নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ

জীবনের গল্প গুলো সবসময় সবাইকে বলা যায় না।। অথচ অনেক সময় তা না বলেও থাকা যায় না।। তাই এমন কোনো মাধ্যম জীবনে প্রয়োজন যা দিয়ে গল্প গুলোকে খুব যত্ন করে সাজিয়ে রাখা যায়।।

শেষ বেলার পথিক

মানুষ পরিবর্তনশীল.. আমিও যার বাইরে নই. তাই বিশেষভাবে কিছু বলতে চাই না..

শেষ বেলার পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজান্তে ভালোবাসা

২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

কীভাবে বুঝবেন যে মানুষটি আপনাকে মুগ্ধ করতে চায় ?

অল্প পরিচিত একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে প্রেম করছে না এবং করবে কিনা ভাবছে এইরকম দ্বিধাগ্রস্ত মুহূর্তে যখন কথা বলে, তাদের কথায় সূক্ষ্ম কিছু ব্যাপার ঘটে। ছোট ছোট ব্যাপার গুলোকে তারা সাবজেক্ট করে ফেলে।

মনে করুন তারা রেস্তোরাঁয় খেতে বসেছে। কফি দেয়ার পর তাদের সাবজেক্ট হবে ‘কফি’... ! একজন বলবে সে প্রায় রাতে একা একা কফি বানিয়ে খায়। চিনি দু চামচ। ব্ল্যাক কফি। খিলগা এর আপনের কফি খেতে রোজ অনেক লোক ভিড় করে। এই তথ্য কোন প্রেমিকের জানা থাকলে তখন সেটা জানাতে ভুল করবে না।

মেন্যু দেয়া হলে তারা কে কি খেতে কেন পছদ করে আর কেন করে না এই নিয়ে দশ মিনিট গল্প করবে। হঠাৎ রেস্তোরাঁয় গান বেজে উঠলে তারা কে কোন টাইপ গান পছন্দ করে... ইত্যাদি ইত্যাদি

রেস্তোরাঁ থেকে বের হবার পর কোন ভিখারি টাকা চাইবার পর তাদের সাবজেক্ট হবে ‘ ভিখারি’ ... ভিখারি নিয়ে তাদের স্টকের জটিল ফিলোসফি পেশ করা হবে

রিকশা ঠিক করার সময় রিকশা নিয়ে কমন কথা বার্তা..... রিকশা জিনিসটা পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর যানবাহন এই সব হাবিজাবি।

এটা শুধু মাত্র একটা রেস্তোরাঁর উদাহারণ দেয়া হল।

এই সূক্ষ্ম ব্যাপার গুলো সব সময় ঘটে। যখন তারা ফোনে কথা বলে... লক্ষ করলে দেখবেন যেকোন ছোট ছোট ব্যাপার গুলো তারা সাবজেক্ট করে ফেলছে।

‘ ঘুম থেকে কখন উঠো?’ এরকম এক লাইনের প্রশ্নের উত্তর এক লাইনে দেয়া হয় না। যদি সে রাতে জেগে থাকে তাহলে কেন জেগে থাক..। জেগে জেগে কী করে... এই সব বলা হয়।

এই সময় তাদের আশে পাশের যে কোন মানুষ তাদের কথা না শুনেও শুধু মাত্র চেহারার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবে ‘ ঝামেলা আছে’

কথার ফাঁকে হঠাৎ রাতে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে সেটাও একটা সাবজেক্ট। শৈশবের কোন বিদ্যুৎ সংযোগ রাতের গল্প চলে আসতে পারে মূল শিরোনামে। ‘আমার অন্ধকার ভাল লাগে’। ‘ আমি সারাদিন রুম অন্ধকার করে রাখি’। এই সব সময় এই কথা গুলো খুব প্রচলিত কথা। আমরা আমাদের নির্দিষ্ট গণ্ডি থেকে বের হতে পারি না।

এই ব্যাপার গুলো কেন ঘটে জানেন? প্রত্যেকেই অবচেতন মনে নিজেকে প্রকাশ করতে ব্যাস্ত। হাঁটতে , বসতে , ঘুরতে... যাই ঘটুক... যাই দেখুক...চট করে নিজের ফিলোসফি জানিয়ে দেয়া।

কারো সাথে কথা বলার সময় যদি দেখেন সে আশে পাশে যা কিছু হচ্ছে প্রায় সব কিছু সাবজেক্ট করে ফেলছে তাহলে বুঝবেন বান্দা আপনাকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করছে।

এক একজন মানুষ নিজেকে এক এক ভাবে প্রকাশ করে। যেভাবেই প্রকাশ করা হোক না কেন সারমর্ম প্রায় একই থাকে।

প্রেমে পড়ার আগে প্রেম প্রেম আবহাওয়া সৃষ্টি করে না... খাতা কলম নিয়ে হিসেব করে না.... আইকিইউ টেস্ট পরীক্ষা করে না...

মাছের কাটা বেছে বেছে খাবার পরেও অজান্তেই যেভাবে গলায় কাঁটা আটকে যায় ,একদিন এভাবেই আঁটকে যাবেন কোন প্রেমে। ইচ্ছে করে ভাতের সাথে কাটা মিশিয়ে খেলে সেই কাটা গলায় আটকায় না ; দাঁতের কামড়ে ছিটকে পড়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.