নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধোঁয়াশা

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু।

রওশন জমির

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। পরমত-সহিষ্ণু, শালীন ও ধর্ম-পরায়ণ।

রওশন জমির › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলাম আজমের মৃত্যু এবং তারপর...

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫


গোলাম আজমের মৃত্যু হল বার্ধক্যজনিত কারণে। স্বাভাবিক বাঙালি জীবনের তুলনায় তার যাপিত-জীবন একটু দীর্ঘই হল বলা যায়। তবে তা একেবারে স্বাভাবিক মৃত্যু। তার এ মৃত্যুর পর পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনায় প্রত্যাশা-হতাশার একটি চিত্র চোখে পড়ে। এনিয়ে একটি বিতর্কের সৃষ্ট হয়। এর ব্যবচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যেই এ লেখা।

এদেশীয় ট্যাবু অনুসারে মৃত্যু-পরবর্তী সময়ে কারো সমালোচনা অশোভন। কিন্তু ইতিহাসের নিরিখে, পথচলার প্রয়োজনীয়তায় যখন তা অপরিহার্য় হয়ে পড়ে, তখন এ ছাড়া আর উপায় কী? হ্যাঁ, এ লেখায় যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ রক্ষার চেষ্টা থাকবে।

গোলাম আজমের মৃত্যুতে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলে একটা স্বস্তি নেমে আসবে, অপর পক্ষে জামাত-শিবিরে হতাশা। কারণ, সরকার ও এর সমর্থক গোষ্ঠীর মতে, এবং আদালতেও যা প্রমাণিত, তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী। তাই আদালতের রায়ে কারাবন্দি অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। এমনিতেই যে বয়সে উপনীত হয়েছিলেন, খুব বেশি দিন বাঁচার কথা নয়। তবুও তার মৃত্যুতে জামায়াত তার দীর্ঘদিনের নেতাকে হারাল বিধায় হতাশ হতে পারে এবং অপরাধীর যথাযথ শাস্তি হল বলে সরকার ও সমর্থক গোষ্ঠীর মনে তৃপ্তি দানা বাধতে পারে।
আদালতে তার অপরাধ গুরুতর প্রমাণিত হওয়ার পরও বয়স বিবেচনায় মৃত্যুদ- দেওয়া হয় নি। কিন্তু কারাবন্দি অবস্থায় তিনি যে-সব সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন, তা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ-শিবিরে শুরু থেকেই ক্ষোভ ছিল। মৃত্যুর পর তার লাশকে ঘিরে দেশে-বিদেশে জামায়াত ও এর সমর্থক গোষ্ঠী যে কর্মোদ্দীপনার প্রমাণ দিল, তাতে জামায়াত-শিবিরের সাহসের যেমন কেউ কেউ প্রশংসা করছেন, তেমনই তাদের বিরোধীদের মনে এনিয়ে জমাটবাধা কষ্টের কথাও ভুলবার নয়।

জামায়াত ছাড়া আর বাকি সবার বিশ্লেষণ হল, জামায়াতে ইসলামি একাত্তরে যে ভূমিকা পালন করে, তাতে এদেশীয় প্রধান হিসাবে গোলাম আজমসহ তার সকল অনুসারীদের এটা (সাজা) পাওনা ছিল। (আদালতে অবশ্য তাই প্রমাণিত হল।) কিন্তু একাত্তর-পরবর্তী সময়ে জাতীয় অস্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক টানাপোড়েনের কারণে এ সাজা-প্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটেছে মাত্র। একাত্তর-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবস্থান বিষয়ে জামায়াত যৌক্তিক আচরণ করলে, একাত্তরের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করলে এরূপ অবস্থা তৈরি নাও হতে পারত।

আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করার কারণে দুর্ভোগ বেড়ে যায় যৌক্তিকভাবেই। এ জন্য বিরোধীদের দায়ী করা হলেও জামায়াতের নিজের হঠকারী অবস্থান এর জন্য কম দায়ী নয়। হতে পারে ক্ষমা চাওয়ার পরও আদালতি বিচারে এর কোনো ব্যত্যয় হত না। কিন্তু ইতিহাসের কাছে তারা বিবেকী মানুষ হিসাবে পরিচিত হতো। আবার সাধারণ মানুষের মনে একটা দরদ তৈরি হত, যা বিচার-পরবর্তী সময়ে তাদের পার্টির ভবিষ্যত রচনায় সহায়ক হত।

