নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনমাঝি

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯



মনমাঝি আইসা বৈঠাডারে ধরে, বৈকালে বইসা বৈঠা ধইরা সে বইকালিক কথা কয়। ভাঙ্গা বারবার পিছন ফিরা চায়। তার খ্যাতাডা এখনো শুকায় নাই। বুড়ির নাতজামাইটারে কই শুইতে দিবে ভাইবা পায়না সে। তার চেয়ে বড় কথা ভাঙ্গার বাপে বাড়িত নাই। খাওন রোজগার কিছু নাই দেইখা উনি বাড়ি ছাইড়া চইলা গেছে। নদীর বানে ভিটা ডুইবা যাওয়ার পরই সে চইলা যায় আর তখন থেইকা এই ছইওলা নৌকাডারে ঘর বানাইয়া তার ভিতরে ভাঙ্গা থাকে। ভাঙ্গার মনে অশান্তি লাগে। জোয়ান শরিরটা নিয়া সে খুব সাবধানে রইচান্দের বাড়িতে যট্টুক পারে কাজ-কাম খাটে আর যা জোটে তাই খায়। এখন এই সময় কোত্থেইকা এই জ্ঞানী মেমান আইলো আর দাদীর বাপের বাড়ির নাতি কইয়া গল্প শুরু করলো সে কিছু বুঝতাছেনা।

লোকটার কথা বলার এমন বাহার আর দাদীর সম্পর্কে অনেক কিছু এত শুদ্ধ কইরা বলতাছে যে ভাঙ্গা জোর গলায় কিছু বলার সাহসও পাইতাসেনা। খারাপ ব্যাবহারের কিছু কথা মুখে আইসাই মিলায় যাইতাসে। লোকটার নাম নাকি মনমাঝি। ভাঙ্গা জীবনেও এমন নাম শুনে নাই। মনমাঝি কয়, ' ভাঙ্গা, তুমি কি জানো, তোমার দাদীর সঙ্গে যে আমার দাদার দারূন প্রেম ছিলো, দাদা বেঁচে থাকতে আমাকে গল্প শুনিয়েছিলেন।' ভাঙ্গা উত্তর দেয়, ' ছিঃ মরা মানুষদের নিয়া খারাপ কথা কইতে নাই, হুনতেও নাই ।'

মনমাঝি একটু অবাক হইয়া তাকাইলো, তারপর হাসি দিয়া কইলো, ' খারাপ কথা হবে কেন, প্রেমের চেয়ে সুন্দর এবং পবিত্র পৃথিবীতে কিছু নেই। ওই যে দেখ, পানিতে ডুবতে থাকা সূর্যটার কি চমৎকার লাল দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, একটু পরে ঝলমলে চাঁদও উঠবে দারূন প্রেম মাখিয়ে নিয়ে। চাঁদ সূর্য একসাথে থাকেনা কিন্তু দুজনার মধ্যে প্রেম আছে বলেইতো চাঁদ সূর্যের আলোয় এত ঝলমল করে'। ভাঙ্গারে যেন জ্বিনে ধরসে, সে জাদুমন্ত্রের মত মনমাঝির কথাগুলি শোনে আর দাদীর কথা ভাবতে থাকে। তার দাদী খুব সুন্দর গান গাইতে পারতো। কত প্রেমের গান যে দাদী সুর কইরা গাইতো, সেইসব গান ভাঙ্গা আর কোথাও শোনে নাই। এখন তার মনে হইতেসে দাদী নিজে সেইসব গান বানাইসে। ভাঙ্গার মনে কি জানি হইলো। সে মনমাঝিরে কইলো, ' রাইতে না ঘুমাইলে কি আপনের বেশি অসুবিদা হয় ?' চোখ দুইডা একটু ছোট কইরা মনমাঝি কইলো, ' না, কেন বলতো?' ভাঙ্গা হাসি দিয়া কইলো, ' একটু দূরে নদীর মধ্যে একটা চর আছে, রাইত নিশুতি হইলে দাদী মাঝেমইদ্দে সেই চরের ফকফকা জোসনা দেখতে যাইতো, আমি নাও বাইয়া লইয়া যাইতাম। এতক্ষনের মধ্যে এই প্রথম ভাঙ্গা একটু হাসি দিছিলো। লোকটা চরে যাওয়ার কথা কিছু না বইলা কইলো, ' তোমার হাসিটা অনেক সুন্দর ভাঙ্গা, কেন সবসময় মেজাজ এত তিরিক্ষ রাখো?' ভাঙ্গা সেই কথা শুইনা লজ্জা পাইলো কিন্তু মুখে কিছু বললোনা। মনে মনে বললো, যদি মেজাজ তিরিক্ষি না রাখতাম অবলা পাইয়া এই জোয়ান শরীর কবেই ছিড়া ফালাইতো শিয়ালগুলা।

