নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।
দেশকে ধরবো মায়ের মত
উজ্জ্বল দুই হাতে,
দেশকে ধরবো শক্ত করে
সমর শত্রু ঘাতে।
এই দেশেরই সকল মানুষ,
মজলুম থেকে বৃদ্ধ,
যোগ নাবিকের তরূন হালে
চলবে সমান ঋদ্ধ।
দেশ ধরবো এমন হাতে
যে হাত সেঁচবে মুক্তো,
যে হাতেরই কর্মরেখা
স্বদেশ প্রাণে যুক্ত।
এখন যারা বালক বেশ,
গড়বো মোরা সোনার দেশ।
অনিষ্ট কেউ টানলে কেশ,
দেখিয়ে দেবো সর্বনেশ।
এই যদি হয় অঙ্গীকার,
ভেংচি কাটা ভঙ্গি যার
সে যে মোদের ডরায়।
দেশের বাণী ধর্ম জানি
ক্রূশ, টুপি বা পৈতে মানি
ধারণ করবো ধরায়।
বি.দ্রঃ- এবছর আমার ভাইয়ের অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন এই ছড়াটি লিখেছিলাম, তার মত দেশের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারীদের কথা চিন্তা করে।এই ছড়াটি আজ প্রকাশ করে ডিসেম্বরের শুরুটাকে সম্মান জানানোর খানিক প্রয়াস করেছি।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কবিতা পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ নূর আলম হিরণ। আমার ব্লগে স্বাগতম জানাই। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ছড়াটিতে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও দৃঢ় অংগীকার ফুটে ওঠেছে।
কবিতায় প্লাস++
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভ্রমরের ডানা, শুভেচ্ছা নিবেন। আমাদের এই জননী তো অসাম্প্রদায়িক বীরদের হাতেই মুক্তি পেয়েছিলো, নতুন প্রজন্মেরও ভেতরেও সেই বানী থাকা চাই। প্রেমেই শান্তি, বিবাদে নয়। অনেক ধন্যবাদ প্লাসের জন্য। ভালো থাকুন, শুভকামনা।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছড়াতে বেশ জোর দিয়ে ছন্দ মিলানো হয়েছে, আরেকটু সহজ করার দরকার; বালক-বালিকারা পড়ুক খেলুক, ডিসেম্বরর আমাদিগকে স্মরণ করায়ে দিক, যাঁরা প্রাণ দিয়ে দেশ এনেছেন, রওশন এরশাদ, ইন্জিনিয়ার মোশারফ (পুতুলের শ্বশুর), এরশাদরা কি তাঁদের কেউ হন?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আসলে ছড়ার সাথে যে ছবিটি দিয়েছি সেটি প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের। ওই বয়সের শিশুদের জন্য ছড়াটি কঠিন। কিন্তু আমার চিন্তা মূলত অষ্টম থেকে শুরু করে পরবর্তী বয়সের বালক-বালিকা তথা কিশোর কিশোরীদের ঘিরে। ওই বয়সের জন্য এটা বোধগম্য। কারণ ওরা ইতিমধ্যে এই শব্দগুলোর সাথে পরিচিত পাঠ্যপুস্তকের কল্যাণে।এর চেয়ে আরেকটু কঠিন লেখাও ওদের বইতে এখন আছে। আর তাছাড়া বর্তমানের ছেলে মেয়েরা সত্যিই অনেক বোঝে। নিজের অভিজ্ঞতাতেই দেখছি।
আপনার পরের প্রশ্নটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তবে এই প্রসঙ্গ ছড়া বা কবিতায় আনা মুশকিল। এই বিষয়ের জন্য নিজ উদ্যোগে জানার চেষ্টাই শ্রেয়। ছড়া পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ছড়া পড়ে ভাল লাগলো।
আমাদের স্কুলে ছেলে মেয়েদের এক সাথে এভাবে শপথ করা তো
, ছবিটা দেখে তা মনে পড়ে গেল।
