নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ কোন ইয়ের ইয়ে

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৫



ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীরা যখন, ‘পুলিশ কোন ইয়ের ইয়ে ( )’ বলে স্লোগান তুলেছিলো তখন আমার মনে হয়েছিলো এদের অনেকের তো নিজেদেরই ইয়ের ইয়ে ওঠেনি। আর পুলিশকে এসব বলার কি আছে, কারণ পুলিশ তো রাষ্ট্রের ইয়ের ইয়ে। কিন্তু ওই মুহূর্তে এটা নিয়ে কিছু বলা ছিল ভুল এবং বোকামি। কারণ সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস যখন ওঠে তখন নোংরা অনোংরা সব কিছু নিয়ে ওঠে। জলোচ্ছ্বাসের কোন ধর্ম অধর্ম নেই (এই দুই লাইন ব্লগ থেকে নেয়া)। কখনো কোন লণ্ডভণ্ড ধারা নিয়ম মেনে হয় না, সভ্য থেকে হয় না, সব লণ্ডভণ্ড করেই হয়। কাজেই যেভাবে যে ভাষাতেই তীব্র ক্রোধ ফুঁসে উঠেছে সেভাবেই এটাকে জোরালো সমর্থন দিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। ক্রোধের শক্তিই হল একেবারে সব ছিঁড়ে ফেলা, কোন বাঁধ না মানা।

দেবী দুর্গার আরেক রূপ কালী। দুর্গা তাঁর স্বরূপেই অর্থাৎ সভ্য সুশীল রুপেই অসুর বধ করতে পারেন। তাহলে কালী হতে হয় কেন ? ক্রোধের সর্বোচ্চ পর্যায়ের শক্তিই তাঁকে কালী হতে বাধ্য করে। এমন নয় যে স্বেচ্ছায় তিনি তেমন হন। তীব্র ক্রোধে আপনাআপনি তিনি এরুপে প্রকট হন। তখন তাঁর পোশাক, সভ্যতা কোন কিছুই নিয়ম মানে না। সমস্ত লণ্ডভণ্ড করে ক্রোধের শক্তির উদগীরন ঘটিয়ে তবেই তিনি শান্ত হন। এ অবস্থাতে কিন্তু তিনি থাকতে পারেন না, কারণ তাহলে জগতের সব খারাপের বিনাশের সাথে সাথে ভালোও বিনাশ হতে থাকে। শক্তির উদগীরন শেষে তাঁকে আবার সভ্য শান্ত বেশে ফিরে আসতে হয়। কিন্তু এই কালী রূপ ধারণে যদি দেবতারা তাঁকে বাঁধা দিতো তাহলে কি হতো। তিনি অসুরদের সাথে দেবতাদেরও বধ করে দিতেন। এবং একসঙ্গে বিশাল অসুরের পাল বধ করা সম্ভব হতো না। অথচ এই দেবতারা তাঁর সমর্থনে থাকেন বলেই ক্রোধের উদগীরন শেষে তাঁরা তাঁকে শান্তরুপে ফিরিয়ে আনতে পারেন। দেবতারা নিজেরা অসভ্য হননা ঠিক কিন্তু কালীর এই রুপকে তাঁরা সমর্থন দিয়ে যান এবং পরে তাঁকে আবার সুশীল রুপে ফিরতে সহায়তা করেন।

ঠিক তেমনি ছাত্রদের এই আন্দোলনে যাঁরা ভাষা নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিলেন তাঁরা আসলে শক্তিটাকে ক্ষয় করেছেন। ছাত্রদের ক্রোধের শক্তি প্রকাশে তাদেরকে অপরাধীদের সাথে সাথে আপনাদের সাথেও লড়তে হয়েছে। কালী রূপ ধারণ যেমন আটকানো যায় না তেমনি ক্রোধে ভাষার এরুপ প্রকাশও আটকানো যায়নি। কিন্তু বাধা দিয়ে উল্টো আপনারা শত্রু হয়ে গেছেন। এবং এটা ছিল একটা বিরাট ভুল। বরং আন্দোলন চলাকালে যদি সবাই অকুণ্ঠ সমর্থন দিতো, তাহলে কসম বদমাশদের আরশ আরও অনেক বেশী কেঁপে উঠতো। আবার গুজব নিয়েও আরেকদফা বিপুল পরিমাণ লোক তাঁদের শক্তি ক্ষয় করলো। ভাষাটা ছিল আপনাদের নিজেদের উপলব্ধি না থাকা আর গুজবটা ছিল রাজনীতির ষড়যন্ত্র বুঝতে না পারার বোকামি। এই দুইরকম বাধায় শক্তি ক্ষয় হয়ে আখেরে একটাও অসুর বধ না করে ছাত্রদের ফিরে যেতে হয়েছে। উল্টো এই অসুররা এখন প্রতিশোধের নেশায় আরও আসুরিক হয়ে উঠেছে। সবার উচিত ছিল অন্ততপক্ষে একটা হলেও অসুর বধের পর ছাত্রদের শান্ত করার। কারণ ওরা ছাত্র, ওরা শিশু, অসুরের পাল বধ করা ওদের দায়িত্ব নয়। এরপর ছাত্রছাত্রীরা আপনাআপনি সভ্য বেশে ফিরতে না পারলে ওদেরকে ফিরিয়ে আনা সুশীল সমাজের মায় সকলের দায়িত্ব হত।

এখন ওরা শান্ত হয়ে ফিরেছে। কিন্তু ভাষা ব্যবহারে কতটুকু মার্জিত থাকবে তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে উঠেছেন অনেকে। চিন্তা স্বাভাবিক এবং দরকারও। কিন্তু বিষয়টা এখন জটিল করে ফেলেছেন নিজেরাই। একে তো নিজেরা প্রতিবাদে ব্যর্থ, তার উপর ছোটদের আন্দোলন ব্যর্থ করে দিয়েছেন। বোকা শত্রু হয়েছেন। তাহলে এই ব্যর্থ, বোকা সুশীল বড়দের ছোটরা মানবে কেন। কোন কারণই তো নেই তাদের মানার। তারা নিজেদের মত করে সব সভ্যতা, অসভ্যতা, নীতি নৈতিকতা, মূল্যবোধ বানাবে এবং সেই মত চলবে। বলাই বাহুল্য তাদের বয়সজাত বুদ্ধির অপরিপক্কতার জন্য এসবের মধ্যে অনেক ভুলভ্রান্তি এবং অসংলগ্নতা থাকবে। কিন্তু অভিভাবক এবং শিক্ষকরা তাদের আর ঠেকাতে পারবেন না কারণ তারা আপনাদের বোকামির জন্য ওদের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার দিকে আঙ্গুল তুলবে।

যারা স্লোগান তুলেছে তাদের এবং আমাদেরই অসংখ্য আত্মীয় স্বজন পুলিশ বিভাগে আছে। ওরা সরকারের চাকর, সরকার যা বলে ওরা সেই মত চলে। তাই সরাসরি যদি বলা হত, ‘পুলিশ সরকারের ইয়ের ইয়ে’ তাহলেই সবচেয়ে সাহসী এবং উপযুক্ত হত। কথায় আছে, মুরুব্বীরা যা বলে বুদ্ধিমানরা সেই মত চলে। এখন মুরুব্বীরাই যদি বোকার মত বলে, তবে বুদ্ধিগাছেও তো বোকা ফল ফলে। এই আন্দোলনে বাংলাদেশের মুরুব্বীদের বোকামির ফল এখন টের পাচ্ছে সবাই। না জানি ছাত্রদের আরও কত হয়রানি সহ্য করতে হবে সামনে।

বি.দ্রঃ- যে যে ধর্মেরই হোন, মানুষের ক্রোধের শক্তিকে বোঝার জন্য উপরের উদাহরণটি নিতে পারেন।

মন্তব্য ৯৫ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৯৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হায়! হায়!
তোমার মাথা ঠিক আছে তো???
নাকি আজকে যাকে পাবে তাকেই বলি দেবে??:P

পুনশ্চঃ
ছবি দেখে আমার লজ্জা লাগছে। মা কালীর জ্বিব বের করা ছবিটা দাও দেখি....

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি তো এখন ক্রোধে নাই, অতএব বলিরও ভয় নাই :P । আর তোমাকে তো বলি দেয়ার প্রশ্নই আসে না, যেহেতু তুমি আমাকে গান শোনাও ;)

ছবি না দেখে লেখাটা পড়ে কিছু বল দেখি.....

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

লেখোয়াড়. বলেছেন: জয় মা কালী!!!!

মা, মাগো!!!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মায়ের যেমন ভালোবাসা তেমনি ক্রোধ।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

লেখোয়াড়. বলেছেন: ওই কি আছিস আমারে ধররররর!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নিজেকে নিজেই ধরে রাখতে শিখুন।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫০

লেখোয়াড়. বলেছেন: আপনে কোন ছ্যাটের ভাল!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: লেখোয়াড় যেখানের খেলোয়াড় সেখানের।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

ইনাম আহমদ বলেছেন: এই ছোট শিশুরা যদি নিজেদের বাড়ীতে গিয়ে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করে, "আব্বু/আম্মু, তোমরা সব টাকা সৎভাবে রোজগার কর তো?" কিংবা ঈদে সালামী দেয়া চাচ্চু খালামণিদের জিজ্ঞেস করে, "আপনারা ঠিকমতো আয়কর দেন তো?" তবে সত্যি সত্যি এরা দেশের উপকারে আসবে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমার ধারণা অনেকেই করবে আবার অনেকেই করবে না। পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় জড়িত থাকে প্রশ্ন করার সাথে। তবে তারা যদি পুরো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় সেটা হবে অশনি সংকেত। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ইনাম আহমেদ। আমার ব্লগে স্বাগতম। শুভেচ্ছা।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বারবার আসছি কালীর ছবিটা দেখতে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: রণাঙ্গনে ক্রোধের মূর্তি আপনার চেয়ে ভালো আর কে চিনবে। আপনি বারবার আসছেন জেনেই ভালো লাগছে। কারণ তাহলে নিশ্চয়ই ছবির সাথে না চাইলেও কিছু লেখা আপনার চোখে পড়ছেই। ছবিটা চাইলে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন বারবার দেখার জন্য :P । ধন্যবাদ, চাঁদগাজী ভাই।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৯

রাকু হাসান বলেছেন:



সুন্দর লিখেছো , প্রাসঙ্গিক উদাহরণ টা ভাল হয়েছে । চমৎকার ‘‘জলোচ্ছ্বাসের কোন ধর্ম অধর্ম নেই’’

