![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কিছু বলার আছেশব্দগুলো শেষ বিকেলের নাগরিকতায় দিক হারিয়ে ফেলে.....আমার কিছু বলার আছেভাবনাগুলো দুরন্ত বালিকার এলো চুলে জট পাকিয়ে যায়....আমার কিছু বলার আছেস্মৃতিগুলো ঘোলা জলে ডুব সাঁতার দেয়.....আমার কিছু বলার আছেইচ্ছেগুলো বাস্তবতার ধূলোয় লুটিপুটি খায়....আমার কিছু বলার আছেঅনুভূতিগুলো আলস্য করে ভোতা হতে চায়।
এক গাঁয়ে একদিন এক আগন্তুক তার সাগরেদ সমেত আসিয়া বলিল,
"ওহে গ্রামবাসী, আমি এক ব্যবসায়ী। শুনেছি তোমাদের এ গাঁয়ে নাকি প্রচুর শাখামৃগ পাওয়া যায়? আমি প্রতিটির জন্যে ১০০ টাকা করে দিতে রাজি আছি!"
গ্রামবাসী ভাবিল, বাহঃ! এ তো জব্বর প্রস্তাব! এ আর এমন কি, গাঁয়ে তো আর বানরের অভাব নেই...যেমন ভাবনা তেমন কাজ। চাষবাস বাদ! কাচা মেরে সবাই লেগে গেল বানর ধরিতে। কেউ ১০খানা, কেউ ২০খানা, কেউবা ৩০খানার মত বানর আনিয়া ব্যবসায়ীর কাছে প্রতিটি ১০০ টাকার বিনিময়ে বেচিয়া দিল।
এর ফলে গাঁয়ে বানরের সংখ্যা পড়তির দিকে আর গ্রামবাসীও পর্যাপ্ত মুনাফা করে ক্ষণকাল ক্ষান্ত দিল।
২দিন বাদে আবার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘোষণা আসিল-
"এবার শাখামৃগ প্রতি ২৫০ টাকা!"
এই ঘোষণা শুনিয়া গ্রামবাসী পুনরায় মহাউদ্যমে চাষাবাদ বাদ দিয়া বানরের পিছে ছুটতে লাগিল। ধৃত বানরের সংখ্যা পূর্বের ন্যায় না হলেও বানর প্রতি অর্থের পরিমাণ দেড়গুণ হওয়ায় বেশ তোফা মুনাফা হতে লাগিল।
যেরূপ বানরের পরিমাণ হ্রাস হইতে থাকিল সেরূপ বানর প্রতি অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাইতে থাকিল। এক সময় ওই গাঁয়ে বানর বলিয়া আর কিছু রইল না। কিন্তু তাতেও গ্রামবাসীদের কে আটকায়? পড়শি গ্রাম, কুটুম গ্রাম, এগ্রাম-সেগ্রাম ঘুরিয়া, বানর ধরা চলিল। একসময় আশপাশের দশ গাঁয়ে বানর বলিয়া চোখে পড়িবার মত কিছু রইল না।
এমতাবস্থায় ব্যবসায়ী বানর প্রতি দর হাঁকিলেন হাজার টাকা থেকে এক লম্ফে ৫ হাজার টাকা! কিন্তু বানর কই? গ্রামবাসী আফসোসে হস্ত কামড়ায় নিজেদের নির্বুদ্ধিতায়, "ইশ! কেন যে ৫-১০খানা এমন সময়ের জন্য নিজেদের কাছে রাখলুম নে। তোফা মুনাফা হত!"
সে যাই হোক, এরই মাঝে একদিন ব্যবসায়ী বাবুকে জরুরি কাজে শহরে যেতে হয় এবং তিনি তার সাগরেদকে বানর ক্রয়ের ভার দিয়ে যান।
এই মোক্ষম সুযোগে সাগরেদ গ্রামবাসীদের ডাকিয়া খাঁচা ভর্তি বানর দেখাইয়া বলিল, "দেখুন মশাইরা, আপনারা এতদিন যে শাখামৃগগুলো বেচেছেন সেগুলো এখানেই আছে। আপনার এগুলো আমার কাছ থেকে প্রতিটি ২০০০ টাকা করে কিনিয়া নিন আর ব্যাপারী শহর থেকে ফিরিলে তার কাছে ৫০০০টাকা করে বেচিয়া দিবেন! এতে বানর প্রতি আপনাদের ৩০০০টাকা করিয়া মুনাফা হইবে!"
এমন প্রস্তাবে গ্রামবাসীরা যেন সোনার খনি পাইল। যে যেভাবে পারিল অর্থের বন্দোবস্ত করিল। কেউ, জমানো টাকা দিয়া কিনিলো, কেউ কিনিলো গিন্নীর স্বর্ন বেচিয়া, আবার কেউবা জমি বন্ধক রাখিয়া সে টাকায় বানর কিনিলো। সবার মনে আশা, এবার
কয়েকগুণ মুনাফা হইবে!
পরদিন ভোর হইতে গ্রামবাসী সেই ব্যবসায়ী সাগরেদকে আর দেখিতে পাইলো না। এদিকে ব্যবসায়ীও আর শহর থেকে ফিরে না।
এখন গ্রামবাসীর কাছে না রইল অর্থ আর না রইল সম্পদ।
শুধু রয়ে গেল গাঁও ভর্তি দুঃখ আর বানর!
একদিন গ্রামবাসীর নামে একখানা বেনামি চিঠি আসিল আর তাতে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা ছিল-
"Welcome to Share Market!"
(অনুবাদকৃত)
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
রুহাশ বলেছেন: আমার তো চেয়ারই নাই কত্তা। শেয়ার বাজার লিয়ে গেছে!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
হেডস্যার বলেছেন:
"Welcome to Share Market!"
হাসতে হাসতে চেয়ার থেইকা উল্টাইয়া পড়লাম