নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিশাদ আহমেদ

রিশাদ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খামোশ বাংলাদেশ: ড্: কামালের খামোশের রাজনীতি

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫

বাঙালীর জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা সংগ্রামে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের পাশাপাশি এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা খুবই সক্রিয় ও মূল্যবান অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীর চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোসর জামায়াত-আলবদর-আলশামস-ইসলামী ছাত্রসংঘ নিজেদের পরাজয়ের প্রতিশোধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বশূন্য করার হীন লক্ষ্যে বেছে-বেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের এ দেশের সেরা মেধাবী সন্তানদের নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা , যাদের হারিয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনালগ্ন থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিজয়ের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। একই সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করছে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের স্বজনদের প্রতি, যারা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বয়ে চলেছেন আপনজনকে নির্মমভাবে হারানোর বেদনা ও কষ্ট। এই হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দালালরা চেয়েছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাতে এদেশে যথাযথভাবে বিকশিত না হয়। যুদ্ধের শুরু থেকেই হানাদার বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞের সূচনা করেছিল, একেবারে শেষদিকে এসে পরাজয়ের আগ মুহূর্তে তা রূপ নেয় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে হানাদাররা তাদের এদেশীয় দোসর আলবদর, আলশামস ও রাজাকারদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের। পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এদেশের কিছু কুলাঙ্গারই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে তুলে দিয়েছে পাকিস্তানী ঘাতক বাহিনীর হাতে, কোন কোন ক্ষেত্রে নিজেরাই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে। এত কিছুর পরও ’৭১-এর ঘাতক-খুনী চক্র বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দিতে পারেনি। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, সেসব বিশ্বাসঘাতক নরাধমের অনেকেই পঁচাত্তরপরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজে পুনর্বাসিত হয়েছে, কেউ কেউ মন্ত্রী হয়ে গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে।
জেনারেল জিয়া-এরশাদ সামরিক জান্তা, বিএনপি ও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে নানা আনুকূল্য ও কৌশলের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও মানবতাবিরোধী এ অপশক্তি বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অপচেষ্টা করেছে। এখনও সে অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মহামান্য আদালত কর্তৃক জামায়াত ইসলামীকে মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষে এর অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পরও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা ছেড়ে ধানের শীষ এবং পরোক্ষভাবে ড. কামাল হোসেনের বৃহত্তর ঐক্যের ছায়াতলে আজ তারা আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এরা স্বাধীনতার শত্রু, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু, প্রগতির শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, উন্নয়নের শত্রু। এরা খুবই নিষ্ঠুর, প্রতিশোধ পরায়ন ও ফ্যাসিবাদী। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী, মানুষ হত্যাকারী, নারী ধর্ষণকারী চিহ্নিত এই গোষ্ঠীর নির্বাচন তো দূরের কথা, সাধারণ রাজনীতি চর্চারও অধিকার থাকার কথা না, থাকতে পারে না।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচারের দাবিটি স্বাধীনতার পর পরই ওঠে। বিচারকাজও চলছিল। কিন্তু ’৭৫ পরবর্তী শাসকরা বিচার দূরে থাক, খুনীদের প্রতিষ্ঠিত করেছে সর্বত্র। শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরই বিচারকাজ শুরু করেন নির্বাচনী ওয়াদাকে সামনে রেখে। একাত্তরে যারা হত্যাযজ্ঞ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে জড়িত ছিল তাদের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সমাপ্তির পথে। ইতোমধ্যে কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ, নিজামী, মীর কাশেম আলীর মতো ঘাতকদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আরও অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছে।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ড একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ঘৃণ্যতম। সবাই মনে করে এসব হত্যাযজ্ঞে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার মধ্যেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন সম্ভব। এসব ঘাতকের চূড়ান্ত বিচারের মাধ্যমেই জাতি দায়মুক্ত হতে পারে।
আমরা যারা স্বাধিনতার অনেক পরে জন্মেছি তাদের কেউ যুদ্বাপরাধ বা স্বাধিনতার সময় যুদ্বাপরাি ধদের ভূমিকা নিয়ে প্্রত্যক্ষভাবে অবগত নই। আমরা যা জেনেছি তা আমাদেও বাবা-মা,আতœীয় ম্বজন বা মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাসভি্িওক বই বা পএ পএিকা থেকে। এত কিছুর পরও ’৭১-এর ঘাতক-খুনী চক্র বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দিতে পারেনি। বাংলাদেশ শুধু উঠে দাঁড়ায়নি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের এক বিস্ময়, রোল মডেল।কিন্তু ড: কামাল হোসাইন স্বাধীনতার অন্যতম পৃষ্টপোষক ও সংবিধানের রচয়িতারদের মধ্যে একজন অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর সহচর স্বাধীনতার পক্ষে থেকেও আজ সে সব হানাদারদের সম্মক রাজনীতির মতাদর্শী জামায়াত ইসলামীর সহযোগী বিনপি এর কান্ডারি হয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব গ্রহণের নামে ড. কামাল এখন বিএনপি-জামায়াতের ওকালতনামায় সই করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর থেকে অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার ভয়ে কোণ্ঠাসা জামায়াতকে আবার প্রকাশ্যে আসার পরিবেশ করে দিয়েছে বিএনপি ও ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জোট। এমনকি বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সব সময়েই জামায়াত থাকে রীতিমতো গর্তে লুকিয়ে। কিন্তু এবার ড. কামাল ও তাদের বন্ধুরা বিজয়ের মাসেই জামায়াত নেতাদের কৌশলে প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছে। নিবন্ধন না থাকলেও দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াতের নির্বাচন নিয়ে এখন দৃশ্যত কোন অনিশ্চয়তা নেই। নিবন্ধন হারানো জামায়াতের প্রতীক পেতেও কোন সমস্যা হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী এ দলটির পাশে যথারীতি আছে বিএনপিসহ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট। তাদের আশীর্বাদেই ২২ আসনে সমর্থন পেয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রকাশ্যে আসছে জামায়াত।
সে জামায়াতে ইসলামী নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চটে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।গত ১৪ ই ডিসেম্বর'২০ সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের ওপর চটে গিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্ন করতে? চিনে রাখবো। কত পয়সা দিয়েছে? চুপ করো, খামোশ।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার স্বপ্নকে সামনে রেখে যারা এর আদর্শ এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, লোভ-লালসা নিয়ে লুটপাট করছেন তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করবো।’
এরপর সাংবাদিকরা যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে ড. কামালকে তার অবস্থানের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এতে চটে যান তিনি। তখন তিনি সাংবাদিকদের উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্ন করতে? চিনে রাখবো। কত পয়সা দিয়েছে? শহীদ মিনারের এসে শহীদদের অশ্রদ্ধা করো। শহীদদের কথা চিন্তা করো। চুপ করো, খামোশ।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ড একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ঘৃণ্যতম। সবাই মনে করে এসব হত্যাযজ্ঞে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার মধ্যেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন সম্ভব। এসব ঘাতকের চূড়ান্ত বিচারের মাধ্যমেই জাতি দায়মুক্ত হতে পারে। কিন্তু ড. কামাল কোন নারায়নের আশীর্বাদে আজকে এসব স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তির দোসর হচ্ছেন।এই প্রশ্নের জবাব নতুন প্রজন্ম জানতে চায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




অভিনন্দন, ১ম পাতায় আপনার ৩টি পোষ্ট দেখছি; ১ম পাতায় কয়টি পোষ্ট দেয়ার নিয়ম, জানেন নাকি?

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


৮ বছরে, এইব্লগে কোন পোষ্টে কোন কমেন্ট করেননি; আপনি কি ব্যস্ত মানুষ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.