সে যা-ই হোক, জামায়াতকে শেষ পর্যন্ত অপরাধী হিসাবে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল। এটাই হল ইতিহাসের অমোঘ নিয়মের ধারাবহিকতা। বাঙালি ও বাংলাদেশীদের ব্যর্থতায় আদালতে তাদের বিচার যদি সম্ভব না-ও হতো, ইতিহাস তাদের কখনো ক্ষমা করত না। কিন্তু জামায়াত ও এর নেতাদের বিচার হতে কেন এত সময় নিল বা মৃত্যুর পরও বিতর্কিত পার্টি-প্রধানের প্রতি মানুষের এত দরদ কেন বা দেশ-বিদেশে এত জানাযার প্রস্তুতি কেন, তার উত্তর খোঁজা যেতে পারে। আর তখনই প্রত্যাশা-হতাশার মূল কারণটুকু উদ্ঘাটিত হতে পারে।

জামায়াতের বা যুদ্ধাপরাধের বিচারের এত দীর্ঘসূত্রিতার জন্য আমাদের এদেশের রাজনৈতিক নেতারাই প্রধানত দায়ী। তারা যদি শুরুতেই এর সমাধানের ব্যবস্থা করতেন, তাহলে চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছর পর এই কাসুন্দি এভাবে ঘাটতে হত না। অনেকের ধারণা, যদি বঙ্গবন্ধুর সরকার ধারাবহিকভাবে দশ কি পনের বছর ক্ষমতায় থেকে যেতে পারত, তাহলে এর একটি সন্তোষজনক সমাধান চোখে পড়ত। তা আর হয় নি। নৃশংসভাবে তাকে সপরিবারে সরিয়ে দিয়ে নানা টাল-বাহানার মধ্য দিয়ে দেশ এগুতে থাকে। আর তাই এ-মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধের ইস্যুই রাজনীতির গুটি হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। এর সুযোগ নিয়ে জামায়াতও ঘুরে দাঁড়ানোর, শেকড় ছড়ানোর চেষ্টা করে। থেমে থেমে হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দৃঢ়করণের চেষ্টা যেমন সফল, তেমনই জামায়াতের শেকড় ছড়ানোর চেষ্টাও ব্যর্থ নয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন হওয়ায় বৃহত্তর জনতার সন্তোষ এবং একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে কিছু মানুষের উপস্থিতি তাই প্রমাণ করে।

শেষ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের বিচার হলেও বিচারপ্রার্থীদের অনেক প্রত্যাশাই পূরণ হয় নি। এ প্রসঙ্গে অনেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধের বিচারের নানা উদাহরণ টেনে আনেন। তারা তা চাইতেই পারেন। এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত, সেটা ছিল বৈশ্বিক পর্যায়ের একটি বিচার। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো ছিল এ বিচারের পক্ষে এবং বিশেষভাবে সচেষ্ট। অন্যদিকে আমাদের ক্ষুদ্র এই দেশ এককভাবে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে এগুতে চাইলেও এর জন্য দেশীয় ষড়যন্ত্র ও আন্তর্জাতিক নানা শক্তির বিরোধিতার মুখোমুখি হয়। অবশেষে এখন তা একটি উপসংহারের পথে। আন্তর্জাতিকতার তুলনা না টেনে দেশীয় অবস্থান থেকে যতটুকু হল বা হচ্ছে, তাও বা কম কীসে?
অন্যদিকে, ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধের ক্ষত শোকানোর জন্য আন্তর্জাতিক শক্তিসংঘ যে-সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তা যে সফলতা লাভ করে এবং জনতার সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করার দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরও সেই সব সফলতা অর্জিত হয় নি, যা ছিল জনগণের একান্ত প্রত্যাশিত। সুশাসন, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, সুষম রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যকার নানা বিষয় এখনো উপেক্ষিত। এই সব কাক্সিক্ষত-প্রত্যাশিত বিষয়ের অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা-বিরোধীরা বঞ্চিত সমাজের মাঝে হতাশা তৈরি করার চেষ্টা করে, একাত্তরকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এদের সফলতা তিক্ত হলেও স্বীকার্য।