সাগরের ঢেউয়ের সাথে শুধু মুক্তা বা মূলবান লবণ ই আসে না ,আর্বজনা ,নোংরা অনেক কিছু আসে । পৃথিবীতে এমন কোন আন্দোলন বা বিদ্রোহ নেই যেখানে ভুল নেই । নেতিবাচক কিছু থাকতে পারে ,আমাদের ইতিবাচক দিক টা বরণ করে নেওয়া উচিত । আসলে যারা এগুলো নিয়ে চিল্লাইলো ,তারা চিবানোর মত কিছু ছিল না ,তাই কয়েকদিন চিবালো এগুলো নিয়ে । বৃহৎতর স্বার্থ টা বড় হওয়া উচিত । দাবি টা মূখ্য । আশা রাখছি এসব বুদ্ধিজীবীরা নতুন কোন জলোচ্ছ্বাসের সময় সঠিক দিক নির্বাচন করতে পারবে ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই তো আমার ভাইটা একদম সঠিক বুঝেছে। ‘‘জলোচ্ছ্বাসের কোন ধর্ম অধর্ম নেই’’ এই বাক্যটা এই ব্লগেই একটা স্টিকি পোস্টে পেয়েছিলাম।
"পৃথিবীতে এমন কোন আন্দোলন বা বিদ্রোহ নেই যেখানে ভুল নেই । নেতিবাচক কিছু থাকতে পারে ,আমাদের ইতিবাচক দিক টা বরণ করে নেওয়া উচিত" । এই কথাগুলো খুব সুন্দর বলেছো। তবে "আসলে যারা এগুলো নিয়ে চিল্লাইলো ,তারা চিবানোর মত কিছু ছিল না " এই কথাগুলো নিয়ে একটু দ্বিমত আছে। এরকম কিছু মানুষ তো সবসময়ই থাকে। তবে এবার একেবারে প্রথম থেকে সত্যিকারভাবে ছাত্রদের পক্ষে থাকা অনেক মানুষও পরে ভাষা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে সরে গেছে। আবার বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের সমর্থন জানাতে পারেননি ভাষার কারণে। এগুলো ছিল বোকামি। সঠিক উপলব্ধি না থাকা। সময়ের করণীয় বুঝতে না পারার দূরদর্শীতার অভাব।
তোমার শেষ বাক্য "আশা রাখছি এসব বুদ্ধিজীবীরা নতুন কোন জলোচ্ছ্বাসের সময় সঠিক দিক নির্বাচন করতে পারবে" 'র সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমিও এমন আশা রাখছি ভবিষ্যতে।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



রাকু হাসান ভাইয়ের সাথে সহমত। আমার মন্তব্য ঠিক এরকমই।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শাহিন-৯৯। আপনার মন্তব্য গ্রহণ করলাম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @চাঁদগাজীবলেছেন: আমি বারবার আসছি কালীর ছবিটা দেখতে। :P:P

@ ক্রোধের সর্বোচ্চ পর্যায়ের শক্তিই তাঁকে কালী হতে বাধ্য করে। এমন নয় যে স্বেচ্ছায় তিনি তেমন হন। তীব্র ক্রোধে আপনাআপনি তিনি এরুপে প্রকট হন। তখন তাঁর পোশাক, সভ্যতা কোন কিছুই নিয়ম মানে না। সমস্ত লণ্ডভণ্ড করে ক্রোধের শক্তির উদগীরন ঘটিয়ে তবেই তিনি শান্ত হন।
... ও বুঝেছি। মা কালী এখন রেগে আছে। তাই ছবির এই হাল......:P


পুনশ্চঃ
বাপরে বাপ!
লেখাতে এত কেন ইয়ে?
বিয়ে করো বিয়ে???:P

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হিহি। মা কালী তো কখনো রাগবিহীন থাকেন না। রাগ নেমে গেলেই তিনি দুর্গা হয়ে যান। তাই মা কালীর রূপ আসলে সবসময়ই এমন :)

ইয়ে মানে করবো বিয়ে,
তবে....ধুৎ কথা না বলি এ নিয়ে। :P

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনুভবরে গহনে গিয়ে বিশ্লেষন।
স্রোতের টানে পক্ষ বি-পক্ষ হয়ে গেছে তাৎক্ষনিক!
একবার্ও ভাবেনি- তাদের এই ক্রোধ এই জাগরণের পজিটিভ দিকটা।
ভাবলে আপনার মূল্যায়নের মতোই হতো কার্যক্রম।

সব শেষ হয়নি। হয়তো কোন একটি শুরুর শুরু।
একটা পরিবর্তন হুট করে আসেনা। এমনই কোন একটা শুরু দিয়েই শুরু হয়।
বদলে যাক অনিয়ম ঘুনে ধরা সমাজ, সামাজিকতা, নষ্ট ভ্রষ্ট, সংস্কৃতি
বিজয় হোক শুভ বোধের, কল্যানের, সুন্দরের।

+++

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "সব শেষ হয়নি। হয়তো কোন একটি শুরুর শুরু।
একটা পরিবর্তন হুট করে আসেনা। এমনই কোন একটা শুরু দিয়েই শুরু হয়"। এই কথাগুলো ভীষণ ভালো লাগলো, বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। ভীষণ। পরিবর্তনের জন্য যেন হাঁসফাঁস করে মরছে কোটি বাঙ্গালী। অথচ দুস্তর পারাবার !
অনুভব যে আপনিও খুব ভালো করতে পেরেছেন পরিষ্কার বুঝেছি। আমরা কণ্ঠ মিলিয়ে চলি; ভবিষ্যতে আবারো এমন উত্থান দেখলে যেন সময়ের সঠিক করনীয়টা যেন করতে পারি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয়ে থাকে না। যারা ইয়ে গজানোর আগেই পুলিশ কোন ইয়ের ইয়ে বলে তারা ইয়ের ইয়ে পাকার আগেই দেশে অরাজকতা ডেকে আনবে। এই আন্দোলনে রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল থেমে যায়নি! বলতে গেলে কিছুই হয়নি শুধু দু একটি আইন ছাড়া! এখনো দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ রাস্তায় আইন ভাঙছে! কি লাভ হাউ মাউ করে! তার থেকে ওরা পড়ুক, দেশের কাজে জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারবে!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: যাদের ইয়ের ইয়ে পেকে গেছে তারা কি কোনভাবে দেশে শান্তি আনতে পেরেছেন। বরং তারাই দেশে চরম নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। অনিয়মে দিনে দিনে অসন্তোষের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আর শিক্ষিত যারা এই জিনিসটা দেখেও মনে করে প্রশাসনের ঠিক হওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র জনগণ ঠিক হওয়া দরকার তারা হলেন চরমভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক শঠ। তারা পড়াশোনা করে বড় হয়েছেন কিন্তু তাদের জ্ঞানকে লাগিয়েছেন সুবিধাবাদীর মত ইচ্ছেকৃত ভণ্ডামিতে। তাদের শঠতা এই আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিরাটভাবে দায়ী। যারা ছাত্রদের আন্দোলনকে হাউ মাউ ভাবেন তাদের জন্য এই পোস্ট নয়। বরং যারা তাদের পক্ষে থেকেও বিভ্রান্ত হয়েছেন অথবা বুঝতে পারেন নাই কি করা উচিত তাদের জন্য এই পোস্ট। ধন্যবাদ, ভ্রমরের ডানা। শুভেচ্ছা।

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০০

ইনাম আহমদ বলেছেন: @ভ্রমরের_ডানা,
এসব বলে লাভ কি? বাঙালি সেন্টি আর ইমো খাইতে পছন্দ করে। এসব কোমলমতি বাচ্চা দুজন সহপাঠীর মৃত্যুতে এভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে এটা বললেই বিশ্বাস করতে হবে? আর এদের বাবামায়েরা ঠিক কেমন মানসিকতার?
রমনার পার্কের পুকুরে গতকাল দুজন সহপাঠী ডুবে মারা গেছে। এখন এরা এক কাজ করতে পারে, “নিরাপদ পুষ্কুনি চাই” শ্লোগান দিয়ে আন্দোলনে নামতে পারে। কারণ, অনিরাপদ পুকুরই বাচ্চাদুটোর মৃত্যুর জন্য দায়ী।
ড্রাইভিং করি, পথচারীরা যে কোনদিকে তাকিয়ে হাঁটাচলা করেন সেটা আমি জানি। দুর্ঘটনা ঘটলেই সব দোষ ড্রাইভারের।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "এসব কোমলমতি বাচ্চা দুজন সহপাঠীর মৃত্যুতে এভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে এটা বললেই বিশ্বাস করতে হবে?" বিস্মিত ! বিস্মিত ! বিস্মিত হলাম আপনার কথায়। দুর্ঘটনার দিন একযোগে এতগুলো স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের তাহলে কে নামিয়ে নিয়ে এসেছে ?? তাহলে তো বলতে হবে দুর্ঘটনা ঘটানোটাও একটা পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনা ছিল দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দুজনকে মেরে সারা ঢাকা শহরের স্কুল কলেজের বাচ্চাদের রাস্তায় নামিয়ে আনা হবে, আর সব বাচ্চারাও একথা মানার জন্য প্রস্তুত ছিল। হাউ ফানি !! হাউ প্যাথেটিক ফানি !!
এটা শুধু একদিনের দুর্ঘটনার জন্য ঘটেনি। বরং দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভেই এর বহিঃপ্রকাশ। বড়দের মত এসব ছাত্রদেরও প্রতিদিন রাস্তায় বের হতে হয় এবং সময় মতই বিদ্যায়তনে পৌঁছাতে হয়। ওরা প্রতিনিয়তই অনিয়মের রাস্তাঘাটে জীবন নাশের শঙ্কায় ভুগেছে। আর আপনি কিনা "নিরাপদ সড়ক চাই"-কে "নিরাপদ পুকুর চাই" এর সাথে মেলাচ্ছেন !! হাউ প্যাথেটিক ফানি !! হ্যাঁ, ছাত্রদের যদি প্রতিদিন পুকুরে সাঁতার কেটে বিদ্যায়তনে আসতে হতো তাহলে তারা সেই দাবী তুলতো অবশ্যই। আপনাকে আমার ব্লগে ছাত্র আন্দোলন ইস্যুতে লেখা প্রথম লেখাটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



