপত্র সরানোর জন্য গিয়েছেন, তারাই শুধু দুর্ঘটনার শিকার! তাদের সংখ্যা কত ভাইজান? একটু তলিয়ে দেখেন তো প্রধানমন্ত্রী কতটা সত্য বলেছেন? আবুল হোসেন নির্দোষ, বিশ্বজিতের হত্যাকারী কেউ ছাত্রলীগের নয়, এটাও কিন্তু সত্য। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক প্রধানগণও। আবার খোদ সেই ঘাতক নেতারাও এ ব্যাপারে নীরব, যেমন নীরব শফি-বাবুনগরী।
৫- শফিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর বেষ্টনী ভেঙে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হল না কেন? তিনি কি নিশ্চুপ ছিলেন, না নিশ্চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়েছে? বাবুনগরীর তো আম-ছালা দুটোই যাওয়ার অবস্থা। হবেই না-বা কেন, কারণ দেশের একমাত্র প্রধান বিরোধী দলের নেতাদের তো জামাই জামাই আদর। তাই তো শফি ও বাবুনগরীর মুখ খুলে কথা বলার অবাধ স্বাধীনতা! আর তাই তারা যা বলেন, তাদের কথা মিডিয়া মারফত, সরকারি মারফত ঘষা-মাজা হয়ে সরলভাবে বেরিয়ে আসে! সুতরাং যাদের সময় আছে, বিশ্বাসের জোর আছে, তারাই শুধু নির্ধারণ করবেন, কোথায় নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াতের, কোথায় নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী-বামদের!
৬- সরকার কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটাবে না, এই বিশ্বাস থেকেই কিন্তু মতিঝিলের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল! কোনো রক্তপাত হবে না, এ মর্মে নিশ্চিত হয়েই বিরোধী শিবিরের দুটো চ্যানেল গভীর রাতে, অপারেশনের আগমুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল! এমন কি, পক্ষের মিডিয়াগুলোর কোনো সাংবাদিককে পর্যন্ত ডাকা হয় নি; অতিসন্তর্পণে অপারেশনটি সম্পন্ন হয়েছিল।
৭- সে অপারেশনটির নানা খণ্ডচিত্র নানাভাবে বেরিয়ে এসেছে, এতে বোঝা যায়, তা কতটা রক্তমুক্ত ছিল। কিন্তু অহিংস সরকার নিজের অহিংসতার প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও চিত্রও রাখে নি। অথচ বাইতুল মোকাররামে কুরআন পোড়ানোর নানা ভিডিও হাতে হাতে ঘুরছে। যদিও কারা লাগিয়েছে, তার কোনো চিত্র কেউ ধরে নি, ধরে রাখতে চায় নি। তাহলে যে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে!
৮- এতো কিছুর পরও রটে গেল, রাতে ম্যাসাকার হয়েছে। কেউ বলছে, হাজার-হাজার; কেউ বলছে, সংখ্যাটা কয়েকশ হবে। কিন্তু কারো আর্ত চিৎকার শুনতে না পেয়ে আমরা বলতে শুরু করলাম, মিথ্যে, সব মিথ্যে। আচ্ছা, ঐ দুদিনের ঘটনায় যে সব হেফাজতকর্মী নিহত হয়েছিল, নানা মর্গে যাদের লাশ ছিল, তাদের নিয়ে কেউ কি কভার-স্টোরি করেছিল? তাহলে তো এগুলোও মিথ্যে!
৯- মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শহিদ হয়েছিল ত্রিশ লক্ষ। আচ্ছা, এর কোনো লিস্ট আছে? অন্তত ত্রিশ হাজারেরও কোনো লিস্ট আছে? আর একদিনেই কি তা সম্পন্ন হয়েছিল। অথচ স্বাধীন দেশে এ নিয়ে তো আবেগের ফোয়ারা বয়ে গিয়েছিল। এখন বৈরি পরিস্থিতিতে কেন হেফাজতের লিস্ট হচ্ছে না, এজন্য কারো তর সইছে না। নানা পত্রিকায় আড়াইশ'র কথা বলা হলেও বোধহয় একষট্টি জনের একটি লিস্ট সম্পন্ন করেছে হেফাজত বা অধিকার। যুগান্তর কি কালের কণ্ঠ এ নিয়ে রিপোর্টও করেছে। আমরা যারা অন্ধ ও বধির, তাদের কানের কাছে স্বজনহারা মানুষ কেন বিলাপ করতে আসে নি, এ বোধহয়, তাদের এক মহা অন্যায়। এ জন্যই স্বজনহারা হয়েও তারা কারো সহানুভূতি পাচ্ছে না, পাবেও না। কারণ, লিমনের বাপের সঙ্গে দুর্ভাগ্যবশত একদিন বাসে কাকতালীয়ভাবে আমার সাক্ষাত হয়েছে। মিডিয়ার সর্বাত্মক আনুকূল্য পাওয়ার পরও তার অসহায়ত্বের কথা সেদিন তিনি চাপা রাখেন নি। আর বাংলাদেশের মিডিয়া তো হেফাজতের মনগড়া প্রতিষ্ঠান; সরকারের নয়, বরং মিডিয়া হল একমাত্র হেফাজতের মতাদর্শী, বশংবদ বাধ্য দাস! তাই তো তারা স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হয়ে সকল সংবাদ হেফাজতের অনুকূলে প্রকাশ করে যাচ্ছে!
