নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক

আমি নষ্ট করেছি সময়, এখন সময় নষ্ট করছে আমায়

ফিলিংস

মানুষ কে ঘৃনা করার অপরাধে অতীতে কাউকে কখনো মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু মানুষ কে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে !!

ফিলিংস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ক্রিকেটের হারিয়ে যাওয়া প্রতিভ...।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে যখন বাঁ হাতি পেসার চরম অকাল, তখনই জাতীয় দলে ঢুকেন সৈয়দ রাসেল। ২০০৫ সালে অভিষেক হওয়ার পর ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ওয়ানডেতেও একই বছর অভিষেক হয় তার। এরপর ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট ৫২ টি ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সি পড়েছেন তিনি।



জেমি সিডন্স কোচ থাকাকালীন সময়ে হঠাৎ বাদ দেওয়া হয় সৈয়দ রাসেলকে। তারপর আর দলে ডাক পাননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘দুর্লভ’ এই বাঁ হাতি পেসার। দলে তো ডাক পানইনি, পাইপলাইনেও এখন আর নেই তিনি। রাসেলের এখন সময় কাটে নিজের কাপড়ের দোকানে বিক্রি-বাট্টায় ব্যস্ত থেকে! ছয় ফুট উচ্চতার এই পেসারের ভাগ্যলিপি এতোটাই নির্মম।



সুইংয়ে অসাধারণ দক্ষ এই পেসার এক সময় ছিলেন দলের অপরিহার্য অংশ। বর্তমানে ফুল টাইম কাপড়ের দোকানদারি করে কাটছে তার সময়। পেস আর সুইংয়ের বদলে রাসেলের জগত এখন কাস্টমার ও দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে সীমিত!



ছয় বছরে ৫২টি ওয়ানডে খেলে মোট ৬১টি উইকেট দখল করেছিলেন রাসেল। রান কম দেওয়া এবং ইনিংসের শুরুতে ব্রেকথ্রো এনে দেওয়ার দারুন ক্ষমতা ছিলো তার। সময়ের অন্য যেকোনো বোলারের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার সাথে অভিষেক ম্যাচেই ১০ ওভারে ৪২ রান দু’টি উইকেট নিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন রাসেল।



বগুড়ায় শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন এই বাঁ হাতি পেসার। ১০ ওভার মাত্র ২৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন দু’টি উইকেট। এর মধ্যে দু’টি মেডেন ওভারও নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছিলেন রাসেল। ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তেমন রান করতে পারেনি ভারত। এতে রাসেলের অবদানই ছিলো সবচেয়ে বেশি। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭’র বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর ম্যাচেও রাসেল দারুণ অবদান রেখেছিলেন। ওই ম্যাচে ১০ ওভার ৪১ রান দিয়ে তিনি নিয়েছিলেন দু’টি উইকেট।



সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলার মতো সামর্থ্য ছিলো রাসেলের। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে সেই তিনি-ই এখন কাপড়ের দোকানে বসে সময় কাটাচ্ছেন। রাসেলের এ পরিণতি জাতীয় নির্বাচকদেরও কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুর যুগের অনেক প্রতিভার মতো রাসেলকেও হয়তো হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের অন্ধকারে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.