নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বাংলাদেশী

রুহাশ

আমার কিছু বলার আছেশব্দগুলো শেষ বিকেলের নাগরিকতায় দিক হারিয়ে ফেলে.....আমার কিছু বলার আছেভাবনাগুলো দুরন্ত বালিকার এলো চুলে জট পাকিয়ে যায়....আমার কিছু বলার আছেস্মৃতিগুলো ঘোলা জলে ডুব সাঁতার দেয়.....আমার কিছু বলার আছেইচ্ছেগুলো বাস্তবতার ধূলোয় লুটিপুটি খায়....আমার কিছু বলার আছেঅনুভূতিগুলো আলস্য করে ভোতা হতে চায়।

রুহাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়া উম্মাতি (সংগৃহীত)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

দ্বীনের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের শেষ মূহুর্ত চলছে।'হঠাৎ সেখানে একজন লোক এসে বললেন'সালাম'আমি কি ভিতরে আসতে পারি। হযরত ফাতিমা (রাঃ) বললেন, দুঃখিত আমার পিতা খুবই অসুস্হ।

-

হযরত ফাতিমা (রঃ) দরজা বন্ধ করে রাসূলের (সাঃ) কাছে গেলেন। মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, কে সেই লোক? ফাতিমা বললেন, এই প্রথম আমি তাকে দেখেছি। আমি তাকে চিনি না।

-

শুনো ফাতিমা, সে হচ্ছে আমাদের এই ছোট্ট জীবনের অবসানকারী ফেরেশতা আজরাইল। এটা শুনে ফাতিমার অবস্হা তখন ক্রন্দনরত বোমার মতো হয়ে গিয়েছে।

-

রাসূল (সাঃ) বললেন,

হে জিবরাঈল আমার উম্মতের কি হবে?

আমার উম্মতের নাজাতের কি হবে?

জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হে রাসুল আপনি চিন্তা করবেন না, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন আপনার উম্মতের নাজাতের জন্যে।

-

মৃত্যুর ফেরেশতা ধীরে ধীরে রাসূলের (সাঃ) কাছে এলেন জান কবজ করার জন্যে। মালাইকাত মউত আজরাইল আরো কাছে এসে ধীরে ধীরে রাসূলের জান কবজ করতে থাকলেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিব্রিলকে রাসূল (সাঃ) বললেন ঘোঙানির সাথে, ওহ জিবরাঈল এটা কেমন বেদনা দায়ক জান কবজ করা।

-

হযরত ফাতিমা (রাঃ) তার চোখ বন্ধ করে ফেললেন, হযরত আলী (রাঃ) তাঁর দিকে উপুড় হয়ে বসলেন, জিবরাঈল তার মুখটা উল্টা দিকে ফিরিয়ে নিলেন।

-

রাসুল(সাঃ) বললেন, হে জিবরাঈল তুমি মুখটা উল্টা দিকে ঘুরালে কেন, আমার প্রতি তুমি বিরক্ত ?

জিবরাঈল বললেন, হে রাসূলুল্লাহ সাকারাতুল মউতের অবস্হায় আমি আপনাকে কিভাবে দেখে সহ্য করতে পারি।

-

ভয়াবহ ব্যাথায় রাসূল (সাঃ) ছোট্ট একটা গোঙানি দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, হে আল্লাহ সাকারাতুল মউতটা (জান কবজের সময়) যতই ভয়াবহ হোক, সমস্যা নেই, আমাকে সকল ব্যথা দাও আমি বরণ করবো, কিন্তু আমার উম্মাহকে ব্যথা দিওনা। রাসূলের শরিরটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগলো। তার পা, বুক কিছুই নড়ছে না এখন আর। রাসূলের (সাঃ) চোখের পানির সাথে তার ঠোঁটটা কম্পিত ছিলো, তিনি কিছু বলবেন মনে হয়।

-

হযরত আলি (রাঃ) তার কানটা রাসূলের (সাঃ) মুখের কাছে নিয়ে গেলো। রাসূল বললেন, নামাজ কায়েম করো এবং তোমাদের মাঝে থাকা দূর্বলদের যত্ন নাও।

-

রাসূল (সাঃ) এর ঘরের বাইরে চলছে কান্নার আওয়াজ, সাহাবীরা একজন আরেকজন কে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কান্নারত। হযরত আলী (রাঃ) আবার তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে ধরলো, রাসূল (সাঃ) চোখ ভেজা অবস্হায় বলতে থাকলেন, ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি . . .



Collected From: Facebook

Shared by : GeNiuS JR

এটি আমার লেখা নয়। ফেবুকে এক বন্ধুর শেয়ার করা একটি স্ট্যাটাস থেকে এটি পেয়েছি। ভাল লাগার কারণে সবার সাথে শেয়ার না করে পারলাম না।

কারও কাছে যদি আসল লেখকের লিঙ্কটি থাকে দয়া করে প্লিজ শেয়ার করবেন। আমি এই লেখার সাথে অ্যাড করে দিবো। আমি অনেক খুঁজেও আসল লেখককে পেলাম না।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন...

কুল্লুনাফসিন জায়িকাতুল মাউত....

কিন্তু আমরা কতইনা বেখেয়াল!!!!!!!!!

সেই প্রিয় রাসূল, সেই উম্মত অন্তপ্রাণ রাসূলের উম্মতদের কি হাল???

আছে কি সেই উম্মত?????

সালাতু সালাম ইয়া রাসুলাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া হাবিবাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন!!!


১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

রুহাশ বলেছেন: সালাতু সালাম ইয়া রাসুলাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া হাবিবাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন!!!
যথার্থই বলেছন...... আমরা কতইনা বেখেয়াল।
কতভাবেই না আমরা দয়ার নবীর নামের প্রতি অবিচার করছি!

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
সালাতু সালাম ইয়া রাসুলাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া হাবিবাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন!!!

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবার এসো নবী এ সোনার বাংলায়
মানুষের অধিকার হেথা নাই হেথা নাই
ধর্ম হয়ে গেছে স্বার্থ বাহন
বক-ধার্মিকেরা করে ক্ষমতারোহন

তোমাকে বড় বেশি প্রয়োজন
ক্রন্দনরত কোটি মানুষের যাতনা
কিছূ করতেও পারিনা
সইতেও পারিনা
তাই নিরবে করি আহবান

হে প্রিয় রাসুল আবার এসো এ বাংলায়
তোমাকে বড় বেশি প্রয়োজন।

শত মত শত পথ তোমারি নামে
কেউ কারে নাহি মানে নাহি শোনে
জুলুম, অন্যায় দূর্নীতি
সবই হয়, চায় বিকাশে পূজিপতি

সবু মুছে সুন্দর ন্যায় আর সাম্যে
জাগিয়ে দিতে পুন: এই জাতিকে

হে রাসুল পাঠাও তোমার নায়েব
শক্তি ক্ষমতা আর বিজয়ের সুসংবাদে।।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

রুহাশ বলেছেন: অসাধারণ! ভাই এটা কি আপনার লেখা?? বেশ ভাল লাগলো। সেইদিন কবে আসবে কে জানে??? দিন দিন আমরা আরও তলানিতে পতিত হচ্ছি

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @লেখক- জ্বি। এবং তার জন্য ধন্যবাদ আপনারই প্রাপ‌্য। আপনার লেখাটি ২য়বার পড়েই অনুভব জাগ্রত হলো আহবানের।

নিশ্চয়ই সেদিন আসবে। এবং খূব বেশী দূরেও নেই। প্রশ্ন হলো আমি সেই দেনর জণ্য কতটুকু চেস্টা করছি! কাছে যাবার বা কাছে পাবার!

অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: ভাই এই সুন্দর লেখাটা সামুতে পোস্ট করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক
ধন্যবাদ।
সালাতু সালাম ইয়া রাসুলাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া হাবিবাল্লাহ
সালাতু সালাম ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.