অন্যদিকে, ইউরোপে বা বিশ্বযুদ্ধে ধর্ম নিয়ে কোনো টানাটানি হয় নি। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির অবস্থান এতটাই পাকাপোক্ত যে, মানুষ এখন নিরাশ হয়েও ধর্মের কাছে আশ্রয় নেয় না। ধর্মের নামে কোনো পার্টিও তেমন কার্যকর নয়। কিন্তু আমাদের দেশে, এই প্রাচ্যে ধর্মের উপযোগিতা এখনো পূর্বের মতোই সমান। কিন্তু ধর্ম যেন সুবিধাবাদী গোষ্ঠী বা সমাজের অস্ত্র না হতে পারে- এজন্য ধর্মনিরপেক্ষ দল ও সমাজের কোনো চেষ্টা এ যাবৎ পরিলক্ষিত হয় নি। স্বাধীনতার পর এই দীর্ঘ সময়ে মানব-কল্যাণে ধর্মীয় শিক্ষা ও গবেষণায় যেমন সরকার ও বুদ্ধিজীবীদের কোনো দায় নেই, তেমনই অবদানও নেই। আর তাই বিভিন্ন পার্টি, বিশেষত ধর্মীয় পার্টি নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ধর্মের বাণীকে ব্যবহারের অবকাশ পায়।

অস্বীকার করার জো নেই যে, প্রাচ্যের শিক্ষা ও রুচির মান এখনো ঊর্ধ্বগামী হতে পারে নি। উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ করেও আমাদের দেশের সার্টিফিকেটধারীরা প্রথার নিগড় থেকে মুক্ত হতে পারে না। তাই অতীত থেকে চলে আসা ধর্মের নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রতি তারা যুক্তি-তর্কহীনভাবে সমর্পিত। ধর্মের সকল ব্যাখ্যা ও বিষয়-আশয় মোল্লা-মৌলবি বা ধর্মীয় নেতাদের হাতে দিয়েই স্বস্তি বোধ করতে থাকে। সীমিত চিন্তার শক্তি নিয়ে প্রথাগত মোল্লা-মৌলবি ও ধর্মীয় নেতারা মানব-মুক্তির উদ্দেশ্যে নয়, নিজের স্বার্থ, দলের স্বার্থ উদ্ধারেই ব্যস্ত থাকে।

যতদূর জানা যায়, গোলাম আজম পাকিস্তানের সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদির একজন বিশেষ ভক্ত, বলা যায় অন্ধ ভক্ত। মওদুদির পরশ পেয়েই তিনি ধন্য। মওদুদির গড়া দল না পেলে তার পক্ষে নতুন কোনো দল গঠন করা সম্ভব হত না। তাই দেখা যায়, অন্ধভাবে তিনি মওদুদির অনুসরণ করেছেন। অথচ মওদুদির পাশে, জামায়াতে ইসলামির ছায়ায় আরো অনেক লোকের সমাগম হয়েছিল। তাদের অনেকে যেমন বড় বড় মাওলানা, আবার কেউ কেউ ছিলেন সাধারণ শিক্ষা-ব্যবস্থার লোক। কিন্তু এদের অনেকেই সচেতন ও মেধাবী। মওদুদির মতো সৃজনক্ষম না হলেও ধর্মীয় গ-ির মাঝেই তাদের দৃষ্টিভঙ্গি মোটামুটি যুক্তিপ্রবণ এবং সত্যসন্ধানী। তাদের নিজেদের স্বকীয়তা ও ব্যক্তিত্ব মওদুদির আলোয় ম্লান হবার নয়। তাই মওদুদির বিরুদ্ধে, পার্টির নানা কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে সমাধান না পেয়ে তারা বের হয়ে আসেন। কিন্তু গোলাম আজম নানা ঘাটে ঘুরে ফিরে মওদুদির এখানে নোঙর করেন। তিনি এর পুরস্কারও পান। একাত্তরে নানা আচরণের মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি করেও মওদুদির কাছ থেকে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের ‘জামায়াতে ইসলামী’-এর আমিরের পদ লাভ করেন! আমৃত্যু এঘাটেই থাকেন।

