![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ কে ঘৃনা করার অপরাধে অতীতে কাউকে কখনো মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু মানুষ কে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে !!
বিএনপির রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে? গত মহাজোট সরকারের শেষ দু’বছরে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আঠারো দলের ব্যানারে বিএনপি সরকার পতনের যে আন্দোলন করেছে তার পরিণতিই বা কী? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনর্বার সরকার গঠনের প্রেক্ষিতে আবারও আন্দোলনে নামার আগে বিএনপির উচিত তাদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সার্বিক মূল্যায়ন করা।
ইতিমধ্যে পত্র-পত্রিকা, টক শো আর মানুষের আলোচনায় এই সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তবে, কেবল সাম্প্রতিক রাজনীতিই নয়, বিএনপির এই মূল্যায়নটা শুরু হওয়া উচিত ২০০৬ সাল থেকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৭ সালের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে বিচারপতি কে এম হাসানের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া নিশ্চিত করার পদক্ষেপটি যথার্থ ছিল না। বিএনপির এই চাতুর্য আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন বিরোধী দলগুলোকে তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচনে কারচুপি করার অপচেষ্টাগুলো বিএনপির জন্য ব্যুমেরাং হয়ে গেছে। অথচ ২০০৭ সালের নির্বাচনটি যদি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হত, তাহলে দেশে ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন সরকারের আগমন ঘটত না। সেই নির্বাচনে বিএনপি যদি পরাজিতও হত, তাহলে হয়ত তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হত না। তারেকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি-লুটপাটের কাহিনীকে বিরোধীদলের অপপ্রচার বলে চালিয়ে দিতে পারত বিএনপি। আর দলীয় নেতাকর্মী এবং আমজনতার একাংশ তা বিশ্বাসও করত।
অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! ওয়ান ইলেভেন সরকার এসে শুধু তারেক রহমানকে গ্রেফতারই করেছে তাই নয়, তার সমস্ত কুকর্ম-দুর্নীতি-লুটপাটের চিত্র উদঘাটন করেছে। যার ফলশ্রুতিতে ‘আর রাজনীতি নয়’ ধরনের মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল তারেক।
বিগত মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে। এই বিচারের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বলে দাবিদার জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপির ভূমিকা স্পষ্ট ছিল না। বরং তারা ‘আন্তর্জাতিক মানের বিচার চাই’ জাতীয় কথাবার্তা বলে চলমান বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের রক্ষায় সচেষ্ট ছিল। দেশের মানুষের একটা বিরাট অংশ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিএনপির এই ভূমিকাকে পছন্দ করেনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বিগত মহাজোট সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যর্থতাও ছিল। অথচ সরকারের সেইসব ব্যর্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি সরকারবিরোধী তেমন কোন কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। বরং বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলন গড়তে গিয়ে হালে পানি পায়নি।
বিএনপির আমলে নির্বাচনে কারচুপির সুস্পষ্ট প্রমাণ ছিল, মাগুরার নির্বাচনের কথা এখনো মানুষের মুখে মুখে। যে কারণে আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মানুষের সমর্থন মিলেছিল। পক্ষান্তরে,আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপি হবে এটি বিশ্বাস করাটা ছিল অনেকটা ‘চিলে কান নিয়েছে শুনে কানের দিকে না তাকিয়ে চিলের পেছনে ছোটার মতই’।
বর্তমানের অবাধ তথ্য প্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যুগে নির্বাচনে কারচুপি করে কারো পক্ষে যে পার পাওয়া সম্ভব না, এই সহজ সত্যটা বিএনপির মত দলের পক্ষে অনুধাবন করতে না পারাটা ছিল দুঃখজনক। বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের পক্ষে আরো বিভ্রান্ত করেছিল প্রথম আলোর এ সংক্রান্ত এক জরীপ। প্রথম আলোর সারা দেশব্যাপী তথাকথিত জরীপে বলা হয়েছিল, দেশের নব্বই শতাংশ মানুষ না কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন চায়।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে প্রথম আলোর ব্যানারে পরিচালিত এই জরীপটি পদ্ধতিগতভাবে খুবই নিম্নমানের ছিল। আমি আশা করেছিলাম, দেশের গবেষক সমাজের পক্ষ থেকে কেউ না কেউ দেশবাসীর সামনে এই জরীপটির অসারতা তুলে ধরবেন। কিন্তু এই জরীপের পদ্ধতিগত দুর্বলতা নিয়ে হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়া আর তেমন কারো কোন গঠনমূলক মন্তব্য চোখে পড়েনি। যেহেতু জয় প্রধানমন্ত্রীর সন্তান এবং আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত, সেহেতু তার এ সংক্রান্ত বক্তব্যকে অনেকে ততটা গুরুত্ব দেয়নি। অথচ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এমন একটি দুর্বল জরীপের ফলকে শুধু গুরুত্বই দেননি, প্রায়ই তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেছেন। এ কথা জলের মত সহজ, যে দাবিটির পক্ষে নব্বই শতাংশ মানুষের সমর্থন থাকে, তার স্বপক্ষে গণঅভ্যুত্থান ঘটে যাওয়া তো অসম্ভব নয়। অথচ বিএনপির ব্যর্থ আন্দোলনের ফলাফল তো আজ সবার কাছেই দৃশ্যমান!