@ইনাম ভাই,
তরুনেরা আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছে। তবে তাদের সব কিছুই মেনে নিয়েছি শুধু অশ্লীল ভাষাগুলো ছাড়া! ওগুলোর অনুমোদন দেওয়া আরেক অবক্ষয় যুগের সূচনা, আরেক দূর্ঘটনার সূত্রপাত! এসব হয়ত আপাতপক্ষে চোখে পড়বে না কিন্তু অদূরভবিষ্যৎ অন্ধকার! কুকুরের কামড়ে কুকুরেদাঁত বের করা কোমলমতিরা যদি শিখে তবে বলব ওদের পরিচর্যা ঠিকমত হয়নি!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "তবে তাদের সব কিছুই মেনে নিয়েছি শুধু অশ্লীল ভাষাগুলো ছাড়া! " আপনি প্রথম থেকেই তাদের মেনে নেননি। তাদের কোন কিছুই মেনে নেননি। এই ইস্যুতে আমার প্রথম পোস্টে আপনার মন্তব্যই তার প্রমাণ। তীব্র ক্রোধে তৈরি হওয়া আন্দোলনে ভাষার ব্যাপারটা কিভাবে দেখতে হবে সেটা নিয়ে বেশ স্পষ্টভাবেই উদাহরণ দিয়ে এই পোস্টে লিখেছি। এরপরও না বোঝা মানে দেবীর বিরোধিতা করা। দেবীর বিরোধিতা দেবতারা করে না। করে অসুর ও তাদের বন্ধুরা। ছোটদের সঠিক পরিচর্যা তো অবশ্যই হয়নি। এই ব্যর্থতা তো বড়দেরই। বড়রা নিজেদের এখন অসহায় বোধ করছে।

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




যাদের ইয়ে পেকেছে তারা দেশ টিকিয়ে রেখেছে। জনগণ দেশ দেশ করে ছকড়ানকড়া করছে কিন্তু এরাই ঘুষদেয়, আইন ভাঙে, দেওয়ানি ফৌজদারি অপরাধ করে। কোমলমতিদের আন্দোলনে জঘন্য মুখের ভাষার প্রতিবাদের নিন্দা জানানোর এটাই উত্তম পোষ্ট! আপনার পছন্দ না হলে আমাকে ব্লক করে দিতে পারেন। শুভেচ্ছা চঞ্চলা হরিণী!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: স্ট্রেঞ্জ ! দেশ তো টিকে থাকবেই। দেশ কি মরে যাবে নাকি কোন যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে ? কিন্তু দেশের মানুষ কোন অবস্থায় টিকে আছে ? জীবন তো চলেই যায়, ভিক্ষে করে হলেও, ল্যাংড়া, কানা হলেও। নাভিশ্বাসে দমবন্ধ অবস্থা হলেও জীবন চলে যায়। কিন্তু এই জীবন কি কারো কাম্য ? এভাবে কি কেউ বাঁচতে চায় ? ইয়ে পাকাদের মধ্যে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা চায় এভাবেই এদেশের মানুষের জীবন কেটে যাক। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তারা উল্টো জনগণের অনিয়মের দিকে আঙ্গুল তোলে। অনিয়মের জনগণকে নিয়মের মধ্যে আনার জন্যই সেই সুপ্রাচীনকালে পৃথিবীতে প্রথম প্রশাসনের শুরু হয়েছিল। এবং প্রশাসনিক লোকের সূচনা হয়েছিলো। সবাই নিয়ম মেনে চললে তো প্রশাসনিক ব্যাপারটারই দরকার হতো না। এখন যখন প্রশাসনেই চরম অনিয়মের কারখানা তখন স্বাভাবিকভাবেই নিয়ম না মানা জনগণের সংখ্যা তাই দিন দিন তাল মিলিয়েই বাড়ছে। বিষয়টা নিয়ে আরও বিস্তৃত বলার আছে। কিন্তু এখানে আর নয়।

আমি এত অস্থির চিত্তের মানুষ নই বন্ধু। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা আপনার জন্য।

১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার পয়েন্ট বুঝেছি। কিন্তু আমি ওদের আন্দোলনে সমর্থন করিনি! এটা ঠিক! এর কারণ হল এতে ওদের ক্ষতি হত। তাদের রাস্তায় থাকা আমি সমর্থন করি না। আমি চেয়েছিলাম নিরাপদ সড়ক আন্দোলন বড়রা করুক। কিন্তু কেউ নামেনি। নামবে না। কেননা আমরা এতই পচে গেছি যে ছাত্রদের উপর সব চেপে দিয়েছি! ওদের ইস্তেমাল যারা করতে চেয়েছে তাদের বিষয়ে আপনি কি বলবেন?



১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "তাদের রাস্তায় থাকা আমি সমর্থন করি না"। আমিও তাদের রাস্তায় থাকা মোটেই সমর্থন করি না। তারা রাস্তায় কেন থাকবে। তাদের তো রাস্তায় থাকার কথা নয়। বড়দের রেখে যাওয়া, তৈরি করে যাওয়া অসংখ্য প্রাপ্তি নিয়ে তাদের বড় হওয়ার কথা। চাপহীনভাবে আনন্দের সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছাত্রজীবন পার করার কথা। লেখাপড়ার সাথে আরও নানামুখী আনুশীলনে তাদের থাকার কথা। কিন্তু যেভাবে তাদের থাকার কথা তার অনেকটাই তারা পায়নি। আর এই অনেক না থাকার মধ্যেই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ভীষণ বেদনাদায়ক দুর্ঘটনায় বড়দের নির্জীব থাকতে দেখেই পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে জন্ম নেয়া ক্রোধের প্রকাশ ওরা আটকাতে পারেনি। সেজন্যই রাস্তায় নেমে এসেছিলো। আর যেহেতু এসেই পড়েছিলো স্রোত ঠেকানো যায়নি সেহেতু এই ছোটদের অন্তত একটা বড় অর্জন নিয়ে যাওয়া ভীষণভাবে কাম্য ছিল। আর বুদ্ধিমান বড়দের সেই অর্জনে সাহায্য করা দরকার ছিল। কারণ একটা বিশাল একতাবদ্ধ শক্তি হুটহাট করে তৈরি করা যায় না। আর এদেশের বড়রা কোনরকম একতাবদ্ধ শক্তিই তৈরি করতে পারছে না। এই বিষয়েই প্রথম পোস্টে লিখেছিলাম।

ওদের ইস্তেমাল যারা করতে চেয়েছে তারা যে জঘন্য মানসিকতার মানুষ সে ব্যাপারে আমি দ্বিতীয় পোস্টে লিখেছি। এখন যেটা হল সাধারণ মানুষকে আরও অনেক বেশী সতর্ক হতে হবে এবং জানতে হবে রাজনীতির এই ধরণের গতিপ্রকৃতি এবং ষড়যন্ত্রগুলো সম্পর্কে। চাঁদগাজী ভাই ঠিক বলেন, এই দেশের মানুষের সঠিক রাজনৈতিক জ্ঞান খুব কম। দেশের মানুষকে সঠিকটা চিন্তা করতে, ভাবতে শেখাতে হবে বুদ্ধিমানদের। কিন্তু কিভাবে, কতদূর পরিকল্পনায় সেসব নিয়ে বিশদ গবেষণার এবং কর্মপরিকল্পনা নেয়ার প্রয়োজন আছে। কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের মানস উন্নয়নমূলক একটি অনর্থনৈতিক বিষয় সেহেতু এই বিষয়ে কোন কাজই অন্তত বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় হবে না। আশার কথা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে মানুষ এখন রাজনীতি নিয়ে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী খবর জানতে পারে এবং নিজেদের মতামতও জানাতে পারে। এভাবে একটা কন্টিনিউ চর্চার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে অধিক সংখ্যায় মানুষ রাজনীতির স্বরূপ সম্বন্ধে উপলব্ধিতে আসবে। কিন্তু একইসাথে সাধারণ মানুষের ভাবনার বিভ্রান্তিকরণও চলতে থাকবে। অনেক কিছুই নির্ভর করছে অনেক কিছুর উপর। আপাতত মানুষ এই আন্দোলনের ভুলগুলো থেকে ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক হোক, এটাই কাম্য। বিশাল প্রতিমন্তব্য করে খিদে পেয়ে গেলো :-< । বন্ধুর এখনের মন্তব্যটা খুব ভালো লেগেছে :)

১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

রাকু হাসান বলেছেন:



আমি এখন হাসতে আসছি ;) B-) =p~

লেখাতে এত কেন ইয়ে?
বিয়ে করো বিয়ে???:P
ইয়ে মানে করবো বিয়ে,
তবে....ধুৎ কথা না বলি এ নিয়ে। :P

হোয়াট আ্যা কাউন্টার আট্রাক !! ;) ;) B-) =p~

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হিহি। হাসতে থাকো। হাসি অনেক সুস্থ রাখে মনকে ও শরীরকে =p~

১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




ওদের যে মানসিক অপরিপক্বততা সেটাকে কিভাবে দেখছেন? পৌরাণিক কাহিনীর আড়ালে নিশ্চয় ওদের শাপ মোচন হবে না। ইউটিউব, ফেসবুকখোর প্রজন্ম কি শিখছে কি দেখছে কি ভাবছে কি করছে এসব জানুন তারপর আরামে আলাপ সালাপ করব। তাদের ভঙ্গুর অবস্থা ব্লগে তুলে আনলে অনেকেই লজ্জা পাবেন! এসব আমি খেয়াল করেছি! সিফাতুল্লাহ, সুবা এ দুটো ভিডিও ইউটিউবে সার্চ দিয়েন। তরুনদের সুললিত মন্তব্য ইউটিউব লিংকে এখনো ভাসমান। আশা করি, দেবতার মত আপনিও এসব কালিমা ভুলে যাবেন!


অবক্ষয়ের শেষপ্রান্তে তরুণ সমাজ! এতোবেশি হাত বুলিয়ে দিয়েন না, নিজের ঘরেও আগুন লাগতে পারে! আগের মতই বলি- অন্ধ হলে প্রলয় থেমে থাকে না বন্ধু! আশাকরি, ঠান্ডা মাথায় কথা গুলো বিশ্লেষণ করবেন, বিচার করবেন, যাচাইবাছাই করবেন! আমি তরুনদের ভালবাসি। আমি চাইনা ওরা পংকিলতায় ডুবে মরুক!



