নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরেকবার যুদ্ধ করতে চাই

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৪



আরেকবার যুদ্ধ করতে চাই
জাপটে ধরে সমস্ত গ্লানি
প্রমাণ করবোই মুখ নিঃসৃত বাণী।
আমি জ্বলতে চাই,
আড়বার পুড়তে চাই।
গুম মেরে থাকা অস্ফূট আর্তনাদে
সহ্স্র প্রাণ ধরতে চাই !!
পারো তো শক্তি দাও,
নয়তো এসে গুড়িয়ে যাও।
ছিন্ন ভিন্ন মস্তকে,
আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা ছকে
বিলিয়ে দাও যত উত্তেজনা।
আমি সৌরভে শান্ত হতে চাই,
বাঁধতে চাই ব্যাথার উদগীরন।
আটকে দাও জ্বালামুখ,
আমি অশান্ত আমাকে থামাও।

প্রাচ্যনাট্যের ঘেরাপথ জুড়ে,
নটরাজদের ঘুঙ্গুরপুরে
রক্ত হোলি চলছে উন্মাতাল !
তুমি সাঙ্গ কর হে পাতাল।
আমার চঞ্চল মন যায় ছুটে,
হৃদ মাঝারে প্রলয় জুটে,
তুমি শান্ত হও হে পাতাল।
আমায় যুদ্ধ দাও গর্জে ওঠার,
নয় আঁকড়ে ধরো সামাল কুঠার।
হে বীর, তুমি চক্ষু খোল।


আমি অষ্টপ্রদীপ জ্বালাবো নায়ে,
থমকে যাবো তোমার বাঁয়ে।
তুমি রূদ্ধ করে সকল ছায়া,
হর বাঁচাবে মায়ের কায়া।
হে পথিক আজ জাগার দিন।
আজ ক্লান্তি নেই অমাবশ্যার,
ঘুটঘুটে নয় অন্ধকার।
আজ তোমার আমি, তুমি সবার,
এসো যুদ্ধ করি আরেকবার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: লেখা সুন্দর হয়েছে।
শুভ ব্লগিং..

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনুভূতি থেকে লিখি, সুন্দর সে তো বহুদূর। শুভকামনা আপনার জন্যও।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল কবিতা , তবে কথা অনেক ; কার সাথে যুদ্ধ , অস্র কি? চেতনা কি ? আদর্শটাই বা কি ,লক্ষ্যটাই বা কি, দেশের মুক্তি না মাবতার মুক্তি, নীজের দেহের না মনের মুক্তি, কত যে প্রশ্ন মনে যুদ্ধে যাওয়ার কারণে , এ জীবন করে দিতে পারি দান যদি তা কাজে লাগে মানূষ আর মানবতার তরে , এমনতর যুদ্ধে যেতে নাই কোন আপত্তি শুধু একটি প্রশ্ন মরলে লাসটা কি হবে , পতাকায় মুরাবে না শুন্যে মিলাবে । আরেকবার যুদ্ধের জন্য কত যে প্রশ্ন কে দিবে তার উত্তর ।
শুভেচ্ছা রইল

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: খুবই প্রাসঙ্গিক একটি প্রশ্ন করেছেন। যুদ্ধটা সব জায়গায় প্রয়োজন যেখানে শান্তির জল ঘোলা হচ্ছে আর নির্বিবাদে, নির্বিচারে অন্যায় সহ্য করে যাওয়া হচ্ছে। হোক পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, দেহের বা মনের। আমি ছবিটা দিয়েছি অপরাজেয় বাংলার, কিন্তু এটিকে যুব সমাজের কাঁধ মিলিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে ধরলে ভালো হয়। আদর্শ বা লক্ষ্য ভীষণরকম ভাবে অস্পষ্ট হয়ে আছে এদেশের মানুষের মনে। পরিশেষে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেও ধন্যবাদ জানাই ভাই।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, যুদ্ধ করার লোক পাওয়া যায়নি; কবি, সাহিত্যক, গুণী জনেরা নন্দলাল হয়ে বসেছিলেন; সুতরাং, আপনি কোথায়ও যাচ্ছেন না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আচ্ছা তাই নাকি? কোন সমস্যা নেই। এটা ২০১৬। এখন আমি যাবো, আমার মত আপনিও যদি আসেন তাহলে অনেক লোক পাওয়া যাবে। ব্লগে স্বাগতম এবং আপনার চমকপ্রদ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

