নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।
এখানে সবাই তুমুল ব্যস্ত খবর নিয়ে।
কত খবর তারা রোজ লিখে যায় !
কত হানাহানি, নিত্য নতুন আনাগোনা তাঁদের হাতে প্রাণ পায় !
মৃতের শরীর মরেও বাঁচে! কখনওবা বেঁচেও মরে হাজারো আর্তনাদ।
এসবের ভীরে তাঁদের ব্যস্ততা দমে না এতটুকুও। ওরা কেউ বিস্মিতও হয় না।
ফুরসত কোথায় ?!
খুব অবলীলায় ওরা হেসে যায়। খেলে যায় খবরের খেলা।
গরম গরম খবর না হলে যে আর্কাইভে জমবে ধূলো।
অবসরে হাতও হয়ে যেতে পারে নুলো।
এসব চিন্তায় তাঁরা একটি বৃহৎ পরিবার হয়েছে।
বিস্ময়হীন নিষ্ঠুরতার সদা চঞ্চল প্রগলভতা যে পরিবারের প্রতীক।
কিছুদিনের অতিথি; আমার চোখে রাজ্যের বিস্ময় !
কখনওবা ক্লান্ত এই একঘেয়েমি সামষ্টিক বিশালতায়।
মনটা আমার মাটির দেহে কর্পূর।
শুধু পাত্রটাই ভারী থেকে যায়।
কত আহত সন্ধ্যা আমি ছটফট করেছি, মুক্তি চেয়েছি এখান থেকে !
বিস্ময়ে আরও বিস্ময়াভূত হয়ে এই পরিবারটিকে দেখেছি।
আমি না হলেও ওরা আমার কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়ছিল।
বড় অস্থির ছিল সেই দিনগুলিতে শ্বাসটুকু নেয়া, শ্বাস নেয়ার ধৈর্য ধারণ করা।
বারবার দেখতে চাইতাম নিবিষ্ট মুখগুলো।
মানুষের এত খবর যে ওরা রাখছে, ওদের খবর যেন রাখছি আমি !
শুধু আমার মনের খবর রাখারই কেউ ছিল না কোনদিন।
আমি যেন বন্দী এক কোকিল,
অবিরাম গান গেয়ে যাচ্ছি উষ্ণতার,
কিন্তু শুনতে পাচ্ছে না কেউ !
শুনতে পাচ্ছে না কেউ.....।
বি দ্রঃ- আমি এক মাস একটি নিউজ চ্যানেলে ইন্টার্নি করেছি। সেই অভিজ্ঞতায় এই লেখা।
ছবিঃ- গুগোল।
০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। শুভেচ্ছা নেবেন।
২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ চমকপ্রদ কবিতা। + +
বন্দী কোকিলের অবিরাম গেয়ে যাওয়া উষ্ণতার গান যেন কবিতায়ও কিছুটা শোনা গেল!
০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪০
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নিউজরুমে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাটানো সত্যিই একেবারে বন্দীর অনুভূতি দিত। চারপাশে খবর খবর নিয়ে কেমন শক্ত ছিল সব মানুষজন। কষ্ট হত আমার।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ, আজ ব্লগে এসেই মনের মতো একটা কবিতা পড়ে গেলাম। লেখক যেনো আমার মনের কথাগুলোই বলে গেলেন। বড়ই আবেগ জাগানিয়া কথামালা।
শুভকামনা আপনার জন্য
০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। নিউজরুমের কথা লিখেছি, কিন্তু বাধ্য হওয়া যেকোন চাকরীতেই বোধহয় মানুষের মনের এই অবস্থা হয়। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার ব্লগে অন্য লেখায় আপনার আমন্ত্রণ রইলো।
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১১
শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার কবিতা। ধন্যবাদ
০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা শামচুল হক ভাই।
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৭
বিজন রয় বলেছেন: ব্যতিক্রম স্বাদ পেলাম।
আরো লিখুন এরকম।
+++
০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই প্রথম আপনার কাছ থেকে প্লাস পেয়ে যারপরনাই খুশী লাগছে বিজন রয়। আসলে সময় এবং পরিস্থিতি এমন বিষয় ভিত্তিক লেখার অনুভূতি দেয়। আমি চেষ্টা করবো এমন আরো লেখার। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।
৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: আমি কি এর আগে আপনার কোন পোস্টে মন্তব্য করিনি বা প্লাস দেইনি?
মনে পড়ছে না।
আপনার কি তো আমি চিনি।
তবে!!
০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৩
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হিহি হিহি। হ্যাঁ,এর আগে মন্তব্য করেছিলেন একবার একেবারে প্রথমদিকে । তবে প্লাস এই প্রথম দিলেন। আমাকে চেনেন বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং
৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা গুলো ভালো হয়।
০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। শুভকামনা।
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২০
লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার কবিতা।
০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ লাবণ্য ২। শুভেচ্ছা নেবেন।
৯| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার নিরীক্ষণ খুবই প্রশংসনীয়
১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:০৯
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রশংসা যদি হয় আপনার মত মানুষের কাছ থেকে তাহলে আনন্দ হয়ে যায় দ্বিগুণ। অনেক ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ চমকপ্রদ কবিতা। + +
বন্দী কোকিলের অবিরাম গেয়ে যাওয়া উষ্ণতার গান যেন কবিতায়ও কিছুটা শোনা গেল!