নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেহভঙ্গি দেখে একটু সাইকোলজি এনালাইসিসের প্রয়াস

১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪


ছবিঃ মুম রহমান

আমাদের ছোটবেলায় আমরাও এমন অনেক বসেছি। জরুরী নয় যে, এনালাইসিস পুরোপুরি সত্য হয় বা মিলে যেতে হয়। কিন্তু মেলে বৈকি।

একদম বাম পাশে লাঠি হাতে যে মেয়েটা, তার বসার ভঙ্গিতে হাত-পায়ের বিন্যাস এবং তাকানোর ধরণ বলছে, সে 'জয়ী' টাইপ মেয়ে। স্বপ্নবাজ, আহ্লাদী, আত্মবিশ্বাসী এবং নানারকম কাজ করতে চাওয়া মেয়ে। এমন মেয়ে সাহসী এবং আবেগীও হয়। তার পাশে নীল জামা পড়া মেয়েটিকে দেখলে প্রথমে সবাই ভাবলেশহীন এবং অলস ভাববে। কিন্তু এই জাতীয় মেয়েদের মনে মনে প্রচুর কৌতূহল থাকে এবং ভাবলেশহীনভাবে চোখের দেখাতেই ওরা অনেক কিছু শিখে যায়। পরবর্তীকালে এমন সব কাজ করতে পারে, যা কেউ ভাবেইনা যে ওরা পারবে। প্রয়োজনে দুর্দান্ত সাহসী হতে পারে ওরা। তার পাশের চোখ ঢাকা মেয়েটিকে লাজুক মনে হতে পারে। কিন্তু এটা হল, ওর অবচেতনে নিজেকে সবার মাঝে ফোকাস করা। প্রকৃত লাজুক মেয়েরা এই বয়সে এভাবে চারপাশে আরও তিন বান্ধবীর মাঝে চোখ ঢাকবে না। সে সেনসেটিভ এবং অন্যদের তুলনায় আগে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছেছে। এই জাতীয় মেয়েদের মাঝে দুটো ব্যাপার ঘটতে পারে। বড় হতে হতে সে আরও বেশি পুরুষ সংবেদনশীল তথা রক্ষণশীল মনোভাবের হতে পারে অথবা সে সবসময়ই তার আশেপাশের অন্যদের থেকে চতুর এবং যথেষ্ট পরিপক্কতা বা জ্ঞানের পরিচয় দেবে। সবচেয়ে ডানপাশের মেয়েটা হচ্ছে সমাজের দৃষ্টিতে ‘ভালো মেয়ে’ টাইপ তথা নিয়ম-কানুন মানা মেয়ে। সে অগোছালোভাবে থাকা বা জীবনের জন্য নিজের নিয়ম বানানোর কথা ভাবতেই পারে না। ওরা সহজ-সরল হয় এবং সাধারণত প্রতিবাদী নয়। অন্যরা কি করছে বা পাছে লোকে কিছু বলে, এই ভাবনায় তাড়িত থাকে।


দেহের ভাষা পড়ে মনের অনেক কিছু আন্দাজ করা, কিংবা আচরণ আন্দাজ করা অথবা এমনকি পেশা আন্দাজ করা খুব নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে যারা শার্লক হোমস, ফেলুদা ইত্যাদি অর্থাৎ গোয়েন্দা কাহিনী পড়েছেন তারা বেশ করেই বিষয়টা জানেন। এটা শুধুমাত্র সাহিত্যে নয়; বাস্তবেই এর প্রয়োগ আছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বিশেষ করে গোয়েন্দা বাহিনীগুলোতেই এর প্রয়োগ বেশি। রাস্তার পুলিশেরও এই ব্যাপারে বেসিক কিছু ট্রেনিং থাকে। এর বাইরে সমাজ বিজ্ঞানীদের কাজে বিষয়টার বহুল চর্চা আছে। শিক্ষাবিদদের কাছে আছে। চিকিৎসাশাস্ত্রেও আছে। বিশেষ করে হোমিও প্যাথিতে তো এর চূড়ান্ত ব্যবহার। আরও অনেক ক্ষেত্রেই আছে। আর মনোবিজ্ঞানীদের তো গবেষণার বিষয়ই এটা। ব্যাপারটা এমন নয় যে, একবার কিছু দেখে আন্দাজ করলেই তা সত্য হয়। কিন্তু একাধিকবারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে প্রকৃত বা খুব কাছাকাছি সিদ্ধান্তেই আসা যায়।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

কমজান্তা দার্শনিক বলেছেন: প্রথম তিনজনের ক্ষেত্রে ধারণা সত্য মনে হয়েছে!

