![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভ্যতার উৎকর্ষ শুরু মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর মাধ্যমে। ক্রম উন্নয়নের ধারায় শিক্ষা-ক্ষেত্রে কলমের কালীর রং কখনো কালো, কখনওবা সাদা। প্রাথমিক যুগে আবক্ষ শক্ত ভিত্তিতে (ব্লাকবোর্ডে) লিখতে ব্যবহৃত হত সাদা চক যা এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে সাদা বোর্ডে কালো মার্কার কলম ও কালো বোর্ডে সাদা মার্কার কলম। কি-বোর্ডে সাদা-কালো অক্ষর বাটন নব প্রযুক্তির অবদান। Believes in the ultimate potential of Human Mind……
শেয়ার পোস্ট : আবিদুল ইসলাম
'ভেতরে বাইরে' লেখার জন্য এখন আওয়ামী লীগের সাংসদ থেকে শুরু করে, উপনেতা, পাতিনেতা, কানাগলির আধানেতা এবং আওয়ামীপনায় মত্ত অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের নব্য সিপাহসালারদের বাহিনী যে মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি এবং বিগত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারকে রাজাকার, পাকিস্তানের দালাল, মীর জাফর, খন্দকার মোশতাকের সমর্থক ইত্যাদি আখ্যায় ভূষিত করবে সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে সন্দেহজনক ভূমিকায় থাকা এবং পরবর্তীতে সুবিধামতো গর্ত থেকে বেরিয়ে আসা অনেক লোকই যুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ব্যক্তিগত সেক্রেটারি মঈদুল হাসানের দিকেও আঙুল তুলেছিল ‘মূলধারা ’৭১’ বইটির কারণে।
শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ শেষে যে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন সেটি ঐতিহাসিক সত্য। এটা অস্বীকার করারও কিছু নেই। কেননা শেখ মুজিব সে পর্যন্ত ছিলেন সমগ্র পাকিস্তানের মধ্যেই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া রাজনৈতিক নেতা। একজন নির্বাচনপন্থী নেতা হিসেবে ঐ মুহূর্তে যে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির চিন্তা তার মাথায় ছিল এটা মনে করাই হাস্যকর। তিনি তখন ছিলেন পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর সাথে ক্ষমতা নিয়ে দরকষাকষির প্রক্রিয়ার মধ্যে। শুধু ঐ দিনই নয়, ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত ফারল্যান্ডের মধ্যস্থতায় ইয়াহিয়া খানের সাথে তিনি আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। এ সময়ে বাঙালি অনেক সামরিক অফিসার এবং রাজনৈতিক নেতা পূর্ব বাংলা আক্রমণের জন্য পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর সামরিক তৎপরতার সংবাদ তাকে জানালেও তিনি তা গ্রাহ্য করেন নি। তাজউদ্দিন লিখিত স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে তার বাসভবনে তাকে সেটি পাঠ করার অনুরোধ জানালে তিনি তা করতে অস্বীকার করেন পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী পরবর্তীতে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে বিচার করবে এই ভয়ে। পরে আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি সেটাও প্রত্যাখ্যান করেন। খুব সম্ভবত ইয়াহিয়া খানের পরবর্তী আলোচনার প্রতারণামূলক প্রতিশ্রুতিতে তিনি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন।
এটা এক ঐতিহাসিক বাস্তবতা যে, কোনো একজন নেতা যেকোনো রাষ্ট্রের একটি অংশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর তিনি তৎক্ষণাত ঐ রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে বেআইনি হয়ে যান। রাষ্ট্রের সরকারি প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সমগ্র অংশই তখন তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে গ্রেপ্তার এবং বিচার করা তাদের কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু তা না করে ১৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ইয়াহিয়া খান-ইবা শেখ মুজিবের সাথে আলোচনা চালিয়ে গেলেন কী করে? তার কারণ হলো ৭ মার্চ রেসকোর্সের ভাষণে শেখ মুজিব ‘ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলা’র আহ্বান জানালেও এ ধরনের কোনো ‘দুর্গ গড়ে তোলা’র প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের মধ্যেও ছিল না। এটা পাকিস্তানি শাসকরাও জানত। একইভাবে একটি আধুনিক সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘যার যা কিছু আছে’ তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বানও কথার কথা বৈ অন্য কিছু ছিল না। যার প্রমাণ ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদারেরা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করার পর ন্যূনতম প্রতিরোধের চেষ্টা না করে হতবিহ্বল এবং অনিশ্চিত অবস্থায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভারতে পলায়ন থেকেই পাওয়া যায়।
আমরা এখন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার ‘গণতান্ত্রিক’ যুগে বসবাস করছি। নতুন গণমাধ্যম সম্প্রচার নীতিমালার যুগে বসবাস করছি। সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক বিচারপতিদের অভিসংশন-ক্ষমতার যুগে বাস করছি। আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কর্তৃক কোনো রকম আইন-কানুনের পরোয়া না করে বিচারবহির্ভূত গুম-খুন-অপহরণের ‘অধিকারে’র যুগেও বাস করছি। এই যুগে সত্য কথা বলার বিপদ আছে। সত্যপ্রকাশের দায়ে এ কে খন্দকারের মতো ব্যক্তিও এক মুহূর্তে রাজাকার হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন, আর আমরা তো কোন ছার! যেকোনো সময়ে অস্তিত্বহীন হয়ে যেতে পারি।
লেখার লিংক: Click This Link
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
*কালজয়ী* বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ++++
57 ধারায় মুখে তালা।