নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধোঁয়াশা

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু।

রওশন জমির

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।

রওশন জমির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলিয়াস র-এর একটি চিঠি

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭





শুরু হল ‘বিশ্ব ইস্তিমা ২০১৪’। তাবলিগ সম্পর্কে নানা রকম মন্তব্য শোনা যায়। কেউ বলেন, “এটা হল নামাজের আন্দোলন।” কেউ বলেন, “এটা হল ধর্মচর্চার প্রাথমিক পর্যায়। এর মাধ্যমেই একজন সাধারণ মুসল্লি পরবর্তী অবস্থানে পা রাখবে।” সে যাই হোক, তা আজ ‘কতিপয়’ মানুষের কর্তৃত্ব বা পরামর্শ-নির্দেশনার ওপর নির্ভরশীল, যাদের দাওয়াতি কাজে অবদান থাকলেও ইলিয়াস র. নির্দেশিত তিন স্তরের কোনো স্তরে পড়বে, তা বিবেচনা করার দরকার। ভাবতে রোমাঞ্চবোধ করছি, অত্যন্ত সুবিস্তৃত এবং ক্রম-প্রসারমান যে দলটি পির-মাশায়েখ, আলেম-উলামা এবং বিজ্ঞ রাজনীতিকদের সম্মিলিত ও সমন্বিত পরামর্শের আলোকে চলবে, কী হওয়া উচিত এর গতি-প্রকৃতি, চাল-চলন ও নিয়মনীতি? তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের কাছে এর আবেদন ও প্রস্তাবনা-ই বা কী হতে পারে? চিঠি পড়তে গিয়ে আমার বারবার তাই মনে এলো। এখানে আরো নানা দিক থাকতে পারে। যেমন আবুল হাসান আলী নদভি (র.), যিনি এই পত্রাবলির সংকলক ও সম্পাদক, এর চুম্বক অংশ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন এই অংশটিকে: “বাস্তবিক কাজের সময়ে অ-দরকারি ও অপ্রয়োজনীয় কথামালার ছড়াছড়ি। এর পরিবর্তে কথা অনুসারে কাজ করাটা বেশি দরকারি।” পাঠকসমাজ তাহলে অনুসন্ধানে নেমে পড়–ন।



নিজামুদ্দিন, দিল্লি থেকে।



মুহতারাম মুকাররাম,

হাফেজ মাওলানা কারী মুহাম্মদ তায়্যেব সাহেব,



শ্রদ্ধাভাজনেষু,

... কোনো কাজই শেকড় ও ভিত্তি ছাড়া চলতে পারে না। এই সময়ে এই তাবলিগ এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে রূপ ধারণ করেছে এবং এর প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য, মৌলিক ও শাখাগত বিস্তার এতো বেশি ও অফুরন্ত যে, লিখা ও চিন্তার মাধ্যমে এর থই পাওয়া ভার। আমি তো শুরুতেই বলেছি, এই সকল কর্মকাণ্ড সর্বাবস্থায় একটি ভিত্তির ওপর ভর করেই চলছে। এই সকল কর্মকাণ্ডে প্রথম বারেই কোনো ব্যক্তিকে পরিচালিত করা অত্যন্ত কঠিন। তাই এই কাজ পরিচালনার জন্য আমার কাছে যা এখন দরকারি মনে হয়, তা হল: মাশায়েখে তরিকত (ইহসান ও সুলুকের অনুশীলনকারী), উলামায়ে শরিয়ত (শরিয়তের বিধিবিধান সম্পর্কে সম্যক অবহিত) এবং মাহিরিনে সিয়াসাত (সমকালীন ও সার্বিক রাজনীতি অভিজ্ঞ)-দের থেকে নির্বাচিত কতিপয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি পরামর্শ-পরিষদের অধীনে থাকাটা এর জন্য বিশেষ প্রয়োজন। অভিন্ন শৃঙ্খলার আওতায় প্রয়োজন-অনুসারে পরামর্শের আয়োজন নিয়মতান্ত্রিক আন্তরিক বিষয় হিসাবে পরিগণিত হবে। মাঠ-পর্যায়ের সকল কাজ এর অধীনেই পরিচালিত হবে। সুতরাং প্রথমেই দরকারি হল এমন একটি পরামর্শ-পর্ষদের গঠন সম্পন্ন করা। দ্বিতীয় হল, যা উম্মতে মুহাম্মদির পুরনো রোগের অন্তর্ভুক্ত, বাস্তবিক কাজের সময়ে অ-দরকারি ও অপ্রয়োজনীয় কথামালার ছড়াছড়ি। এর পরিবর্তে কথা অনুসারে কাজ করাটা বেশি দরকারি। সুতরাং যারা শুরুতেই তাবলিগে নিজের চেষ্টা নিয়োজিত করবে, এই কাজের উদ্দেশ্যে ঘরের বাইরে-আসা লোকদের সঙ্গেই সে জীবন অতিবাহিত করবে।



এই সময়ে মাওলানার সাহেবের আগমনে তাবলিগের সঙ্গে দিল্লিবাসীর দূরত্ব তৈরি না হয়ে ঘনিষ্টতাই বরং বাড়ল। কল্যাণময় কাজের সঙ্গে সম্পর্ক ও ঘনিষ্টতা বাড়ার এই শুভ সূচনা অবশ্যই ভাল। তাই মহোদয় যদি মুবাল্লিগিনকে মেওয়াত অঞ্চলে পাঠিয়ে দেন, অন্তত মৌলবি আবদুল জাব্বারকে পাঠিয়ে দেন, তাহলে দ্বিতীয় কাজের জন্য বেশ সহায়ক ও উপকারী হবে।...



দ্রষ্টব্য: বিন্দুগুলো ব্যবহার করা হল পত্রের ভাব অনুসারে। অন্যথায় মূল চিঠিতে এমন কোনো সংকেত ব্যবহার করা হয় নি। যে-সব পাঠকের কাছে ইলিয়াস র.-এর চিঠিপত্র সংকলন আছে, তারা মূলের সঙ্গে মিলিয়ে দিক নির্দেশনা দিতে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ইজতেমা বাংলাদেশের বাহিরে কোথায়ও হোক, এখানে মৌলবাদীরা মৌলবাদ ছড়ানোর সুযোগ নিচ্ছে!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

রওশন জমির বলেছেন:
মাথাব্যথার জন্য পুরো মাথা-ই কেটে ফেলবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.