নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গভীরতম সুরের আকুতি

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪১



এই বিশ্ব সংসারের গভীর থেকে গভীরতম প্রাচীনতম সুরের আকুতি আমার হৃদয়ে। অনুভূতির সুদূরে কোথায় যেন টেনে নিয়ে যায় । ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না- তীব্র অনুভবে আকাশ পাতাল এক করে দিয়ে যায় শুধু। আমি যেন এক বিশাল সমুদ্রের প্রান্তরে একা দাঁড়িয়ে আছি অসীম শূন্যতা নিয়ে। যেন আমি পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচু চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছি সুতীব্র মৌনতা নিয়ে।

এসব ভেতরে থাকে। বাইরে এক অনির্দিষ্ট কালের অভিমান নিয়ে সংসারের সমস্ত কাজ করে যাচ্ছে নারী। ঠোঁট ফোলানো অভিমানগুলো তার জমে থাকে বাসন মাজা, কাপড় ধোয়া আর ঘর পরিষ্কারের ফাঁকে।

অসুখের সময় কমলা আর আনারস হয়ে অভিমানগুলো ঝরে পড়ে ডায়েরিতে-
‘জ্বরের সময়গুলোতে তুমি কাছে এসে বসনি, মাথায় হাত রাখনি; এজন্য একদিন কথা বলবো না তোমার সাথে’।

এরপর আরও কতো দিন যায়, কথারাও চলতে থাকে। কতক কথা চলতে চলতে হারিয়ে যায়, কতক আবার ডায়েরিতে জমা পড়ে।
এই শেষবার জমলো-‘পিয়ালের ঘরে একটা ফুটফুটে ছেলে হয়েছে। তুমি না বলেছিলে, আমার পেট থেকে তোমার কমরেড বের হবে। এত দেরি করছ; তাই তোমার সাথে আমি এক মাস কথা বলবো না’।

শেষ বিকেলের গান শুনতে শুনতে মাধুরীর সন্ধ্যে শেষ হয়, রাত শেষ হয়। মাধুরী আশায় আশায় থাকে একদিন সমস্ত কথা সে দু’পা ছড়িয়ে বসে বলবে।
ডায়েরি- ‘আমার কি যে ইচ্ছে হচ্ছিলো এশা আর সাবা’র মত আমিও অনেকক্ষন তোমার সাথে ফোনে কথা বলি, অথচ........তোমাকে এজন্য শাস্তি পেতে হবে; একদিন সারাদিন চুপ করে থাকা ’।
মাধুরী রবিবাবুর গানটা শুনতে শুনতে কেঁদে ফেলে, “ও লো সই, ও লো সই আমার ইচ্ছা করে তোদের মতন মনের কথা কই, ছড়িয়ে দিয়ে পা দু’খানি, কোণে বসে কানাকানি, কভু হেসে কভু কেঁদে চেয়ে বসে রই...............ও লো সই, ও লো সই আমার নাই কথা তবু সাধ শত কথা কই......”।

আচ্ছা, কেউ না বুঝল, তাতে কীই-বা এমন হবে ? তোমার মাধুরী- মধুকরী ও মধুমঞ্জরীর মত জমাবে মধু। তুমি কথা দিয়েছিলে, আমি কথা দিয়েছিলাম। আমরা কেউই কথা দেয়ার আগে কথাকে বুঝিনি। আমাকে যদি এভাবেই বুড়ো হতে হয়, একদিন মরে যেতে হয় তখন তোমার শাস্তি......নাহ, শাস্তি তুমি ততক্ষণে পেয়েই যাবে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পাঠক, লেখার আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারে নি।

পুনশ্চঃ
এমন কঠিন লেখার জন্য মারামারি হয়ে যাবে কিন্তু...X(




মৌনতা নিয়ে গানাঃ(আমার খুব পছন্দের);)

কেন এই নিঃসঙ্গতা, কেন এই মৌনতা(২)
আমাকে ঘিরে……
কেউ না জানুক কার কারনে
কেউ না জানুক কার স্বরণে
মন পিছু টানে…

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে…
তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে… নিয়মে…

স্বপ্ন গুলো অন্য কারো, ভুল গুলো আমারি…
কান্না গুলো থাক দু চোখে, কস্ট আমারি…




....দারুন না??:P

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মৌনতার এত সুন্দর গান যার পছন্দ সে কি করে আবার এই নিঃসঙ্গতার সুর না বোঝে #:-S

মারাম্রি করো তাও যদি মনটা একটু ভালো হয় :(

গানটা আমার খুব খুব পছন্দ। তোমারও পছন্দ। কি সুন্দর আমাদের মিল মিল :``>>
তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে................

