নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের সঙ্গে রাত দুপুরে যে মেয়েটা সমানে তর্ক করেছে সেই আসলে প্রকৃতপক্ষে দেবী। তাঁর ভেতরেই দেবী ভর করেছিলেন। মুভি রিভিউ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১



মুভি রিভিউঃ- দেবী

মিসির আলি। আমরা যা কিছুই চিন্তা করি তার সবটাই দৃশ্যগত করা সম্ভব নয়। উপন্যাসকে সিনেমাতে রূপদান করা এমনিতেই কঠিন, আর সেই উপন্যাস যদি অনেকবেশি বস্তুজগতের বাইরে মানসজগতের হয় তাহলে যে সেটা দৃশ্যগত করা কেমন কঠিন হবে বলাই বাহুল্য। আমি মিসির আলিকে নিয়ে একটি দীর্ঘ গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছি এক বছরও হয়নি। আর সেজন্যই ‘দেবী’ সিনেমাটি দেখার সময় আমার বারবার সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ের সাথে অবচেতনে তুলনা চলে আসছিল। যারা ‘দেবী’ উপন্যাস পড়েছেন, মিসির আলিকে পড়েছেন বোধকরি তাঁদের সবারই এমন তুলনা চলে এসেছে। আমি আমারটা আলাদাভাবে উল্লেখ করলাম এই কারণে যে, শুধু পাঠক হিসেবে পড়া আর গবেষণা প্রবন্ধ লেখার জন্য পড়ার মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। সময়, শ্রম এবং মনোযোগের গভীরতা এই পার্থক্য তৈরি করে। যাইহোক, প্রথমদিকে কিছুক্ষণ এভাবে দেখার পর আমি নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্মোহভাবে দেখতে সক্ষম হই (আমার সেটা মনে হয়েছে)। মিসির আলিকে নিয়ে গবেষণা করেছি বলেই এই ছবিটি নিয়ে লেখার একটা দায়বদ্ধতা বা তাড়না আমার ভেতর তৈরি হয়েছে।

‘দেবী’ উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র হয়েছে শুনে আমার প্রথমেই যে প্রশ্নটা মনে এসেছিলো সেটা হল, মিসির আলির ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে কিভাবে? এই চরিত্রে রূপদান করতে পারে এমন অভিনেতা আমাদের কে আছে? আমি অনেক ভেবেও কোন অভিনেতাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বরং মিসির আলি সমগ্র ১ এর প্রচ্ছদের ছবি দেখে আমার বারবার মনে হত শুধু আসাদুজ্জামান নূর-কে এমন গেটাপে মানাতে পারে। পর্দায় দেখলাম চঞ্চল চৌধুরীকে। উপন্যাসে মিসির আলি ছিলেন অত্যন্ত রোগা এবং আঙ্গুলগুলো অস্বাভাবিক লম্বা, তাঁর দৃষ্টি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। এখন জরুরী নয় যে, সিনেমাতেও এমন রোগা এবং অস্বাভাবিক লম্বা আঙ্গুলের অধিকারী মিসির আলিকে দেখাতে হবে। চঞ্চল যে গেটাপটি নিয়েছেন সেটি আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তাঁর চুল খুবই পছন্দ হয়েছে এবং পোশাকের ধরণও ভালো লেগেছে। চশমাটা আরেকটু মোটা ফ্রেমের হতে পারতো। মানে হল, মেকাপ-গেটাপে মিসির আলিকে এভাবে মেনে নেয়া যায়। তাহলে পরের প্রসঙ্গ মিসির আলি চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়। এখন পর্যন্ত যতটুকু শুনেছি, পড়েছি প্রায় কেউই চঞ্চলের অভিনয় এখানে পুরোপুরি পছন্দ করতে পারছেন না। কেউ বলছেন ভালো লাগেনি, কেউ বলছেন আরও ভালো হতে পারতো, আবার কেউ ভালোও নয় খারাপও নয় এমন মনোভাবে আছেন। আমি এই ক্ষেত্রে চঞ্চল চৌধুরীর থেকেও অনেক বেশি দায় দেখতে পেয়েছি পরিচালকের। মিসির আলি প্রচুর বই পড়েন, আনমনে থাকেন, খেয়ালী মানুষ। কিন্তু তাঁর দৃষ্টি খুব তীক্ষ্ণ। অথচ আমরা পর্দায় একবারও চঞ্চল চৌধুরীর তীক্ষ্ণ গভীর দৃষ্টি দেখিনি। শুধু তাই নয়, পুরো সিনেমায় তাঁর মোট উপস্থিতির সময়ও উপন্যাসের তুলনায় যথেষ্ট কম। দর্শক আসলে কি দেখতে