![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কিছু বলার আছেশব্দগুলো শেষ বিকেলের নাগরিকতায় দিক হারিয়ে ফেলে.....আমার কিছু বলার আছেভাবনাগুলো দুরন্ত বালিকার এলো চুলে জট পাকিয়ে যায়....আমার কিছু বলার আছেস্মৃতিগুলো ঘোলা জলে ডুব সাঁতার দেয়.....আমার কিছু বলার আছেইচ্ছেগুলো বাস্তবতার ধূলোয় লুটিপুটি খায়....আমার কিছু বলার আছেঅনুভূতিগুলো আলস্য করে ভোতা হতে চায়।
অনেক বছর পর আল্লাহর ইচ্ছায় এবারের কুরবানির ঈদ দেশে করলাম। ঈদের দিন নামায শেষে সবাই যখন গরু-ছাগল কাটাকাটি নিয়ে ব্যস্ত আমি টিভির রিমোটটি নিয়ে যুদ্ধে নামলাম ঈদের অনুষ্ঠান দেখব বলে।
এই চ্যানেল সেই চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে একসময় আসলাম বিটিভি ওয়ার্ল্ডে। তখন বিটিভে ব্যান্ড (!!!) শো চলছিলো।
হয়তো সবাইই জানেন বিটিভিতে লাইভ সঙ্গীতানুষ্ঠান খুব কম হয়। গানগুলো আগেই ভয়েস রেকর্ড করা হয় আর পরের কোন একদিনে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয় যেখানে শিল্পীরা নিজের গাওয়া গানে লিপ্সিং করে।
যাই হোক, ঈদের দিনের সেই ব্যান্ড শোতেও যথারীতি একই জিনিসও হচ্ছিলো। বাদকেরা কর্ডল্যাস গীটার(!!) আর কি-বোর্ড (!!) নিয়ে অনেক আবেগ নিয়ে বাজাচ্ছিলেন আর গায়কও নিজের গলার সাথে আরেকটি কর্ডল্যাস ঝুলিয়ে হেলেদুলে রবীন্দ্রসঙ্গীত টাইপ একটা গান গাইছিলো।
গায়কের চোখে রোদ চশমা থাকায় তাঁর কন্ঠের আবেগ আর চোখের আবেগ মেলানো যাচ্ছিলোনা।
ব্যান্ড শো এর এমন মরোমরো অবস্থায় তাতে প্রান ফিরিয়ে আনার দ্বায়িত্ব নিয়ে হাজির হয় একদল অষ্টাদশী! তাদের সকলেই পাশ্চাত্যের পোশাকে আবৃত ছিলেন এবং প্রত্যেকের হাতে হাতে বাদ্যযন্ত্র।
আমি কিঞ্চিত আগ্রহের সাথে নড়েচড়ে বসে ভাবতে লাগলাম দেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। গান শুরু হওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আমার সুচিন্তা দুশ্চিন্তায় অ্যাবাউট টার্ন নিলো।
প্রথমেই আসি ড্রামারের কাছে- বালিকাটি হাতের দুখানি লাঠি দিয়ে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ডান হাতের লাঠি দিয়ে তিনি আধা সেকেন্ড পরপর একটা করে বাড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁর গোমরা মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছিলো বাড়িগুলো ঠিক জুতসই হচ্ছিলনা। এটা কি ড্রামসের দোষ নাকি লাঠির দোষ তা আমার বোধগম্য হলোনা।
এরপর আসি গিটারিস্ট আপুটির কাছে- উনি বাম হাত দিয়ে মুঠ করে গীটারের স্ট্রিংগুলো ধরে ডান হাতে মহা উৎসাহে স্ট্রামিং করে যেতে লাগলেন। অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ব্যাপারটি ছিল গানের পুরো সময় জুড়ে তাঁর হাত এক মুহুর্তের জন্যেও থামেনি।
বেইজিস্ট আপু তো ছিলেন আরও মারাত্মক! সুমন ভাই তাঁর কাছে হার মানতে বাধ্য!!! উনি এক হাতে বেজ গীটারের নিচের ৩টি স্ট্রিং চেপে ধরে অন্য হাতে উপরের স্ট্রিংটি সর্বশক্তি দিয়ে টেনে যাচ্ছিলেন!!
খুশি লাগলো কিবোর্ডিস্টকে দেখে। উনি পারতপক্ষে কিছু করার চেষ্টাই করেননি! দুই হাত উনি কিবোর্ডের উপর রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন আর অসহায় দৃষ্টিতে একবার গায়িকা আর আরেকবার ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছিলেন।
তবে তাঁদের সবার মধ্যে কর্মঠ ছিলেন গায়িকাটি। উনিও গলায় একটি অ্যাকুস্টিক ঝুলিয়ে উদ্দাম নৃত্যের সাথে সাথে গাইছিলেন। এহেন পার্ফরমেন্সের পর আমি আর বাকি অনুষ্ঠান দেখার সাহস করলাম না।
পরের দুদিনেও বিটিভিতে একই ধরণের অনুষ্ঠান প্রচারিত হল। আর আমি ভাবতে বসলাম "ইফ ইউ মানি এন্ড আঙ্কল হ্যাজ, ইউ ক্যান সিং রক অ্যান্ড জ্যাজ!"
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১
খেয়া ঘাট বলেছেন: আর আমি ভাবতে বসলাম "ইফ ইউ মানি এন্ড আঙ্কল হ্যাজ, ইউ ক্যান সিং রক অ্যান্ড জ্যাজ -