ভাঙ্গা আজ রইচান্দের বাড়িতে একটু পোলাও এবং একটুকরা মুর্গীর মাংস পাইছিলো। কিন্তু এইসব ভালো লাগেনা বইলা সে শুধু একবাটি বাসি ভাত নিয়া আসছিলো আর নৌকায় আইসা কুপির আগুনে শুঁটকি পোড়া দিয়া হাতে কচলাইয়া ভর্তা বানাইছিলো। মুখ নিচু কইরা সেইটাই আগায় দিলো মনমাঝির দিকে। মনমাঝি বাটিটা হাতে নিয়া ভাঙ্গার দিকে তাকাইয়া আবসা একটা হাসি দিয়া কইল, ‘ লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই ভাঙ্গা, এমন ধরনের শুঁটকি ভর্তা খাওয়ার ইচ্ছা আমার অনেকদিন থেকে ছিল, দাদার মুখে তোমার দাদির হাতের ভর্তার গল্প শোনার পর থেকে। আজ তুমি সেটা করে দিলে'। ভাঙ্গা লোকটার যত কথা শোনে ততই অবাক হয়। খাওয়া শেষে ভাঙ্গা মনমাঝিরে নিয়া চরের দিকে যায়। ভাঙ্গা শুধু দিক বইলা দিতাছিল আর বৈঠা মনমাঝির হাতেই আছিল।

সত্যি চরে ফকফকা জোসনা নামছে। আইজ পূর্ণিমা মনমাঝি সেইটা জানতো কিন্তু ভাঙ্গা জানতোনা। সে আন্দাজে নিয়া আইছিলো, যদ্দুর জোসনা থাকে থাকবো। এখন ভরা জোসনা দেইখা মনডা খুশি হইয়া গেলো। চরের মাঝখানে একটুখানি সাদা কাশফুল ফুইট্টা রইছে। সাদা জোসনার মইদ্দেও সাদা রঙ বোঝা যাইতাছে। ভাঙ্গা ভাবে আল্লাহর দুনিয়ায় এক রঙের যে কত ঢং হইতে পারে। সে পিছনে তাকায় দেখে মনমাঝি নাই। এদিক ওদিক তাকাইতেই দেখে ডাইনদিকে নদীর ধারে গিয়া মনমাঝি কি জানি দেখতাসে। সেও আগায় যায়, কয়, কি দেখেন? মনমাঝি কইল, ‘ দেখো ভাঙ্গা, পানিতে কি সুন্দর গোল চাঁদ দেখা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে ওটা পানির ভেতরেই আছে, হাত দিয়ে তুলে আনা যাবে'। সত্যি স্থির পানিতে কি সুন্দর দেখা যাইতাসে। ভাঙ্গা নৌকায় থাইকা আগে কতবার চাঁন দেখসে কিন্তু আজকা ক্যান জানি লোকটার কথা শুইনা বেশি ভাল্লাগতাসে। তারা নদীর পার ধইরা হাটতে শুরু করল। মনে হইতাসে চাঁনটাও তাগো লগে যাইতাসে।