শালীনতাবোধের যথেষ্ট অভাব তাদের রয়েছে। আপনি ভিডিও মন্তব্য দেখুন ইউটিউবে কয়েকটা! তবেই সব বুঝে যাবেন! ওরা ফেসবুকে ইচ্ছেমত সেলিব্রেটিদের গালি দেয়! এমন সমাজে ওদের শাসন দরকার, আদর অনেক হয়েছে। মায়ের আদর ভাল, বেশি হলে সেটা সব কিছুই খারাপ!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ওরা তো মানসিকভাবে অপরিপক্কই কারণ ওদের পরিপক্ক হওয়ার বয়সই হয়নি। আর পৌরাণিক শাপ মোচনের কথা কেন বলছেন, ওদের যে বয়স এই বয়সে তো ওরা অপরাধী হিসেবেই গণ্য নয়।

এবার বলি, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আপনি তুলে ধরেছেন। এই বিষয়ের আলোচনা আমার খুব পছন্দ। দীর্ঘদিন আগে আখেনাটেন ভাইয়ের সাথে উনার এক পোস্টে বাংলাদেশের এই প্রজন্মের চর্চিত সংস্কৃতি নিয়ে একটু আলাপ হয়েছিলো। আর প্রযুক্তির আগ্রাসন নিয়ে আহমেদ জী এস ভাইয়ের পোস্টে সামান্য আলোচনা হয়েছিলো। এই প্রসঙ্গের আলোচনা মন্তব্যের মত ছোট জায়গায় নয়, এটি বৃহৎ বিশ্লেষণের দাবীদার। ইউটিউব আর ফেসবুক তো ওরা আবিষ্কার করেনি। বড়রা করেছে । ওদের হাতে তুলে দিয়েছে। আমি অনলাইনে থাকি, আমি কেন জানবো না ওরা কি দেখছে, কি শিখছে। যে দেশ এগুলো আবিষ্কার করেছে ওরা সেগুলো নিয়ে এই অবস্থায় যায়নি যে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অবস্থায় আমরা গিয়েছি। কোন কিছু ব্যবহার করার আগে সেটা ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠতে হয়। শুধু দেশের ভৌত অবকাঠামো নয়, সামাজিক কাঠামোসহ অসংখ্য অসংখ্য ভুল আছে আমাদের মানসিক কাঠামোতে।

অবক্ষয়ের শেষ প্রান্তে তরুণ সমাজ। তরুণ সমাজের সামনে ছিল এখনকার বুড়ো সমাজ। বুড়োরা কেন তরুণদের ওই অবস্থায় যেতে দিলো। কারণ তারা নিজেরা নিজেদের সময় অনৈতিকতায় ডুবে ছিল। এখনকার মত না তারা তাদের মত অনৈতিকতায় ছিল। তারা সবসময় নিজেদের স্বার্থের চর্চা করে গেছে আর এটাই হল তাদের অনৈতিকতা। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাবে নাই। নিজে ভালো থাকা নিয়ে সারাজীবন চিন্তা, কুচিন্তা, কাজ, কুকাজ সব করেছে। এখন নিজেরা বৃদ্ধ হয়ে তরুণদের এই অবস্থা দেখে হা হুতাশ করে মরছে। আরও অনেক কারণ আছে এই বিষয়ে বলার এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের। ফেসবুক, ইউটিউব বন্ধ করে রাখা যাবে না। সেটা গাধার মত সিদ্ধান্ত হবে। মারধোর করে তরুণদের ঠিক করার চিন্তা হল হাস্যকর চিন্তা।
যত যাই বলা হোক, এই প্রজন্মই এই দেশের ভবিষ্যৎ। অন্য দেশের ছেলেমেয়েরা এই দেশের ভবিষ্যৎ হাল ধরবে না। বুদ্ধিমানের কাজ হল এরা উচ্ছন্নে গেছে বলে হা হুতাশ করে সময় নষ্ট এবং মারধোরের চিন্তা না করে এখন থেকেই কিভাবে এদেরকে সঠিক পথে রাখা যায় সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো। ভুলগুলো কি, সমাধান কি এসব ভাবা। আর এখানেও সেই চরম ব্যর্থ, স্বার্থপর, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর প্রশাসনের প্রসঙ্গই চলে আসবে।

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তাদের নিজেদের ইয়ের ইয়ে - - - - - - সেন্সর - --

আন্দোলোনকারী ছেলে মেয়েদের বয়ষ ১৫-২৫ পর্যন্ত দেখা গেছে ! ধরে নিচ্ছি নুন্যতম বয়ষ ১৫ তাদের ইয়ের ইয়ে সম্পর্কে মেডিক্যাল সাইন্স কি বলে জেনে নিন ।।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "ধরে নিচ্ছি নুন্যতম বয়ষ ১৫ তাদের", আমি আরও ছোট বাচ্চাদের অনেক ছবি দেখেছি। আর সেজন্যই বলেছি " এদের অনেকের তো...... "। "তাদের" বলে সবাইকে বুঝিয়ে লিখিনি আমি। আরেকবার লেখাটা দেখুন, ঠাকুর মাহমুদ ভাই।

১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইসলাম ধর্ম আর কোনো ধর্মকে স্বিকৃতি দেয় না, একমাত্র ইসলাম ধর্ম সত্য বাদ বাকী সব মিথ্যা । সমস্যা হচ্ছে মা কালী পৃথিবীতে এসে গেছেন তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে - এখানে ইসলাম ধর্ম চাঁদ ভাঙ্গা নিয়ে পরে আছেন, অনেকটা স্বাধিনতার ঘোষক কে “ভাঙ্গা ক্যাসেট বারংবার বাজানোর মতো” !!!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাদবাকি মিথ্যা ধর্ম বলে আপনি মা কালীর উদাহরণটি নিতে পারছেন না, এই তো। ওয়েল, নিতে হবে না, আপনি নিজেকে দিয়েই উদাহরণ পাবেন। আপনার ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বললে নিশ্চয়ই প্রচণ্ড রাগ হয় আপনার। প্রচণ্ড রাগ হলে যা করতে ইচ্ছে করে, এই যেমন, আমার এই পোস্ট দেখে আপনার এতটা রাগ হয়েছে যে পরপর তিনটি কমেন্ট করে ফেলেছেন, ভ্রমরের ডানার সব মন্তব্যে লাইক দিয়েছেন। এটা প্রচণ্ড রাগ নয় তবে এসব হল রাগের বহিঃপ্রকাশ। রাগ হলে তার প্রকাশ ঘটবেই। আর যদি রাগ জমতে থাকে তাহলে একদিন পুঞ্জিভূত রাগ তীব্র ক্রোধে পরিণত হয়, সেটাই হল ক্রোধের শক্তি। বিভিন্ন পোস্টে আপনার প্রতিক্রিয়া দেখে আমি নিশ্চিত জানি আপনি ক্রোধের শক্তিটা কি তা বোঝেন। ক্রোধের প্রকাশে মানুষ কখনো নিয়ম মানতে পারে না।

"এখানে ইসলাম ধর্ম চাঁদ ভাঙ্গা নিয়ে পরে আছেন, অনেকটা স্বাধিনতার ঘোষক কে “ভাঙ্গা ক্যাসেট বারংবার বাজানোর মতো” !!! এই পোস্টে এই মন্তব্যের কোন প্রাসঙ্গিকতা পেলাম না। ধন্যবাদ, ভাই।

২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভ্রমরের ডানা’র প্রতিটি কমেন্টে একটি করে লাইক দিচ্ছি - সত্য বচন ।।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি ভ্রমরের ডানার একটি কমেন্টে লাইক দিয়েছি।

২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কদিন আগে একটা ছড়ায় এটা তুলে ধরেছিলাম-
কী বললে? হয়েছেটা কী? করছো কী এসব?
দুটো বাচ্চা মেরেছে বলে এতো কলরব?
তোমাদের কী পড়াশুনো নেই? গুন্ডার দল যত!
খবর রাখো বিম্পি আমলে লোক মরতো কত?
প্লাকার্ডে লিখেছো, “পুলিশ কোন চ্যাটের বাল”
অশ্লীলতায় ডোবাতে- এলো ঘোর কলি কাল!
লেখাপড়া করে হলো এমন ভাষার শ্রী!
এজন্য আমরা তোমায় বই দিচ্ছি ফ্রি?
একেডেমি করছেটা কী- তারা তো ন্যায়পাল,
তারা থাকতে কেমনে হলো ভাষার এমন হাল?
এই ভাষার জন্যই কী দিয়েছিলাম জান?
তারচে' তো উর্দু ভাল- তাকেই ফিরিয়ে আন!


আসলে যারা আন্দোলনের ভাষা নিয়ে কথা বলছে, তারা কোনদিন কোন আন্দোলন করেনি। মানুষ যখন ক্ষেওএ যায়, তার ভাষাজ্ঞান ঠিক থাকে না। ডক্টর মহাম্মদ শহীদুল্লাহও হয়তো শুদ্ধ ভাষায় গালি দিতেন না। বাংলাদেশের পুলিশের মুখের ভাষা কেমন, জানি। তারা জনগণের সাথে যে ভাষায় কথা বলেয তা নিয়ে কোনদিন কেউ প্রতিবাদ করেছে বলে দেখিনি। আর আন্দোলনকারীরা একটু কড়া ভাষায় প্লাকার্ড লিখতেই এদের ভাষার চেতনায় আঘাত লেগে গেছে। সেকুলাস

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন, আরণ্যক রাখাল ভাই। আন্দোলনেরও তো নানা ধরণ আছে। দাবীর তীব্রতার কমবেশ আছে। গ্রহণযোগ্যতা, অগ্রহণযোগ্যতা আছে। লঘু পাপে যেমন গুরু দণ্ড দেয়া যায় না, ঠিক তেমনি আবার সব আন্দোলনে এমন ভাষা মেনে নেয়া যাবে না। যেমন, প্রেস ক্লাবের সামনে বসা বেসরকারি নার্সদের দল এমন ভাষা ব্যবহার করলে তা কিন্তু মোটেই গ্রহণযোগ্য হতো না। অর্থাৎ পূর্বপরিকল্পিত এবং সুগঠিত ও সুপরিচালিত আন্দোলনে এমন ভাষা মেনে নেয়া যাবে না। কিন্তু বারুদের মত জ্বলে ওঠা আন্দোলনে এমন ভাষা সহজাত।

"বাংলাদেশের পুলিশের মুখের ভাষা কেমন, জানি। তারা জনগণের সাথে যে ভাষায় কথা বলেয তা নিয়ে কোনদিন কেউ প্রতিবাদ করেছে বলে দেখিনি"। যথাযথ বলেছেন। পুলিশের মুখের ভাষা নিয়ে আগে তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আরণ্যক রাখাল ভাই। শুভকামনা।

২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চাদের এই আন্দোলনে যারা খোলামনে সমর্থন দিতে পারেন নাই, তাদের প্রতি ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। বাচ্চারা এসব শিখেছে কোথা থেকে, বড়দের থেকেই তো! আমরা, বড়রা কিভাবে এর দায় এড়াবো? বড়রাই বাধ্য করেছে তাদেরকে রাস্তায় নামতে। ভাষা না দেখে আন্দোলনের যৌক্তিকতা দেখাটা জরুরী ছিল। মানুষের গায়ে লেখা থাকে না, তারা কোন দল বা মতের সমর্থক! যদি কোনদিন এরা নিজেরা বা তাদের কোন বন্ধু বা আত্বীয় এই দুর্ঘটনা কোটেড হত্যার শিকার হয়, শুধুমাত্র তখনই তারা এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা বুঝতে পারবে। তার আগে না, আপনি যতোই চেষ্টা করেন না কেন!

