![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কানাডার কানাগলিতে আপনাকে স্বাগতম! এখানে ঢোকার আগে বোঝার উপায় নেই এই গলির হাল হক্বিকৎ। বাইরে থেকে এতই শান-শওকত, গলিটাকেই মনে হয় রাজপথ। রাজপথ ভেবেই সবাই কানাডায় পা রাখতে চায়, রাখেও অনেকে। এরপর শুরু হয় যুদ্ধ।টিকে থাকার জন্য, জিতে যাওয়ার জন্য। এই যুদ্ধে যোভি জিতা, ভোহি সিকান্দার। কিন্তু ক'জন হয় সেই রাজ্যজয়ী সিকান্দার? সে হিসাব আমার কাছে নেই!
আমার কাছে আছে আমার হিসাব।
১০ মাস
৪৯২+ অ্যাপ্লিকেশন
২২টা প্রথমিক বাছাই ইন্টারভিউ
১৭টা ফাইনাল রাউন্ড ইন্টারভিউ
৬টা ক্যাম্পাস ভিজিট/ রেফারেন্স চেক (ফাইনাল স্টেজ, যাদের জব হবে, তাদের জন্যই সাধারণত এই স্টেজ)
তারপরেও ২২টা রিজেকশন লেটার।
২৩ নাম্বারে গিয়ে "তারপর বেলা মুক্তি"!
গত পোস্টের পর ইনবক্সে টোকা দিয়ে দুয়েকজন শুনতে চেয়েছেন আমার স্বপ্নের চাকরি পাবার অভিজ্ঞতা। ভাবলাম ওদের সাথে গোপনে শেয়ার করার চাইতে এখানেই শেয়ার করি সেই গল্প। ডিসক্লেইমারটাও দিয়ে রাখা ভাল- এইটা কোনো উপদেশমূলক পোস্ট না।খুব গবেষণামুলকও না। শুধুই আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভংগি আর মতামত শেয়ার করলাম। অনেক বড় লেখা, আপনার জন্য প্রযোজ্য না হলে পড়ার দরকার নাই।
আমি এখন কাজ করছি ডালহৌসি ইউনিভার্সিটিতে- আটলান্টিক এলাকার সবচে' বড় উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আছি ট্রুরো এগ্রিকালচারাল ক্যাম্পাসে, গ্লোবাল এডুকেশন অ্যডভাইজার হিসেবে। গত ৩ বছরে মধ্যে ৩য় কোন দেশে এটা আমার ৩য় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি। দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। একটা মিডিওকোর ডিপার্টমেন্টে- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। জুতো সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ টাইপ সব জব করেছি। ফাইনালি থিতু হয়েছি স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রফেশনে***। এরপর আমেরিকায়, কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একটা প্রফেশনাল মাস্টার্স করেছি। প্রোফাইল বলতে এটুকুই। তাহলে যাওয়া যাক ক্যানাডিয়ান জব খোঁজার কাসুন্দিতে।
১। চাকরির আবেদন শুরু করেছি গত বছর । এপ্রিল মাসে। তো আমার প্রফেশনে মার্চ থেকে জুন চাকরির জন্য গরম সময়, এই সময়ে প্রচুর রিক্রুটমেন্ট হয়। কারণ, ইউনিভার্সিটিগুলোতে আগস্ট/সেপ্টেম্বরে ক্লাশ শুরু হয়, তার আগেই নতুন এম্প্লয়িকে গড়ে পিটে নেয়া যায়। তবে ওয়ার্কোপোলিস বলছে, কানাডায় অন্যন্য জবের জন্য আগস্ট থেকে জানুয়ারি সবচে ভাল সময়- জানুয়ারিতে সবচে' বেশী চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। সুতরাং, যারা চাকরি খুঁজছেন, নিজেকে তৈরী করার এখনই সুবর্ণ সময়।
২। নিজেকে তৈরী জিনিসটা একটা হলিস্টিক প্রসেস। মোটামুটি বিগত জীবনের পড়ালেখা আর অভিজ্ঞতা এর একটা বড় অংশ। তবে আপনি জব-সিকার মানে আপনার অবস্থা বিয়ের কনের মতো। আপনি যদি বিয়ের কনে হতেন, ঢলঢলা ট্রাউজার আর ভি-কাটের টি-শার্টে আপনাকে যতই "মারদাঙ্গা ক্রাশ" টাইপ সুন্দরিই লাগুক না কেন, বিয়ের স্টেজে উঠতে হলে বিয়ের পোষাকই লাগবে। একটা লাল জামদানী , গায়ে আধাকেজী মেক আপ , সোনা আর নকল সোনার বহরদার গয়ণা পরে, তবেই। সো, আপনি যতই যোগ্য হোন, চাকরির বাজারে আপনাকে একটা সুলিখিত রেজুউমের শাড়ী , যথাযথ কাভার লেটারের মেক-আপ আর ইন্টারভিউ-স্কিলের গয়ণা পরেই দাঁড়াতে হবে নিয়োগবোর্ডের সামনে।
