![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। অনলাইনে চাইলেই আমরা মুহূর্তেই যে কোনো তথ্য বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পারি। চাইলেই আমরা পৃথীবির নানা খবর পেতে পারি মুহূর্তেই। তবে তথ্য জানানো ও পাবার মধ্যে একটা বিষয় অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেটি হচ্ছে সত্যতা। সাংবাদিকতার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সত্যতা। সাংবাদিকরা সব সময় সত্য ও সঠিক তথ্য তুলে ধরবে। সোর্স থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করবে। কোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য সংবাদ হতে পারে না। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমেই পাঠককে আকৃষ্ট করতে হবে।
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে অনলাইন নিউজপোর্টাল। যে কেউ ওয়েবসাইট খুলে বনে যাচ্ছেন সাংবাদিক। রাজধানী ঢাকাতেই সহস্রাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি জেলায় একাধিক অনলাইন নিউজপোর্টল রয়েছে। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদমাধ্যম মূলধারার সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে পরিচালিত হচ্ছে। তাহলে বাকিগুলো? বাকিগুলো চলছে অন্যের সংবাদ 'চুরি' করে। মানে কপি অ্যান্ড পেস্ট। এরা স্পটে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করছে না। তাই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই সংবাদ প্রকাশ করছে।
ফলে পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তারা সংবাদমাধ্যমের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কোনও কোনও সংবাদকে ভুয়াও বলছেন। অনেক সময় পাঠকরা মূল ধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যম চিনতেও ভুল করছেন। তারা বিভিন্ন গুজবকে সত্য মনে করছেন। পাঠককে তাই সত্যের সন্ধান দিতে হবে। পাঠকের আস্থা অর্জন করতে হবে। কোনোভাবেই পাঠককে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো এখন অনেকটাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। মুহূর্তেই পাঠক টানতে ফেসবুক-টুইটারে সংবাদ শেয়ার করা হয়। সেখানে সংবাদ সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে পাঠক তার মন্তব্য করে ফেলছেন। সংবাদের ভালো-মন্দ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এক পাঠক আরেক পাঠকের সঙ্গে সংবাদের সত্যতা, বস্তুনিষ্ঠতা, পক্ষপাতিত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছেন। পাঠকের এই প্রতিক্রিয়া প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে নতুন নতুন চিন্তা করতে শেখাচ্ছে।
অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তাৎক্ষণিকতা তথা ব্রেকিং নিউজ। যখনই ঘটনা তখনই সংবাদ। সবার আগে সবচেয়ে লেটেস্ট সংবাদ জানানো অনলাইন সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আবাদ তথ্য প্রবাহের এই যুগে পাঠক আর একদিন আগের নিউজ পড়তে চায় না। তারা বলে এই নিউজ গতকাল অমুক অনলাইনে কিংবা ফেসবুকে দেখেছি। অনলাইন সংবাদিকদের প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে নয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সব মানুষের সঙ্গেও। কেননা কোনও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন অনেকেই ফেসবুকে ছবিসহ কিংবা ছবি ছাড়া নানা ঘটনা তুলে ধরছে। আবার অনেকেই গুজব ছড়াতে ফেসবুক ব্যবহার করছে। তাই অনলাইন সাংবাদিকদের সব সময় অনলাইনে নজরদারির পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে খবরের সঙ্গে থাকতে হয়।
তাৎক্ষণিক সংবাদ এবং সত্য সংবাদ নিয়েই মূলত অনলাইন সাংবাদিকতা। দেশে ইন্টারনেট প্রসারের ফলে দিন দিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম জনপ্রিয় হয়ে হয়ে উঠছে। প্রসার ঘটছে অনলাইন সাংবাদিকতার। দেশের খ্যাতনামা সাংবাদিকরাও নিজেকে আপডেট রাখতে অনলাইন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে কাজ করছে সরকার।
তারই ধারাবাহিকতায় অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে গত বছরের ১৯ জুন 'জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭' এর খসড়া অনুমোদন করে সরকার। তবে সেটি ২০১৮ সালের এপ্রিলেও চূড়ান্ত করতে পারেনি । দেশে কতটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম রয়েছে তার হালনাগাদ কোনও তালিকা সরকারের কাছে নেই। তবে অনলাইন সংবাদমাধ্যম হিসেবে নিবন্ধনের জন্য দুই হাজার ১৮টি আবেদন পড়েছে বলে চলতি বছরের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছিলেন।
লেখক: সাংবাদিক
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
রুহুল২০১১ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৪
রুদ্র নাহিদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
রুহুল২০১১ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার পোস্টের যথার্থতা প্রমান করতেই যেন হাসান মাহবুব একটা পোস্ট দিয়েছেন!!!
বিসিএস কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট স্ত্রী, মহান ব্যারিস্টার,অদ্ভুত এক চিঠি এবং রেল স্টেশনে ফেলে আসা মা, বুঝে শুনে নিউজ ভাইরাল করছেন তো? এই শিরোনামে।