বাকীটা আপনার লেখায় দারুনভাবেই এসেছে। এই আন্দোলন নিয়ে আমিও লিখেছিলাম, লিংক দিলাম;
view this link

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভুয়া মফিজ ভাই। ছোটরা যে বড়দের থেকে শিখছে এটা না বোঝাটা হল বোকামি, আর যে বড়রা এটা বুঝতে পারে না তাদের জন্য করুণা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। তবে ছোটরা অনেক সময় নিজে থেকেও শিখে ফেলে। কিন্তু সেখানেও নান পারিপার্শ্বিকতায় বড়রাই পরোক্ষভাবে দায়ী থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না। নিজেদের ভুল ভ্রান্তি বের না করে ছোটদের উপর দোষ চাপানোটা একেবারেই অন্তঃসারশূন্য।

আপনার লেখাটা পড়বো। শুভেচ্ছা রইলো।

২৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকালআপু,

অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পৌরাণিক আখ্যায় আখ্যায়িত করে আন্দোলনকারীদের ভাবাবেগকে যেভাবে যৌক্তিকতা দিয়েছেন তাতে মুগ্ধ হলাম। একটি সুস্থ গনতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলন জনগনের বৃহত্তম হাতিয়ার। শুধু গনতন্ত্র কেন রাজ শাসনের বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে জনগন ছিঁনিয়ে নিয়েছিল শাসকের মানদণ্ড। তাই সে ফ্রান্সে হোক বা জারের রাশিয়াতেই হোক। আর এরকম অসংগঠিত গনজাগরণের নেপথ্যে দেশের বুদ্ধিজীবিদের অবদান অনস্বীকার্য। ফ্রান্সে ভলতেয়ার, দিদেরো, মন্তেস্কু, রুশো কিমবা রাশিয়াতে দস্তয়েভস্কি তাঁর জীবৎদশায় দেখে যেতে না পারলেও ওনার Notes from the Underground , Crime and Punishment , The Idiot , The Possessed প্রভৃতি প্রত্যেকটা গ্রন্থে তিনি জার শাসনের তুলোধনা করেছিলেন।

গান্ধিজি দক্ষিণ আফ্রিকায় লিও টলস্টয়ের Kingdom of God এবং ইংরেজ লেখক রাসকিনের Unto the Last পড়ে সত্যাগ্রহের প্রতি আকৃষ্ট হন, তার পরেতো একটা মিথ সৃষ্টি করেন। পরবর্তীকালে নেলসন ম্যান্ডেলা বা ইয়াসের আরাফাত গান্ধির দেখানো পথে হেঁটেই শাসকগোষ্ঠীকে টলাতে পেরেছিলেন।

বিষয়গুলি একারনে উত্থাপিত করলাম, অহিংস, সত্যাগ্রহ পথে আন্দোলন যতটা পাওয়ারফুল হিংসা বা অসংগঠিত নেতৃত্বশূন্য আন্দোলন ততটা দুর্বল। এখানে সাময়িক আবেগবশত আন্দোলন একটা হিংস্রতা পেলেও রাস্ট্র বলপূর্বক তা দমন করে আন্দোলনকারীদেরই ভিলেন বানিয়ে দেয়। তখন কিন্তু বিরোধটা হয়ে দাঁড়ায় রাষ্ট্র বনাম গুটিকয়েক নেতানেত্রী ।

একটি পুরানো প্রসঙ্গ টানবো , অসহযোগ আন্দোলনকালে চৌরিচৌরায় ২২ জন পুলিশকে অগ্নিসংযোগে পুড়িয়ে মারলে গান্ধি সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন, যদিও এখানেও বিতর্ক ছিল। ব্রিটিশ কিন্তু পুলিশ হত্যার দায়ে ২২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ১৭২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ১৯ জনের ফাঁসি দিয়ে বাকিদের দ্বীপান্তরিত করা হয়। ( নামের তালিকাটা পরে দিচ্ছি) ।
কুয়োমিনতাং স্কোয়ারে ছাত্রগনহত্যার প্রতিবাদে স্বদেশী শাসন সন্তানহারা বাবামায়েদের বেয়োনেটে কান্না থামিয়ে দিয়েছিল সে দেশের সরকার ।

আপু যে জন্য এতগুলি প্রসঙ্গটানা, সরকার হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনকে দমন করতে বলপ্রয়োগ করে উল্টে ওদেরকে ভিলেন বানায়। কিছু প্রাণ চলে যায়। কিছু বাবামায়ের কোল শূন্য হয়। যাদের যায় তাঁরা জানে সন্তান হারানোর জ্বালাটা কী। আমি আন্দোলনের বিরোধী নই, কিন্তু এই ফরমাটের বিরোধী । আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও উগ্র আন্দোলন সাফল্য পায়নি। তাই বলে তাদের যে যুক্তি নেই তা কিন্তু নয়। জেহাদি, মাওবাদীদের মত উগ্রবাদীরাও নিজেদের যুক্তিতে অবিচল। তবে সে যাইহোক দেশের এই কোমলমতি বাচ্চারা যদি শালীন প্লাকার্ড নিতো তাতে বরং আমিও আমার সন্তানকে সামিল করতাম। আর সে কারনে বোধহয় এমন অশালীন আন্দোলনে কোনও একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কিছু প্রাণ বলি হলে সে দায় যেমন রাষ্ট্রও নেবেনা তেমনি আমি আপনিও দায় ঝেড়ে নিজের সন্তানকে নিরাপদে রাখবো সে কথা বলা বাহুল্য ।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়আপুকে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শুভবিকেল, পদাতিক ভাই।

আপনি অনেক বৃহত্তর দিকে নিয়ে গেছেন মন্তব্য। প্রসঙ্গ ছিল ক্রোধের বশে তৈরি হওয়া একটা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে ভাষার ব্যবহারটাকে কিভাবে দেখতে হবে এবং অবস্থান কি হওয়া উচিত সেটা। আপনি চলে গেছেন আন্দোলন অহিংস না সশস্ত্র হবে সেই স্ট্র্যাটেজির দিকে। যাইহোক, যেহেতু এনেছেন তাই কিছু কথা আমিও বলি।

১৩ থেকে তো টিন এজ শুরু হয়, টিনেজে যেখানে বালক বালিকাদের হিরো থাকে হলিউড, বলিউডের নায়ক অথবা কোন খেলোয়াড় কিংবা গায়ক সেখানে আমার হিরো ছিল নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী এবং এরকম আরও কয়েকজন। এটা এজন্যই বলছি অহিংস আন্দোলন এবং মহত্মা গান্ধীকে কত ছোট থেকেই শ্রদ্ধা করি সেটা বোঝাতে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমার উপলব্ধি হয়েছে অহিংসের সাথে সাথে লড়াইটাও কত প্রবলভাবে প্রকৃতিতে বিদ্যমান। যে কয়টা উদাহরণ আপনি অহিংস সফলতার দিলেন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি আছে সশস্ত্র লড়াই করে জয়ী হওয়ার উদাহরণ। “আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও উগ্র আন্দোলন সাফল্য পায়নি”। এটা ভুল না ঠিক বলছেন তা নির্ভর করছে উগ্র আন্দোলন বলতে কি বোঝাচ্ছেন সেটার উপর। আমাদের মুক্তিযুদ্ধই হয়েছে সশস্ত্র সংগ্রামে। ভারতীয় উপমহাদেশে যদি বৃটিশদের বদলে আরব বর্বরদের শাসন থাকতো তাহলে নিশ্চিতভাবেই অহিংসপ্রথা কাজ করতো না। এমনকি আমেরিকানদের শাসন থাকলেও কাজ করতো কিনা সন্দেহ। তাছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বৃটিশরা অনেক ক্লান্ত ছিল এবং নবগঠিত জাতিসংঘের একটা প্রভাবও ছিল তাদের এত দ্রুত চলে যাওয়ার।
শত্রুরও একটা লেভেল থাকে যে সে কোন পর্যায়ের শত্রু এবং তার সাথে কিভাবে লড়তে হবে। এই প্রসঙ্গে আমাদের বঙ্গবন্ধুর একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, “When you play with a gentleman, you play like a gentleman. But when you play with bastards, make sure you play like a bigger bastard. Otherwise, you will lose.”
― Sheikh Mujibur Rahman

অহিংস প্রথা উত্তম যেখানে হানাহানি, রক্তপাত, মানুষের মৃত্যু থাকে না। কিন্তু কঠিন সত্য হচ্ছে নিষ্ঠুরতা্‌, ক্রূরতা প্রবলভাবেই মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। মানব সভ্যতার যেমন ধীরে ধীরে অগ্রগতি হয়েছে, হচ্ছে ঠিক তেমনি মানুষের যুদ্ধের ধরণেরও অগ্রগতি হয়েছে, হচ্ছে। যুদ্ধে মানুষ মরেছে সবসময়ই কিন্তু আগের মত যেমন ধরুন মধ্যযুগীয় যুদ্ধের বর্বরতা এখন নেই। পূর্বের শতকগুলোর তুলনায় এখন যুদ্ধের সংখ্যাও কম। আবার যুদ্ধে কি কি করা যাবে আর কি করা যাবে না সে বিষয়েও মানুষ নিয়ম কানুন বানিয়েছে এবং এগুলো না মানলে পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিচারও হয়। অর্থাৎ লড়াইয়ের ইতিহাসে মানুষের আচরণের উন্নতি হচ্ছে। এভাবে মানব সভ্যতা একটা স্তরে যাওয়ার পর হয়তো পৃথিবীর বেশিরভাগ আন্দোলন অহিংস থাকার যোগ্য হয়ে উঠবে। তবে সেটা অনেক অনেক দূর কল্পনা। কিন্তু নিষ্ঠুরতা কখনোই পুরোপুরি শেষ হবে না।

এবার পোস্ট নিয়ে বলি। আমাদের এই বাচ্চাদের আন্দোলন নিছকই একটি ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলন ছিল। এটা শাসকের শাসনদণ্ড কেড়ে নেয়ার আন্দোলন ছিল না। এটা কোনভাবেই উগ্র বা হিংস্র ছিল না। আপনার এই সমস্ত শব্দচয়নগুলো ভুল।
আপনার সন্তানের হাতে আপনি অশ্লীল প্ল্যাকার্ড দিবেন না, কিন্তু তাকে দাবীর পক্ষে আন্দোলনে সামিল করা ছিল সময়োচিত কর্তব্য। জীবনের দাবীর চেয়ে মূল্যবান কোন কিছুই নয়। আন্দোলনের পরে তাদেরকে ভাষা নিয়ে মার্জিত হওয়ার শিক্ষা দেয়া উচিত ছিল, চলাকালে নয়।