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
শান্তির মা মইরা গেছে। ;)


প্রথম অংশটা স্মৃতি চারন টাইপের লাগল। ;) মনে হচ্ছে লেখাটির মাঝে তিনটি অংশে বিভক্ত। পাঠক কে লেখক নাকে দড়ি দিয়ে লেখার মাধ্যমে ঘুরিয়েছেন। তাই বুঝতে একটু কষ্ট হলো লেখাটি পড়ে। অনেক ভালো লিখেছেন আপু, শুভকামনা রইল।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পুরোটাই নিজের চলমান অনুভূতির লেখা। প্রিয়জনের স্মৃতি স্মরণ করেই লেখা, কিন্তু আকুতিটা বর্তমান।

আমি, নারী, মাধুরী - এই কারণে তিনটি অংশে বিভক্ত মনে হলেও আসলে পুরোটা একসুত্রেই গাঁথা। আমিই নারী, আমিই মাধুরী।
আপনার প্রশংসা পেয়ে অনেক ভালো লাগলো, শাহরিয়ার কবীর ভাই। একরাশ ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনার জন্য :)

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু কবীরভায়ের সঙ্গে একমত যে প্রথম অংশটা স্মৃতিচারণ মূলক লাগলো। লাগলো সুরের সঙ্গে একটি শূন্যতার আকুতি ।

শুভকামনা জানবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: 'সুরের সঙ্গে শূন্যতার আকুতি'- খুব সুন্দর করে বললেন, পদাতিক ভাই। নিঃসঙ্গতার সুরটা অন্তহীন বেজে চলে ভেতরে।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নেবেন।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: চঞ্চন হরিন কি বাঘের দাবড়ানি খেয়েছে?

মন যেহেতু আছে, কারণে বা অকারণে খ্রাপ হবেই। ওসবে পাত্তা দিও না।



গান শুনিঃ
আর রাখবো দুরে টোমায়
বাসবো ভালো, যতোটা তুমি....(সত্যি)

পুনশ্চঃ
আমি নিজেই সেরাম প্যাড়ার মধ্যে আছি। যদিও ব্লগে হিরোগিরি করি, বাস্তবে সারাদিন কোপ খাই।:( সময় হলে জানতে পারবে... :(


৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: গান শুনিঃ
আর রাখবো দুরে টোমায়
বাসবো ভালো, যতোটা তুমি....(সত্যি) - X( ব্র্যাকেটে সত্যি ক্যান ? সত্যি উন্মুক্ত করে ভালোবাসো ;)

তোমার প্যাড়ার খবর হয়তো পরে জানতে পারবো, কিন্তু এখন চাই না তুমি কোপ খাও :( । প্রার্থনা করি তুমি কোপ খাইয়ো না ব্লগের মতই বাস্তবেও হিরো হয়ে থাকো 8-|

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ওহো,:P
হরিন আপু! সত্যি মানে: তখন সত্যি সত্যিই ঐ গানটা শুনছিলাম। :)
অবস্য ব্লগের আপুদের যে আমি একটু আধটু ভালোবাসি, এটাও আরেক সত্য...:P




পুনশ্চঃ
আমি ছোট মানুষ। আমাকে কেউ দাবড়ানি দিও না। :(

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: গান শোনো। গান শুনে মন ভালো রাখো।
ব্লগের আপুদের যে আমি একটু আধটু ভালোবাসি, এটাও আরেক সত্য- এই সত্যটা সবচেয়ে সুন্দর সত্য ;)

দাবড়ানি কেন দিবো, তোমাকে দেখলে মন ভালো হয়ে যায় :)

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

বলেছেন: ‘তোমাকে দেখি না, তা নয়। সুরের ভেতর দিয়ে, ঘুমের ভেতর দিয়ে দেখি অপসৃয়মান রেখা খেলা করে তোমার দীঘল চুলে, মুখের আভায়। এখন তো ওই রেখা নেই, ধূলিওড়া দিন নেই। তবুও হঠাৎ উড়ে আসে শালপাতা হাহাকার

‘মাঝেমধ্যে এত দুঃখ হয় যে ভার বহন করতে পারি না, হাঁটতে পারি না। বশ্যতা স্বীকার করি, শুয়ে শুয়ে প্রার্থনা করি। ঘুমের ভেতর লাফিয়ে উঠি ভোররাতে। আমারই কাটামুণ্ডু কেউ কি ভাসিয়ে দিয়েছে গভীর তরঙ্গে?