আপু ভালো থাকুন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এখনো এভাবেই শপথ করায়। শহরের স্কুলগুলো যদিও বেশি দেখিনি কিন্তু যে কয়টা দেখেছি তার একটাতেও শপথ করাতে দেখিনি। কিন্তু গ্রাম ও উপজেলা পর্যায়ের সব স্কুলে এখনো এভাবেই করায়। আমার ছোটবেলায় স্কুলে এসেম্বলি খুব প্রিয় বিষয় ছিল। অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার। ভালো থাকুন আপনিও, শুভকামনা।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বাহ। বেশ। এধরণের লেখা ভালো লাগে। +++
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: রাজপুত্র, তোমাকে অনে.......ক ধন্যবাদ। চেষ্টা করি লিখে যাওয়ার।ভালো থেকো।
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
রাকু হাসান বলেছেন:
বাহ ! তোমার শপথ এদেশের বালকেরা ধারণ করুক । তবে বালিকার শপথ কই ।
তোমার ১৬ সালের লেখা পড়া শেষ । ১৭ তে স্পর্শ করলাম । এ সালে বেশি লেখনি । ব্যস্ত ছিলে নাকি !
তোমার সাজেস্ট করা লেখকের বেশ কিছু বই আজ কিনলাম,ঈদের মার্কেট । পড়তে হবে ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৪
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এদেশের বালকরা তো ইতোমধ্যেই শপথ ধারণ করে প্রমাণ করে দিয়েছে যে ওরা দেশের হাল কিভাবে ধরবে। তুমি মাত্র একটা বাক্যই বললে কবিতাটা নিয়ে । আরে এইটা তো কমন শব্দ। যেমন ছাত্রসমাজ বলতে ছাত্রছাত্রী সব বোঝায়। তবে ভাবছি এবার নাম চেঞ্জ করে 'প্রজন্মের শপথ' দিবো নাকি ।
ডিসেম্বর শেষ হল কিভাবে, ১৬ ডিসেম্বরে আছে তো আরেকটা। হ্যাঁ, ১৭ তে একটা কোর্স নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম।
ঈদের শপিং দারুণ করেছো। তোমার পড়া শেষে আমিও কিছু বই ধার নেবো ।
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৯
রাকু হাসান বলেছেন: হহাহাহা বুঝছি বোন কবিতা নিয়ে একটা বাক্য বলতে তেমন খুশি হতে পারেনি ,এখন খুশি করে দিচ্ছি ওয়েট
আসো প্রথম স্তবকে -
উজ্জল দু'হাত ,মায়ের । একটু ভালবাসায় ,আদুরে ধরতে বলছো । ঠিক যেমন টা করে মা তার সন্তান কে ধরে । দেশ ও তো অামাদের মা ,ঠিক কবিতার মত করে ধরা উচিত ।
তারপর তাও বলছে শক্ত হাতে ধরতে ,যেমন টা করে সমরে আমরা লড়াই করি প্রাণপনে । মানে তুমি ছাড় দিতে চাচ্ছ না । শুত্রুকে তো কোন ছাড় হয় না । মে বি তুমি দেশের কঠিন সময়ে ,রণক্ষেত্রের মত কঠিন হতে বলেছো ,যেখানে এক বিন্দু ছাড় নেই । দেশপ্রেম ।
২য় স্তবকে দৌড় মারো
এখানে সাম্যের কথা বলেছো ,যা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । এখানে কেউ কে বাদ রাখ নি । পরের টা তে যায় নাকি ?
৩য় স্তবক
-যে হাতে মুক্তো সেঁচবে -কি চমৎকার বললি রে বোন ,তুই নিজেই হয়তোজ জানস না , মুক্তো আমরা কিভাবে ধরি ,বা গ্রহণ করি ! এই আস্তে আস্তে পরে যাবে , হারিয়ে যাবে ,হুম অনেক যত্ন নিয়ে ,খুব সাবধানে । এসব ই তোমার এ স্তবকের মূল ভাবার্থ মনে হয়েছে ।
৪র্থ স্তবক
ভাল্লাছে না ?
