![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব ই কম জানি। আপনাদের যত দেখছি, তত প্রকট ভাবে এই কথাটা প্রতিদিন মনে হচ্ছে।
একটা জিনিস নিয়ে ভাবছি গত কয়েকদিন ধরে। খেয়াল করে দেখলাম মেয়ে এবং ছেলেদের স্টাইল এবং ফ্যাশনে যথেষ্ট বৈচিত্র্য রয়েছে।
প্রথমে আসি ছেলেদের বেলায়, সাধারণত ছেলেরা যা পরে(তরুণরা)ঃ
১ জিন্স প্যান্ট; চিপা নইলে ঢোলা, অথবা মোবাইল প্যান্ট (পকেট ওয়ালা)
২ পায়েঃ সাধারণত স্যান্ডেল।
৩ উপরেঃ ফর্মাল শার্ট চাপা বা ঢোলা,টি- শার্ট, ব্লেজার, জ্যাকেট ইত্যাদি।
৪ চোখেঃ বিভিন্ন টাইপ এর সান গ্লাস বা নরমাল চশমা।
৫ মাথায়: বিভিন্ন টাইপ এর ক্যাপ।
আর আনুষঙ্গিক কিছু থাকতে পারে।
এবার আশি মেয়েদের বেলায়।
১ a) হাই হিল জুতা,(এটার উদ্দেশ্যটা বলতে খারাপ লাগছে। আপনি হিল ছাড়াই খালি পায়ে শুধু আপনার আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে হাঁটেন।
দেখবেন আপনার ব্যাক সাইড অতিরিক্ত রকম দুলছে। মূলত হিলের উদ্দেশ্য এটাই। western দৃষ্টিতে সেক্সি, উত্তেজক, লুল ঝরানো, তবে সামাজিক দৃষ্টিতে অভদ্র।
অপেক্ষাকৃত বেটে আপুরা বলবেন, হাইট এর দুর্বলতা ঢাকতে পড়ি। আমি বলব, আপনি হয়ত জানেননা, এতে আপনাকে আরও বেশি কদাকার দেখায়, আল্লাহ্ যেটা দিছেন সেটাই সুন্দর। )
b) ফ্লাট জুতা(তবে বেশিদিন চলেনা, সবাই নেয়না। নিবে কিভাবে মডেলরা তো পড়েনা)।
২ প্যান্টঃ a)আগে ছিল ঢোলা পায়জামা (যথেষ্ট মার্জিত), b)তারপর বের হল জিন্স ঢোলা(কিছুটা western হলেও মার্জিত বলা যায়)। c)তারপর জিন্সটা
চাপা হয়ে গেল। (কে কতোটুকু চিকন সেটা বুঝানোর প্রতিযোগিতা , যাক মানলাম ততোটা অশ্লীল না।) d)তারপর আবার আসলো
পায়জামা, তবে চাপা এবং পাতলা কাপড়ের। নিচে দিয়ে কেটে বোতাম দিয়া জোড়া দেওয়া। প্রায় ই দেখা যায় গায়ের কালার এর সাথে ম্যাচ করে পরা হয়। (উদ্দেশ্য কি বুঝে নিয়েন)।
e) বর্তমানে চলতেছে লেগিন্স। রাবারের প্যান্ট যা ৫০ গ্রামের বেশি হবেনা। স্বাভাবিক অবস্থায় লম্বায় দেড় ফুট এবং ১০ ইঞ্চি চওড়া,
এই ক্ষুদ্রাকার বস্তুকে টেনেটুনে আড়াই ফুট এলাকা ঢাকলে ঐ জায়গাটা সত্যিকার অর্থে ঢাকা থাকেনা। প্রতিটা সুতার ফাঁক দিয়ে আপনার আব্রু বেরিয়ে পরে। তার উপর,
প্রথমে ছিল যেকোনো কালার, আর এখন চলে চামড়ার কালার। (যেটা না পরাই ভাল)।
শরীরের প্রতিটা ভাজ যতটুকু না sensetive তার থেকেও বেশী sensetive করে তোলে এই পোশাক। এখনো এটা লম্বাই আছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় হাইট এটার ও কমা শুরু হইছে।
৩ কামিজ বা জামাঃ লম্বা কামিজ, হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। অবশ্যই মার্জিত। এখনকার আপুরা হয়ত খ্যাত বলবেন। আমি বলব,
খ্যাত হোক আর যাই হক, মার্জিত ছিল। লম্বা কামিজ ২; আগের সাইজ এই আছে তবে পাশের কাটাটা উপরে উঠছে। (ভদ্রই আছে, কারণ এটার সাথে পায়জামাটা ছিল ২ এর (a) ঢিলাঢালা)
তারপর হাইট কমে এক লাফে হাঁটুর উপরে উঠে গেল। সাথে জিন্স। তারপর নামলো ফতুয়া, জিন্স এর সাথেই। এরপর কেন জানি লম্বার দিক দিয়ে ভদ্র হয়ে গেল। আবার হাঁটু পর্যন্ত আসলো।