‘সারাক্ষণ মাথার ভেতর ঘোরে উড়ন্ত এক কফিন। নীলচে রঙের কফিন। সুদূর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এসেছে এইখানে, থেমেছে আমারই ঘাটে।’

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হুহু করে উঠলো বুকের ভেতর আপনার লেখাটা পড়ে। ভেতরটা যেন কাঁপছে।
আপনি আমাকে আরেকদফা অনুভূতির গভীর সাগরে টেনে নিয়ে গেলেন।
আর কিছু বলারা পাচ্ছি না আমি। হ্যাটস অফ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা নেবেন, ল ভাই।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০০

রাকু হাসান বলেছেন: প্রথম প্যারা টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগছে । কি সুন্দর তুলে ধরা । :-B । আমাদের মা বোন রা এভাবেই আবেগগুলো কে মাটি চাপা দেয় । অনেক ক্ষেত্রেই বুঝা হয়ে উঠে না। শেষ অংশ-এটা প্রকৃতির নিয়ম ,অলঙ্গনীয় ।

এমন টা করে ভাবিনি |-) ,কিছু টা বুঝতে পারলাম ,পোলাপান মানুষ হলেও =p~

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বেশি কথা বলতে চাই না ভাইকে। চাপা দেয়া আবেগগুলো শুধু গলায় ফুলে ফুলে আসে।

ভালো থেকো ভাই আমার। তুমি পোলাপান হলেও বোধের দিক দিয়ে যথেষ্ট পরিপক্ক।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৬

রাকু হাসান বলেছেন: আর ছবি টা খুব সুন্দর হলো তো :-B চঞ্চল হরিণী আপু নাহি ,পেছন ফিরে তাকাও , =p~

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ওই এই ছবি চঞ্চল হরিণী আপুর না।

তুমি আজকে কি বই পড়লা সেইটা আমারে জানাও B-)

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

রাকু হাসান বলেছেন:

জানাইছি B-) ,দেখ ,একটি মন্তব্য দু বার গেল মুছে দিও একটা ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দেখিয়াছি :D । তবে মন্তব্য মুছি নাই, দুইবারই একই উত্তর দিছি ;)

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু শুভেচ্ছা রইলো৷লেখাটি ঠিকমত বুঝতে দুইবার পড়লাম৷সত্যি এর মর্মবাণী বড়ই কঠিন আর বাস্তব৷(২) নং কমেন্টে আপনার উত্তরটি আমার মনে ধরেছে৷আপনি যথার্থই বলেছেন, "আমি, নারী, মাধুরী - এই কারণে তিনটি অংশে বিভক্ত মনে হলেও আসলে পুরোটা একসুত্রেই গাঁথা। আমিই নারী, আমিই মাধুরী৷"

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো, অনেক ভালো লাগলো, কাওসার ভাই। কেমন যেন একটু শান্তি অনুভব হচ্ছে আপনার মন্তব্য পেয়ে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালোবাসা ও শুভকামনা নেবেন।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৯

চাঙ্কু বলেছেন: এত মন খারাপ করলে হপে? প্রিয়জনরে মনে পড়লে, তার সাথে কথা বললেইতো হয়। এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে দূরে থাকলেওতো কাছে থাকা ব্যাপার না।
আমার এক বন্ধু বলেছিল- অন্যভূতি হল পানির মত, ভাল পাত্রে না রেখে মুখবন্ধ করা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখলে, ছোট্ট একটা ফুটোতেই সব পানি বেরিয়ে তোমাকে ভিজিয়ে ফেলবে!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হিহি, আপনার বন্ধু যা একখান উপমা দিয়েছে =p~ । ইহা পড়িয়া তো আর মন খারাপ করার উপায় থাকে না :P
কথা হইলো, যদি প্রিয়জনের প্লাস্টিক ব্যাগ ফুটো হইয়া সব পানি বারাইয়া যায় তাহা হইলে তো আমি চাহিলেও তাহার কাছ থাকিয়া কোন পানি পাইবো না :(