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার নিকটা পছন্দ হয়েছে ভাই এবং নিক থেকে আপনার আগ্রহের একটি বিষয় অনুমান করতে পারছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

কমজান্তা দার্শনিক বলেছেন: এইরকম আরো কিছু ছবি বিশ্লেষণ চাই, মজা পাইসি ! বডি ল্যাংগুয়েজ বিষয়ক পড়ালেখা করছেন নাকি?

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার আগ্রহ আমাকে প্রাণিত করলো। আমি অনুরোধ করছি আপনি কিছু ছবি দিন আমাকে যা দেখে বিশ্লেষণের চেষ্টা করি।
এই বিষয়ে কিছু পড়াশোনা করেছি। বাংলায় বিষয়টা নিয়ে ভালো কোন বই আমি পাইনি, আছে কি-না জানা নেই। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পাঠ্য মনোবিজ্ঞানের বইতে কিছু আছে। ইংরেজিতে প্রচুর আছে।
মন্তব্যে আপনার ভালোলাগা প্রকাশে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



বাপ্রে! খুব কঠিন জিনিস এসব! আমি কিছুই ধরতে পারি না!

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সিম্পলি ম্যাথ নয় অবশ্য। তবে সত্যিকার আগ্রহ থাকলে তেমন বেশি জটিলও নয় বন্ধু। কিছু পড়াশোনা আর গভীর পর্যবেক্ষণ। যদিও খুব বুদ্ধিমান এবং জটিল মানুষদের বেলায় অনুমান করা কঠিন এবং সেটা সত্য হওয়া আরও কঠিন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টা সহজ। তারা নির্মল এবং মুখোশ পরে থাকে না।

ভ্রমর যদি ফুলের মন বোঝে,
তবেই প্রেম পূর্ণ রুপে সাজে। :)

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলে এভাবেই গোয়েন্দারা বিশ্লেষণ করে। আপনার বিশ্লেষণও ঠিক আছে...

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ বিচার মানি তালগাছ আপনার :D । পাঠপূর্বক মন্তব্য করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সিগন্যাস বলেছেন: বাহ বাহ বেশ বিচিত্র পোষ্ট

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ সিগন্যাস। আপনার তো বিচিত্র জিনিসের প্রতি আগ্রহ আছে। আমি পোস্ট করার সময় জানতাম বিষয়টা আপনার ভালো লাগবে। ভালোলাগার কথা বলেননি, তবুও জোর অনুমান করছি বিষয়টা আপনার পছন্দ হয়েছে। ভালো থাকুন।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছবি দেখে মানুষের সম্পর্কে বুঝা, বেশ জটিল দক্ষতা; ছবির কিশোরীগুলো অদ্ভুতভাবে সুন্দরী ও প্রানময়।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য আমার ভীষণ ভালো লাগলো, চাঁদগাজী ভাই। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ভ্রমর যদি ফুলের মন বোঝে,
তবেই প্রেম পূর্ণ রুপে সাজে। :)



বাহ! কি সুন্দর করে বলেছেন কবি বন্ধু! আচ্ছা, এই বিষয়ে কি অ্যাকাডেমিকক রেফারেন্স বুক আছে? আমার আগ্রহ বাড়ছে! শিখতে চাই!

