নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গবেষক, পাঠক ও লেখক -- Reader, Thinker And Writer। কালজয়ী- কালের অর্থ নির্দিষ্ট সময় বা Time। কালজয়ী অর্থ কোন নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর বিজয়। বিজয় হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী চিন্তার বিজয়।

*কালজয়ী*

সভ্যতার উৎকর্ষ শুরু মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর মাধ্যমে। ক্রম উন্নয়নের ধারায় শিক্ষা-ক্ষেত্রে কলমের কালীর রং কখনো কালো, কখনওবা সাদা। প্রাথমিক যুগে আবক্ষ শক্ত ভিত্তিতে (ব্লাকবোর্ডে) লিখতে ব্যবহৃত হত সাদা চক যা এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে সাদা বোর্ডে কালো মার্কার কলম ও কালো বোর্ডে সাদা মার্কার কলম। কি-বোর্ডে সাদা-কালো অক্ষর বাটন নব প্রযুক্তির অবদান। Believes in the ultimate potential of Human Mind……

*কালজয়ী* › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ, গনহত্যা কি বন্ধুত্ব ঠেকিয়ে রাখে?..........(১)

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪২

আজ ৬ আগষ্ট! মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম হিরোশিমা দিবস। আজ থেকে ৭৬ বছর আগে এদিন যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা পরমাণু বোমা হামলায় কেঁপে উঠেছিল জাপানের হিরোশিমা। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানের হিরোশিমা শহরে পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ঘড়ির কাঁটায় তখন জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিট। মার্কিন বিমান বাহিনীর বি-২৯ যুদ্ধবিমান, যেটির নাম ছিল ইনোলা বে, থেকে হিরোশিমা শহরে ফেলা হয় ‘লিটল বয়’ নামে একটি পরমাণু বোমা।

ছবিঃ লিটল বয় পরমাণু বোমা


ছবিঃ ইনোলা বে যুদ্ধবিমান ও এর বৈমানিকেরা

ভয়বহতম এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হন। হিরোশিমা শহরের সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ কেবল বোমার বিস্ফোরণেই মারা যায়। মাটির সঙ্গে মিশে যায় শহরের বেশিরভাগ স্থাপনা। নিমিষেই সাজানো একটি নগরী ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। এটির শক্তি ছিল প্রায় ১২ হতে ১৫ হাজার টন টিএনটির বিস্ফোরণ ক্ষমতার সমান। পাঁচ বর্গমাইল এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল এটি।

ছবিঃ হিরোশিমায় লিটল বয় পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ।


ছবিঃ হিরোশিমা শহরের ৬০ ভাগ ঘরবাড়ি, এলাকা মুহূর্তেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

বোমা হামলার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তেজস্ক্রিয়তার কারণে বছর শেষে আরও ৬০ হাজার মানুষ মারা যান। এই বোমার শিকার হয়েও যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তারা "হিবাকুশা" বলে পরিচিত। তাদের ভয়ংকর শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে বাকী জীবন বাঁচতে হয়েছে।


ছবিঃ হিরোশিমা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে হিরোশিমাকে ‘শান্তির শহর’ ঘোষণা করা হয়। হিরোশিমায় নির্মাণ করা হয় শান্তির স্মৃতি পার্ক। এরপর থেকে প্রতিবছর ৬ আগস্ট শোক ও বেদনার মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণ করে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী। একইসঙ্গে এদিন যুদ্ধবিরোধী প্রচার প্রচারণা চলে এবং পারমাণবিক বোমামুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নেওয়া হয়।

ছবিঃ হিরোশিমা শহরের শান্তিপার্ক

যুদ্ধ, গনহত্যা কি বন্ধুত্ব ঠেকিয়ে রাখে???