১০- হেফাজতের মৃতের সংখ্যা-ই তো সংশয়দুষ্ট? আল-জাজিরায় জুরাইন কবরস্থানের একজন বোবা লোকের বরাতে দশ জনের অধিক মানুষকে গোপনে দাফন করার সংবাদ প্রচার করা হয়। না এগুলো আপনার বিশ্বাসের জন্য বলছি না। প্রাসঙ্গিক্তার কারণে বলতে হচ্ছে।
১১- রেশমার বিষয়টিকে যারা নাটক বলছে, তারা নাটকের অর্থই জানে না। রেশমার ঘটনাটি একান্ত সত্য। সে তো সতের দিন পর্যন্ত চারটি মাত্র বিস্কুট খেয়ে কী তরতাজা রয়ে গেল! আর পোশাকের কী বাহার, কী চমৎকার ম্যাচিং! সবার উদ্ধার সম্পন্ন হল চোখে রুমাল রেখে, কারণ বাহাত্তর ঘণ্টা পর হঠাৎ আলোর স্পর্শ চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দিতে পারে। কিন্তু ১৭ গুণে ২৪= ৪০৮ ঘণ্টা পর তার চোখে আর রুমাল ব্যবহার করা লাগে নি! বেশ চমৎকার না! উদ্ধার তৎপরতার আনন্দে তিনি যখন দেঁতো হাসি দিলেন, তাতে তার যে পরিচ্ছন্ন দাঁত জ্বলসে উঠেছে, তাতে মনে হয়, যারা দাঁতের প্রতি অমনোযোগী, তাদেরকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গুহা-কন্দরে থাকলেই ভাল। দাঁত নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না। আসলে, যারা ঘটনাটি সাজাতে চাইছিলেন, একে নাটক করে তোলার উদ্দেশ্যে, তারা কাজে অপটু, নিতান্ত কাঁচা। তাই সেটি নাটক না হয়ে ঘটনা হিসাবেই প্রতিভাত হল।
১২- যারা কওমি মাদরাসার সেই সব নিঃস্ব, দরিদ্রদের জন্য হঠাৎ সহানুভূতিপ্রবণ হয়ে উঠলেন, তাদের কয়েকজনের কাছে, শুধু এই হত দরিদ্রদের জন্য স্কুল করার আবেদন নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি, এখনো ঘুরছি। তারা সেই সব শিখণ্ডীর কারখানায় যেভাবে টাকা দিতে প্রস্তুত, আধুনিক শিক্ষাবিস্তারী দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দিতে সামান্যও রাজি নন। তাহলে কে দরদী, কে কাকে শিখণ্ডী রাখতে চায়, উত্তর দেবেন কি? আর হ্যা, তাদের ব্যবহারের জন্য যারা দায়ী, তাদের নিন্দা জানাই। কিন্তু এখানেই কি দায়িত্ব শেষ? বিশ্বাসে ভর করে ভেবে দেখুন।
ধন্যবাদ
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
সরদার হারুন বলেছেন: আপনার কথার যুক্তি আছে ।আমার কথা আপনার ধোপে টিকবেনা জানি কেনানা আমার বিস্বসের
মাপকাঠি আপনি প্রথমেই মেপে দিয়েছেন ।
আমার মোট কথা হলো যারা মরে তারা সবই গরীবের ছেলে ।তাদের নিয়েই রাজ নীতি করা হয়
মাছের তেলে মাছ ভাজা হয় ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
রওশন জমির বলেছেন:
১- এখানে আপনি মরার কথা স্বীকার করছেন, জানিনা সে কোন মরা?
২- গরিব, অসচেতন ও অসহায়রা আছে বলেই বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলতে পারে। সুতরাং এখানে এককভাবে ঢাল- তলোয়ারহীন 'নিধিরাম সর্দার' হেফাজতকে দায়ী করলে অযৌক্তিক ও অন্যায় হবে।
ধন্যবাদ।
১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
সরদার হারুন বলেছেন: এতক্ষণে সত্য কথাটা স্বীকার করলেন যে হেফা জাত বা এরূপ প্রলেতারিয়াতের রক্ত চুষে
দলগুলির রাজনীতি চলছে । হেফ্জাতেরা ঢাল- তলোয়ার বিহীন হেফাজাতের কোন দায়ী নয় ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
রওশন জমির বলেছেন:
প্রলেতারিয়েত শব্দটি দেখে মনে হল, আপনি বুর্জোয়া রাজনীতির গতিপ্রকৃতি ও শ্রেনী-ভিত্তিক রাজনীতির ব্যাপারে সম্যক জ্ঞাত। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার। আপনি কি বুর্জোয়াদের কথা বিশ্বাস করবেন, নাকি ঢাল-তলোয়ার হীন (এখানে 'মিডিয়াহীন') প্রলেতারিয়েতদের কথা বিশ্বাস করবেন?
ধন্যবাদ আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
শুটকাভাই বলেছেন: হুমু এর সমর্থন পাতানো নাটক ছিল।