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ফেলেছেন ঝামেলায়। এই বিষয়ের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল যখন স্কুলে পড়তাম। আমার মামা বিভিন্ন ধরণের বই পড়তো, আমিও মামার বই পড়তাম। আর গোয়েন্দা বই পড়েছি এবং ছবি দেখেছি প্রচুর। মনোবিজ্ঞানের কিছু বই পড়েছি। কিন্তু এরপর দীর্ঘদিন আর এইসব বিষয়ে পড়া বা চর্চা হয়নি। কাজেই এখন কোন বইয়ের নাম বলতে বলিলে আমি তো পারিবো না বন্ধু। তবে যতদূর জানি, বাংলাদেশের কেউ বিষয়টা নিয়ে লেখেননি। কলকাতায় থাকলেও থাকতে পারে। আর ইংরেজি তো আছেই। সার্চ দিলেই পাবেন আশা করি। :)

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: আপনার প্রথমজনের টা মনে হয় বাচাল টাইপের হবে, যারা আগে আগে কথা বলতে চাই।

আর গুলো ঠিকই আছে, বেশ ভাল লাগল।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তা হতে পারে। ওরা সাধারণত সবকিছুতেই আগ্রহ প্রকাশ করে, কাজেই ওদের আচরণ অনেকের কাছেই বাচালতা মনে হয়।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ স্রাঞ্জি সে। শুভেচ্ছা।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এতো বিশাল বিজ্ঞান!

শোয়ার ভঙ্গিতে ব্যক্তিত্ব, বা রেসপন্সিভ, রিয়েকটিভ এক্সপ্রেশন বিশ্লেষন নিয়ে হালকা কিছু পড়ে ছিল।
মনে রাখার মতো নায়! জাস্ট পড়ে গেছি!

এখন মনে হচ্ছে ভাল মতো পড়লে- আপনার বিশ্লেষন গুলো অনুভব করতে পারতাম :)

ভিন্ন বিষয়ে ভাললাগা

++++

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম ভৃগু ভাই। আসলে বিষয়টা খুব বেশি পেশা কেন্দ্রিক, তাই সাধারণ্যে বিষয়টার চর্চা বা জ্ঞান খুবই কম। মনোবিজ্ঞানের প্রতি যাদের একান্ত আগ্রহ আছে তারাই বিষয়টা নিয়ে কিছু পড়েছে। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এনালাইসিস আমার পছন্দ হয়েছে।
ভেরি গুড।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: খুশী হয়ে গেলাম রাজীব নূর ভাই। অনেক ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫১

শামচুল হক বলেছেন: বডি ল্যাংগুয়েজে যারা অতি দক্ষ তারা মানুষকে দেখেই তার গতি প্রকৃতি অনেকটা বলে দিতে পারে। অনেক জোত্যিষি এবং পীরদের মধ্যে এই গুণ আছে। তারা মানুষকে দেখেই তাদের এমন সব মানসিক ব্যাপারগুলো বলে দেয় যা মানুষকে হতবাক করে। আর মানুষ মনে করে এরা কামেল পীর বা অদৃশ্য জান্তা, এরা মানুষের ভাগ্য বলে দিতে পারে। আসলে তারা কামেল নামের ধুরন্ধর এবং বডি ল্যাংগুয়েজে পারদর্শী।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: খুব ভালো একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন শামচুল হক ভাই। এই বিষয়টার জ্ঞান বা এই সম্বন্ধেই যদি সাধারণ মানুষ জানতো; তাহলে তারা আর চট করে ধুরন্ধর জ্যোতিষীদের ফাঁদে পা দিতো না। বিষয়টাকে এইভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।

১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০১

কিশোর মাইনু বলেছেন: চমৎকার।
আসলে কাউকে একবার দেখে তার সম্পর্কে কিছু বলা খুব একটা সহজ নয়।
সবাই সাইকোলোজির এই পার্টটা বুঝে উট্টে পারেনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ঠিক ভাই। একবার দেখে কিছু ধারণা করা যায় তবে নিশ্চিত হওয়া যায় না। আর কেউ খুব দক্ষ হলে একবারেই প্রায় সঠিক অনুমান করতে পারে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন!!
ভালোলাগা :)

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপু। মন্তব্যে ও প্লাসে আপ্লুত। অনেক শুভেচ্ছা।

১৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ইচ্ছেটা শোকেসে নিলাম। আপাতত কিছু নিদৃষ্ট ফরম্যাটে আছি!