২১ শতকে উদীয়মান চাইনিজ শক্তিকে মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। সামরিক, অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ, এনার্জি সেক্টর, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় প্রভৃতি ক্ষেত্রে জাপানের সাথে দহরম মহরম অনেক বেশি। আমদানি বাণিজ্যে চীনের উপর নির্ভরতা কমাতে জাপানিজ পণ্য আমদানি করছে মার্কিনিরা। জাপানে মার্কিন সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার। আমেরিকার পদার্থ বিজ্ঞানীরা জাপানের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র গুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে। আমেরিকা থেকে জাপান প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করছে। সামরিক ক্ষেত্রে ১৯৬০ সালের চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জাপানে কর্মরত আছেন। প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন সেনা, সপ্তম নৌবহরের হেডকোয়ার্টার, ১০ হাজারের বেশি মেরিন সেনা এবং গ্লোবাল হক ড্রোন মোতায়েন রয়েছে জাপানে। চায়না ও উত্তর কোরিয়াকে নজরদারির মধ্যে রাখতে জাপান থেকে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে মার্কিনিরা। রিউকু ও ওকিনাওয়া দ্বীপে রয়েছে সুবিশাল মার্কিন ঘাঁটি। জাপানের একজন উচ্চ পদস্থ কূটনীতিক 'কোজি টমিতাKOJI TOMITA' ওয়াশিংটন ভিত্তিক মার্কিন পত্রিকা 'The Hill' এ “Japan's friendship with the US remains unshakable” শিরোনামে প্রবন্ধে লিখেছেন, "The disaster(earthquake and tsunami) that left nearly 20,000 people dead or missing and forced nearly 500,000 people to evacuate. As the Japanese people look back on this history-making event, I remember with profound gratitude the outpouring of aid and support from our American friends."

প্রবন্ধের লিঙ্কঃ "Japan's friendship with the US remains unshakable"

কূটনীতিক কোজি টমিতা গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাপানের আমেরিকান বন্ধুদের প্রতি। কারণ ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্থ জাপানের পাশে মার্কিনিরা এগিয়ে এসেছে। গণহত্যার স্মৃতি একপাশে তুলে রেখে জাপান এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরম মিত্র। সত্যিই তো, এই ২১ শতকে গণহত্যা কি বন্ধুত্ব ঠেকিয়ে রাখে? না, রাখে না। জাপান হচ্ছে তার বাস্তব উদাহরণ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

সাসুম বলেছেন: এক সময়ের পরক্রমশালী জার্মানি যারা ইহুদি মেরে সাফ করে ফেলেছিল, তারাও আজ ইস্রায়েলের বন্ধু মানুষ।

নাঙ্কিং এ জেনোসাইড চালানো জাপানিরাও এখন চায়নায় মধ্যে ভাল রিলেশান বজায় রাখে। সিনো-চায়না রিলেশান বহুত ক্রিটিকাল।

বিজনেস, ইকোনমি, ভূ- রাজনীতি এসবের খেল বুঝা ভার।

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২১

*কালজয়ী* বলেছেন: @@সাসুম,

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।

বিজনেজ,ইকোনমি,ভু-রাজনিতি এসব সত্যিই জটিল বিষয়।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো দরকার সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে হোক অথবা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে। অন্ধকার যুগে মানুষ হানাহানি নিয়ে থাকু। এখন আমরা একবিংশ শতাব্দিতে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন দরকার।

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

*কালজয়ী* বলেছেন: @@সেলিম আনোয়ার,

ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এখন বোমার যা মজুদ আছে তাতে চাঁদ সহ পৃথিবীকে বেশ কয়েক বার ধ্বংশকরে ফেলা যাবে।
শুধু শান্তি আর শান্তি।

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০২

*কালজয়ী* বলেছেন: @@মরুভূমির জলদস্যু,

আমেরিকা যেমন পরমানু বোমা মেরে জাপানের সাথে শান্তি কায়েম করেছে, আপনি কি তেমন শান্তি চান্না???

