![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ কে ঘৃনা করার অপরাধে অতীতে কাউকে কখনো মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু মানুষ কে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে !!
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এবার একদল ভারতীয় প্রমাণ করল রাষ্ট্রীয় সীমান্তের দেয়াল বড় কথা নয়। বড় কথা হলো মানুষের প্রাণ বাঁচাতে মানুষের চেষ্টা করা। সম্প্রতি একদল ভারতীয় চিকিৎসক তাদের সেবা প্রদান করে এবং একজন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক নিজের হৃৎপি- দিয়ে এক পাকিস্তানীর জীবন বাঁচিয়ে এই মনুষ্যত্বেরই প্রমাণ দিলেন। পাকিস্তানের গুজরাট জেলার খারিয়ান তহশিল এলাকার বাসিন্দা মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের আজমী। হার্টের মারাত্মক জটিলতা নিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের ফোর্টিস মালর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষায় দেখা যায়, তার দুটি হার্টই অকেজো হয়ে পড়েছে। শ্বাসকষ্ট, হেপাটাইটিস “সি” কিডনি সমস্যা এবং ফুসফুস ও তলপেটে পানি জমে গেছে তার। এমতাবস্থায় চিকিৎসকরা দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মাওলানা জুবায়ের আজমীর পরিবারকে জানান, হৃৎপি- সংযোজন ছাড়া তাকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়। এভাবে দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকেন আজমী। এরপর এক ভারতীয় নাগরিক তার হৃৎপি- দান করেন এই পাকিস্তানী মাওলানাকে। এখানেই সমস্যার শেষ নয়। উভয়ের রক্তের গ্রুপ ভিন্ন থাকায় হৃৎপি-টি মাওলানা জুবায়ের আজমীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে তামিলনাড়ুর একটি অর্গান শেয়ারিং নেটওয়ার্ক ভিন্ন উপায়ে এই হৃৎপি-টি ৪০ বছর বয়সী এই পাকিস্তানীর শরীরে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে। তারপর চেন্নাইয়ের ফোর্টিস মালার হাসপাতালের সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর এ্যাডভান্সড কার্ডিয়াক কেয়ারের একদল বিশেষজ্ঞ মাওলানা জুবায়ের আজমীর শরীরে হৃৎপি-টি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হন। এ অস্ত্রোপচার অভিযানের নেতৃত্ব দেন হাসপাতালটির কার্ডিয়াক সায়েন্সেস বিভাগের প্রধান ডা. কে আর বালকৃষ্ণ। এ বিষয়ে এশিয়াটিক পাবলিক রিলেশন্স একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে। তাতে বলা হয় রাষ্ট্রীয় সীমানার বাইরের জীবন বাঁচাতে ওই বিশ্লেষজ্ঞরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফোর্টিস মালার হাসপাতালের একদল চিকিৎসক জটিল হৃৎপি- প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এক পাকিস্তানীর জীবন রক্ষা করে এই প্রতিশ্রুতির যথার্থতা প্রমাণ করলেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রধান ডা. সুরেশ রাও বলেন, আর মাত্র দুই দিন পর মাওলানা জুবায়ের আজমীর শরীরে হৃৎপি- প্রতিস্থাপন করা হলে তাকে আর বাঁচানো যেত না।
এদিকে, সফল অপারেশনের পর সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের আজমী।
তিনি বলেন, যিনি আমাকে হৃৎপি- দান করেছেন শুধু তার দয়ায় আমি নতুন জীবন ফিরে পেলাম। আমি ওই দাতার প্রতি কৃতজ্ঞ। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন অনলাইনের।
©somewhere in net ltd.