নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বাংলাদেশী

রুহাশ

আমার কিছু বলার আছেশব্দগুলো শেষ বিকেলের নাগরিকতায় দিক হারিয়ে ফেলে.....আমার কিছু বলার আছেভাবনাগুলো দুরন্ত বালিকার এলো চুলে জট পাকিয়ে যায়....আমার কিছু বলার আছেস্মৃতিগুলো ঘোলা জলে ডুব সাঁতার দেয়.....আমার কিছু বলার আছেইচ্ছেগুলো বাস্তবতার ধূলোয় লুটিপুটি খায়....আমার কিছু বলার আছেঅনুভূতিগুলো আলস্য করে ভোতা হতে চায়।

রুহাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেঁচে থাকার ফর্মুলা

১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

নিরাপদে বাংলাদেশে বেঁচে থাকতে হলে এখন যা যা করতে হবে-

- দাঁড়ি রাখবেন না, নইলে জঙ্গি বলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ডলা খাবেন
- হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান হলে আত্মগোপনে চলে যান। কোপ না খাওয়ার গ্যারান্টি কেউ দিবে না।
- লঞ্চে করে কোথাও যাবেননা।
-দূরপাল্লার বাহনে করে সড়ক পথে কোথাও যাবেননা।
- ভুলেও বাজারে যাবেননা, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
- ফল, শাক-সবজি, মাছ খাবেন না ফরমালিন থাকতে পারে।
- গরুর মাংসের কথা ভুলে যান, পকেটের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
-মুরগি খাবেন না, ইঞ্জেকশন দেওয়া থাকতে পারে।
-যদি নারী হয়ে থাকেন, তবে শাড়ি পড়ে বাইরে যাবেননা। কারণ শাড়ি একটি অশ্লীল পোষাক। বোরখা পড়তে পারেন, তাতে করে "ওই বুরকা পরা মেয়ে পাগল করেচে" টাইপ গান শুনতে পাবেন।
-ভুলেও পহেলা বৈশাখে বের হবেননা। আপনার চলাফেরা নিষ্পাপ ছেলেগুলোকে অহেতুক উত্তেজিত করে তুলতে পারে।
-অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন না তাইলে কোপ খেতে পারেন নইলে পুলিশের ডান্ডা।
-ব্যাংকে চাকুরি করবেন না, গুলি খেয়ে মরার চান্স আছে।
-নিয়মিত বিটিভির সংবাদ দেখবেন। তাহলে বুঝবেন বাংলাদেশ একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ।
-ঘরে চুরি হোক, ডাকাতি হোক, যাই হোক শুধু শুধু পুলিশ ভাইদের সময় নষ্ট করবেন না।
- সরকারের কোন সমালোচনা করবেন না। সরকার সকল ক্ষমতার উৎস!
-মোদ্দাকথা, ঘরে বসে থাকুন। আপনি কিছু জানেননা, কিছু দেখেননি, কিছু শুনেননি এবং গল্পের বই ছাড়া আপনি কিছু পড়েন না! (ইয়ে, তারপরেও আপনার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেনা)
-The less you know, the better you are!

........and it is a looooooong list to cover!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১২

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা

ভাল গবেষণা।

২০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

রুহাশ বলেছেন: আর গবেষণা! চারপাশে যা হচ্ছে তা দেখে এসব ছাড়া আর কোন উপায়ই তো দেখছিনা।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৫

বর্ণিল হিমু বলেছেন: এটা পড়ে নন্দলালের একটা কবিতার কথা মনে পরে গেলো......!

২০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

রুহাশ বলেছেন: নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ -

স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।

সকলে বলিল, 'আ-হা-হা কর কি, কর কি, নন্দলাল?'

নন্দ বলিল, 'বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল?

আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ?'

তখন সকলে বলিল- 'বাহবা বাহবা বাহবা বেশ।'

নন্দর ভাই কলেরায় মরে, দেখিবে তারে কেবা!

সকলে বলিল, 'যাও না নন্দ, করো না ভায়ের সেবা'

নন্দ বলিল, ভায়ের জন্য জীবনটা যদি দিই-

না হয় দিলাম, -কিন্তু অভাগা দেশের হইবে কি?

বাঁচাটা আমার অতি দরকার, ভেবে দেখি চারিদিক'

তখন সকলে বলিল- 'হাঁ হাঁ হাঁ, তা বটে, তা বটে, ঠিক।'

নন্দ একদা হঠাৎ একটা কাগজ করিল বাহির,

গালি দিয়া সবে গদ্যে, পদ্যে বিদ্যা করিল জাহির;

পড়িল ধন্য দেশের জন্য নন্দ খাটিয়া খুন;

লেখে যত তার দ্বিগুণ ঘুমায়, খায় তার দশ গুণ;

খাইতে ধরিল লুচি ও ছোকা ও সন্দেশ থাল থাল,

তখন সকলে বলিল- 'বাহবা বাহবা, বাহবা নন্দলাল।'

নন্দ একদা কাগজেতে এক সাহেবকে দেয় গালি;

সাহেব আসিয়া গলাটি তাহার টিপিয়া ধরিল খালি;

নন্দ বলিল, 'আ-হা-হা! কর কি, কর কি! ছাড় না ছাই,

কি হবে দেশের, গলাটিপুনিতে আমি যদি মারা যাই?

বলো কি' বিঘৎ নাকে দিব খত যা বলো করিব তাহা।'

তখন সকলে বলিল – 'বাহবা বাহবা বাহবা বাহা!'

নন্দ বাড়ির হ'ত না বাহির, কোথা কি ঘটে কি জানি;

চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি,

নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে 'কলিসন' হয়;

হাঁটতে সর্প, কুকুর আর গাড়ি-চাপা পড়া ভয়,

তাই শুয়ে শুয়ে, কষ্টে বাঁচিয়ে রহিল নন্দলাল

সকলে বলিল- 'ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক্ চিরকাল।'


*** এখান থেকে টুকে দিলুম!

http://www.alkama.org/Classicpoems/NandaLal.html

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.