![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কিছু বলার আছেশব্দগুলো শেষ বিকেলের নাগরিকতায় দিক হারিয়ে ফেলে.....আমার কিছু বলার আছেভাবনাগুলো দুরন্ত বালিকার এলো চুলে জট পাকিয়ে যায়....আমার কিছু বলার আছেস্মৃতিগুলো ঘোলা জলে ডুব সাঁতার দেয়.....আমার কিছু বলার আছেইচ্ছেগুলো বাস্তবতার ধূলোয় লুটিপুটি খায়....আমার কিছু বলার আছেঅনুভূতিগুলো আলস্য করে ভোতা হতে চায়।
সবাই এখন আশরাফুলের স্পট ফিক্সিং নিয়ে বড়ই হাহুতাশ করছেন আর ব্যাথিত হয়েছেন। ভাইলোগ, এত অবাক হওয়ার কিসসু নাই! নাফিজ ইকবালের কথা মনে আছে??? তামিম ইকবালের বড় ভাই, যে একবার সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ বাঁচিয়েছিলো। কেউ কি জানেন সেই নাফিজ ইকবাল কেন বাংলাদেশ দলে আর ঢুকতে পারছেন না শ্রীলঙ্কার সাথে ২০০৬ এ টেস্ট সিরিজের পর?? ঘটনা হচ্ছে ইংল্যান্ডের সাথে ২০০৫ সালের টেস্ট সিরিজে নাফিজ ইকবাল স্পট ফিক্সিং করেছিলেন। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা তাকে এই কাজ করতে প্ররোচিত করেছিল এক ভারতীয়, যে ছিল পেশায় একজন সাংবাদিক। সেই কোলকাতার সাংবাদিক দাদাবাবু নাফিজকে একটি পাবে বসে বুকিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং তারা তাকে তার করণীয় সম্পর্কে জানায় এবং অগ্রীম অর্থ দেয়। তো নাফিজ ঠিকঠাক মত স্পট ফিক্সিং করেছিলেন কোন একটি ম্যাচে এবং বেশ ভাল অর্থকড়িও পেয়েছিল। কিন্তু যখনই সেই ভারতীয় সাংবাদিক তার প্রাপ্য অংশ চায় তখন নাফিজ সেটা তাকে দিতে অস্বীকার করে। অতঃপর সেই সাংবাদিক তার কাছে যা যা প্রমাণ ছিলো তা বিসিবির হর্তাকর্তাদের কাছে পেশ করে এবং তার প্রাপ্য অর্থ দাবি করে। সেই সময় বাংলাদেশ ছিলো টেস্ট ক্রিকেটে একটি শিশু। তাই দেশের ক্রিকেটের গায়ে এই কলঙ্কের দাগ যেন না লাগে এজন্যে বিসিবি টাকা দিয়ে ওই সাংবাদিকের মুখ বন্ধ করে এবং নাফিজকে আনঅফিসিয়ালি নিষিদ্ধ করে। একারণেই পরবর্তি কিছু ঘরোয়া মৌসুমে পাঁচশ এর উপরে রান করা সত্বেও নাফিজ জাতীয় দলের জন্যে ডাক পাননি এবং পাবেনও না। তিনি সর্বোচ্চ A দলের হয়ে খেলেছেন এই ঘটনার পরে। আর অনেকের মনে হয়ত প্রশ্ন আসছে আমি কি করে জানি এই ব্যাপারটি???? ভাই, দিস ইজ প্রিটি মাচ ওপেন সিক্রেট ইন বাংলাদেশ ক্রিকেট। আর আমার সূত্রটি হচ্ছে সেই ইংল্যান্ড সিরিজে খেলা বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়।
সো নাউ স্টপ বিয়িং সারপ্রাইজড এন্ড দিস শিট উইল কন্টিনিউ ফরএভার! যতদিন ক্রিকেট খেলা চলতে থাকবা ততোদিন এই ফিক্সিংও চলতে থাকবে। বাই দ্যা ওয়ে, নাফিজের সাথে সেই কোলকাতার সাংবাদিকের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ক্রীড়া সাংবাদিক। এখন দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো আপনাদের কাজ!!!! আরিওস!!!!
©somewhere in net ltd.