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বন্ধুর শোকেসটা সুন্দর সুন্দর ইচ্ছে দিয়ে ভরে থাকুক :)

১৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

সিগন্যাস বলেছেন: জ্বি জ্বি অবশ্যই ভাল লেগেছে । প্লাস দেখে এইটা আপনার বোঝার কথা :|

১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আরেকবার ধন্যবাদ। তবে কথা হল এই, আমি আপনার প্লাসটা দেখেছি প্রতিমন্তব্য লেখার পরে। :-B

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দারূণ বিষয় নির্বাচন! ভেরি ইন্টারেস্টিং! এই বিজ্ঞান বহুদূর এগিয়েছে। "বডি ল্যাংগুয়েজ এক্সপার্ট" আজকাল একটি রিয়েল ও সিরিয়াস পেশা। নানা বিখ্যাত ব্যক্তি বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের ইন্টারভিউ ও মিটিং এক্সপার্টরা এনালাইিসিস করেন। তারা বসার সময়ে হাত ও পা কিভাবে রেখেছেন, শরীরকে কোন দিকে বাঁকিয়ে রেখেছেন, চোয়াল কেমন অবস্থায় আছে সেসব ক্ষুদ্র বিষয় ব্যাখ্যা করে ভেতরের অনেক খবর দেন।

আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে বাবার স্ক্রল করে ওপরে তাকাচ্ছিলাম এবং বাচ্চাগুলোকে দেখছিলাম। সুইট সব বাচ্চা, সবাই সুন্দর, সফল জীবন কাটাক।
এখন তারা কেমন তা বলা যায়, তবে পরবর্তীতে কেমন হবে সেটা অনুমান সম্ভব নয়। আমার নিজেরই ছোটকাল এবং এখনকার মধ্যে ভীষন পার্থক্য। পরিবেশ, পরিস্থিতি মানুষকে অনেক পাল্টে দেয়।

অসাধারণ পোস্টে লাইক। অনুরোধ করব এমন বিষয় নিয়ে আরো লেখার জন্যে।
শুভকামনা!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সামু পাগলা। প্রথমে চুপিচুপি একটা কথা বলি, তোমার প্রোফাইল পিক দেখলে সাথে সাথেই আমার হাসি পেয়ে যায়। প্রথম যে কি হেসেছিলাম =p~ !

ঠিক। শিশুরা সরল মনের হয় এবং সাধারণত মুখোশ ধরে না বা অভিনয় করে না। তাই তাদের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করা বেশ সহজ। অভিনয় করলেও তাদেরটা ধরে ফেলা যায়। কিন্তু বড়দের বেলায় বিষয়টা যথেষ্টই কঠিন। শৈশবের যে জিনিসগুলো বড় হলে পরিবর্তন হয়ে যায় তার ৯০ভাগ সচেতন মনের সাথে সম্পৃক্ত। বাকি দশ ভাগ অবচেতন মনের। এই পার্সেন্টেজ আমার মত দিয়েছি, বইপত্রে একটু হেরফের হতে পারে। একেবারে মৌলিক কিছু বিষয় থাকে মানুষের ব্যক্তিত্বের যা শৈশবে গঠিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একইরকম থাকে। যা কোনদিন পরিবর্তন হয় না এবং ঠিক এই জায়গাতেই বিশারদদের অত্যন্ত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। মানুষ বড় হতে হতে চিন্তা চেতনায় অনেক পরিবর্তন আসে এবং নিজের মত একটা পারসোনালিটি সে তৈরি করে। কিন্তু জন্মসূত্রে পাওয়ার মত গহীন অবচেতনের কিছু বিষয় তার শারীরিক অভিব্যাক্তিতে প্রকাশ পাবেই যা এড়াবার উপায় তার থাকে না। কারণ সাধু ব্যাতিত কোন সাধারণ মানুষই শতকরা ১০০ভাগ সচেতন থাকতে পারে না সবসময়। বিষয়টা হয়তো বোঝার জন্য একটু জটিল। একটা কাছাকাছি উদাহরণ দেই , আমাদের চাঁদগাজী সাহেব গণ্ডগোল করতে খুব পছন্দ করেন। উনি নিজেই স্বীকার করেছেন ছোটবেলা থেকেই উনি ঝামেলাবাজ ছিলেন। দীর্ঘ জীবনে বড় হতে হতে উনার নিশ্চয়ই জীবন নিয়ে নানারকম উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতা হয়েছে। কর্মময় জীবনে নিশ্চয়ই কাজের প্রয়োজনেই গণ্ডগোল করেননি সবসময়। কিন্তু উনার একটা বৈশিষ্ট্য আমি অনুমান করি ছোটবেলা থেকেই উনি সবজায়গায় কথা বলতে, খোঁচা মারতে এবং নিজেকে ফোকাস করতে উৎসাহী ছিলেন। আমি তার শৈশব দেখিনি কিন্তু বাজি ধরতে পারি তার শারীরিক অভিব্যাক্তিতে এবং দৃষ্টিতে এসবের প্রকাশ ছিলই :P । হাহাহা কি এক উদাহরণ দিলাম B-)