তিনি যেমন মওদুদির বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেন নি, সাহস পান নি। তেমনই তার চারপাশে যে-সব মানুষের সমাগম ঘটেছে, তাদের মনেও গোলাম আজম সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন জাগে নি: ধর্মীয়ভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও নয়। অন্ধ ভক্তদের মনে কোনো প্রশ্ন জাগে না। এই অন্ধ ভক্তরা জ্ঞান ও শিক্ষার দিক থেকে কোন পর্যায়ে আছে, এ নিয়ে নেতার মনে যেমন প্রশ্ন জাগে না, তেমনই নেতার অবস্থান-যোগ্যতা ও বিবেক নিয়েও তাদের মনে কোনো প্রশ্নও জাগে না। প্রশ্নহীন মানুষের ভক্তি-অনুরাগ নিয়ে যাদের তৃপ্তি থাকতে পারে, থাকুক। কিন্তু বিদ্যা-বুদ্ধি ও বিবেকের প্রতি যাদের আস্থা আছে, এ নিয়ে তাদের মনে দ্বিধা তৈরি হওয়া এক ধরনের হতাশা। তাদের মনে বরং প্রশ্ন আসতে পারত যে, কেন দেশ এতটা এগুয় নি, যার পরিণামে সাধারণ মানুষজন এই সীমিত বুদ্ধির নেতাদের পেছনে দৌড়াবে না?

বাইরের বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি পত্রিকার কলামে দেখলাম, তাকে সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। এনিয়ে কমেন্টেসের জায়গায় জামায়াত-শিবিরের উচ্ছ্বাসভরা উপস্থিতি যেমন চোখে পড়ে, তেমন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দ্রোহী জবাবও নজর কাড়ার মতো। এব্যাপারে একটি কথা বলা দরকার। তা হল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যে তরুণের হঠকারী আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়, মানব-সমাজের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়, তারও কিন্তু ভক্তবৃন্দ আছে। সম্প্রতি তার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের ঘটনাও ঘটেছে। আবার একজন পরিচিত দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিক জীবনে সদাচারী হয়েও লক্ষ্য-অর্জনে নৃশংস হতে পারে। এর প্রমাণ তো আমাদের চারপাশে ভুরি ভুরি আছে। তাই একাত্তরে রাষ্ট্রিক পর্যায়ে নৃশংস হয়েও ব্যক্তিক জীবনে তিনি ভয়ঙ্কর না-ও হতে পারেন। তার ব্যক্তিক সদাচারের পুরস্কার যেমন মৃত্যু-পরবর্তী জনমানুষের ভক্তির পরাকাষ্টা, তেমনই আদালত কর্তৃক ঘোষিত তার শাস্তিও জনসমক্ষে কৃত অপরাধের পরিণতি।

আজ সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়েও যে-সব তরুণ বিবেকের তাড়নায় গোলাম আজমের জানাযার সামনেও প্রতিবাদী অহং নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ। তাদের কারণেই এত বছর পর ইতিহাসের একটি পর্বে পূর্ণতার পথ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি না হয়, সাধারণ মানুষের মুক্তির আলো চোখে না পড়ে, যদি অ-শিক্ষা ও কু-শিক্ষার অন্ধকার দূর না হয়, তাহলে এই অন্ধকারের পথ বেয়েই একাত্তরের পরাজিত ভূত আবারও মূর্তিমান হতে পারে। আমাদের চেষ্টাকে, আত্মদানতে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফায়েদা লোটার চেষ্টা করতে পারে। সেই সচেতনতা কি আমাদের আছে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

আমিনুর রহমান বলেছেন:




অনেকদিন পর আসলেন !

চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.