রাজনীতিতে বিএনপির প্রধান মিত্র জামায়াতের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ও বিএনপির কাঁধে বর্তেছে। একদিকে যেমন আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গা ঢাকা দিয়ে নেতাকর্মীদের হতাশার সাগরে ভাসিয়েছেন, অন্যদিকে আন্দোলনের জন্য জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের উপর তারা অতিমাত্রায় নির্ভর করেছেন। আন্দোলনের ভাষাও ছিল অগণতান্ত্রিক, সহিংসতায় পরিপূর্ণ। জামায়াত-শিবির-বিএনপির আন্দোলন মানেই ছিল ককটেল আর গান পাউডারের আগুনে মানুষ পুড়িয়ে মারা। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম আমাদের বারবার একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের প্রতিক্রিয়াতেও জামায়াত-শিবির যে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছে সাধারণ মানুষকে তা ক্ষুব্ধ করেছে।
আন্দোলন মানেই পুলিশের নির্যাতন-সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা- চিরাচরিত এই দৃশ্যও এবার ছিল সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। বরং লুকিয়ে থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিৃবতি প্রদান করে বিএনপি নেতৃত্ব হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের লাদেনের অনুসারী বলা হয়েছে। এদিকে আকাশে-বাতাসে অনেক কিছুই উড়ে বেড়ায়। সরকারের সাথে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আঁতাতের অভিযোগও উঠেছে। সব মিলিয়ে আন্দোলনের নামে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে বিএনপি।
পাশাপাশি সরকারে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও হাওয়া ভবনের মত বর্তমানেও বিএনপির দুইটি কেন্দ্র বিদ্যমান। একটি গুলশানে, আরেকটি লন্ডনে। ভিডিও-বার্তা, টেলিফোন আলাপ ও প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তারেক রহমানের পরামর্শগুলো ছিল অপরিণত এবং মাঠের পরিস্থিতি অনুযায়ী যথার্থ ছিল না। লন্ডনে বসে তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি টেলিফোন সংলাপে বলেছেন- কোন আলোচনা নয়, আন্দোলন চলবে। অথচ তখন আমরা নেপথ্যের অনেক আলোচনার কথা শুনছিলাম। তার এহেন মনোভাবের কারণে কি না জানি না, নেপথ্যের আলোচনার কোন সফল পরিণতি আমরা দেখলাম না। বরং তিনি যে আন্দোলনের কথা বললেন, তার ফলে আমরা আরো বেশী সন্ত্রাস আর আগুনে পোড়া লাশ দেখলাম। তিনি কি বুঝতে পারেননি, দেশে আন্দোলনের নামে তাদের দল ও জোট যা করছিল আন্দোলনের নামে তা ছিল আসলে সন্ত্রাস? নির্বাচনের ঠিক আগে তিনি ভিডিওতে বাণী পাঠালেন যার পরিণতিতে ভোটকেন্দ্র তথা পাঁচ শতাধিক স্কুল পুড়ে ছাই হল। এমনিতেই লাগাতার আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও-হত্যায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা জীবন ক্ষতিগ্রস্থ, তার উপর আবার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জায়গাটুকুও পুড়িয়ে দেওয়া হল।
নির্বাচনের পরে লন্ডনে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন, বর্তমানের অবৈধ সরকারের সাথে কোন আলোচনা নয়, আন্দোলন চলবে। কিন্তু ততক্ষণে আঠারো দলের মোহভঙ্গ ঘটেছে। তারা আন্দোলন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথ খুঁজছে বিএনপি।
নির্বাচনের পরে জামায়াত-বিএনপির ক্যাডাররা দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, সম্পত্তি লুটপাট করেছে। তারা সম্ভবত ২০০১ সালের সাথে ২০১৪’র পার্থক্যটা উপলব্ধি করতে ভুলে গিয়েছিল। এখন সারাদেশ জুড়ে হিন্দুদের উপর জামায়াত-বিএনপির এহেন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আগের মত আর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা নয়, বরং সন্ত্রাসীদের বিরূদ্ধে শুরু হয়েছে আইনি পদক্ষেপ। সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই ঘটনাও ছিল বিএনপির জন্য আরেকটি ভুল।