তবে, সাথে থাকবে পাতলা কাপড়ের চাপা পায়জামা। এতে প্রব্লেম কি? সুন্দরই তো লাগে। অভদ্র তো আর বলতে পারবেন না।
তাইতো। হ্যাঁ, এত অল্পতে প্রব্লেম খুঁজলে পোষায় না। সামনে আসেন, প্রব্লেম খুঁজে পাই কিনা একটু দেখি। খুঁজে পাওয়া গেল না, বরং আর ভদ্র হয়ে গেল বাংলার ফ্যাশন হাউস গুলো।
ঐ লম্বা জামা গুলার সাথে লেস লাগিয়ে আরও লম্বা করলো। ওমা, এরা দেখি মধ্য যুগের দিকে যাচ্ছে।
না, আপু মধ্য যুগে আপনাকে নিব না, বরং আরেকটু খোলামেলা হওয়ার চান্স দিব। নিচের দিকে তাকায়া দেখেন, লম্বা জামার নিচে লেগিংস ঢুকায়া দিছি।
তাইলে আর উপরে এত লম্বা জামা কেন????? আচ্ছা আপি, আপনার বাবা আছেনা, মা আছেনা? ওরা তো আর আপনার মত আধুনিকা না। ব্যাক ডেটেড।
তারা হয়ত আপনার এই অর্ধ-নগ্নতা ভাল চোখে দেখবেননা। টেনশন নিয়েন না বস, আরেকটু টাইম দেন। আপনার সম্পদ প্রদর্শনের ব্যবস্থাও হবে। কিন্তু তখন কি আমার বাবা মা সেটাকে খারাপ চোখে দেখবেন না???
উত্তরঃ ..............................................................................না। কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব? আজ আপনার লেগিংস দ্বারা, শরীরের যেই ভাজ গুলো স্পশ্ট করে তোলা হচ্ছে, সেটাই আবার লম্বা জামা দিয়ে ঢাকা হচ্ছে।
এটা করার একটাই উদ্দেশ্য, লেগিংস টা কে এই সমাজে প্রতিষ্ঠা দেয়া।
একটা এক্সাম্পল দেই, আমাদের বাসায় যখন নতুন ডিশ আনে, তখন, আমি আমার বড় ভাইয়ের (৮ বছরের বড়) সামনে হিন্দি চ্যানেল গুলা দেখতে পারতাম না, লজ্জা লাগত।
কিন্তু একসাথে বসে খেলা দেখার কারণে অ্যাড গুলা দেখা হত। অ্যাড গুলাও ছিল মাশাল্লা।(সব গুলা না) ঐ অ্যাড দেখতে দেখতেই লজ্জা কেটে যেতে থাকে।
এখন দুই ভাই মিলে টিভি তে চুম্মাচুম্মি দেখলেও আর আগের মত লজ্জা লাগেনা। সত্যি বলতে কি পরিবারের সবাই ই বেহায়া হয়ে গেছি।
একি ভাবে লেগিংস পরতে পরতে সবার চোখে এটা সওয়া হয়ে যাবে। এটার উপকারিতাও সবার সামনে আসবে।
যেমনঃ পরতে আরাম, নরম, ঠাণ্ডা, ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন বাবা মার কেউ ই মেয়ের জন্যে লেগিংস কিনতে দ্বিধা বোধ করবেন না, সবার সামনে পরাটাও নরমাল ব্যাপার হয়ে যাবে ততদিনে।
(কারন, উপর দিয়ে আব্রু রক্ষাকারী লম্বা জামা তো আছেই)
এরপর বের হবে ফ্যাশন ডিজাইনার দের আসল রূপ। লম্বা জামার লেস খসে পরবে, লম্বা জামা ছোট হতে থাকবে। হতে হতে শর্ট কামিজ হয়ে যাবে। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও, মানিয়ে নিবে সবাই।
বলবে, খারাপ কিছু তো দেখছিনা। এই শর্ট কামিজ ত ২ বছর আগেও আমার মেয়ে পরত। কিন্তু আগে ত পায়জামা ছিল। তো কি হইছে??? এখন তো লেগিংস সবাই পরে। একজন দেখান তো পায়জামা পরে।
ঐদিন ইমাম সাহেবের ঘরে গেলাম, তার মেয়েও তো এই ড্রেস পরে। এমনকি ৪০-৫০ বছরের মহিলারাও তো লেগিংস পরে। আর শর্ট কামিজ নিউ ফ্যাশান, আমার মেয়েও ইয়ং মেয়ে, এই বয়সে নতুন নতুন জিনিস না
পরলে কবে পরবে??????