“আমি আপনিও দায় ঝেড়ে নিজের সন্তানকে নিরাপদে রাখবো সে কথা বলা বাহুল্য”।আপনি একা আপনার সন্তানকে কখনোই নিরাপদ রাখতে পারবেন না। রাষ্ট্রেই আপনাকে সন্তান নিয়ে থাকতে হবে এবং সন্তানটিকে এই অবস্থাতেই বেড়ে উঠতে হবে। সে এবং তার মত সন্তানরা এখন থেকেই দেখছে তাদের ভীরু ও ব্যর্থ বাবারা তাদের জন্য কেমন বাসভূমি তৈরি করেছে। তারা আপন তাগিদেই বড়দের আর মানবে না।

পরিশেষে আরও অনেক কথা বলা যায় আন্দোলনের নানা বিষয় আশয় নিয়ে, কিন্তু প্রতিমন্তব্যে আর নয়। পরিশ্রমলব্ধ একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কম হয়ে যায়। অনেক অনেক শুভকামনা নেবেন, পদাতিক ভাই।


২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


শুধু দেশের ভৌত অবকাঠামো নয়, সামাজিক কাঠামোসহ অসংখ্য অসংখ্য ভুল আছে আমাদের মানসিক কাঠামোতে।




একমত! কিন্তু ছেলেরা ফেবু ইউটিউবে যা দেখে তাতে সরকারের কিছুই করার নেই। এটা একটা মুক্ত প্লাটফরম! এখানে শিশুদের পরিপক্বতা আসার আগে ঢুকতে না দেওয়াই উত্তম!



কিন্তু তা কি সরকার করবে নাকি অভিভাবক করবে! সব দোষ সরকার আর প্রশাসনে দিতে হয় না কিছু দোষ জনগনকেও দিতে হয়!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অবশ্যই জনগণের দোষ আছে, বন্ধু। ভীষণরকম আছে। ইউটিউব দেখার ক্ষেত্রে জনগণের দোষ হল মূর্খতার দোষ, প্রকৃত শিক্ষার অভাব এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারা। যে মা বাবা নিজেই জানে না ইউটিউবে কি আছে বা প্রযুক্তি কিভাবে চালায় সে মা বাবা সন্তানকে আটকাবে কিভাবে। যে মা বাবা শিক্ষিত হয়েও প্রকৃত শিক্ষিত নয় মানে শুধু চাকুরী করা ইনকামবাজ শিক্ষিত সেসব বাবা মাও এসবের নেতিবাচক দিক বুঝবে না, বুঝলেও তাকানোর সময় নেই। আর ঘিলু কম বাবা মায়েরা যারা নিজেদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না হাবিজাবি জিনিস দেখা থেকে তারাও সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এসমাজ পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি মানবিক বিদ্যার্জনের সমাজ নয়, বিলাসিতা অর্জনের সমাজ। সেজন্যই প্রশাসনিকভাবে প্রখর সাইবার মনিটরিং হলে ছেলেমেয়রা এসব দেখার সুযোগ পেতো না। কিন্তু আমাদের দেশে সাইবার নিয়ন্ত্রণের মানে সম্পূর্ণই ভিন্ন। নিয়ন্ত্রণের নামে হয়রানিই এখানে আসল কাজ।

২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভগত সিং এর মৃত্যুটা গান্ধীজী চাইলেই আটকাতে পারতেন। ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিরাপদে, সুস্থতায় ভালোভাবে বাঁচুন পদাতিক ভাই। শুভকামনা করি।

২৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মন্তব্য পাল্টা মন্তব্য জমে উঠেছে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, মাইদুল ভাই। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।

২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি বারবার আসছি কালীর ছবিটা দেখতে।

হা হা হা

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহাহা :-P :P =p~

২৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কখনো কোন লণ্ডভণ্ড ধারা নিয়ম মেনে হয় না, সভ্য থেকে হয় না, সব লণ্ডভণ্ড করেই হয়। সুন্দর বলেছেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, লিটন ভাই। পাঠে কৃতজ্ঞ হলাম। অনেক ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইলো।

২৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

পেটুকরাজা বলেছেন: টসটসা স্তন

৩০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,




আপনার সমস্ত অনুভব ও তার বিশ্লেষণ প্রশংসার দাবী রাখে ।
" সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস যখন ওঠে তখন নোংরা অনোংরা সব কিছু নিয়ে ওঠে। জলোচ্ছ্বাসের কোন ধর্ম অধর্ম নেই । কখনো কোন লণ্ডভণ্ড ধারা নিয়ম মেনে হয় না,সভ্য থেকে হয় না, সব লণ্ডভণ্ড করেই হয়। ক্রোধের শক্তিই হল একেবারে সব ছিঁড়ে ফেলা, কোন বাঁধ না মানা।"
যদিও এই সমুদ্রমন্থনের অমৃত ভোগ করে তৃতীয় পক্ষ ।
তাই প্রাসঙ্গিক এবং যথার্থ ভেবে এই শের'টি তুলে দিলুম । হয়তো এটাই শেষের বাস্তবতা -----
"মর গ্যায়ে বুলবুল কাফাস মে
কেহ্‌ গ্যায়ে সাইয়াদ সে
আপনি সুনেহ্‌রি গান্ড্‌ মে
তু ঠোনস লে ফস্‌ল ই -বাবার "


তরজমা ---
"ছোট্ট পাখিটা মরে গেছে তার খাঁচায়
তার বন্দিকারীকে বলে গেছে এই কথা -
দয়া করে বসন্তের ফসল তুলে নাও, আর
ঠেশে পোরো তোমার সোনালি পশ্চাৎদ্দেশে । "

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শেরটি পড়ে কিছুক্ষণ তাজ্জব হয়ে বসেছিলাম।

আপনিও যে গভীরভাবে অনুভবের চেষ্টা করেন জীবনকে, চারপাশের সবকিছুকে সে আমি জানি, আহমেদ জী এস ভাই। পোস্টের পিক পয়েন্টটা মন্তব্যে তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগা, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

৩১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

গরল বলেছেন: আগে বলেন এই ভয়ংকর অশালীন ছবিটা কি কোন শিশুর দেখার জন্য উপযোগী কিনা, কারণ এসব ছবি সব মন্দিরে সাটানো থাকে। যাই হোক শিশুদের চরিত্র শিশুসুলভ হওয়াটাই বাঞ্চনীয়, শিশুদের ক্রোধও শিশুদের মতই হতে হবে, কালীর মত অশ্লীলদর্শন না। এই যুগে কোনকিছু পূড়াণে বর্ণিত কল্পকাহিনীর সাথে তুলনা করলে সেই পূরাণের যুগেই ফিরে যেতে হবে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বছরে একবার শিশুরা দেখে এটা। "শিশুদের ক্রোধও শিশুদের মতই হতে হবে" শিশুদের মতই হয়েছে। শিশুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা চর্চার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। ওরা দুধের শিশু নয়, ওরা যে বয়সী শিশু সে বয়সে মানুষের আচরণের স্বাভাবিক ধারাটা কি সে ব্যাপারে এই ইস্যুতে আমার পোস্টটা পড়ে দেখতে পারেন। পুরাণের কাহিনীর সাথে তুলনা ফেলে দিন। এই ছবি দেখে আপনার নিজের ভেতরে যে ক্ষোভের জন্ম হয়েছে সেটাকে আরও গভীরভাবে অনুভব করুণ, আর ভাবুন রাগ হলে যদি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে মানুষ কেমন আচরণ করে। এই বয়সী শিশুদেরও নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ধন্যবাদ, গড়ল ভাই।

৩২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: পুলিশের ওপর ভর করে সরকার টিকে আছে

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পুলিশ বাহিনীর সৃষ্টিই হয়েছিলো শাসক গোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখার জন্য। পর্যায়ক্রমে এখন সেটা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের সেবা। কিন্তু আমাদের দেশে শুধু নামেই আছে এসব। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, শাহরিয়ার ইমন ভাই।

৩৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সমর্থন করিলেও দেবতারা নিশ্চয়ই কালীর রুদ্র মূর্তিকে রুদ্রই বলিয়াছেন, দুর্গার সৌম্য মূর্তিকে সৌম্যই বলিয়াছেন। রুদ্রকে সৌম্য বলেন নাই !

ছ্যাচা মারা বাআলের সমর্থক ছাড়া সকলেই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করিয়াছেন ! তবে তাহাদের প্লাকার্ডের অশ্লীল ভাষাকে অনেকেই সমর্থন করেন নাই !

আমি ব্যাক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ছাড়া অন্য কোন আন্দোলন , বিষয়েই ইনভল্ভ হওয়া পছন্দ করিনা। কারণ ইহাদের ঘাড়ে বন্দুক রাখিয়া স্বার্থ উদ্ধার করিতে বহু দেখিয়াছি !

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হ্যাঁ, টারজান ভাই, রুদ্র তো রুদ্রই আর সৌম্য তো সৌম্যই । সৌম্যতে থাকাটাই কাম্য এবং স্বাভাবিক। আর রুদ্র রূপটা হঠাৎ কখনো অপরিহার্য হয়ে ওঠে।

অশ্লীল ভাষাকে সমর্থনের দরকার নেই। আমিও সমর্থন করি না। আমারও একেবারেই ভালো লাগেনি দেখতে। কিন্তু আন্দোলন চলাকালে এটা নিয়ে বলা ছিল ভুল ও বোকামি। কারণ এতে মূল আন্দোলনের স্রোত নষ্ট হয়েছে। উচিত ছিল একটা সফল সমাপ্তির পর বিষয়টা নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সক্রিয় হওয়া। শ্লীল ভাষাতেই যে অতীতে অনেক সফল আন্দোলন হয়েছে সেই দৃষ্টান্ত ছেলেমেয়েদের সামনে আনা যেতো।

শিক্ষার্থীদের আসল কাজ শিক্ষায় মনোনিবেশ করা। ওরা আন্দোলনে ইনভল্ভ হোক এটা কেউই চায় না। একটা অনিবার্য পরিস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওরা বেরিয়েছিল। কিন্তু পাশে যোগ্য অভিভাবক ও নেতৃত্ব পায়নি। সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত হয়ে গেলো। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন, টারজান ভাই।

৩৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কালী মুর্তি ছবি নিয়ে যারা মন্তব্য করছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি - ছবিতে যেই মুর্তি তিনি অবতার তাঁর নাম “মা কালী” যিনি পৃথিবীতে বেশ কয়েকবার আবির্ভাব হয়েছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন ধর্ম:- হিন্দু ধর্ম, পুরাণ, বেদ, পেগান ।

আপনার কথায় যদি মনে হয় “রাগ করে তিন তিনটি কমেন্ট করেছি” তাহলে তো আপনার ব্লগে আর কমেন্ট করা উচিত না - রাগ করে !!!