তবে বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ছিল এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা। বিগত দিনে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যাপকভাবে উজ্জীবিত হয়েছিল। অনেকেরই ধারণা ছিল, এবারের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে জয়লাভের প্রবল সম্ভাবনা ছিল। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিতও হত, তাহলেও তাদের অর্জন কম হত না।নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তাই বিএনপি ঐতিহাসিক ভুল করেছে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার কম হয়েছে বলে বিএনপি হয়ত এক ধরনের স্বান্তনা খুঁজতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হল খেলায় ওয়াক ওভার দেবার পরে গ্যালারিতে দর্শক ছিল না কি ছিল না সে প্রশ্ন অবান্তর। তাছাড়া, সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অনেক স্থানে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারীর কয়েকটি আসনের নির্বাচনের দিন যেহেতু জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী কোন কর্মসূচি ছিল না, ভোটারদেও উপস্থিতি ছিল তাই সন্তোষজনক। সুতরাং, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না দেশের নব্বই শতাংশ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট বর্জন করেছেন।
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন খড়কুটোর মত কূটনৈতিক মহলের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু সেখানেও সাফল্য নিশ্চিত নয়। বিএনপির সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন আছে। জামায়াতের বিরূদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ইতিমধ্যে প্রমাণিত, তাদের সাম্প্রতিক সহিংসতাও সব মহলে নিন্দিত। সুতরাং বর্তমান অবস্থায় বিএনপি বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের ব্যাপক সমর্থন পাবে, এটা ভাবাটা অবান্তর। বরং বর্তমানের নবনির্বাচিত সরকারের প্রতি অন্যান্য দেশের অভিনন্দনের তালিকাটা দীর্ঘ হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ বলে খ্যাত তারেক রহমানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও জাতীয়-আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন আছে। এখন তাই আন্দোলনের নামে আর সহিংসতা নয়, বরং বিএনপির উচিত হবে আত্মসমালোচনা করা, বিগত দিনের আন্দোলনের ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা। যুদ্ধাপরাধীপুষ্ট সন্ত্রাসী দল জামায়াতকে ত্যাগ করারও এখনি শ্রেষ্ঠ সময়। রাজনীতিতে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরী, নইলে দলকে অনেক সময় অনেক বড় মাশুল দিতে হয়। এক সময়ের বড় রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম লীগকে এখন বাংলাদেশে হ্যারিকেন দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না। সত্তরের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ভুল সিদ্ধান্তের পরিণতিতে মাওলানা ভাসানীর দল ন্যাপকে এখন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হয়। এখনো সময় আছে, বিএনপি তার সাম্প্রতিক ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিক। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ত্যাগ করে বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসুক। বিএনপির রাজনীতি গণমানুষের স্বার্থে পরিচালিত হোক। দেশের রাজনীতির বৃহত্তর স্বার্থেই বিএনপির এই শুদ্ধিকরণ জরুরী। কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে বিএনপির যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনটাও সেরে ফেলতে হবে। অন্যথায়, বিএনপির মত বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ডঃ আবুল হাসনাৎ মিল্টন
©somewhere in net ltd.