![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কিছু বলার আছেশব্দগুলো শেষ বিকেলের নাগরিকতায় দিক হারিয়ে ফেলে.....আমার কিছু বলার আছেভাবনাগুলো দুরন্ত বালিকার এলো চুলে জট পাকিয়ে যায়....আমার কিছু বলার আছেস্মৃতিগুলো ঘোলা জলে ডুব সাঁতার দেয়.....আমার কিছু বলার আছেইচ্ছেগুলো বাস্তবতার ধূলোয় লুটিপুটি খায়....আমার কিছু বলার আছেঅনুভূতিগুলো আলস্য করে ভোতা হতে চায়।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা আমার পড়া প্রথম বই ছিল "শূণ্য"।
তখন পড়তাম ইংরেজি মাধ্যমের ২য় শ্রেণীতে। আমার বই পড়ার অভ্যাস শুরু হয় এই ২য় শ্রেণীতে উঠেই। কমিকস, কিশোর সাহিত্য, কিশোর ম্যাগাজিন, শিশুতোষ সাহিত্য এইসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল আমার বই পাঠ।
স্কুল ছুটি হত বেলা ১টায়। আমার অভ্যাস ছিল দুপুরে বাসায় ফিরে গোসল - খাওয়া শেষে বই বা কমিকস পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়া। সেদিন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল।
যথারীতি বাসায় ফিরে গোসল-খাওয়া শেষে কোন এক কারণে আমার আব্বুরর বইয়ের স্তুপ থেকে "শূণ্য" বইটি বের করে পড়া শুরু করি। একদিনে শেষ করতে পারিনি। ২ দিন লেগেছিল খুব সম্ভবত। আমার এই ব্যাপারটি মনে থাকার কারণ হচ্ছে বইটি পড়া শেষে আমি খুব নাড়া খেয়েছিলাম। এবং আশ্চর্যের ব্যাপার বইয়ের মূল বিষয়টি আমি সেই বয়সেই ধরতে পেরেছিলাম। ওই একটা বই আমার চিন্তার বয়স কয়েক বছর বাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে আমার বই পড়ার স্বাদ বদলে যায়। কমিকস, কিশোর সাহিত্য এসবের পাশাপাশি সায়েন্স ফিকশন, উপন্যাস এসব গোগ্রাসে গিলতে থাকি।
যাইহোক, নিত্যদিনের অভ্যাসমত আজ সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই মোবাইলে একটা পিডিএফ বই ডাউনলোড করি।
বইটি হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের সেই "শূণ্য"। আজকে এত বছর পর আমি বইটি দ্বিতীয়বার পড়া শুরু করি।
ব্যাপারটা কাকতালীয় নাকি জানি না, ফেসবুকে উঁকি দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম না আজ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী।
©somewhere in net ltd.