তবুও ভাই, শালীনতার একটা বিষয় আছেনা?
আরে ভাই, অশালীন কি দেখলেন, আমিতো অশালীনের কিছু দেখতেছি না। নিজের চোখ ঠিক করেন ভাই।
তারপরের স্টেপঃ মেয়েদের টি শার্ট আর সাথে লেগিংস। এখন খুশি ত আপি??? কথা দিছিলাম না, আপনার সম্পদ উন্মুক্ত করব, সাথে সমাজেও প্রতিষ্ঠা দিব।
এরপরের স্টেপ গুলোতে সমাজে প্রতিষ্ঠা পান আর না পান আপনি আপনার সম্পদ প্রকাশের জন্যে ব্যাকুল হয়ে থাকবেন। (কারণ, আপনার লজ্জা আমরা ফ্যাশান ডিজাইনার রা ভেঙ্গে দিয়েছি।)
এখন আপনি ই দোকানে এসে চাইবেন লেগিংস আর ছোট নাই?? গেঞ্জি আরও শর্ট নাই??? গিঁটটা দেয়া টা নাই???গরম লাগে এত বড় বড় জামা কাপড়ে।
{ছেলেরা দেড় কেজি ওজনের প্যান্ট পরে, ওদের গরম লাগেনা? খালি গরম আপনারই লাগে??গরম না আপু চুলকানি লাগে, তবে দোষ আপনার না, এই চুলকানি আমরাই তৈরি করছি।
আপনাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত বেশ্যা বানাইছি, (যাতে আমাদের খরচ কমে। কে যায় এত টাকা খরচ করে বিয়ে করতে, এখন আপু আপনারাই আমাদের লোকাল বউ, ভোগ্য পণ্য, প্রতিষ্ঠিত শিক্ষিত বেশ্যা)}
আপুরা বলতে পারেন, কিভাবে বুঝলেন যে, আপনারা অশ্লীলতা তৈরি করবেন আর আমরা সেটা গ্রহণ করব। আর করলেও আপনাদের ভোগ্য পণ্য কেন হব।
উত্তরঃ আপুরা, আমরা খালি কাপড়ই বানাই না, আমরা মাত্র ১০০-৩০০ টাকার বিনিময়ে ডিশ কানেকশান ও দেই,(যদিও বা নেট এর রেট কমাইতে পারিনা),
আমরা ইয়াবা ও বানাই, আমরা হেরোইন ও সাপ্লাই করি, আর আমাদের দাদারা আপনাদের নষ্টামি শিখায়। জবাবে বলতে পারেন, নাচগান বিনোদন কে আপনারা কখনই সহজ ভাবে না দেখে সমাজের অকল্যাণকর বিষয় বলে মনে করেন, আসলে আপনাদের দৃষ্টি ভঙ্গি টাই সেকেলে।
হ্যাঁ আপু সহজ ভাবেই দেখতাম, যদি অশ্লীল গান বাজনা, পর্ণ স্টার দের ছড়াছড়ি হলিউড বলিউড এ না হত। সহজ ভাবেই দেখতাম, যদি অশালিন কাপড় আমার সমাজে প্রতিষ্ঠা না পেত, এর বউ সে নিয়ে তার বউ আরেকজন নিয়ে পালানোর কাহিনি গুলাকে প্রতিষ্ঠিত না করত।
সহজ ভাবেই দেখতাম, যদি মা বাবা ভাই বোনের সম্মানজনক দূরত্ব নষ্ট না হত।
এই পয়েন্ট টা তে আপনাদের অব্জেকশন থাকতে পারে। তবে এব্যাপারে আমি আগেই হিন্ট দিছি।
আর ডিটেইল বললে, সেনরার বিজ্ঞাপন তার উদাহরন হতে পারে। যেমন, আমার মতে এখন ও বাংলাদেশ এ এমন কোন পরিবার নাই যেখানে, বাবা বা ভাই মেয়েদের এই দুর্বলতা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করে।
