নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গবেষক, পাঠক ও লেখক -- Reader, Thinker And Writer। কালজয়ী- কালের অর্থ নির্দিষ্ট সময় বা Time। কালজয়ী অর্থ কোন নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর বিজয়। বিজয় হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী চিন্তার বিজয়।

*কালজয়ী*

সভ্যতার উৎকর্ষ শুরু মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর মাধ্যমে। ক্রম উন্নয়নের ধারায় শিক্ষা-ক্ষেত্রে কলমের কালীর রং কখনো কালো, কখনওবা সাদা। প্রাথমিক যুগে আবক্ষ শক্ত ভিত্তিতে (ব্লাকবোর্ডে) লিখতে ব্যবহৃত হত সাদা চক যা এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে সাদা বোর্ডে কালো মার্কার কলম ও কালো বোর্ডে সাদা মার্কার কলম। কি-বোর্ডে সাদা-কালো অক্ষর বাটন নব প্রযুক্তির অবদান। Believes in the ultimate potential of Human Mind……

*কালজয়ী* › বিস্তারিত পোস্টঃ

থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সঃ পারমানবিক বিদ্যুতের কল্প-বাস্তবতা (ফিশান থেকে ফিউশন) --- ১

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্থাপিত পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ স্থগিত থাকলেও তা আবার শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার সহযোগিতায় বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কলাকুশলীরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ এক অন্যতম চাহিদায় পরিণত হয়েছে বিধায় বিশ্বব্যাপী এর প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্যনীয়। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে থাকা পারমাণবিক রিএক্টর পুনরায় চালুর উদ্যোগ এক নতুন আগ্রহ-উদ্দীপনা ও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

পৃথিবীতে অনবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তেল, গ্যাস, কয়লা ও অন্যান্য উৎস। বিদ্যুতের অনবায়নযোগ্য উৎস হিসেবে সমধিক পরিচিত। এর বাইরে প্রবল সম্ভাবনাময় এক উৎস হচ্ছে পারমাণবিক রিএক্টরের ফিশান বা ফিউশন বিক্রিয়া থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ। পৃথিবীর বিদ্যুতের চাহিদার ১০.৯% ভাগ আসে এই নিউক্লিয়ার রিএক্টর থেকে।

প্রশ্ন থাকে যে, এই ফিশান বা ফিউশন বিক্রিয়া আসলে কি?

https://www.youtube.com/watch?v=Cqlj4_4hcgU
https://www.youtube.com/watch?v=mBdVK4cqiFs
https://www.youtube.com/watch?v=1U6Nzcv9Vws
https://www.youtube.com/watch?v=5QcN3KDexcU
https://www.youtube.com/watch?v=Kkd2bYAVtOU
https://www.youtube.com/watch?v=_pY5HeZpNr8
https://www.youtube.com/watch?v=xrk7Mt2fx6Y


ফিউশন বিক্রিয়ায় দুইটি হালকা পরমানু পরস্পরের সাথে বিক্রিয়ায় অপেক্ষাকৃত ভারী পরমানু মৌল গঠন করে যার মধ্য থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। ফিউশন বিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন হয় ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম মৌল ধাতু যা পৃথিবীতে পর্যাপ্ত পরিমানে আবিষ্কৃত হয়েছে। আশার কথা হল, এই বিক্রিয়ায় গ্রিনহাউস গ্যাসের কোন ইফেক্ট নেই। ফিশানে প্রধান ভয়টা হল চেইন বিক্রিয়া যা পারমাণবিক দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে। ফিউশনে চেইন বিক্রিয়া না ঘটায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম। কিন্তু এই পারমাণবিক বিক্রিয়ায় বিদ্যুৎ অর্জন কোন সহজসাধ্য ব্যাপার নয়।

https://www.youtube.com/watch?v=ITEXGdht3y8
https://www.youtube.com/watch?v=f5ptI6Pi3GA
https://www.youtube.com/watch?v=HsuUQzhP2Ds
https://www.youtube.com/watch?v=FdyBy2s9I5c

প্রায় এক শতাব্দী হল পারমাণবিক প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পথ উন্মোচিত হয়েছে। কিন্তু এই শক্তি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পারমাণবিক ফিউশন রিএক্টর চালুর প্রধান অন্তরায় হল বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপমাত্রা ধারন বা নিয়ন্ত্রন করার মত প্রযুক্তি, পদার্থ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রকৃতিতে নেই। ফিউশনের পুর্বশর্ত এর তাপমাত্রা ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌছাতে হবে যেখানে তুলনামূলকভাবে সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা মাত্র ৫,৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিজ্ঞানের কল্প-বাস্তবতায় বিজ্ঞানীরা তবুও থেমে যাননি।

পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়া প্রথম শুরু হয় মিলিটারি উদ্যেশ্যে। বর্তমানে অনেকগুলো দেশ একসাথে এর গবেষণা ও উন্নয়নে কাজ করছে। ১৯৮৫ সালে ITER (International Thermoneuclear Experimental Reactor) ২৮ টি দেশ (USA, Russia, EU) এর সমন্বয়ে গঠিত হয় যা বর্তমান প্রজেক্ট ফিউশন এনার্জিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বানিজ্যিক উপযোগিতা যাচাই ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।



এতো কিছুর পরেও আশাবাঞ্জক সংবাদ হল এই যে, বাংলাদেশ থেকে একদল ফিজিক্সের ছাত্র পর্তুগাল থেকে International Physics Olympiad (IPhO) – 2018 তে অংশ নিয়ে পদক অর্জন করেছে।



N. B.: This writing refers courtesy towards Journal of Physics and nuclear power – IOP Science

To be Continued…….

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। এটা অবশ্যই একটা ভালো খবর।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই ইউটিউবের লিংক দিয়া পোস্ট। এইটা আবার আইওপি জার্নালের সৌজন্যে?? বুঝলাম না কি কইতে চাইলেন

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

*কালজয়ী* বলেছেন: Youtube link will make you understand the specific terminology in the journal.........

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.