ইহা আসে যায়। সাময়িক। ব্যাপার না। এখন ভালো আছি :)

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪২

বাকপ্রবাস বলেছেন: কাব্যিক ভাব আছে এই লেখাতে, তায় ধরে ধরেও ছুটে যায়, আচ্ছা যদি এমন হয়!!! সংসার চলে যাচ্ছে কিন্তু সন্তান নেবার সিদ্ধান্তে এক হওয়া যাচ্ছেনা, স্বামী আরো সময় চায় কিন্তু স্ত্রী ভাবছে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে তায় অভিমান ও ভয় দুটোই আছে। প্রেমের কমতি নেই কিন্তু সন্তান ছাড়া যেন পূর্ণতা পাচ্ছেনা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন, বাকপ্রবাস ভাই। হ্যাঁ, এমন সমস্যা অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই হয়তো আছে। কার জীবনে কোন সিদ্ধান্ত যে কিভাবে আসে কেউ বলতে পারে না। একজনের জন্য যেটা সময়ের সঠিক কাজ সেটা আরেকজনের জন্য নয়, এভাবেই চলছে।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, বাকপ্রবাস ভাই। আপনার জন্য ও আপনার পরী দুটির জন্য শুভকামনা :)

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

চাঙ্কু বলেছেন: এই জন্যই কুবি কইছেন- পানির অপর নাম জীবন। আপনার প্রিয়জনের প্লাস্টিক ব্যাগ ফুডা করছেন কিডা, খালি কন? তার খপর আছে :-*

স্কুলে থাকতে "সময়ের প্রয়োজনে" নামে একটা গদ্য ছিল যার সারমর্ম ছিল আমরা যাই করি না কেন তা সময়ের প্রয়োজনে। আবার সময়ের প্রয়োজনেই জীবন কারো জন্য থেকে থাকে না, থাকা উচিত না। সাময়িক কষ্ট হয়ত লাগে কিন্তু সময়ই আবার সেই কষ্ট লাগব করে দেয়!

জোক্স এসাইড, আপনি ভালো আছেন দেখে খুব ভালো লাগল। এই রকম সব সময় ভালো থাকুন আর ভাল ভালো পোষ্ট দেন :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হ, জীবন নিজে শেষ না করলে জীবন চলতেই থাকবো শেষ পর্যন্ত। তা সেই জীবন যেরুমই হোক।

আপনি আবার এসে মন্তব্য করায় আমি মনে অনেক পানি পেয়েছি। ভালো লাগাগুলো এভাবেই তৈরি হয়। ভালো থাকুন আপনিও আর এভাবেই ভালো রাখুন আমাকেও ;) । শুভেচ্ছা, চাঙ্কু ভাইয়ু :)

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০২

করুণাধারা বলেছেন: আমার মত কম বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জন্য একটু সহজ করে লিখলে বুঝতে সুবিধা হত। ;)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথমেই দেরির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি আপা।

কি যে বলেন! আপনিও তো একজন আমি, একজন নারী, একজন মাধুরী । অনুভবের দোলা নিশ্চয়ই আপনারও লাগে। শুধু অব্যক্ত অভিমানগুলো একেকজনের একেকভাবে ঝরে পড়ে এই আর কি।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানবেন, করুণাধারা আপা :)

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: অবশেষে গার্ডের বাঁশির শব্দ কানে আসে ,মাংসাশী সাপের মতো ট্রেনের উপস্থিতি !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাপ্রে ভয়ঙ্কর ! এটা কি কোন কবিতা, গল্প বা উপন্যাসের লাইন, রাজীব ভাই ?

আপনি কিন্তু আমার আগের গল্প 'বিশ্বাস' এ কোন মন্তব্য করেন নাই রাজীব ভাই :|

১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দারুণ একটা ছবি দিয়েছেন, স্বপ্নের শঙ্খচিল ! আর লাইনটা তো সেই মহাকাব্যিক ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন :)

১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

সপ্রসন্ন বলেছেন: অনুভূতির আত্মকথন, যেন ডায়েরির একটি পাতা!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: একদম ! আপনি যেন গভীরভাবেই অনুধাবন করলেন। আমার অনেক অনেক ভালো লাগলো।