লাইকের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সামু পাগলা :) । তোমার মন্তব্য আমাকে খুব অনুপ্রেরণা দিয়ে গেলো। আমি চেষ্টা করবো বিষয়টা নিয়ে আরও লেখার :)

১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভীষন আন্তরিক ও শিক্ষমূলক প্রতিমন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

আরেহ ওটাতো মাশরাফি ভাইয়ের ছবি। একজন ন্যাশনাল হিরো। ওনার ছবি দেখলে হাসতে হয় না তো, সালাম দিতে হয়! :)

একেবারে মৌলিক কিছু বিষয় থাকে মানুষের ব্যক্তিত্বের যা শৈশবে গঠিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একইরকম থাকে।
আই ফাইন্ড দিস ভেরি ইন্টারেস্টিং। আমি ভাবতাম মানুষ শৈশব থেকে জোয়ান হতে হতে পুরোপুরি পাল্টে যেতে পারে। কেননা এক আমি নিজে তেমন নেই। দুই, নানা বিখ্যাত মানুষের ইন্টারভিউ অথবা কাছের মানুষদের সাথে কথা বলে জেনেছি তাদের শৈশব থেকে বয়স্ককাল একদম আলাদা!
আপনার কথায় মনে হচ্ছে, এটা হতে পারে যে ভেতরের মানুষটি একই থাকে, পরিবেশ পরিস্থিতিতে প্রকাশ করতে পারেনা। আর একসময়ে অন্যকিছু হবার অভিনয় করতে করতে সেটাই অভ্যাস এবং স্বভাব হয়ে যায়।

হাহা! যে উদাহরণ দিলেন, তার চোখে পড়িলে আপনার কি হপ্পে তাই ভাবিতেছি। ;)

মোস্ট ওয়েলকাম।

আমি চেষ্টা করবো বিষয়টা নিয়ে আরও লেখার :)
থ্যাংকস এ লটটট।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আরেহ মাশরাফি ভাইকে তো আমিও খুব পছন্দ করি। কিন্তু এটা দেখলে আমার মনে হয় যে কোমরে হাত দিয়ে তুমি এমনভাবে কথা বলছো =p~ । এই ফানি অভিব্যাক্তির প্রোফাইল পিক দেখে তোমার দুষ্ট মনের কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায় :P
তাঁর চোখে পড়লে কি হপে সেটা নিয়ে অবশ্য আমিও ভাবছি :|| । কিন্তু আমি তো বহু আগেই তাঁকে নিয়া দুখানা ছড়া প্রথমে
দ্ব্যার্থবোধক চাঁদগাজী ইহা এবং পরে
স্পষ্টভাষী চাঁদগাজী ইহা লিখিয়া ফেলেছিলাম। তিনি অপছন্দ করেন নাহি। তুমি বোধহয় তখন পড় নাই। এখন যদি পড় তবে ওইখানে মন্তব্য করিয়া আবার সামনে আনিও না। কিছু বললে এখানে বলিও ;)
তোমার জন্য অফুরন্ত শুভকামনা সামু পাগলা :)

