নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোরার চোখ

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

খায়রুল আহসান ভাইয়ের ব্লগে এই কবিতাটি পেয়েছিলাম। উনার অনুবাদটি আমার বেশ লেগেছিলো। এবং আমারও ইচ্ছে হয়েছিলো অনুবাদ করার। তাই উনার অনুমতি নিয়ে অনুবাদটি করার চেষ্টা করলাম। আমি word for word না করে sense for sense মানে শুধুই নির্যাসটুকু নিতে চেয়েছি। এই প্রথম অনুবাদ করলাম।

লোরার চোখ


সেদিন বিকেলে একলা ছিলাম বসে,
হঠাৎ এক রূপসি এসে বসলো পাশ ঘেষে।
চোখ যেনো তার মায়াবিনী এক হরিণ !
আমায় কেড়ে নিলো সেই মায়ারই গহীন।
গহীন থেকে চোখের ভাষায় ডাকলো যেনো কেউ।
আহ সে বুঝি কি ইশারা দিলো; উঠলো মনে ঢেউ !
ভাবলাম আবার মিথ্যে নয়তো, অলীক কোন স্বপন ?
হয়তো আমার চোখেই ছাই ঢেলেছে ওর রূপের দহন।


এসব যখন ভাবছি তখন শুকিয়ে এলো গলা।
হাটুর কাঁপায় মুখ ফুটিয়ে হলোনা কিছুই বলা।
ঠিক তখনি কিন্নরী স্বর উঠলো লাজুক হেসে।
তার অধর যেন ডাকলো আমায় অধর চুমের দেশে।
ওহ ! আমার দম আটকে আসে।


কিন্তু একি ! সখি যে এবার বিদায় পথে হাঁটে।
পেছন ফিরে হাত নাড়িয়ে চলে আপন বাটে।
হায় আমার অস্ত নামলো পাটে !


নাম ছিলো তার লোরা লী,
বানালো আমায় রূদালী।
বিদায় লোরা, বিদায়।
আমি আকুল হয়ে থাকবো অপেক্ষায়,
তুমি আসবে আবার প্রণয় নূপুর পায়।


মূল কবিতা


Lora's Look


Lora Lee sat next to me,
I gazed into her eyes.
It made me think
Did I see her wink ?


Or did I blink ?
Was something in my eyes ?


My mind went crazy,
My tongue got lazy.
I couldn't speak,
My knees felt weak.


Then I saw her smile,
It took me a while,
To catch my breath,
I was scared to death !


She rose and left,
But waved goodbye.
I felt so bad,
I wanted to cry.


Farewell Lora lee,
I hope you can see,
what you did to me !


Lento Maez

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মূল কবিতার ভাবার্থ অবলম্বনে আপনার অনুবাদটা বেশ চমৎকার হয়েছে। অনুবাদে রোমান্টিকতা আরো বহুগুণে প্রস্ফূটিত হয়েছে। প্রত্যেক কবিরই অন্তঃস্থ কিছু নিজস্ব ভাবনা থাকে, যা অন্যের থেকে ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক। আপনার ভাবনাগুলো সুন্দর। অনুবাদে তেমনটিই প্রকাশ পেয়েছে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: একটু চিন্তিত ছিলাম বা বিব্রত ছিলাম বিষয়টা নিয়ে। আপনার মন্তব্য পেয়ে এখন অনেক ভালো লাগছে। প্রেরণা বোধ করছি। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানাই স্যার। ( স্যার ডাকলে আপনি কিছু মনে করবেন না তো, আসলে আপনি আমার চেয়ে অনেক বড় তাই ভাই ডাকার চেয়ে স্যার ডাকাতে আমি কমফোর্ট বোধ করছি।)

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

পুলহ বলেছেন: আপনার এবং শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসানের অনুবাদ দু'টো পাশাপাশি ট্যাবে খুলে নিয়ে পড়লাম, অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলো!
প্রথম অনুবাদ হিসেবে ইন জেনারেল আমার কাছে ভালো লেগেছে- "কিন্তু একি ! সখি যে এবার বিদায় পথে..." স্তবকটা ছাড়া। শেষের স্তবকটা তো খুবই চমৎকার।
আপনার ভাবানুবাদের কমিটমেন্ট ( আমি word for word না করে sense for sense মানে শুধুই নির্যাসটুকু নিতে চেয়েছি।) যথাসম্ভব রক্ষা করে চলেছেন- এ ব্যাপারটাও ভালো লেগেছে।
শুভকামনা জানবেন চঞ্চল হরিণী ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্য পেলাম। স্বাগতম সুহৃদ। খুব ভালো লাগলো জেনে যে আপনি বিশ্লেষণ করে পড়েছেন। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্যও রইলো।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: sense for sense মানে শুধুই নির্যাসটুকু নিতে চেয়েছি... কথাটা বলেছেন ভাল লাগল । দুটো অনুবাদই পড়েছি। দুটো দুরকম। আসলে কোনও অনুবাদেই মুল কবিতার স্বাদ পুরো পাওয়া যায় না। এটা সম্ভবত ভাষার গঠন ও প্রকাশগত পার্থক্যের কারণে। যাই হোক ভাল লাগল আপনার এই প্রয়াস । শুভ কামনা