মনমাঝি হঠাৎ ভাঙ্গার হাত ধরল। সাথে সাথে ভাঙ্গার শরীরে কি জানি হইয়া গেলো। একা থাকে দেইখা এর আগে বহু শেয়ালই তার গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু নিজের তিরিক্ষি মেজাজের সাথে সবচেয়ে খারাপ গালিগালাজ আর দাও বটি দিয়া সে তাদের খ্যাদাইসে। তার গায়ের জোরও কম না। কিন্তু আইজ ভাঙ্গার শরীর যেন এক্কেবারে নরম হইয়া গেলো, সে কিছুই বলতে পারলনা, কোন বাঁধাও দিতে পারলনা। এমনভাবে মনমাঝি ভাঙ্গার দিকে তাকাইসে, ভাঙ্গা তাকায় থাকতে পারলনা, চোখ নামায় নিল। ভাঙ্গার মনে হইতাসে এই লোকটা সত্যি তার মনের মাঝি। মনমাঝি জড়ায় ধরল ভাঙ্গাকে। ভাঙ্গার জীবনে কোনোদিন এত ভালো লাগে নাই। সেই রাতে তারা গভীর মিলনে ভাইসা গেলো। ছোডবেলা থেইকা ভাঙ্গার এই ভাঙ্গা জীবনে সে কোনোদিন এত সুখ পায় নাই। ভোর হইতে বেশি দেরি নাই। মনমাঝি কইল, তারে তাড়াতাড়ি গিয়া ট্রেন ধরতে হইব। ভাঙ্গার প্রশ্নভর্তি চোখের দিকে তাকাইয়া সে কইল, বাড়িতে গিয়া সবকিছু ঠিক কইরা সে ভাঙ্গারে আইসা নিয়া যাইব খুব তাড়াতাড়ি। ভাঙ্গার মন কেমন জানি করতাসে, তবু সে মনমাঝিরে বিদায় দিলো।

এরপর দিনের পর দিন যায় মনমাঝি আর আসেনা। প্রতি পূর্ণিমায় ভাঙ্গা পানির ভিতরে চাঁন দেখে আর ভাবে, চাঁন-সুরুজ একলগে থাকেনা কিন্তু তারা প্রেম করে বইলাই চাঁন এত সুন্দর। ভাঙ্গা বোঝে মনমাঝির মত জ্ঞানী মানুষের সাথে তার স্বামী-স্ত্রীর মত থাকা এই সমাজে মানায় না, তাই হয়তো মনমাঝি আর আসে নাই। কিন্তু তাদের এক রাতের প্রেম মিছা আছিলনা। মাঝে মইদ্দে কষ্ট লাগলেও তাই ভাঙ্গার কখনো রাগ হয়না। সে এখন বোঝে ভালবাসা কি, মানুষের সঙ্গে নরম কইরা কথাও বলে। এই সেদিন কলিম্মুদিন তারে বিয়ার প্রস্তাব দিসে। খুব তাড়াতাড়িই হয়তো তারা বিয়া করবো এবং তারপর ভাঙ্গা তার দাদির মত আপন মনে গান ভাইজ্জা সংসার কইরা যাইব।

বিঃদ্রঃ- গল্পটা ২০১৪ তে লেখা আমার প্রথম গল্প আর ছবিটা আমার তোলা।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

বলেছেন: আহা প্রেম - শুধু ই বেদনা।
গল্প ছবি দুটোই ভাল লাগলো

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুণ, ল ভাই। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। অনেক বেশি ভালো থাকুন। শুভকামনা :)

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তুমি তো বিরাট বুদ্ধিমান লোক। সেদিন রোবট নিয়ে কী সব লিখলে। পড়ে ভালোমত বুঝতেই পারলাম না। ভয়ে আর কমেন্ট করি নি...:(


আজ তাই না পড়েই কাজা কমেন্টটা করলাম। কাল পড়ে এই পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করবানি...

আইলা ভিউ, থুক্কু শুভ রাত্রি।:P

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কাল তোমার মন্তব্য দেয়ার সাথে সাথেই পড়েছিলাম কিন্তু পড়ার সাথে সাথে বাসায় নেটওয়ার্কের ফ্যাঁকড়া বেঁধে যায় তাই মন্তব্য করতে পারিনি :(

তুমি জানো না তোমাকে কমেন্টো করতে দেখলে আমার কি ভাল্লাগে :>

এই লেবু খাবা ;)

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক ছোট পরিসরে বিরাট অনুভুতির প্রকাশ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার এক লাইনের কংক্রিট একটি মন্তব্য আমার অনেক অনেক অনেক ভালো লাগলো। পাঠের জন্য ধন্যবাদ, চাঁদগাজী ভাই। শুভেচ্ছা নেবেন।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হায় হায়!
এটা তো প্রেম আর ছ্যাঁকা খাওয়ার পোস্ট। আমি তো ফ্যাঁইসা গেলাম। আমার কোন দোষ নাই। ২নাম্বার মন্তব্য আমি না পড়েই করেছি। ওটা মুছে ফেলতে পারো। :(




ভাঙা কি মানসিক রুগী??
মনমাঝির শেষে কী হলো???