*** মা কালীর উদাহরণ আমি নিতে পারছি, কারণ আমি জানি মা কালী পৃথিবীতে এসে গেছেন এবং তা বিশ্ব স্বিকৃত ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: না না, অবশ্যই কমেন্ট করবেন, ঠাকুরমাহমুদ ভাই। রাগ করে কমেন্ট বন্ধ করবেন না প্লীজ, হা হা। আমি তো আপনাকে জাস্ট রাগজাত কর্মের উদাহরণ দিয়েছি সেটা। :)

"মা কালী পৃথিবীতে এসে গেছেন এবং তা বিশ্ব স্বিকৃত" - বিশ্ব স্বীকৃত !!?? আমি জানি, বিশ্বাসীদের কাছে স্বীকৃত। "বিশ্ব স্বীকৃত" বিষয়টা বিস্ময়কর।

৩৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: বাংলাদেশের সকল জনগণকে রাষ্ট্র কী? রাষ্ট্র কেন গঠিত হয়েছিল? সরকার কী? সরকারের কাজ কী? সরকারে জনগণের ভূমিকা কী? এগুলো নিয়ে বেতের বাড়ি মেরে শেখানো দরকার। তাহলে যদি কিছুটা হুঁশ ফিরে আসে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহাহা =p~ । এই পোস্টে একেবারে রিয়েল আনন্দ পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে :>

একটা প্রতিমন্তব্যের একটু অংশ রিপিট করে দেই।

দেশের মানুষকে রাজনীতি নিয়ে সঠিকটা চিন্তা করতে, ভাবতে শেখাতে হবে বুদ্ধিমানদের। কিন্তু কিভাবে, কতদূর পরিকল্পনায় সেসব নিয়ে বিশদ গবেষণার এবং কর্মপরিকল্পনা নেয়ার প্রয়োজন আছে। কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের মানস উন্নয়নমূলক একটি অনর্থনৈতিক বিষয় সেহেতু এই বিষয়ে কোন কাজই অন্তত বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় হবে না।
কিভাবে যে মানুষের হুঁশ ফেরানো যায়, সেটা গভীর চিন্তা করেও কূল পাওয়া দায়।
অনেক ধন্যবাদ ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা আখেনাটেন ভ্রাতা :)

৩৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সাইবার নিয়ন্ত্রণ আর মাদক নিয়ন্ত্রণ একই কথা বন্ধু! দেশে কত মাদক ব্যবসায়ী মারা গেল। সরকার চেয়েছে করেছে। কথা হচ্ছে সাইবার সরকার করবে। কিন্তু শিশুকে নিয়ন্ত্রণ পরিবারকেই করতে হবে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মাদক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে এই ব্লগেই 'এক নিরুদ্দেশ পথিক' ভাইয়ের একটি স্টিকি পোস্ট ছিল। সেখানেই স্পষ্ট ছিল মাদক ব্যবসায়ী নির্মূলের নামে সরকার যে বটগাছটাকে রেখে শুধু কিছু ডালপালা ছেঁটে দিয়ে বেদনাদায়ক নিষ্ঠুর ভাঁড়ামো করছিলো। সাইবারের ক্ষেত্রেও ইচ্ছে করে মনিটরিংএ ঘাপলা রাখার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। শিশুকে তো পরিবারই নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু একটা বয়সের পর মূলত টিনএজ থেকেই ওরা অভিভাবকের খুব বেশী নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। আর অভিভাবকদের ব্যস্ততা এবং নিয়ন্ত্রণহীনতা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে এই ডিজিটাল সময়ে অনেকগুণ বেশি।

৩৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অধিকার আদায়ের পথে বাধা দিতে নেই। বিশেষ করে যখন আমি পারছিনা অধিকারে গ্যারানটি দিতে।সে ক্ষেত্রে। সুন্দর পোস্ট ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনিও সুন্দর মন্তব্য করেছেন, সেলিম ভাই। " বিশেষ করে যখন আমি পারছিনা অধিকারে গ্যারানটি দিতে।সে ক্ষেত্রে" এই লাইনটি অনেক অনেক বেশি ভালো লাগলো। এটাই বোঝা উচিত ছিল সব বড়দের। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ ও শুভকামনা নেবেন।

৩৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার প্লাস ও মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো, সনেট কবি ভাই। ভীষণ ভালো থাকুন। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।

৩৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



অভিভাবকের দ্বায়িত্ব নেই, এটাই আসল কথা। পরকিয়ার সময় ঠিকই বের হয়, সন্তানকে ভাল মন্দ বোঝানোর সময় নাই। সব দোষ সরকারের! আপনি ঠিকই বলেছেন!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাজে মন্তব্য করলেন। অভিভাবকের দায়িত্ব নেই, এটা কোথায় বলেছি, কোট করে তুলে দেখান।
পরকীয়া করলে আর সন্তানকে বোঝানোর টাইম না পেলে সেটা অভিভাবকেরই দোষ। আর অভিভাবকের দোষ থাকে বলেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়।

৪০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি নিজে নামে ও কর্মে মুসলিম (ইসলাম নই) তবে পৃথিবীতে যতো ধর্ম আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রমাণ ফসিল ও তথ্য মিলে হিন্দু ধর্মে - তাহলে হিন্দু ধর্ম ইসলাম মতে মিথ্যা কিভাবে হয় !!!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "পৃথিবীতে যতো ধর্ম আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রমাণ ফসিল ও তথ্য মিলে হিন্দু ধর্মে"- বিস্ময়কর ! আবারও বিস্মিত হলাম। যতটুকুই পড়েছি, আপনার উল্লেখিত প্রমাণ ফসিলের ব্যাপারে কখনো পড়িনি, শুনিওনি। কি জানি হয়তো আরও জানতে হবে আমাকে। যাইহোক, এই বিষয় নিয়ে এই পোস্টে আর মন্তব্য চাই না। ভালো থাকুন, ঠাকুর মাহমুদ ভাই।

৪১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আর অভিভাবকদের ব্যস্ততা এবং নিয়ন্ত্রণহীনতা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে এই ডিজিটাল সময়ে অনেকগুণ বেশি।
- আপনি বলেছেন বন্ধু! আমি নই! সরকারের থেকে অভিভাবক ওদের বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এটাইচাই!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই বাক্যে কি অভিভাবকদের দায়িত্ব নেই সেটা বোঝানো হয়েছে ? এক 'ডিজিটাল' শব্দটা দিয়েই অনেক কিছু বুঝিয়েছি। বুদ্ধিমানদের সেটা বুঝে যাওয়ার কথা। অভিভাবক ওদের বেশি নিয়ন্ত্রণ করবে কিভাবে ? মোবাইল, কম্পিউটার না দিয়ে, ইন্টারনেট সংযোগ না নিয়ে, স্কুল বাদে সারাক্ষণ বাসায় বন্দী রেখে, মুখে বলে বলে অনেক বুঝিয়ে, মারধর করে ??? না, আমি মোটেই এমনটা চাই না। আমি আশ্চর্য হচ্ছি যে, আপনি এমনটা ভাবেন !!

এই বিষয়ে এই পোস্টে আর মন্তব্য ভালো লাগছে না, বন্ধু। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।

৪২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: লেখায় ঝাঝ আছে ।
অশ্লীল মশ্লিল বলে একদল সোরগোল মাচিয়েছিল, যারা এগুলোকে নিয়ে উহ আহ করেছিল তারা হয়ত ভুলে গিয়েছিল এটা সামগ্রিক একটি ক্ষোভের বহিকাশ মাত্র।

বর্তমানের দূর্নিতি, ঘুষ এবং অনৈতিক প্রশাসনের যেই বলয় তৈরি হয়েছে এই প্রজন্ম সেটা ভেঙ্গে দিয়ে ভাল কিছু করে দেখাবে। এই তরুন প্রজন্ম আগের প্রজন্ম থেকে আরো উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিবে একসময় আমার বিশ্বাস।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বলার অপেক্ষা রাখে না আপনার প্রোপিকটা আমার খুব প্রিয় একজন মানুষের।

ভালো একটি মন্তব্য করেছেন, কাছের মানুষ ভাই। খুব ভালো লাগলো আমার মন্তব্যটি। "এগুলোকে নিয়ে উহ আহ করেছিল তারা হয়ত ভুলে গিয়েছিল এটা সামগ্রিক একটি ক্ষোভের বহিকাশ মাত্র"। হ্যাঁ, তারা ভুলে গিয়েছিলো এবং সেজন্যই আন্দোলনটা শেষমেশ প্রহসনে পরিণত হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আবার এমন হলে তারা যেন ভুলে না যায় সেটাই কামনা করি।

আপনার মত আমিও আশাবাদী। তবে বড়দের এখনো অনেক কিছু করার আছে। ওদের নিয়ে আশাবাদী কিন্তু ওরা যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে বড় হয়, মূল্যবোধ খুইয়ে ফেলে সেটা আবার হবে অশনি সংকেত। এই প্রজন্ম গড়ে আর দশ বছর পরেই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। দেশ চালাবার প্রান্তিক ভার তখন তাদের উপর পড়বে। ওরা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে এই ভার হাতে নিলে আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে পরিস্থিতির। জাতি আরও অধঃপতনের দিকে যাবে। তাই এই ঘটনার ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে মুরুব্বীদের বোঝা দরকার এই মুহূর্তে বা এখন থেকে করণীয় কি।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন, কাছের মানুষ।

৪৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আপনার লেখাটার কারণে কিছু ব্লগীয় সুশীল খুব খেপেছেন দেখছি ! যেন ব্যাপারটা এমন এই কয়েকটা আউট লায়ার প্ল্যাকার্ডের ভাষার জন্যই দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ! কাকস্য পরিবেদনা ! দিন রাত হিন্দি চ্যানেল চলছে দেশে I সেগুলোর থেকে কি ভালো কিছু শিখছে ছোট ছেলে মেয়েরা না অশ্লীল জিনিস পত্রই বেশি শিখছে ? পেপারে হরহামেশাই নিউজ হওয়া দেশের সংসদে কি ধরণের কথা হয় ? সেগুলো কি খুব শ্রবণযোগ্য ? দেশের সরকার প্রধান থেকে শুরু করে মন্তেই এমপি অনেকের কথাইতো ছেলে মেয়েদের প্ল্যাকার্ডের কথার থেকে বেশি অশ্লীল I সেগুলো নিয়ে কোনো কথা নেই আর হাজার হাজার ছেলেমেয়ে বিক্ষোভে অল্প কয়েকটা প্ল্যাকদের ভাষার জন্য গেলো গেলো রব ! আপনার লেখার বিরুদ্ধে সরব এক কবিতো দেখি এই ব্লগের সবচেয়ে অশ্লীলতার কান্ডারি এক কবির ফিরে আসা নিয়েও বিরাট এক প্যারোডি ফেঁদেছেন ! এই ডাবলস্ট্যান্ডার্ডটাই শেষ করে দিলো আমাদের I লেখায় অনেক ভালো লাগাসহ প্লাস I একটার বেশি দেওয়া গেলে আরো অনেকগুলো প্লাসই দিতাম !