এবং এব্যাপারে মেয়েরাও খুব বিব্রত বোধ করে। এর কারন ও আছে, মেয়েরা ঋতুর কারনে নিজেদের ছেলেদের তুলনায় কিছুটা দুর্বল ভাবে। এটাও তাদের দোষ না, আমরাই এর সঠিক কারণ না জানার কারনে তাদের হেয় করে এসেছি চিরকাল। যদি জানতাম, এই ঋতুর রক্তেই
আপনার আমার জন্মস্থান জরায়ু কে আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের জন্মের অনেক আগে থেকেই প্রতি মাসে একবার পরিষ্কার করেন। যদি জান্তাম, মায়ের পেটে আমাদের গঠন কি দ্বারা হয়েছিল। তাহলে নিশ্চয়ই মহিলাদের অন্তত আরেকটু সম্মান করতাম। হ্যাঁ, মানব জন্মের সাথে সরাসরি সম্প্রিক্ত এই রজঃরক্ত। একে ঘৃণা না করে সম্মান করুন।
কিন্তু তাই বলে একটা মেয়ের গোপনীয়তা বা দুর্বলতা ছেলেদের আলোচ্য বিষয় হতে পারেনা। এসব বিষয় নিয়ে শুধুমাত্র মেয়েরাই নিজেদের ভিতর নিঃসঙ্কোচে কথা বলতে পারে। আল্লাহ্র নবী পর্যন্ত মহিলাদের জন্যে বর্ণিত হাদিস বা কুরআনের আয়াত মজলিসে বলতেন না।
মা আয়েশা রাঃ এর মাধ্যমে মহিলাদের কাছে পৌঁছে দিতেন।। মনে রাখবেন, কারও গোপনীয়তা রক্ষা করাটাও একটা সম্মান। আর আমরা সম্মান দেখাচ্ছি সম্পূর্ণ বিপরীত উপায়ে। তার গোপনীয়তা অবুঝ শিশু থেকে শুরু করে বাবা মা ভাই বোন সবার সামনে উপস্থাপন করে
।। বলতে পারেন এর নাম স্বাধীনতা, তবে আমি বলব একটা জাতির লজ্জা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রক্রিয়া এটা। বেহায়াপনার শিকড় পোতা। এটাত গেল একটা অ্যাড এর কথা।। ভারতীয় সিরিয়ালের কুটনামির কথা আশা করি আর বলা লাগবে না। সবাই পরিচিত আছেন এর সাথে। so, আপুরা ও ভাইয়া রা
আপ্নারা যতই মনে করেন, আপনারা আধুনিক হচ্ছেন, প্রগতিশীল হচ্ছেন, সাম্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। আসলে আপনারা ব্যায় সঙ্কোচনের দিকে যাচ্ছেন, ধর্মহীনতার দিকে যাচ্ছেন, অবাধ পাপাচারের দিকে যাচ্ছেন, আল্লাহ্র লানতের দিকে যাচ্ছেন।
থুক্কু আপনাদের তো আবার বাস্তব দিয়ে বুঝাতে হবে। হ্যাঁ, বাস্তবেও আমরা একটা ব্যাবসায়ি চক্রের কর্মচারী হিসেবে বেড়ে উঠছি প্রতিনিয়ত। এটা নিয়ে ইনশাল্লাহ বিস্তারিত আলোচনা পরে হবে।
আমার এই লিখাটি দীর্ঘ বিরতি নিয়ে লিখা তাই সামঞ্জস্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। দয়া করে সবাই ক্ষমার চোখে দেখবেন
©somewhere in net ltd.