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলার একদা বলেছিল, "শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন অনিবার্য।"

ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: তারা প্রতিশোধ পরায়ন হয়নাই বলেই আজকে এতো উন্নয়ন।মুসলমান হলে আখেরাত পর্যন্ত মনে রাখতো।

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০১

*কালজয়ী* বলেছেন: @@কামাল১৮,

দশম শতকে ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের সম্মিলিত বাহিনী প্যালেস্টাইনের প্রান্তরে সালাউদ্দিন আইয়ুবির কাছে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধে পরাজিত হয়।

২১ শতকের প্রথম দশকে জর্জ ডব্লিউ বুশ ঘোষণা করেন আমরা আফগান তালেবান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ ঘোষণা করছি। যা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ বলে বুঝে থাকেন বুদ্ধিজীবীরা।

অমুসলিমরাও তো দেখছি যুদ্ধ, পরাজয়, ধর্মযুদ্ধ এইগুলা মনে রাখে।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: কয়টা জাপানি গায়ে বোমা বেঁধে আমেরিকা গিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে।বহু আমেরিকান সৈন্য জাপানে আছে ইচ্ছা করলে তাদের কয়েক জনকে হত্যা করতে পারতো মুসলমানরা যেটা করে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৩

*কালজয়ী* বলেছেন: @@কামাল১৮,

জাপানিরা সুইসাইড বম্বার না। কিন্তু তাদের হীনমন্যতা ও আত্মহত্যার মাত্রা তীব্র লেভেলে চলে গেছে। নিচের পরিসংখ্যানটা দ্যাখেন।

In 2020, Japan reported 16.7 suicides per 100,000 inhabitants.
Suicide rate in Japan 2011-2020
https://www.statista.com/statistics/622249/japan-suicide-number-per-100-000-inhabitants/

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন সময় বদলেছে ইসলামে ধর্মের চেয়ে রাজনীতি প্রাধান্য পাচ্ছে।
ক্রুসেড জয়ী সালাউদ্দিন আইয়ুবিকে এখন আর মুসলিম মনে করা হয় না। ক্ষমতাধর আরবরা কুর্দিদের অমুসলিম ধরে নিয়ে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত রাখে।

তুরষ্ক ইরান ইরাক সিরিয়ার তৎকালিন ক্ষমতাবান মুসলিমরা নিজেদের এলাকা সুরক্ষিত করতে সালাউদ্দিনদের বংশধর কুর্দিদের কচুকাটা করে, রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে একটি ছোট এলাকায় কোনঠাসা করে রেখেছে।
সালাউদ্দিনদের দেশ কুর্দিস্থান সফল হলে আরব ও মধ্যএশীয়ায় এটিই সবচেয়ে বৃহৎ শক্তিশালী দেশ, শিক্ষিত উদার মুসলিম দেশ হওয়ার কথা ছিল।

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৪

*কালজয়ী* বলেছেন: @@হাসান কালবৈশাখী,

সঠিকভাবে ইসলাম জানা ও মেনে চলাই ইসলামী রাজনীতি। আল-কোরান রাজনৈতিক গ্রন্থ।

ইসলাম এক। কিন্তু মুসলমানরা বিভিন্ন ফ্রাকশনে বিভক্ত। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান কম বা না থাকার কারনে এই বিভক্তি। আরবে সংখ্যালঘু মুসলিমরাও নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত। যেমন, সৌদি আরবে শিয়া মুসলিমরা বঞ্চিত। কুর্দিরাও। এই সমস্যার সূত্রপাত ঘনীভূত হয়েছে ব্রিটিশদের দ্বারা আরবকে ভেঙ্গে অসংখ্য দুর্বল রাষ্ট্রের সৃষ্টির কারনে যেখানে জনগনের কোন প্রকৃত মতামত ছিল না।
সালাউদ্দিন মুসলিম না এইটা পশ্চিমাপন্থী দালালদের প্রচার। প্রচারসন্ত্রাস।

ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত আরবে ওহাবিরা ব্রিটিশ অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে তুর্কি মুসলিমদের হত্যা করেছে স্রেফ ক্ষমতার লোভে। ইউরোপীয়রা আরবকে রাজনইতিকভাবে দুর্বল ও বিভক্ত করেছে ‘divide and rule’ রাজনৈতিক পলিসি দ্বারা।