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: না, না তোমার মন্তব্য আমি কিছুতেই মুছবো না, লেবুর দোহাই একথা বল না ;)

ভাঙা মানসিক রোগী কিনা জানি না তো :||
মনমাঝি মনের মাঝেই হারায় গেলো, যেমন তুমি হারাও আমার মনে মাঝে :`> :P

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

রাকু হাসান বলেছেন: কিঁছুঁ কঁইঁতাঁমঁ নাঁ জোঁরঁ কঁরঁতাঁরঁবাঁ ? ;) =p~

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তুমি দেখি চাঁদ কপালে দিয়া নাকে নাকে কথা কওয়া শুরু করলা ! ভাঙারে যেই জ্বিনে ধরসিলো তোমারে কি হেই জ্বিনে ধরছেনি B-))

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৭

রাকু হাসান বলেছেন: যে লেইট লতিফ মার্কা ,আমার আগেই মন্তব্য করতে হইবে /:) |-)
একটা আক্ষেপ ছিলো আমার ,যে এত সুন্দর করে বুঝাতে পারে ,সে গল্প কেন লিখে না । আজ পেয়ে শান্তি লাগছে । আঞ্চলিক ভাষায় লেখার জন্য বেশি ভাল লাগলো । আমি তো মনমাঝি হতে চেয়েছিলুম কিন্তু শেষে বিচ্ছেদ করায়ে দিবে বুঝতে পারি নি |-) । আমার খোঁজ ই নাই আর :-< । জ্যোৎস্নার কথা পড়ে ,আমার সেই কংসের জ্যোৎস্না উল্লাসের কথা মনে পড়ে গেল 8-| । একটি সামাজিক গল্প পড়লাম । যা সব সময় ভাল লাগে ,আমার । প্রধান দুটি চরিত্র শক্তিশালী মনে হচ্ছে । ১৪ সাল ,এখন ১৮! :|| ছবিটি জ্যোৎস্নার মনে হচ্ছে । এই সব জ্যোৎস্নার কত স্মৃতি আছে । তোমাদের মত কেউ হলে কত কবিতা লিখতো ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ওই আমি লেইট ঠিকাছে কিন্তু লেইট লতিফ না /:) । উপরে লতিফ ভাই আছে দেখলে মাইন্ড খাইতে পারে :P

আমি আগে আরো দুইটা গল্প পোস্ট করছি তো পড় নাই ?! এহ গল্প পড়লেই গল্পের নায়ক হইতে ইচ্ছা করে না B-) । তো ইচ্ছা হইলে নায়ক যেমন তেমনই হইতে হইবে ;) । আমি ব্লগে পোস্ট করেছি কম কিন্তু লিখছি তো ব্লগার হওয়ার আগে থেকেই আর ফেবুতে পোস্ট করেছি :)
আমার ক্যামেরা ডিএসএলআর নয়, সাধারণ ডিজিটাল। এই ছবিটা যে আমি ঠিক কোন সময় তুলেছি মনে করতে পারি না। আকাশের রং এবং নদীর ঝিকিমিকিটা দেখে খুব মুগ্ধ হই।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: কতপ্রাণ বৃথা গেল রাখিনি হিসেব।
সোনামুখী মাছেদের মগজে অসুখ।
শিরদাঁড়া সোজা তাই হওনি সিস্টেম,
সিস্টেমে ঘটে রোজ কত লেনদেন!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দারুণ চার লাইন উপহার দিয়ে গেলেন।

