নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।
কেউ কথা রাখলোনা।
উত্তাল তরঙ্গের ধার বেয়ে চলে গেলো
মায়াছিপ নৌকা।
আসি বলে জলাঞ্জলি দিলো খড়ের কুটো।
তার কণ্ঠে প্লাবনের গান
বেঁধে ফেললো আমায় কষ্টি পাথরে।
ঘর্ষণে ছিলে গেলো মন।
উত্তুঙ্গ দুহাত বাড়িয়ে আমি ঠায় দাঁড়িয়ে।
তারে চিনলাম না।
নিকেশের খাতা পুড়িয়ে একবার ডেকেছিলো আমায়।
শূন্য গগনে চেয়ে বলেছিলাম, যাবো।
আজ স্বহস্তে দরোজা বন্ধ করলো।
তোমার গতরে কি অভেদ্য দূর্গ !
দূর্গন্ধের পলি জমেছে ?
সেঁচে দাও মনটা। দিবে বলেছিলে।
বিভেদের কাঁটায় ঘুচে যাক মিথ্যা আশ্বাস।
আসবোনা ফিরে আর আমি।
যাবোনা দূরস্ত পানে তোমার নায়ে।
রাখলেনা কথা, মালবিকার মত ঝরে পড়লে।
ঝরুক পদ্মশিশির,
ডাগর হয়ে আমি কলমিলতার হাত ধরবো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৬
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: যে যায় সে হুমকি দিলেও কি ফিরে আসে? কিন্তু বেঁচে তো থাকতে হয়, তাই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটাই তো জীবন। ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এতো সরাসরি হুমকি। তাও আবার মাঝি বদলানোর। খালি নৌকা ঘাটে ঘাটে মাঝি ছাড়া উপায় কি! ভাল লেগেছে! সাধনা চলুক তবে!
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনার জীবনের গল্প এমনি বহমান! স্রোত যেন ভয়ডরহীন! কবিতাটি আবার পড়তে এলাম!
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভয় আসলে থাকে। খুব গহীনে। একাকীত্বের ভয়, নিঃসঙ্গতার ভয়, অসম্মানের ভয়, অভাবের ভয়। কিন্তু জীবন একটা যুদ্ধ বুঝেছি। ভয় প্রকাশ করলে স্রোতের ঢেউ আরও অনেক উঁচু হবে। তাই স্রোত ঠেলে সাবলীল সাঁতারের জন্য সাহস সঞ্চয় করেছি। আবার পড়তে এলেন বলে খুব ভালো লাগলো বন্ধু।
ভালোলাগায় একটা অনুরোধ করে ফেলি। আমার 'প্রগতি' কবিতাতে আপনার একটা মন্তব্য প্রত্যাশা করছি। তখন আপনি কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলেন ব্লগে তাই সম্ভবত পড়েননি। যদি ইচ্ছে হয়
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০৭
রাকু হাসান বলেছেন: ।উত্তুঙ্গ দুহাত বাড়িয়ে আমি ঠায় দাঁড়িয়ে।তারে চিনলাম না।
নিকেশের খাতা পুড়িয়ে একবার ডেকেছিলো আমায়।
শুন্য গগনে চেয়ে বলেছিলাম, যাবো....এ লাইন গুলো বেশি ভাল লাগলো । আহ ! এমন যদি লিখতে পারতাম !! . ছবি চয়েস ও ভাল লাগলো । ... ভ্রমরের ডানা দেখছি ,তোমার আগের লেখার ভাল ই সাক্ষী ।
কমেন্টে বলেছো তুমি বই পড়ুয়া না ,এত টা । আমার ধারণা তুমি অতিমাত্রায় বই পড়ুয়া ......
খারাপ লাগলো ,এতগুলো পোস্ট প্রিয়তে নিলাম ,আজ দেখি নেওয়া হয়নি ,তখন তো দেখলাম নিলাম ....আবার খুঁজতে হবে ,পাই নাকি ,মনটাই ভারি হয়ে গেল ,
এত রাত ,তাত্তারি ঘুমাও ,আর দোয়া করো কাল খেলা আছে ,জিতলে চকলেট দিব নে ,
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হ্যাঁ, ভ্রমরের ডানা সেই প্রথম থেকেই খুব আন্তরিক ছিলেন। প্রিয় বন্ধু একজন।
আরে নাহ, আমি অতিমাত্রায় বই পড়ুয়া না। তবে আমি অতিমাত্রায় ভাবুক ।
সেজন্যই তো তোমার প্রিয় তালিকায় গিয়ে যেমন বললে তেমন কিছু খুঁজে পেলাম না । খেলার খবর কি এখনো জানি না আমি ।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৫
রাকু হাসান বলেছেন: এত বই না পড়লে কিভাবে এত সুন্দর সুন্দর বই সাজেস্ট করতে পারে ! তোমার কথায় আখতারুজ্জামান অল্প একটু পড়ছি ,সেটা কেমন লাগছে জানো ? ...ক্লান্ত শরীর যখন ইফতার করার সময় ঠাণ্ডা পানি গলায় দিয়ে আস্তে আস্তে যায় ,যে আরাম পাওয়া যায় ঠিক তেমন লাগলো । এত সহজ/সুন্দর করে লিখছে যেন মাথায় আলতো করে একেক টা লাইন বসিয়ে দিচ্ছে । ভাবুক দেখেই তো এত সুন্দর সুন্দর লেখা পায় ।
হুম তোমাকে যখন দেখলাম ,আমার ব্লগ পরিদর্শন করলে তখন বুঝতে পারছিলাম প্রিয় তালিকা দেখতে আসছিলে , এখন দেখ ,নিচের দিকে পাবা ।
খেলায় তো হারলাম .........
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আখতারুজ্জামানের 'খোয়াবনামা' পড়ে জানিয়ো তো কেমন লাগলো । তোমার ব্লগ ভিজিটে আবার যাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এতো সরাসরি হুমকি। তাও আবার মাঝি বদলানোর। খালি নৌকা ঘাটে ঘাটে মাঝি ছাড়া উপায় কি! ভাল লেগেছে! সাধনা চলুক তবে!