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভীষণ ভালোলাগা এক মন্তব্য করলেন। মন্ত্রী-এমপিদের ছেলেমেয়েদের শুধু অশ্লীল ভাষাই নয়, তাদের করা জঘন্য নৈতিকতাবিহীন কাজও কিছুদিন পরপরই খবরের শিরোনাম হয়। অথচ তখন তারা নীরব থাকেন।

ভ্রমরের ডানা কবি শাহরিয়ার কবিরের ফিরে আসা নিয়ে একটি প্যারোডি লিখেছেন। আমি যখন প্রথম ব্লগে আসি তখন শাহরিয়ার কবিরের কয়েকটি কবিতা পড়েছিলাম এবং দু'বছর পর এবার এসে ৩-৪টি পড়েছি। আপনি যা বললেন, আমি উনার এমন কোন অশ্লীল কবিতা পড়িনি। সঠিক জানিনা, কারণ বেশিরভাগ লেখাই পড়িনি।

এখন ভীষণ জরুরী হল সাধারণ মানুষের জ্ঞান পাপীদের চেনা এবং তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নেবেন, ঈশ্বরকণা ভাই।

৪৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

বলেছেন: সমস্যাটি আমাদের সিস্টেমে-লেখায় অনেক ভালো লাগা

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, ল ভাই। সমস্যাটি যে সিস্টেমে সেটি সবাই বুঝুক, বোধোদয় হোক সেই কামনা করি। পাঠ করে মন্তব্যে ভালো লাগা জানিয়ে গেলেন বলে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

৪৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৩

বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:“আমি আপনিও দায় ঝেড়ে নিজের সন্তানকে নিরাপদে রাখবো সে কথা বলা বাহুল্য”।আপনি একা আপনার সন্তানকে কখনোই নিরাপদ রাখতে পারবেন না। রাষ্ট্রেই আপনাকে সন্তান নিয়ে থাকতে হবে এবং সন্তানটিকে এই অবস্থাতেই বেড়ে উঠতে হবে। সে এবং তার মত সন্তানরা এখন থেকেই দেখছে তাদের ভীরু ও ব্যর্থ বাবারা তাদের জন্য কেমন বাসভূমি তৈরি করেছে। তারা আপন তাগিদেই বড়দের আর মানবে না।

বারবার পড়লাম

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এটা যে প্রতিটা বাবার বুকে লাগার মত সত্য ভাই। করুণাদায়ক কঠিন সত্য। এখনো তো যথেষ্ট সময় আছে এদেশের সব অভিভাবকদের সচেতন হয়ে ওঠার। যথাসময়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার। অভিভাবকরা যেন উপলব্ধি করেন বিষয়টির গভিরতাতা,কামনা করি তাই।

আবার এসে মন্তব্য করে নিজের অনুভূতি জানিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক প্রীত হলাম, ল ভাই। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা নেবেন।

৪৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১৮

চাঙ্কু বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ!! :P

তবে উদাহরণটা সুন্দর হইছে! মানুষের ক্রোধের শক্তি সরকার বুঝতেছে না!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ, চাঙ্কু জেঠু। থুক্কু চাঙ্কু ভাই :P

সরকার তো বুঝতেছেই না সাথে সাধারণ বহু মানুষও বুঝতেছে না ক্রোধের সময় যে ভাষা কোন নিয়ম মানে না।
আপনার প্রোপিক এর মত নির্মল হাসিখুশি শিশুদের জন্য একটি নির্মল পৃথিবী দিয়ে যাওয়া বড়দেরই দায়িত্ব। এই দায়িত্বটাই অভিভাবকরা বুঝতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা :)

৪৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "ইয়ে" শব্দটি জনপ্রিয় হইয়া যাইতেছে দেখিয়া বিনুদিত হইলাম !!! :D =p~ :P

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মূল শব্দটার বদলে 'ইয়ে'টা জনপ্রিয় হলেই তো ভালো, তাই না ;) । পরিস্থিতি এখন ঠাণ্ডা =p~
আবার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, টারজান ভাই :)

৪৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অশ্লীল ভাষাযুক্ত গুটি কতক শ্লোগান ছিল এবং ঐ শ্লোগানগুলোর একটা প্রচণ্ড ইম্প্যাক্ট ছিল আন্দোলনের গতি বৃদ্ধি করার জন্য। ঐ শ্লোগানগুলো বাদ দিলে বেশকিছু ক্রিয়েটিভ শ্লোগান চোখে পড়ে, যার মধ্যে একটি হলো- যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ। যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ। আমি জানি না, এ শ্লোগানটি কোনো প্রোথিতযশা কবির লেখা কিনা। কিন্তু ছোট্ট এই শ্লোগানটির গভীরে পুরো বাংলাদেশের ইতিহাস খোদিত রয়েছে। আমি অবাক হয়েছি ওদের এই ক্রিয়েটিভিটির পাওয়ার দেখে। কিন্তু, একদিন দেখা গেলো এই শ্লোগানটার ভেতরেও কিছু মানুষ কলঙ্ক খুঁজতে শুরু করেছে। এত সাবলীল, যুগে যুগে অপ্রতিরোধ্য ও অপরাজেয় বাঙালি যে বোধনে বলীয়ান হয়ে রক্ত ঢেলে দিতে পিছপা হয় নি, সেই শ্লোগানেও যারা দুর্গন্ধ খোঁজে, তারা অন্ধ দালাল ছাড়া আর কিছু না। তারা নিজেরা অন্যায়কারী, নিজেরা অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা। তারা চিরকাল সত্যকে চাপা দিয়ে রাখতে চায়।

যুদ্ধের জন্য জেনেভা কনভেনশন আছে। যুদ্ধ লেগে গেলে ওগুলো ফলো করে শুধু গর্দভরা। অল্প দু চারটা বিতর্কিত শ্লোগান নিয়ে এত উঠেপড়ে লাগার অর্থ হলো মেইন এফোর্টকে ইগনোর করে ইনসিগনিফিকেন্ট অ্যাফেয়ার নিয়ে লাফালাফি করা।

ছাত্রদের ভালো শ্লোগানগুলো আমাদের মন ও মগজ নাড়িয়ে দিতে পারে। কিছু উদাহরণ দেখুনঃ

আমার দেশ আমার গর্ব, দেশ মেরামত আমরা করবো।

আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে না
আমরা সরকারের বিরুদ্ধে না
আমরা হাসির বিরুদ্ধে না
আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে

একাত্তরের হাতিয়ার
গর্জে উঠুক আরেকবার

ফোরজি স্পিড নেটওয়ার্ক নয়
ফোরজি বিচারব্যবস্থা চাই

সবশেষে যে ফ্রেজটা বরাভয় হিসেবে ঝলসে উঠেছে, সেটি হলোঃ We want justice

তেনা পেঁচানো আমাদের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে।

তবে, বাচ্চাগুলোর জন্য এখন দুশ্চিন্তা হচ্ছে। যারা তেনা পেঁচিয়েছে, দুশ্চিন্তার কারণ ঘটিয়েছে মূলত তারাই।

আপনার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করার উদ্দেশ্যে এতগুলো কথা লিখলাম।

শুভেচ্ছা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা মন্তব্য করেছেন। ঠিক বোঝাতে পারছিনা কতটা ভালো লেগেছে আমার। একেকটা স্লোগান যেন বুকের ভেতর বারুদ ঢেলে দেয়। দাঁড়িয়ে যায় শরীরের সমস্ত পশম। আপনার উল্লেখিত স্লোগানগুলোর সাথে আরও কিছু স্লোগান আমি যুক্ত করে দিলাম। সবগুলো একসাথে লিখলাম।

আমার দেশ আমার গর্ব, দেশ মেরামত আমরা করবো।

আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে না
আমরা সরকারের বিরুদ্ধে না
আমরা হাসির বিরুদ্ধে না
আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে

একাত্তরের হাতিয়ার
গর্জে উঠুক আরেকবার

ফোরজি স্পিড নেটওয়ার্ক নয়
ফোরজি বিচারব্যবস্থা চাই

* ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’...

* ‘শিক্ষকের বেতের বাড়ি নিষেধ যেই দেশে, পুলিশের হাতে লাঠি কেন সেই দেশে’...

* অন্যায় যখন নিয়ম হয়ে ওঠে, প্রতিরোধ তখন কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়’...

* ‘পথ খুলবে বলেই, রাস্তা আটকাই’...

* ‘রাস্তা বন্ধ, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে’...

* ‘আদালতে কাঁদছে আইন, গণতন্ত্র বাক্সতে’.

We want justice

ভাবা যায় কি শক্তি আছে প্রতিটা স্লোগানে ! আমার আবেগে জল চলে আসে চোখে। যেমন এখনও এসেছে। এই শক্তির ভাণ্ডার বুকে ধরেই এগিয়ে যেতে হবে। ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে হবে এই সন্তানদের, তাদের বিপরীতে গিয়ে নয়। অভিভাবকদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে এখন। এই স্লোগানগুলো যেন মন্ত্রের মত পাঠ হয় এদেশের প্রতিটি মানুষের মনে নিত্যদিন। প্রতিটি স্লোগানই যেন এক একটি কবিতা। এই বয়সী বাচ্চারাই এই কবিতাগুলো তৈরি করেছে! আর তাদের অবিশ্বাস করতে উঠে পড়ে লেগেছে কিছু কাপুরুষের দল।

“যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ” দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে এর চেয়ে শক্তিশালী আর কোন বাক্যই হতে পারে না। সবসময় সব আন্দোলনে সব বিপর্যয়ে উচ্চারণের মত একটি বাক্য তৈরি করে গেছে তাঁরা।

আপনার মন্তব্যের ভালোলাগায় আমিও বিশাল একটি মন্তব্য করে ফেলেছি। অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা নেবেন, সোনাবীজ ভাই। সোনাবীজ এই বাচ্চাদের জন্য একটি সোনার মন্তব্যই করেছেন আপনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.