তুমি বালকদের বলছো আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ,আহবান বলতে পারি ,সেই সাবধানী বাণি বলে দিয়েছো ,কেউ কিছু করতে চাইলে ‘‘ধরে দিবানি ভাব ,হুম সেটাই হওয়া চাই । তাদের কাছেই তোমার এ প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে এ স্তবকে ।
৫ম স্তবক
অশুভ শক্তি আমাদের ভয় পায় , এ স্তবকে তুমি অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছে । কি সুন্দর বলেছো
‘‘দেশের বাণী ধর্ম জানি ,
ক্রুস,টুপি বা পৈতে মানি , অসম্ভব রকমের সুন্দর । এক লাইনে তিনটি বৃহৎ জাতি কে নিয়ে আসছো।
কও কও এহন কও ,এমন করে কে বলবে ।
আমি মন্তব্য করার সময় ই ভাবছিলাম ,কম বলা হয়ে গেছে ,না জানি টাস করে আকারে ইঙ্গিতে বলে ফেলে কিছু , অনেক সময় দেখি অন্যদের বলে ফেলো , ...তখন তোমার চালাকি দেখে অবশ্য আমি হাসি ও
নাম ঠিক আছে .একটু চেতাইলাম আর কি ।
আর তুমি বই নিবে এ তো আমার সৌভাগ্যের ব্যাপার । । তো আমার ভাই টি এখন কেমন আছে । ছড়া তো আগের ,এখন নিশ্চয় বড় হয়েছে ,
সত্যিই ,তোমার কাছ থেকে আমি সব সময় অন্যদের থেকে আলাদা,বেশি ভাললাগার মন্তব্য আশা করি ,আলাদায় হয় ,কেমন, তুমি তেমন ।
দেখলে কত্ত বড় কমেন্ট হয়ে গেছে ,তোমার ছড়া থেকে বড় । দিছ তো কয়েক টা লাইন ছেড়ে ,
লাভ ইউ বোন হাসিখুশি ভাল থাক ,সব সময় ।
শুভরাত্রি ,ও..ব্যস্ততা শেষ তো ।
এলা দাও প্রতি উত্তর
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৪
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ওরে বাব্বব্বা ! এত বিশাল মন্তব্য । এমনভাবে কবিতার পার্ট বাই পার্ট বিশ্লেষণ আগে কোনদিন পাই নাই । কিন্তু আমি কিন্তু অতবড় উত্তর দিতে পারবো না ।
তোমার সব কথা ঠিক আছে। শুধু ৩নং স্তবকে আরেকটু যোগ করতে চাই। সিন্ধু সেঁচে মুক্তো আনা তো সহজ কাজ নয়, কঠিন পরিশ্রমের কাজ। আমাদের ছেলেরা দেশের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন কঠোর পরিশ্রম করে রত্নফসল নিয়ে আসবে। এমন সব কাজ তারা করবে যে কাজে দেশের সম্পদ বাড়বে।
আমার চালাকি দেখে তুমি হাসো না । আমি নিজেও অনেকের মন্তব্য দেখে হাসি ।
আবার এসে যে এই বিরাট মন্তব্য করলা এখন তোমারে কিভাবে খুশী করা যায় ভাবতেছি ।
দেখি তোমার পরের পোস্টে বড় মন্তব্য করার সুযোগ পাই কিনা ।
এত্তগুলা ভালোবাসা নাও। শুভরাত্রি। দেইখো আবার গার্ল ফ্রেন্ডকে টাইম দিতে গিয়া বেশি রাত জাইগো না ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সুন্দর, ভালো লিখেছেন।