অসংখ্য ধন্যবাদ, সপ্রসন্ন ভাই। শুভেচ্ছা নেবেন।

১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: এমন আকুতি কি কারো হৃদয়ে ছোঁয়া না দিয়ে বৃথা যেতে পারে?
কিন্তু লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে কারো কারো কাছে এমন আকুতিও বৃথা যেতে পারে। :(
একারনেই বলি নারী পুরুষের সম্পর্কের ব্যপারটা আমার কাছে খু-ব অদ্ভুত লাগে। কেউ সামান্য আহ্বানেও সাড়া দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে নেমে যেতে পারে, আর কেউ সব অগ্রাহ্য করে থাকে! এমনটা কেন হবে?

আপু আপনার লেখা অনেক ভালো। এই ব্লগের তথাকথিত পুরুষ ব্লগারদের চেয়ে আপনার লেখা অনেক আকর্ষনিয়। প্লিজ ব্লগে নিয়মিত লিখুন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম, হৃদি। তোমার পোস্টে আমার শেষ গল্প পড়ার আহ্বানে এখানে আসায় খুবই খুশী হয়েছি। আসলে আমি তোমাকে অনুরোধ করেছিলাম আগের গল্পটি মানে 'বিশ্বাস' পড়তে। কিন্তু তারপরে এটি পোস্ট দেয়ায় তুমি শেষ পোস্ট বলতে এটি বুঝেছো। যাইহোক, আমার খুবই ভালো লেগেছে তোমাকে এটি পড়তে দেখে। তোমার সুন্দর মন্তব্যে আমি কৃতজ্ঞও হয়েছি। শেষ লাইনটি তো আমাকে ভীষণ উৎসাহ দিয়ে গেলো। আমি চেষ্টা করি কাজের বাইরে সময়টা ব্লগে দেয়ার।

হৃদিপূর্ণ ভালোবাসা নিও, অচেনা হৃদি :)

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫০

রাকু হাসান বলেছেন: অনেকেই আছে কিন্তু আামার বোন আজ ব্লগে নাই । কেমন আছ ,ভাল তো ? ব্যস্ততা শেষ হোক

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "অনেকেই আছে কিন্তু আামার বোন আজ ব্লগে নাই " কেমন একটা হাহাকার, অদ্ভুত এক টান ফুটে উঠলো ! ভাইটা আমাকে খালি ইমোশনাল করে :(

আমি ভালো আছি। তুমিও আশা করি ভালো আছো :#) । ব্যস্ততা তো শেষ হয় না, আর এইবারের ব্যস্ততা জোর ব্যস্ততা। সময় কম হবে তবে আমি ব্লগ ছাড়মু না :-B

২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,





এই লেখাটি আমি পড়েছি মনে হচ্ছে কিন্তু মন্তব্য কেন যে করিনি , বুঝে উঠতে পারছিনে ।

সুর যখন গভীর সপ্তকে পৌঁছে যায় তখন তার অনুরণন ছড়িয়ে যায় ইথারে ইথারে । সে সুর আনমনা করে বটে সাথে একাকী করেও দেয় । নিজেকে তখন একের ভেতরে অনেক করে ভাবতে ইচ্ছে করে ।

নিজের ভেতরে অনেককে নিয়ে সেই একাকী কারো কথা কয়ে গেছেন এখানে । ভালো লাগলো ।

অঃটঃ - আমার সাম্প্রতিক লেখা " তুই ফেলে এসেছিস কারে"তে আপনার লাইকটি দেখেছি কিন্তু মন্তব্য দেখলুন না । ব্যস্ত মনে হয় !

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তুই ফেলে এসেছিস কারে...মন মন রে আমার

আহমেদ জী এস ভাই, কি উত্তর দেবো ভেবে পাচ্ছি না। উত্তর দেয়ার মত অনেক দেরি কি হয়ে গেছে? হবে হয়তো, কে জানে ! কেন সেই লেখায় মন্তব্য করিনি এখন তো আর মনে পড়ছে না। মনের উপর জোরও খাটাতে পারছি না। এক অজানা কারণে বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে আজকে মন। "সুর যখন গভীর সপ্তকে পৌঁছে যায় তখন তার অনুরণন ছড়িয়ে যায় ইথারে ইথারে" ।

আমার ভালোবাসা নেবেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি নেবেন। শুভেচ্ছার অর্ঘ্য রইলো চরণে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.