৩। নিজের ফিল্ড সম্পর্কে জানতে হবে, জানতে হবে নিজের প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে। বাজারটা বুঝতে হবে। বাজার বলতে কানাডার চাকরিবাজারই বুঝিয়েছি। আর আপনার লক্ষ্য থাকতেই পারে ফরচুন ফাইভ হান্ড্রেড টাইপ প্রথম সারির প্রতিষ্ঠাণ। কিন্তু সেটার জন্যই শুধু গ্যাঁট হয়ে বসে থাকার দরকার নেই। আমি প্রথম আবেদনেই ইন্টারভিউতে ডাক পে্যেছি। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। জব না হলেও, প্রথম আবেদনেই হাই র্যাংকের ভার্সিটিতে ডাক পাওয়ায় দীর্ঘদিন নাক উঁচা করে রেখেছিলাম। কিছুদিন অনেক জায়গায় আবেদনই করিনি। এই ভুলটা না করাই ভাল। সব ধরণের প্রতিষ্ঠানে সুইটেবল পজিশনে আবেদন করুন। আজ হয়তো অগা-বগা কোম্পানিতে কাজ শুরু করবেন, কিন্তু এটা আপনাকে আগামীকালের জন্য যোগ্যতর করে তৈরী করবে।
৪। আপনার ফিল্ডে জব নেই? ব্যাপার না! শুরু করুন অন্য কোন রেলেভেন্ট ছোটখাট চাকরি/অডজব। আপনার ফিল্ড অ্যাকাউন্টিং? আছে ক্যাশিয়ারের জব। ম্যানেজমেন্ট? ও্য়্যারহাউজে আছে ইনভেন্টরি টুকে রাখার সস্তা চাকরি। এইচআর? রিক্রুটমেন্ট এর ঘন্টা মাপা কিছু জব অনলাইনে খুঁজলেই পাবেন। মার্কেটিং এর জবের তো অভাবই নেই। ক্রেডিট রিকভারির জবগুলো ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা থাকলে সহজেই পাওয়ার কথা। জব বড় ব্যাপার না, বড় ব্যাপার আপনি সেই জবটা পরে ক্যামনে বেচলেন। আমার জব ছিল কল সেন্টারে স্যামসাং এর টেকনিকাল সাপোর্ট দেয়া। ইন্টারভিউতে বলেছিলাম কীভাবে আমি বিপদাপন্ন কাস্টমারদের অ্যাডভাইজিং এর মাধ্যমে সাহায্য করি, কীভাবে ঘাড়ত্যাড়া কাস্টমার সামলাই আড় এই টেকনিক্যাল স্কিল ক্যামনে আমার অডভাইজিং এ ভ্যালু অ্যাড করবে! ব্যাস! ফলাফল হাতেনাতেই। এর আগে ব্রক ইউনিভার্সিটিতে একটা জব হতে হতএ হয়নি শুধু একটা কারণে- ক্যানাডায় দুইমাস থাকার পরেও কেন কোন ধরণের জব শুরু করিনি- ওদের এই প্রশ্নের আমি কোন সদুত্তর দিতে পারিনি।
৫ । রেজিউমে তো ইজি, কেমনে লিখতে হয় সেটা তো আমরা সবাই জানিই- আমাদের সবচে ভুল ধারণা হলো এইটা। আমরা অনেকেই যেটা চিনি, সেটা রেজিউমের কাছাকাছি একটা জিনিস, তবে রেজিউমে না। অনেকেই আবার সিভিকে রেজিউমে হিসেবে চেনেন। বাপ, দাদার কীর্তি লেখা বায়োডাটাকেও অনেকে রেজিউমে বলে চালিয়ে দিতে চান। আর আমার মত যারা আমেরিকা কিংবা ইউরোপ ফেরত, তারা একটু দেমাগে থাকি। আগের রেজিউমে দিয়েই মারতে থাকি আবেদন। লাভ নাই! কানাডিয়ান রেজিউমে অন্য জিনিস। একটা ক্যারিয়ার সেন্টারে অ্যসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ছিলাম, আর রেজিউমে-র উপর পোলাপানকে তিনবছর ওয়ার্কশপ করিয়েছি- তারপরেও ক্যানাডিয়ান রেজিউমে বুঝতে আমার ৩ ঘন্টা লেগেছিল।ক্যানাডিয়ান রেজিউমে কী, দেখতে কেমন- এর উপর ডজনখানেক বই পাবেন আপনার কাছের পাবলিক লাইব্রেরীতে। সাথে ইণ্টারনেটতো আছেই। অনেকে বলবে এম্প্লয়মেন্ট কাউন্সেলরের কাছে যেতে। আমিও বলবো অবশ্যই। কিন্তু তারপরেও নিজেকেই প্রচুর সময় দিতে বলোব রেজিউমে-র জন্য। আপানর সম্পর্কে আপানর চেয়ে ভাল কেউ জানে না, লিখেও দিতে পারবে না। বিস্তারিত বল্লাম না, কারণ এইটা নিয়েই পাঁচটা পোস্ট লেখা যাবে। শুধু একটাই প্রশ্ন, চাকরির জন্য ৪বছর ব্যাচেলর করতে পারলেন, ২ বছর মাস্টার্স- আর ঘন্টা দশেক সময় দইয়ে এখটা রেজিউমে বানাতে পারবেন না?