সিস্টেমে ঘটে রোজ কত লেনদেন !
সিস্টেম মেনে আপনি মন্তব্য করে দেন :P

ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। নায়ককে শুভেচ্ছা।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বাহ, মচৎকার থুক্কু চমৎকার প্রকাশ। বিল্কুল ভাললাগলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মোর ব্লগে গাসতম থুক্কু স্বাগতম সৈয়দ ইসলাম ভাই :D

পড়ে আপনার ভালো লাগলো বিল্কুল,
শুনে আমার হয়ে গেলো দিলখুল।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং পরবর্তী পড়ার জন্য আহ্বান রইলো। শুভকামনা :)

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপু,
খুব ভালো লাগলো ভাঙ্গা - মনমাঝির জোৎস্না রাতের প্রেম। পঙ্কিলতার মধে ভাঙ্গা বড় হওয়ায় ছিল চারদিকে অবিশ্বাস আর হায়েনার লোলুপতা। কিন্তু মনমাঝির কাছে সে তার মনের মধ্যে আরেকটি মনের সন্ধান পায়। যে মন তাকে পৌঁছে দিয়েছিল ভালোবাসার আঙিনায়। আসলে এখানে মনমাঝি আমাদের প্রেমময় মনের বহিপ্রকাশ। আমরা তাকে না পেলেও খুঁজে চলি প্রতিনিয়ত
।কলিমিদ্দিনের সঙ্গে তাই ভাঙ্গা ঘর করলেও স্বামীর মধ্যেই খুঁজে চলে মনমাঝির ছায়া।


শুভকামনা আপুকে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন, পদাতিক ভাই। আপনার উপলব্ধিটুকু আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ।

শেষ কথাটা তো এপিক, "কলিমিদ্দিনের সঙ্গে তাই ভাঙ্গা ঘর করলেও স্বামীর মধ্যেই খুঁজে চলে মনমাঝির ছায়া"। আসলে মনমাঝি ভাঙ্গার ভেতর ঘুমিয়ে থাকা ভালবাসাকে জাগ্রত করে দিয়ে গেছে।

অনেক ধন্যবাদ এবং ভীষণ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য :)

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তারপর ভাঙ্গা তার দাদির মতো গান ভাইজ্জা সংসার কইরা যাইব- দারুণ একটা সমাপ্তির মধ্য দিয়ে গল্পটা শেষ করলেন। ভাঙ্গা আর দাদি যেন একই সমতলে নেমে এসে ভালোবাসা-বঞ্চিত হতভাগিনীদের প্রতীক হয়ে ফুটে উঠলো।

চমৎকার একটা গল্প। অসাধারণ উপস্থাপনায় মুগ্ধ। গল্পের একেকটা বাঁক একেকটা দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে, এবং চোখের সামনে ভেসে উঠেছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মাত্রই পদাতিক ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তর দিতেই আপনার মন্তব্য পেলাম আর অপ্রত্যাশিত এক আনন্দ পেলাম। আপনার রোম্যান্টিক গল্পগুলো পড়ে আমি আসলে মনে মনে আপনার মন্তব্য প্রত্যাশা করছিলাম :`>

"ভাঙ্গা আর দাদি যেন একই সমতলে নেমে এসে ভালোবাসা-বঞ্চিত হতভাগিনীদের প্রতীক হয়ে ফুটে উঠলো" যা বলেছেন, প্রতীকী গানের মাঝেই ভালোবাসাকে রেখে সংসার করে যাওয়া আর স্বামীর মাঝে মনমাঝিকে খুঁজে ফেরা।

আপনার প্রশংসায় আমি যে কি ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম ! আনন্দে মন ভরে গেলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ নিন আর অনেক অনেক ভালো থাকুন, রোম্যান্টিক থাকুন, সোনাবীজ ভাই :>

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

আবু হাসান লাবলু বলেছেন: কোথায় জানি হারিয়ে গিয়েছিলাম, আরও কিছুক্ষণ নিজেকে খুজে না পেলে হয়ত আরো ভাল লাগত।
অসাধারণ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার কি যে ভালো লাগলো! মনে হল, গল্প লেখার সার্থকতা পেয়েছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন, আবু হাসান লাবলু। অনুপ্রেরণা পেয়েছি সামনে আরও এমন লেখার :)