শরতের ছবি বলেছেন:


উনার এরচেয়ে চমকপ্রদ একটি মন্তব্য আমি উপহার আমি পেয়েছিলাম । পরে না বুঝে আমি আমার পোস্টটি মুছে দিয়েছিলাম ,না বুঝে । চাইলে তার মন্তব্যখানি মুছে দিলেই হত কিন্তু নতুন অবস্থায় বুঝিনি ।তার মুখে লজ্জা নেই । নির্লজ্জ একটি মন্তব্য ছিল ।এই সামু ব্লগে তার মত এমন নিখাদ ভদ্রলোক আর পাইনি ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দেখুন উনি কতটা দ্ব্যার্থবোধক, এই মন্তব্য পড়ে যে কেউ মনে করবে উনি একাত্তরের বিরোধী পক্ষ। অথচ পরে দেখলাম, উনি আদতে তা নন। তাহলে এমন মন্তব্য তো শুধু একজনের অভিপ্রায় কে খোঁটা দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এরকমটা ঠিক নয়। যাক, বিচিত্র মানুষের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, শরতের ছবি। ভালো থাকুন, শুভকামনা।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩০

রাকু হাসান বলেছেন: বাহ ,নজরুলের প্রতিবাদ পেলাম যেন কবিতায় ,আসলে একটা যুদ্ধ আমাদের দরকার , সঠিক সময়ের যথার্থ কবিতা পড়লাম । তোমার উদাত্ত্ব আহবান শুনুক প্রজন্ম ,প্রতি শিরা উপ-শিরায় বান আনুক ।

X(( X(( |-) বলা যাবে না ,লিংকে কি আছে

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মানুষ আমাকে বয়সের কারণে এবং নারী হওয়ার কারণে প্রায়শ ভুল বোঝে। সময়ের আগেই হয়তো অনেক কিছু বলি আমি। যত বড় মুখ নয় তত বড় কথার মত। ছোটদের কথা যেমন বড়রা খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। যাইহোক, তোমার এই মন্তব্য আমাকে অভূতপূর্ব আনন্দ দিলো। শক্তি পেলাম, উদ্দীপনা পেলাম ভেতরে। আমার আহ্বান খুব কম মানুষের কাছেই পৌঁছেছে। তবুও আমি আমার সব অনুভূতি ব্যক্ত করে যাচ্ছি এবং যাবো আশা করি। অনেক ভালো থাকো, রাকু, ভাই আমার।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৩

রাকু হাসান বলেছেন: ‘‘মানুষ আমাকে বয়সের কারণে এবং নারী হওয়ার কারণে প্রায়শ ভুল বোঝে। সময়ের আগেই হয়তো অনেক কিছু বলি আমি। যত বড় মুখ নয় তত বড় কথার মত’’
বড় কথায় বারবার শুনতে চায় , যারা ভুল বুঝে ,বুঝতে থাকুক না , আমি এমন কবিতা খুঁজছিলাম ,সত্যিই ..........এবং প্রিয় বোনের লেখা পেয়ে ভাল লাগা কেমন বুঝতে পারবে । তোমার এই কবিতা টা, তোমার নাম সহ ফেসবুকে পোস্ট করতে পারি কি ?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হ্যাঁ, অবশ্যই। তোমার ভালো লাগলে অবশ্যই পোস্ট করবে। এই যে বললে, আমার আনন্দে মন ভরে গেলো।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৫

রাকু হাসান বলেছেন: যদি অনুমতি দাও ,তাহলে বলিও তোমার এ নামে দিব না ,অন্য কোন নামে ,আমি মনে করি ,কবিতা অনন্ত এখন মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার ,তোমার অনুমতির অপেক্ষায় ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তুমি 'চঞ্চল হরিণী' নাম দিয়েই দিতে পারো। আমার কোন আপত্তি নেই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.