৬। কাভার লেটার এক পেজের হবে, ত্যানা প্যাঁচানোর চাইতে পয়েন্ট আকারে মূল কথা লেখা ভালো। প্রতিবার অ্যাপ্লিকেশনে তরতাজা কাভার লেটার লিখুন- চাকরির বিজ্ঞাপনে যে কী-ওয়ার্ড ব্যাবহার করা হয়েছে, এগজ্যাক্টলি সেই কী ওয়ার্ড ব্যাবহার করে করুন নিজের বিজ্ঞাপন। মিথ্যা বলতে বলছি না, তবে টেকনিক্যাল হোন। একটা উদাহরণ দিই। ক্যানাডায় আমার জবে সাধারণত: ব্লাকবোর্ড নামের একটা সফটওয়্যার ব্যাবহারের অভিজ্ঞতা চায়। ব্লাকবোর্ড আমি হালকা দুয়েকবার ব্যাবহার করেছি, তাও স্টুডেন্ট হিসেবে। কিন্তু একই ধরণের সফটওয়্যার মুডল, গুগল ক্লাসরুম, ক্যানভাস, ব্রাইটস্পেস ব্যবহারে আমি মাস্টার। সুতরাং, বিজ্ঞাপনে যদি ব্লাকবোর্ড চায়- আমি কাভার লেটারে নিজেকে ব্লাকবোর্ডের মাস্টার দাবী করি; কারণ, আমি কনফিডেন্ট, ইন্টারভিউতে এই সম্পর্কিত যে প্রশ্নই হোক, আমি সামলাতে পারব। কিন্তু, আমি যদি বলি ব্লাকবোর্ড ব্যাভার করিনি, ইন্টারভিউতেই ডাক পাব না।
৭। প্রথম ইন্টারভিউ, সাথে আমার ড্রিম ইউনিভার্সিটিতে। একসপ্তাহ পড়ালেখা করে ঘাম ছুটিয়ে ফেল্লাম। ইন্টারভিউ-র দিন- ফোন ইন্টারভিউ- ওরা শুধু আমার বুকধুকপুকানিটাই শুনলো, মনে হয়না অন্যকিছু শুনতে পেয়েছে। ইন্টারভিউ দিয়েই বুঝলাম- হবে না। ফোন ইন্টারভিউ বা স্কাইপ- যা'ই হোক, টেস্ট ইন্টারভিউ দিন আপনার বন্ধুর সাথে। আমি জানি আপনিই বেস্ট, কিন্তু ওয়ার্ম আপ ছাড়া মাঠে নামলে মেসির মত শুন্য গোলেই বিদায় নিতে হবে।
৮। আবেদন করেই যাচ্ছেন, কিন্তু ডাক পাচ্ছেন না- হতেই পারে। আমি একবছরে মাত্র সাড়ে চার পার্সেনট আবেদনে সাড়া পেয়েছি। সুতরাং আবেদন করে যেতে হবে। ইন্টারভিউ দিয়েই যাচ্ছেন- কিন্তু হাতে হারিকেন নিয়ে বাড়ী ফিরছেন- ব্যাপার না। আগামীকাল হাতে কাপ নিয়ে ফিরবেন। তবে স্ট্রেস সামলানো জরুরী। এই বিদেশ বিভুঁইয়ে আপানার পরিবার হতে পারে আপনার ভাল সাপোর্ট। হতাশার প্যানপ্যান শোনানোর জন্য কিছু বন্ধুও জুটিয়ে ফেলুন। আমার একটা চমৎকার গ্রুপ ছিল টরন্টোতে- ভ্যাগাবন্ড ফোর। সবার পকেটই গড়ের মাঠ। তবু আমরা নিয়মিত ঘুরতে বেরুতাম, আড্ডা দিতাম। মনে আছে, একটা ইন্টারভিউতে রিজেকশন খাওয়ার পর ঘরোয়ায় বসে প্যান প্যান করছিলাম। আশরাফ ভাই আমার পিঠে হাত রেখে বলেছিলেন, "শোনো, তোামার সাথে একটা জবের দুরত্ব এক কলের। আজকের কলটায় হয়তো দু:সংবাদ, কিন্তু কালকের কলটায় চলে আসতে পারে সুসংবাদ।" সস্তা মোটিভেশনাল স্পীচ। কিন্তু ঐ সময়টায় আমার এই সস্তা স্পীচ দরকার ছিল। দরকার ছিল পিঠে হাতটুকু। নইলে পরদিন আবার পূর্ণোদ্যমে আবেদন শুরু করতে পারতাম না। সিংহ যতোই শক্তিশালি হোক, একলা সিংহ একটা ইঁদুর ধরেও খেতে পারে না। দলে থাকুন, বলে থাকুন- দলেবলে শিকার করুন বুনো বাইসন। হাঁটতে পারেন। গান শুনতে পারেন। দারূচিনি-লেবু-পুদিনা-চিনি মিশিয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন- হতাশা নিবারণি হালাল ড্রিংস বলতে আমি এই ড্রিংসটাকেই বুঝি।