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,




ভাঙ্গার জীবন নদীর পাড়ে ক্ষনিক জোছনার মতো আলো আপনার তোলা ছবিতেও ।
গাঙপাড়ের মানুষের বচনের ভেতর দিয়ে মনমাঝির নাও বাওয়া ভাঙ্গার যে জীবন গড়েছেন তা গাঙের জলে ঝিকিমিকি চাঁদের আলোর মতোই হিরন্ময় ।


১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত, আহমেদ জী এস ভাই। তিনদিন ধরে সময়ই পাচ্ছিলাম না বসার।

"ভাঙ্গার জীবন নদীর পাড়ে ক্ষনিক জোছনার মতো আলো আপনার তোলা ছবিতেও" । অনেক উৎফুল্ল হলাম এই মন্তব্যে । ছবিটা আমার খুব প্রিয়। একটা মোহে টেনে নিয়ে চন্দ্রাহত করে ফেলে।

"গাঙপাড়ের মানুষের বচনের ভেতর দিয়ে মনমাঝির নাও বাওয়া ভাঙ্গার যে জীবন গড়েছেন তা গাঙের জলে ঝিকিমিকি চাঁদের আলোর মতোই হিরন্ময়" । দারুণ বলেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাই প্রিয়, আহমেদ জী এস ভাই।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

রাকু হাসান বলেছেন:


কই তুমি :) একটা দৌঁড় মারো তো =p~
ওই আমি লেইট ঠিকাছে কিন্তু লেইট লতিফ না /:) । উপরে লতিফ ভাই আছে দেখলে মাইন্ড খাইতে পারে :P । ---হাহাহা দেখি নাইক্কা B-)
গল্পটি আবার পড়ছি আমি :-B । তোমার আগের লেখা দিরে দিরে পড়মু ,পড়লেই শেষ অয়ে যাইবে তাই :) । দরকারে বারবার করে পড়মু !:#P । ভাঙ্গাকে সরল সোজা লাগছে । ছিঃ মরা মানুষ নিয়ে খারাপ কথা কইতে নেই ,,হুনতেই নেই । ---গ্রামীণ মেয়েদের সরলতা পেলাম ।যা গল্পের পুরোটা জুড়ে রয়েছে একটি গ্রামীণ সামাজিক গল্পের ছাপ ।

*তোমার ভাই তো ফেমাস অয়ে গেলো B-) =p~ :P । কবিতা পোস্ট করে ফেলছি । দেখলে কি সাহস আমার :) । তোমার মন্তব্য কিন্তু সেই হতে হবে .....বিশেষ করে টেকনিক্যাল দিক টা তো আমি বুঝি না |-) ্ কবিতার মতো এত কঠিন বিষয়য়ের অনেক কিছুই জানি ই না । ভিতরে নিশ্চয় অনেক কলা কৌশল আছে সেটা জানা খুব দরকার । সাহিত্যের মানদন্ডে কতটা হলো জানা দরকার । বোন আমার তাত্তারি আজই আসো । :-B । দেখ কত সুন্দর কইতেছি ,ইমুন করে কইলে কেউ বসে থাকতে পারে ? ;) B-)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তোমার ডাক শুনে দ্রুত চলে আসলাম। তোমার কবিতা এখনি পড়তে যাচ্ছি। অমৃতাক্ষর ছন্দ বা গদ্য কবিতায় তেমন কোন নিয়ম নাই। তোমার অনুভূতিটা কতটা গভীরভাবে, শৈল্পিকভাবে ফুটে উঠলো সেটাই বিষয়। নিয়ম আছে অক্ষর বৃত্ত, মাত্রা বৃত্ত, শব্দ বৃত্ত
ছন্দে এবং সনেট লেখার ক্ষেত্রে।
এই ফাঁকে একটা খবর জানিয়ে যাই, প্রায় এক সপ্তাহ আসতে পারবো না। বিশেষ ব্যস্ততা আছে। আমাকে নিয়ে তো একমাত্র তুমি দুশ্চিন্তা করার মত আছো, তাই ভাইকে জানিয়ে গেলাম। ততদিন পর্যন্ত ভালো থেকো, সুস্থ থেকো, প্রিয় ভাই রাক্কু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.