নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মশিউর রহমান রুবেল

উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএফডি)

মশিউর রহমান রুবেল গণমাধ্যমকর্মী, সদস্য সচিবসম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলনচেয়ারম্যানউন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযানগণমাধ্যমকর্মীসদস্য সচিবসম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলন ও চেয়ারম্যান, উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান

উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএফডি) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা থেকে গান : আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো…

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১




একুশের প্রথম প্রহরে রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে একটি সুর বেজে ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। গোটা শহীদ মিনারে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। গোটা মহানগরীর সব সড়ক এসে থমকে যায় শহীদ বেদীতে। সুরের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন বসন্তের ফুল করে বেদীর দিকে ধেয়ে আসা জনতার ঢল। করুণ সেই সুর মোহমুগ্ধ করে ফেলে লাখো ছাত্রজনতাকে।

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি….। সুরের ছোঁয়ায় ফিরে যাই বায়ান্নতে। শব্দ আর সুরের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যেন লেখা হয়ে রয়েছে। সেই আগুন ঝরা দিনেই কালজয়ী গানটি লিখেছিলেন সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী। প্রথমে সুর দিয়েছিলেন আবদুল লতিফ। পরে আলতাফ মাহমুদের সুরটিই কেড়ে নেয়া সবার মনপ্রাণ।

১৯৫৪ সালের প্রভাতফেরীতে প্রথমবারের মতো আলতাফ মাহমুদের সুরের গানটিই গাওয়া হয়। এরপর তা হয়ে যায় ইতিহাস। স্বাধীনতা যুদ্ধের ঠিক আগে আগে ১৯৬৯ সালে জহির রায়হান তার ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করেন। বর্তমানে এই গানটি হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।




গানটি ৩০ লাইনের হলেও আমরা গেয়ে থাকি ছয়টি লাইন-

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু ঝরা এ ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।

জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।

সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।

সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।

তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।



১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।




মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.