৯।প্রযুক্তি ব্যাবহার করুন। ব্যাক্তিগতভাবে আমি লিংকডইন ভক্ত। কোন না কোনোভাবে কাজে আসবেই- লিংকডইন থেকে আমার সর্বোচ্চ সফলতা- আমেরিকায় জব অফার পেয়েছিলাম একটা। ইন্টারভিউ না, অ্যাপ্লিকেশন না- সরাসরি জব অফার। লিংকডইন থেকে জব অফার পাওয়া হয়তো রেয়ার কেস কানাডায়- কিন্তু অসম্ভব না। আর নেটওয়ার্কিং এর জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু কি আছে?
১০। সবাই বলে নেটওয়ার্কিং করো, জব পাবে। এই নেটওয়ার্কিং জিনিসটা আমার খুব বেশী মাথায় ঢুকে না, এর থেকে জব ক্যামনে হ্য় তাও জানিনা। তবে নেটওয়ার্কিং ট্রাই করেছিলাম। আমার প্রফেশনে মাত্র কয়েকজন বাংলাদেশী কানাডায় আছেন। কেউ কেউ বেশ ভাল পজিশনে। ওদের কয়েকজনকে (সবাইকে নয়) ফেসবুক-লিংকডইনে টেক্সট করেছিলাম। পাত্তা পাইনি- কেউ জবাব দেয়নি দেখার পরেও। সো, দেশীদের নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা যাচ্ছেতাই। উনারা দোতালায় উঠে গেলে আর নিচতলায় নেমে দরজা খুলতে চান না। তবে ক্যানাডিয়ান যাদের সাথেই যোগাযোগ করেছি- ১০০% ই রেস্পন্স করেছে, ৭৫% অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে দেখা করার জন্য। ওরা এক্ষেত্রে বেশ প্রফেশনাল। দেখা করে গল্প করেছি, ওরা কীভাবে এই জবে এসেছে জানতে চেয়েছি, আমার কী করা উচিৎ পরামর্শ চেয়েছি। ওরাই পরিচয় করিয়ে দিয়েছে অন্য আরেকজনের সাথে। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছি। অথবা কোনো ক্ষেত্রে আবেদন করেও যে লাভ হবে না সেটা ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছে। এই প্রসংগে বলে রাখা ভাল, নেটোয়ার্কিং হচ্ছে নিজেকে হোন্ডা বানিয়ে তোলা।
১১। ভলান্টিয়ার
১২। ইন্টারভিউ খাতা
জীবন নিয়ে আজন্ম জুয়া খেলতে খেলতে হুট করে একটা দান জিতে গেছি। এখন বুক চিতিয়ে পরের দানের জন্য বাজির দর চড়িয়েছি। জিততেও পারি, হারতেও পারি। আপনার গল্পটাও তাই। এখন জেতার জন্য বাজি ধরে যাবেন, নাকি উঠে যাবেন ধুর-ছাই বলে- সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। তবে জুয়ার টেবিলটায় এমন এক যাদু আছে, খেলা শেষ না করে উঠা যায় না। আর খেলতেই যখন হবে, খেলা হোক মালকোঁচা বেঁধে, খেলা হোক জেতার জন্যই। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.