নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক

আমি নষ্ট করেছি সময়, এখন সময় নষ্ট করছে আমায়

ফিলিংস

মানুষ কে ঘৃনা করার অপরাধে অতীতে কাউকে কখনো মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু মানুষ কে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে !!

ফিলিংস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে এখনই

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮



মাত্র ৪৫৫ জন বাঙালি খুন করবার কারণে মৃত্যুদন্ড না দিয়ে শুধু যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে আবদুল কাদের মোল্লাকে। মুনতাসির মামুন প্রশ্ন করেছেন, ‘আরো কতজন হত্যা করলে মৃত্যুদন্ড দেয়া যেত?’ আমার প্রশ্ন হলো নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের তাহলে কেন খামোখা মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো? এমন কি নারী নাৎসীদেরও রেহাই দেয়া হয় নি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফরাসীরা অন্তত ৫০০ নাৎসী যুদ্ধাপরাধীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল, যার মধ্যে অন্তত একুশ জন ছিল নারী যুদ্ধাপরাধী।



যেই নুরেমবার্গ বিচারের কথা আমরা শুনি, সেখানে বিচার হয়েছিল একুশ জন শীর্ষ নাৎসি যুদ্ধাপরাধীর। তাদের মধ্যে ১৯৪৬ সলের ১লা অক্টোবর এগারো জনের ফাঁসির হুকুম হয়েছিল।



আবদুল কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুর এলাকায় রাজত্ব করতেন। আমার মেজ বোন সেলিনা পারভীনকে যারা অপহরণ করে, তারা ছিল ওই এলাকার আল-বদর বাহিনী। প্রমাণ আছে যে মেজবুবুসহ আরো অনেক বুদ্ধিজীবীকে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে বন্দি করে নির্যাতন করা হয়। পরে তাঁদের রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে নিয়ে ক্রমাগত নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।



এসব হত্যাকান্ডের সঙ্গে কি কাদের মোল্লা জড়িত ছিলনা? ৪৫৫ জন লোক যে ব্যক্তি হত্যা করে তার জন্য সংখ্যা যত বেশি হবে তত বেশি তার আনন্দ। ধর্ষণের বিষয় একই কথা প্রযোজ্য। এখানে প্রমাণ করবার আর কি বাকি থাকে?



আমার মতে, বাংলাদেশকে যদি বর্তমানে পাকিস্তানে রুপান্তরিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে হয় তাহলে জামায়াতের সব শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড হতে হবে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে এখনি। গৃহযুদ্ধের হুমকি দিছে তারা। এটা তো খুবই ভালো কথা। গৃহযুদ্ধ হলে আমি জানি বাংলাদেশ অভিশাপ মুক্ত হবে। না হলেও ক্ষতি নেই। আমরা হেরে যাব। তারা পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানিয়ে এদেশে বাকি জীবন ওইসব নিয়ে থাকবে। তালেবানরা যা নিয়ে থাকে।



কিন্তু এখন যা চলছে তা আর চলতে দেয়া যায় না। একই রাষ্ট্রের ভেতরে দুটি পরস্পর বিরোধী রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকতে পারেনা। জামায়াত ছিল মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ বিরোধী। আজও তারা সেই পাপ স্বীকার করে ক্ষমা চায় নাই। যুদ্ধাপরাধীদের যারা সমর্থন করে তারাও একই পক্ষ। পাকিস্তানের পক্ষ। বাংলাদেশ ১৯৭১ সনে পাকিস্তান থেকে চূড়ান্ত ভাবে আলাদা হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের ভেতরে একপক্ষ রাজনৈতিক ও আদর্শিক চিন্তায় পাকিস্তান চায়, অন্যপক্ষ নির্ভেজাল বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশ ভাগ হয়ে আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।



পাকিস্তান পক্ষ যদি গৃহযুদ্ধ চায়, তবে সেটা হতে দেওয়া উচিত, কারণ পাকিস্তান পক্ষ দেশের মানুষের একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ। মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্রের টাকা ও অস্ত্রের জোরে তারা আমাদের ভয় দেখায়। হয়ত বিচারকরাও ভয় পেয়েছেন। কিন্তু, সংখায় আমরা অগণন। গৃহযুদ্ধ হলে আমাদেরই সুবিধা। চল্লিশ বছর অপেক্ষা করেছি সুবিচারের জন্য। আজ যদি তা না পাই, তবে আমি গৃহযুদ্ধই চাই।



শেলী শাহাবুদ্দিন: প্রবীণ চিকিৎসাবিদ। বর্তমানে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের কারা স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত। ইমেইল: [email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.