১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




সর্বডান দিকের মেয়েটি বেশ বুদ্ধিমতী মনে হল!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভীতু হয়ে সব নিয়ম কানুন মানা মেয়েকেই তো পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ বুদ্ধিমতি বলে :-P । কিন্তু এমন যদি সবার সামনে নিয়ম মানার ভান ধরে চলছে, আদতে নিজের মনের কথাই শুনছে তবে সেটা কৌশল এবং তখন তাকে বুদ্ধিমতী বলা যেতে পারে।

১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ মাশরাফি ভাইকে তো আমিও খুব পছন্দ করি।
জানিইতো, দেশে এমনকেউ আছে যে ভাইকে পছন্দ করেনা? ওটা তো মজা করে বলা।
এই পিকচার নেবার কারণ এই ছবিতে মাশরাফি ভাই মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে আছেন! একজন প্রকৃত যোদ্ধার মতো!

এখন যদি পড় তবে ওইখানে মন্তব্য করিয়া আবার সামনে আনিও না। কিছু বললে এখানে বলিও ;)
হাহা হিহি!

আমি বলব কিছু। আপনার ছড়াটি ব্যাস মজা করে লেখা। লিখতে গিয়ে নিজেও দোটানায় ভুগেছেন তাও ছড়াতে লেখা।

আর চাঁদগাজী ভাই বেশ জেন্টেলম্যানের মতো বিষয়টিকে হ্যান্ডেল করেছেন। তবে তার একটি কমেন্ট পড়ে রহস্য বুঝলাম।

"ব্যান খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছি, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজকে অকারণ সংযত করতে হচ্ছে! আমাকে সারাক্ষণ মনে রাখতে হয় যে, আমি যা বলতে চাই সেটা হয়তো পুরোপুরি বলা যাবে না।"
এই যে! ওনার কমেন্ট আজকাল একটু নরম হয়েছে তার কারণ স্বভাব পরিবর্তন নয়, পরিস্থিতির চাপ। আমরা যা নিয়ে আলোচনা করছিলাম একদম তাই! হুমম ইন্টারেস্টিং। কোথায় যেন পড়েছিলাম শিশুরা ৫ বছর বয়সেই ব্যক্তিত্ব ডেভলপ করে ফেলে। আসলে বাচ্চাদের সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ দেওয়া খুবই জরুরি।

আপনার পরের লেখাটির শিরোনাম সামুতে ইতিহাস তৈরি করতে পারে। এত লম্বা শিরোনামে অন্যকেউ কখনো লিখেছে বলে মনে হয়না। :)

ভালোবাসা!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহাহা শেষ লাইন পড়ে আগেই হেসে নিলাম কিছুক্ষণ =p~
তুমি ছড়াগুলো পড়েছ দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। মূল্যবান মন্তব্য জানালে, সেটা আরও অনেক বেশি ভালোলাগা।
চাঁদগাজী ভাইয়ের বৈশিষ্ট্য মিলিয়েই উনাকে ভালো লাগে।
আর হ্যাঁ, শিশুদের পাঁচ বছর বয়সে ব্যক্তিত্ব ঠিক ডেভেলপ নয় কিন্তু ব্যক্তিত্বের কাঠামো বা ভিত্তি তৈরি হয়। শিশুরাই তো আসলে ভবিষ্যতের পৃথিবী।

ভালোবাসা তোমার জন্যও :) । বাড়তে থাকুক আমাদের বন্ধন।

২০| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

তারেক সিফাত বলেছেন: এনালাইসিস দারুণ লাগলো।

শুভকামনা!

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তারেক সিফাত। আমার ব্লগবাড়িতে এসে লেখা পড়ে মন্তব্য জানিয়ে আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে গেলেন। এভাবেই পাশে চাইবো। স্বাগতম জানাই আপনাকে। শুভকামনা আপনার জন্যও।

২১| ২৯ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নাইস ওয়ে অব এনালাইসিস !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.