সালাউদ্দিন আইয়ুবি কোন ইসলামী আলেম নয়, একজন মুসলিম রাজা/বাদশাহ ছিল মাত্র। ইতিহাস পড়ে দ্যাখেন কোন রাজবংশই শত বছরের পড়ে নিজেদের ধরে রাখতে পারেনি।

আবারো বলছি, আরবকে ভেঙ্গে দুর্বল করে সেখানে পুতুল রাজাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে।

সৌদি আরব ও ইরান দুটোই মুসলিম রাষ্ট্র। সৌদি আমেরিকা-ইসর্রায়েলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনে ইরানকে মোকাবেলা করতে। এই রাজনীতি পশ্চিমাদের তৈরি।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ঠিকভাবে ইসলাম জানা ইসলামী রাজনীতি। আল-কোরান রাজনৈতিক গ্রন্থ।
এসব কাহার কথা? কোন কিতাবের কথা শুনি?

সালাউদ্দিনরা মুসলিম না কুর্দি, শিয়া, আহামদিয়ারা মুসলিম না এইটা পশ্চিমাদের প্রচার?
নাকি দখলদার রাজনৈতিক ইসলামিস্ট দের প্রচার?
শিয়া মসজিদে আহমদিয়া মসজিদে পেটে বোমা বেধে কারা ঢোকে?
নিজেদের দোষ আর কত ঢাকবেন?

আল-কোরান রাজনৈতিক গ্রন্থ হয় কিভাবে?
নামাজ রোজা হজ্ব জাকাত সবই ব্যক্তিগত। নামাজ মসজিদে বা বাসায় একই ফরজ আদায়।
হাসরের ময়দানে, পুলসেরাতে ও শেষ বিচারও ব্যাক্তিকেন্দ্রিক। একাই থাকবে, ইসলামী নেতারা থাকবে না সুপারিস ও থাকবে না দলও থাকবে না, ইভেন পরিবারের কেউওই থাকবে না। বেহেস্তে গেলেও একক ভাবে যাবে। একা + সেভেন্টিটু হোর।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: সাচ্চা মুসলমান হলে মোল্লাদের মতো চিন্তা ভাবনার প্রকাশ ব্লগেও করতে হয়।সবকিছুই ইহুদি নাসারারা করছে,মুসলমানরা কি বসে বসে — ফালায়।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৫৩

*কালজয়ী* বলেছেন: @@কামাল ১৮,

ইহুদী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার "photo electric effect" তত্ত্বের জন্য নোবেল পেয়েছেন। বিজ্ঞানে তার অবদান অনস্বীকার্য।

কমেন্টটা আবার পড়ুন।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:২৬

*কালজয়ী* বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী,

তুমি কি সেই লোকেদের প্রতি লক্ষ্য করনি, যারা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের এবং তোমার আগে অবতীর্ণ কিতাবের উপর ঈমান এনেছে বলে দাবী করে, কিন্তু তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, অথচ তাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, শয়ত্বান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে বহুদূরে নিয়ে যেতে চায়। সূরা নিসা:৬০।

উপরে কোরআনের আয়াতটা রাজনৈতিক। চিন্তা করুন।


পশ্চিমা ডিপ স্টেট নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। পুরো আরব পশ্চিমা ডিপ স্টেটের পকেটে। সারা বিশ্বে আরবের পেট্রো ডলারের বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। মুসলিম বিশ্বের কওমি মাদ্রাসার থেকে যেইসব আলেম বের হয় এর মধ্যে যারা আরবের রাজা বাদশাহদের অনুগত তাদের মূল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে পশ্চিমারা। ফ্রাকশন, divide and rule পলিসিগুলো নিয়ন্ত্রণ করে পশ্চিমা ডিপ স্টেট। এই ডিপ স্টেটের বিরোধিতা মানে পদচ্যুত, মৃত্যু অনিবার্য। উদাহরণ, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার গাদ্দাফি। কিন্তু সিরিয়ার বাসার আসাদের সাথে এখনও পেরে ওঠেনি।

পশ্চিমা ডিপ স্টেট নিয়ে পড়াশোনা করেন। আরবের রাজা বাদশাহদের বৈশ্বিক পেট্রো ডলার রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৩৭

