নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমজান্তা দার্শনিক

কমজান্তা দার্শনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যসেন্ সাবেরি

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪২





লোকটার চেহারা একেবারে ক্যাবলাকান্ত ছিল। কিংবা আরো এক ডিগ্রি ওপরে- ভ্যাবলাকান্ত । তাই আশাবাদি হয়ে এগিয়ে যাই আমি আর শাকিল। মক্কেল পাওয়া গেসে, এইটারেই তো দরকার। আমরা ক'জন মিলে তখন এখটা ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানানোর চেষ্টা করছিলাম তখন। আমার ক্ষীণ কারিগরি জ্ঞান, তারচে' ক্ষীণ ইতিহাস জ্ঞান এবং তারচে' ক্ষীন বাজেট নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি ফিল্ম। বিষয় সূর্যসেন। স্থান চট্টগ্রাম কলেজের গেট। সময় ২০০৪ সাল। তো আমাদের উদ্দেশ্য ছিল 'সূর্যসেন' বিষয়ে লোকজনের অজ্ঞতা ভাঁজিয়ে ডকুমেন্টারির লোকজনকে মজা দেয়া। এইটুক মজা না পেলে লোকজন কী আর ডকুমেন্টারি দেখবে?

তো এগিয়ে গেলাম ভ্যাবলা-দার দিকে। লাইট- ক্যামেরা -অ্যাকশন। ভ্যাবলাকে প্রশ্ন করলাম "যদি সূর্যসেন কে ছিলেন এ ব্যাপারে একটু বলতেন।" উনি যখন বলতে শুরু করলেন, লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে গেল। সূর্যসেন বিষয়ে ঊনি মোটামুটি ছোটখাট বিশেষজ্ঞ। এমনকি, পুলিশ লাইন অস্ত্রাগার কিংবা অফিসার্স ক্লাব, যে ঐতিহাসিক জায়গাগুলো আমরা তখনো খুঁজে পাইনি- ঊনি সে জায়গাগুলি চেনেন। মুরগী বানাতে এসে নিজেই মুরগী বলে গেলাম। পরে ঊনি একরকম রিসোর্স পার্সন এর মত আমাদের অনেক সাহায্য করেছিলেন। সেই ডকুমেন্টারির কাজ অনেক আগে করা। এমনকি বলিউডের আশুতোষ গোয়াড়িকর তখনো তার সূর্যসেন বিষয়ক সিনেমাটা বানাননি। কিংবা বেদব্রত পাইন তখনো নাসায় বসে ভেরেন্ডা ভাজছিলেন। চিটাগাং ছবিটা আরো অনেক পরে করা।

জায়নামাজ নিয়ে বাঙালীর মেলা গদগদ ভাব আছে। জিনিসটা মাথায় রাখবে না কোলে রাখবে তাই নিয়ে দিশ্ পায় না। পারলে জায়নামাজ ধোয়া পানি খায় দিনে তিনবেলা। কিন্তু, যতটা টেনশন তার জায়নামাজ নিয়ে, তত টেনশন নামাজ নিয়ে নয়। তারচে' কম টেনশন ঈমান নিয়ে। কারণ, ঈমাণ-নামাজ ধরা যায়না। অ্যাবস্ট্রাক্ট। আর জায়নামাজ ধরা যা। কনক্রিট।

"ও মামা, এইখানা 'স্টিক' কই পামু?" যেকোন শহরে গিয়ে রিকশাওয়ালারে জিগান। নাইন্টি পার্সেন্ট সম্ভাবনা মামা সেইটা আপনাকে জোগাড় করে দিবে। আর যদি জিগান "মামা, এইটা ফাটামু কই?" নাইন্টি পার্সেন্ট সম্ভাবনা, মামা আপনাকে এলাকার শহীদ মিনারটায় নিয়ে যাবে। হুম! আমাদের শহীদ মিনারগুলার (বেশীরভাগ) অবস্থা এর চাইতে খুব একটা ভাল না। পারলে বুকে হাত দিয়া অস্বীকার করেন। মজাটা হইল - আমি জানি, এখন আপনার মাথায় কী ঘুরতেসে। স্টিকও না, রিকশাও না, শহীদ মিনারও না। আপানার মাথায় ঘুরতেসে, জাফর সাদেক এতকিসু জানল ক্যামনে? জনাব, এই জিনিস জানতে এই জিনিসের সহি এস্তেমাল না করলেও চলে- খালি ছাদে মাল থাকলেই হয়। আচ্ছা, এই কমনসেন্সটা একটু ইউজ করেই বলেনতো, সাবেরি আলম (এইটাই তো নাম, নাকি?) এর বর্তমান অবস্থা কী? আমরা জানিনা তার মনোজগতের খবর। জানিনা এই ভিডিও তার সামাজিক জীবনে কী প্রভাব ফেলছে। কিংবা তার ক্যারিয়ারে। জানার দরকারও নেই। বাংলাদেশে ভিক্টিমদের চেয়ে অপরাধীরাই ভিআইপি। আর আসল জিনিসের চেয়ে দামী নকল জিনিস।

তো যেই কারণে এই প্যাঁচাল। সাবেরি আলম এর ভিডিওটা দেখে আমিও মজা পাইসি। ক্ষণিকের বিনোদনের খোরাক হিসেবে জিনিসটা ভাল ছিল। সেইরকম। কিন্তু, সেই ক্ষণিকের মজাটা শেষে যদি ভাবতে বসি, এই ভিডিওর আউটপুট-টা কি? বাংলাদেশের সমাজ ব্যাবস্থায় এই জিনিসের অবদান কী? উত্তর হল, কচু। মানকচুর চেয়ে বড় কোন কচু থাকলে ঐটা। এইখানে সাবেরি আলম নিমিত্তমাত্র। সময় টিভির টিআরপি বাড়ানোর কৌশল। বেচারা বলি হয়েছে বেঠিক সময়ে বেঠিক জায়গায় থাকার জন্য। তার স্টার ইমেজ হয়েছে প্রতিবেদক সাহেবের মূলধন। বোধহয় এতক্ষণে একটা প্রমোশন, কিংবা বোনাস, নিদেন গন্ডাতিনেক পিঠচাপড়ানো কামাইয়া ফেলসেন উপরওয়ালার থেকে। আর সাবেরি এখন কী করছেন?

বা তারচে' পর






মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম।
মন্দ হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.