নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিজোফ্রেনিক জীবন

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৫



এখানে জীবন বড়ো নিস্তব্ধ।
নলিনীকান্তের ছবির মত।
নলিনীকান্তের ছবির হাটে কেউ যেতো না।
কঠিন চীবরে শূন্য পড়ে থাকতো সে মাঠ।
কত পাখির ডাক, কত স্বপ্নের দাগ নলিনীকান্ত এঁকে যেতো !
তবু প্রাণের ঢুঁও মিলতোনা।
আপন মনেই নিজের ছবির বনে ঘুরে বেড়াতো নলিনী।
পাখির মত এডাল থেকে ওডালে উড়ে বেড়াতো।
একবার ভীষন ঝড় এসেছিলো নলিনীর বনে।
সমস্ত ছবি উড়ে গিয়েছিলো অজানা কোথাও।
ভীষণ মন খারাপে সেবার প্রথম কেঁদেছিলো নলিনী।
যে মেঘের সাথে তার এতদিনের আনাগোনা, সুখ-দুঃখের সখ্য,
রাত বিরাতে যার ভেলায় চড়ে সে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতো,
সে এমন বিশ্বাসঘাতক হবে !
সেটা নলিনী তার ছবিঘুমের স্বপ্নেও ভাবেনি।
আজ চারপাশটা দেখে আমার বারবার নলিনীর কথাই মনে হচ্ছে।
হাঁড়ি-কুড়ী, বাসন-পেয়ালা দিয়ে যে ছবি আমি এঁকেছি সংসারে ;
তা যেনো নলিনীর হাটের মতই বিরান হয়ে আছে।
কত রন্ধন, কত ব্যঞ্জনের স্বাদ আমি এঁকে যাই,
গন্ধেও কেউ একবার উঁকি দেয়না।
আমি আপনমনেই বিছানা সাজাই, কারও জন্য স্নানের তোয়ালে ভেজাই,
ডাকছে ভেবে ছুটে যাই এঘর থেকে ওঘর।
একমাত্র সঙ্গি নিজের ছায়াকে বড়ো ভয় হয় আজকাল।
যে ছায়ার কাছে আমি রোজ গোপন কথা কই,
যারে আমি ভাসিয়ে দিতে পারি কল্পলোকে পঙ্খীরাজের পিঠে,
সে যদি কোনদিন নলিনীর মেঘ হয়ে যায় !
সে যদি আমার হাত দিয়ে আমারেই খুন করে বসে !
নলিনী তো তবু কেঁদেছিলো, আমি তো সে সুযোগও পাবো না !
তোকে বড় মনে পড়ছেরে নলিনী।
একা থাকার প্রতিজ্ঞা না করলেও কি দোকা হতে পারতাম ?
তোরা যে সেই দাঙ্গাতেই হারিয়ে গেলি !

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

কবিতায় কি বলতে চেয়েছেন কিছুই বুঝিনি।


এলোমেলো লাগল।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: একজন নিঃসঙ্গ ছবিকর এবং একজন নিঃসঙ্গ ঘরকন্যার গল্প। আমার বিশ্বাস আরেকবার পড়লেই বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ ভাই প্রথম আন্তরিক পাঠের জন্য।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ঠিক আছে কাল আবার আসব। একবার পড়েছি। কাল আবারো পড়তে হবে!

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দ্বিতীয়বার পড়তে চেয়েছেন বলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হ্যালুসিনেশন ?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ঠিক হ্যালুসিনেশন নয়। হ্যালুসিনেশনে তো মানুষ ভুলভাল দেখে। এখানে ভীষণ একাকী মানুষ কিভাবে কল্পনায় আশ্রয় খোঁজে, একাকীত্ব কত বেদনার সেটাই বলতে চেয়েছি। হ্যালুসিনেশন না বলে ফ্যান্টাসির সাথেই মিল বেশি বলা যায়, যেটা অতিরিক্ত হয়ে গেলে সিজোফ্রেনিকে রূপ নেয়। ধন্যবাদ বন্ধু।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রাত প্রায় সাড়ে বারো। তন্দ্রা চোখে দেখি চঞ্চল হরিণী। ভাবলাম ঢুঁ মেরে আসি। দেখি ওমা এ কি দুটি মানুষের কল্লা, বডি নেই। শীরের উপর শীরনাম ‘সিজোফ্রেনিক জীবন’ নীচে একখান কবিতা, চিত্র নায়িকা কবিতা নয়। ভাবলাম এখন ঘুমাই পরে জেগে এক সময় কবিতা পড়ে নেব।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহা আপনার মন্তব্যে বেশ মজা পেলাম। কল্লা দেখে ঘুমুতে গিয়ে আবার স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েন না যেন। শুভ রাত্রি। ভালো ঘুম হোক। পরে কবিতা পড়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,




সিজোফ্রেনিয়ায় ঘিরে থাকা এক হরিণী নিয়ত নিহত হ্ওয়ার আতঙ্কে চঞ্চল । নিহত তার দোকা হওয়ার বাসনা । দোকা হওয়ার কেউ একজন শুধু নলিনীর মেঘের মতো ভেসে ভেসে যায় । কাছে আসেনা ।
তবুও নিঃসঙ্গ ছবিকরের মতোই নিঃসঙ্গ এক ঘরকন্যা ঘর সাজানোর ছবি এঁকে যায় বৃথাই ।

বেশ হয়েছে কবিতা , অন্যরকম ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নিঃসঙ্গতা খুবই বেদনাদায়ক। কোন শব্দ দিয়েই এর অনুভূতিটা পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যক্ত করা যায় না। আপনার কাছে বেশ হয়েছে শুনে আমার মনটা অনেকটা ভালো লাগছে এখন। অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, আসলে দোকা থাকার কেউ একজনটা নলিনীর মেঘের মত ভেসে যায়নি, সে হারিয়ে গেছে, হারাতে বাধ্য হয়েছে। এই সমাজ তাকে ধরে রাখতে পারেনি, অসহিষ্ণুতা তাকে দেয়নি জীবনের আশা। একটা বাক্যের সংযুক্তিতে পুর্নবার মন্তব্য করতে হোল।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৪

রাকু হাসান বলেছেন:



বাহ বলিষ্ট হাতে যেন সিজোফ্রেনিক জীবনের চিত্রকল্প আঁকছো । আমি বিমোহিত । 8-| নলিনীকান্ত কে নিয়ে লাইন গুলো বেশি ভাল লাগলো যদিও লাইনগুলো খারাপ লাাগা ধারণ করছে।



কেন অভিনন্দন জানাচ্ছি ;) ,বলো তো B-) ,মাথা চুলকালেও লাভ নেই =p~ ,


তোমার ব্লগ ১০ হাজার বার দেখা হয়েছে :-B ,আজ তা অতিক্রম করলো ,তাই । অবশ্য আমি একটি পিচ্চি মাইল ফলক অর্জন করেছি :D :)

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দশহাজারের মধ্যে তুমিই বোধহয় একহাজারবার দেখে ফেলেছো :P । ক্ল্যাপ ক্ল্যাপ- অভিনন্দন তোমাকেও !:#P

আমাদের দেশে নাসির নগর ঘটনার কিছুদিন পর এটা লেখা। একটা শর্ট ফিল্মও বানিয়েছি এই কবিতা থেকে। এখনো প্রকাশের অনুমতি পাইনি। পেলে এই ব্লগে শেয়ার দেয়ার ইচ্ছে আছে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.