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ঋতো ভাই। ঠিকই বলেছেন, ভাষার গঠন ও প্রকাশগত পার্থক্যের কারণে অনুবাদে মূল স্বাদ পুরোপুরি পাওয়া যায়না। এই যেমন এখানে আছে, ব্লিঙ্ক শব্দটি যার অর্থ চোখ টেপা। বাংলায় একটা মেয়ের চোখ টেপা খুব বিশ্রী ইঙ্গিত দেয়, কবিতায় ব্যাবহার করার কথা ভাবাও যায়না। অথচ ইংরেজিতে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। যাইহোক, প্রথমে এই কবিতার একটি শাব্দিক অনুবাদও আমি করেছিলাম। আপনার জন্য সেটা এখানে তুলে দিলাম।

লোরার চাহনি

লোরা লী, আমার পাশে এসে বসেছিলো।
আমি আটকে গিয়েছিলাম তার চোখে।
ভাবছিলাম,
আমি কি তাকে ইশারা দিতে দেখলাম?


নাকি আমার চোখই পিটপিটিয়েছিলো?
চোখে কি সত্যি কিছু পড়েছিলো?

মন আমার উতলা হয়ে গিয়েছিলো,
জিহ্বা জড়িয়ে এসেছিলো।
কিছুই বলতে পারিনি,
হাঁটু দুটোও কেঁপে উঠেছিলো।

তারপর তাকে হাসতে দেখলাম।
কয়েক মুহূর্ত লাগলো আমার
শ্বাস ফিরে পেতে।
ভয় পেলাম মরে না যাই!

সে উঠে দাঁড়ালো এবং চলে গেলো।
হাত নেড়ে বিদায়ও দিলো।
আমার খুব মন খারাপ হোল।
কান্না চেপে আসতে চাইলো।

উষ্ণ বিদায়, লোরা লী।
আকুল হয়ে থাকবো তোমার আশায়।
দেখবে কি ব্যাকুল করেছো আমায়।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: sorry Blink না wink হবে। টাইপো।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



শাব্দিক অনুবাদের মধ্যেই
মুল কবিতাটির ভাবানুবাদ বেশ
ভালভাবে পরিস্ফুট হয়েছে বলে মনে হল
আমার কাছে। পরের অনুবাদটিই অনেক বেশী
প্রাণবন্ত অনুভুত হয়েছে এবং মুল কবির কবিতাটি
ও তাঁর কাব্য রস অস্বাদনে বেশী সহায়তা করছে । একটি
কবিতার সুন্দর দুটো অনুবাদ আমাদের উপহার দেয়ার জন্য রইল
ধন্যবাদ ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। অনুবাদের ক্ষেত্রে আসলে দুটো ধারাই প্রচলিত। এটা ঠিক বলেছেন মূল কবির লেখার ভঙ্গি বুঝতে হলে বা স্বাদ পেতে হলে শাব্দিক অনুবাদই সহায়ক। আর যদি শুধুমাত্র কবিতার গল্পটি শোনাতে চায় তাহলে অনুবাদক নিজস্ব ভঙ্গিতে সেটা শোনায়। এটা খুবই হালকা একটি কবিতা, তেমন কোন গূঢ় অর্থ নেই। সে হিসেবে শাব্দিক অনুবাদটিই প্রাণবন্ত। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্য।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার জন্য আরো একটি অনুবাদ এখানে দিয়েছেন। বেশ ভাল লাগছে এটা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার সন্তুষ্টি। 8-|

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

মার্কো পোলো বলেছেন:
অনুবাদ চমৎকার হয়েছে। আপনার অনুবাদ আর মূল কবিতাটি মিলিয়ে পড়লাম। আপনার দক্ষতার প্রশংসা করতে হয়।

চমৎকার।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ বন্ধু। জানেন আমারও মার্কো পোলোর মত ভ্রমণকারী হতে ইচ্ছে হয়।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৪

মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য।

আসলে আমি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। ৪৯ টা জেলা ঘুরেছি। ইচ্ছে আছে বাকি ১৫ টাও ঘুরবো। আর এ ভ্রমণপ্রিয়তার জন্যই বিখ্যাত পরিব্রাজক মার্কো পোলোকে ভাল লাগে।

শুভকামনা রইলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মার্কো পোলো বন্ধুকে অনেক মিস করি। ভ্রমণ করতে করতে ব্লগের কথা একেবারেই ভুলে গেছেন বন্ধু। ফিরে আসুন তাড়াতাড়ি। শুভেচ্ছা নিয়ে অপেক্ষা করি।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

রাকু হাসান বলেছেন:



প্রথমেই চমক :-B , ইংরেজির সাথে বাংলা ছন্দের মিল দারুণ লাগলো । যা মাঝে মাঝে দেখি না , বাংলায় যখন অনুবাদ করা হয় ।সফল অনুবাদ হয়েছে । একটি জিনিস ভাল লাগলো ,সে কি ? ;) থাক আমিই বলি B-) ,যেমন কবিতা ,তেমন অনুবাদ তারপর মন্তব্যকারীরাও সেই বিখ্যাত 8-| .।তাঁরা ঠিকই পড়ে নিছে ।

একটু পরামর্শ দাও ঝপাট( আমি আবিষ্কারক হলুম ;) ) করে =p~ , আমার বই পড়া অনেক বাকী ,বিখ্যাত বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম অনেক পড়া বাকি । সেগুলো ছাত্র জীবনেই পড়া শেষ করা দরকার যতটা পারা যায় । আমার মনে হয় ,ব্লগ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কম দেওয়া উচিত ? কি বলো ... B:-) ,ব্লগিং তো পড়েও করতে পারবো ,অার সেটাও ঠিক ব্লগে লিখলে পড়লে শেখা টা হবে । আর ব্লগটার প্রতি মায়া হয়ে গেছে অনকে । তোমাদের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছি বারবার ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার খুব সৌভাগ্য মনে হয় যে আমার স্কুল-কলেজ জীবনে আমি ফেসবুক, ব্লগ এসব পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে পেলেও তেমন নেশাসক্ত হইনি। কারণ, ডিভাইসের অপ্রতুলতা, ইন্টারনেটের উচ্চ মূল্য। এখন ছেলেমেয়েরা সব ফেসবুক আর ব্লগের লেখা পড়ে। সাহিত্য থেকে শুরু করে সবকিছুই পড়ে। এত বিরাট একটা সময় এখানে চলে যায় যে এর বাইরে পড়ার আর সময়ই পায় না। অনলাইনে বই পড়লেও হতো। কিন্তু ব্লগ আর ফেসবুকেই টাইম শেষ। আমি নিজেও মনে করি আমার আরও অনেক কম সময় দেয়া দরকার। অনেক কিছু জমে আছে পড়ার জন্য আবার নিজের লেখার জন্য। কিন্তু ব্লগের নেশা আসলে একটা মারাত্মক নেশা। খুব শক্ত মন নিয়ে প্রতিজ্ঞা করে সরে যেতে হবে। ছাত্রজীবন খুবই উপযুক্ত একটা সময় বেশী বেশী বই পড়ার জন্য। আমি তোমাকে এটাই বলবো, ব্লগে সময় কমিয়ে দাও। ভালো লেখা এখানে অনেক কম, অনেক কম। তাই এসব পড়ে এখানে রুচি বিভ্রান্তির সুযোগ আছে। ভালো মন্দ বোঝার নিজের একটা সুস্পষ্ট রুচি ও মতামত দাঁড়ানোর পরে এখানে এসে কোন লেখা পড়লে সহজেই প্রভাবিত হয়ে যাবে না। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের 'পৃথিবীর ইতিহাস' পড়। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের 'নিঃসঙ্গতার একশ বছর' আমার খুব প্রিয় উপন্যাস। কিন্তু তোমার পড়ার অভ্যাস বা চর্চা কতটুকু সেটা আমি জানি না, তাই হুট করে এটা পড়ে তোমার ভালো লাগবে এমনটা বলতে পারি না। পড়তে পড়তে উপলব্ধির একটা মানসিক স্তরে উন্নিত হওয়ার পর এটা ভালো লাগবেই। ভালো লাগতে বাধ্য, যদি আমার মত হও ;) । আর উনি নোবেলও পেয়েছিলেন এই উপন্যাসের জন্য। হাহ! ক্লান্ত হয়ে গেলাম। ভালো থাকো, ব্লগে সময় কমিয়ে দাও। বাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.