*কালজয়ী* বলেছেন: @@কামাল১৮,

ফাইজারের বায়োএনটেক করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছেন দুইজন মুসলিম বিজ্ঞানী অধ্যাপক উগর শাহীন ও ডাক্তার উজলেম টুরেসি। বৈশ্বিক করোনা মহামারী মোকাবেলা করে মানুষের প্রাণ রক্ষা ও বিজ্ঞানে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।

কমেন্টটা আবার পড়ুন।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৪৯

*কালজয়ী* বলেছেন: @@হাসান কালবৈশাখী,

নামায,রোজা,হজ্জ, যাকাত এগুলো ব্যাক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক মুসলিম উম্মাহ ধারণার সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ ইউনিক পলিটিক্যাল।

আপনাকে জানতে হবে, মুহাম্মদ সাঃ কেন ১০ হাজার সাহাবী নিয়ে মক্কায় হজ্জ করতে গেলেন এবং মক্কা বিজয় করলেন। অর্থাৎ হজ্জ কেন রাজনৈতিক??

সমাজের প্রভাবশালী ক্ষমতাবান সামর্থ্যবানদের যাকাত দিয়ে সমাজে ধনী দরিদ্রের ব্যবধান কমাতে যাকাত বাধ্য করা হয়েছে। আপনাকে জানতে হবে যাকাত এখানে সামাজিক রাজনৈতিক।

রমজানে রোজা ফরজ করা হয়েছে যাতে ব্যক্তি পরিশুদ্ধ হয়ে মুসলিম উম্মাহর সেবক হতে পারে। ব্যাক্তির রাজনৈতিক হয়ে ওঠার জন্য রোজা পরিশুদ্ধির মাধ্যম।

কাঠমোল্লার কাছ নয়, নির্মহ গবেষণা থেকে ইসলাম জানুন।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০৫

*কালজয়ী* বলেছেন: @@হাসান কালবৈশাখী,

শিয়া,আহমদিয়া মসজিদে যারা সুইসাইড বোম্বার তাদের মনস্তত্ত্ব জানুন।

একটা মানুষকে ব্রেইন ওয়াশ করে তার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেওয়া যায়। সেটা সত্য না মিথ্যার পক্ষেই হোক না কেন।

ব্যাক্তির বিচার দিনের হিসাব এককভাবে হবে না। যে ব্যাক্তি যে নেতার অনুসারী - নেতার সাথে সাথে অনুসারীরাও বেহেশত কিংবা দোজখে যাবে। অর্থাৎ ব্যাক্তিগত ও সমষ্টিগত উভয়ই আছে। আপনাকে জানতে হবে ইসলাম ধর্ম শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত ধর্ম নয়, সমষ্টিগত রূপও আছে ইসলামে।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বার্থটাই বড় জিনিস। স্বার্থের কারণে এক কালের চরম শত্রুর সাথেও মিলেমিশে কাজ করতে হয়। রাষ্ট্রগুলির প্রতিহিংসা পরায়ন হওয়া উচিত না। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার দরকার আছে অনেক সময়। আবেগ দিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থার চলা উচিত না। সম্পর্ক হওয়া উচিত উইন উইন। ভারত আর বাংলাদেশের সম্পর্কের মত না।

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

*কালজয়ী* বলেছেন: @@সাড়ে চুয়াত্তর,

বন্ধুরাষ্ট্র ও শত্রুরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক একরকম হবে না। বন্ধুর জন্য কোমর সমান পানিতে নামা যায়, শত্রুর জন্য নয়। শত্রুরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক হবে পুরোপুরি কূটনৈতিক ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে। কূটনীতিতে বাংলাদেশ ভারতের সাথে পেরে উঠছে না, এটা প্রকট বাস্তবতা।

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

*কালজয়ী* বলেছেন: @@সাড়ে চুয়াত্তর ,

রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার দরকার আছে অনেক সময়। আবেগ দিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থার চলা উচিত না। সম্পর্ক হওয়া উচিত উইন উইন।

ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.