চেয়েছেন ছবিটিতে? আর নির্মাতা কি দেখাতে চেয়েছেন? দর্শক কি দেবী উপন্যাসের রানু চরিত্রটিকেই শুধুমাত্র প্রধান মনে করে সিনেমাটি দেখতে চেয়েছেন, নাকি মিসির আলিকেও সমান গুরুত্বপূর্ণভেবে দেখতে গিয়েছেন। যেহেতু মিসির আলি হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি সুস্পষ্ট সাহিত্যিক চরিত্র এবং তাঁকে ঘিরেই উপন্যাসগুলো সেহেতু তিনিই যে প্রধান চরিত্র তাতে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে না। মূলত তাঁকে ঘিরেই, তাঁর কেইস প্রেক্ষাপটে অন্যান্য চরিত্রগুলোর আগমন। কিন্তু কথা হল, মিসির আলিকে নিয়ে এটিই ছিল প্রথম উপন্যাস এবং আমরা যদি মিসির আলি সিরিজ বাদ দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে শুধু এই উপন্যাসটি ধরি, অর্থাৎ মিসির আলিকে আরও বিশেষায়িত কিছু না ভেবে শুধুমাত্র এই উপন্যাসের প্লটে বিবেচনা করি তখন কেমন দাঁড়ায়। উপন্যাসটি শুরু হয়েছিল রানুর স্বামী আনিস সাহেবের রানুকে নিয়ে ভাবনা দিয়ে। গল্প শুরুর স্থান, কাল, পাত্র সব রানু ও তার বাসা কেন্দ্রিক। রানুর চিকিৎসার প্রয়োজনে মিসির আলির আগমন ঘটে। আর তখন থেকেই নিজের ব্যক্তিত্ব এবং কাজের ধরণ দিয়ে মিসির আলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। পর্যায়ক্রমে রহস্য সমাধানে এই চরিত্রের ব্যাপ্তি পুরো উপন্যাসে ছড়িয়ে যায়। একদম শেষে এসে রানুর জ্বর আর নিলুর আটক অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি আবার গৌণ হয়ে যান, তাঁর কোন ভূমিকা তখন একেবারেই দেখা যায় না। অর্থাৎ রানুকে নিয়ে শুরু হয়ে তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়েই গল্পটি শেষ হয়। যদিও শেষে কয়েক লাইনে ক্লাসে নিলুর মুখের মধ্যে রানুর ছায়া দেখে অবাক হওয়ার মাধ্যমে মিসির আলিকে ফিরিয়ে আনা হয়। যাইহোক, যে জন্য এই কথাগুলো বলা, উপন্যাসে যেমনই হোক দর্শক যে তীব্রভাবে মিসির আলিকে দেখতে চাইবেন পরিচালকের সেটি মাথায় রাখা দরকার ছিল। এমনকি উপন্যাসটিতে মিসির আলির যতটুকু ব্যাপ্তি সেটুকুও সিনেমায় তুলে আনা হয়নি। পর্দায় এই চরিত্রের উপস্থিতি এত কম সময় ছিল এবং তাঁর কাজগুলো অর্থাৎ মিসির আলির রহস্য সমাধানের ধরণ এতটাই দ্রুতগতিতে চলে গেছে যে, যিনি মিসির আলিকে চেনেন না এবং চঞ্চল চৌধুরীকেও চেনেন না তাঁর কাছে এটা ২য় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মনে হতে পারে। এমনকি ৩য় মনে হলেও অবাক হবার কিছু নেই। অথচ উল্টোটা হতে পারতো যেহেতু সিনেমার শুরুটা হয়েছিল মিসির আলিকে দিয়ে। পুরো সিনেমাটাই বলতে গেলে শুধু রানুর কাহিনী আর অল্প একটু নিলুর কাহিনী হয়ে গেছে। সিনেমাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবেই রানুর উপস্থিতি দীর্ঘতর করা হয়েছে। যতবার রানুর নিজের নাম শোনা, হাসি শোনা, নূপুরের শব্দ শোনা, দুই মেয়ের ছায়া দেখানো এবং নিজের অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে থাকা দেখানো হয়েছে এতবার এগুলো দেখানোর কোন প্রয়োজনই ছিল না। রিপিটেশনে সময়টা গিলেছে। অথচ এগুলো এতবার না দেখিয়ে যদি মিসির আলির কাজগুলো, রহস্য সমাধানে তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও শ্রম যত্ন নিয়ে দেখানো হত তাহলেই আর পর্দার মিসির আলিকে নিয়ে এমন খেদ হতো না বলে আমার বিশ্বাস। মিসির আলি তাঁর অসুস্থ শরীর নিয়ে রানুদের গ্রামে গিয়ে মন্দিরের ভাঙা ছাদের উপরে বসে সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে প্রচণ্ড নিউমোনিয়া বাঁধিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনো তিনি রানুর রহস্যটি নিয়ে ভাবতে থাকেন। সিনেমায় এগুলো আসেনি। তিনি নিজের খরচেই সবকিছু করেন। কাজের প্রতি কতটা ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা থাকলে একজন মানুষ এভাবে করে যায় তার খুব সামান্যই পর্দার মিসির আলিতে ফুটে উঠেছে। তাঁকে আমরা স্থিরভাবে বসে ভাবতে পর্যন্ত কোথাও দেখিনা। বিপরীতে জয়া আহসান তো নিঃসন্দেহে ভালো অভিনয় করেন। রানুর চরিত্রটিতে তিনি যথার্থই ছিলেন। যদিও দুই এক জায়গায় আমার কাছে অতি অভিনয় মনে হয়েছে। তবে মোট কথা নিজের অভিনয় গুণের সাথে কাহিনীর অতি কেন্দ্রিকতা এবং পর্দায় উপস্থিতির কারণে তিনি একেবারেই সবাইকে, সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছেন এই সিনেমায়। এটা কৈশোরে কোন মেয়ের যৌন হেনস্থা থেকে তৈরি হওয়া ভয়, কল্পনা, মানসিক অসুস্থতা কিংবা জগতের অশরীরী অথবা ভৌতিক অব্যাখ্য কোন ঘটনা থেকেও রানুর কাহিনী বেশি হয়ে উঠেছে। মিসির আলি তো কোন অতিপ্রাকৃত ঘটনার বৈজ্ঞানিক অথবা যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর কাছে আসেও এমন ধরণের কেইস। তিনি সব সমাধান করতে পারেন তা নয়, যেগুলো পারেন না সেগুলো অমীমাংসিত খাতায় রেখে দেন। আমরা এই সিনেমা দেখে কোনদিকে যাবো তা একেবারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন পরিচালক। উপন্যাসে তো মিসির আলি অনুসন্ধান চালিয়ে রানুর সব সমস্যার সূত্রপাত কোথায়, কিভাবে হয়েছিল তা তুলে ধরেছিলেন এবং একেকটি রহস্যের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। রহস্যভেদের উত্তেজনা নিয়ে গল্পটি পড়ে যেতে হয়। একেবারে শেষে চমকের মত দেখা যায় আসলেই রানুর মধ্যে দেবীর মত অলৌকিক কিছু ছিল যা পরে নিলুর মধ্যে চলে যায়। কিন্তু সিনেমায় এমন রহস্যটাই জাগেনি। শুরুতে, মাঝখানে সবসময় মনে হয়েছে রানুর মধ্যে অলৌকিক কিছু আছে এবং এটা একটা আধিভৌতিক ছবি। মজার ব্যাপার হল, সিনেমাটি দেখার সময় আমার সঙ্গী যিনি ছিল তিনি হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়লেও মিসির আলি কখনো পড়েননি। দেবী উপন্যাসের কাহিনী, বিষয়বস্তু বা মিসির আলি সম্পর্কে কিছুই তাঁর জানা ছিল না। আমার অনুরোধে ছবিটি দেখতে এসেছিলেন। শুরুর কিছুক্ষণ পর বললাম,’বোরিং লাগছে?’ বললেন, ‘না, ভালো লাগছে’। বিরতির সময় বললেন, ‘আমি কিছু বুঝলাম না’। আমি বললাম, ‘পুরোটা দেখেন, তারপর হয়তো বুঝবেন’। বিড়বিড় করে বললেন, ‘অর্ধেক হয়ে গেলো, এখনো কিছু বুঝলাম না’। ছবি শেষ করে আবার তিনি বললেন, ‘আমি বুঝলাম না কিছু’। আমি ঘটনা বললাম, ‘দেখলেন তো জয়া অসুস্থ, অস্বাভাবিক, মিসির আলি রহস্য বের করার চেষ্টা করলেন, নিলুর সাথে ওই লোকটি খারাপ ছিল এবং শেষে দেখা গেলো জয়ার ভেতর থেকে দেবী নিলুর মধ্যে গিয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে দিলো’। উনি শুধু মাথা নাড়তে লাগলেন এবং আমি বললাম, ‘তাহলে তো বুঝছেন’ এবং মনে মনে হাসলাম। মজার ব্যাপার হল, নিলুর কাছে শয়তান লোক ইরেশের লেখা চিঠিটাকে আমার সঙ্গী ভেবেছিলো রানুর লেখা চিঠি। রহস্যময়ভাবে এই চিঠি এবং গিফট রানু তাকে পাঠিয়েছে! তাঁর মত আরও অনেকের এমন ভাবা বিচিত্র কিছু না।

নিলুর চরিত্রে শবনম ফারিয়া বেশ ভালো করেছে। বিশেষ করে একটা দৃশ্যের জন্য তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করতেই হবে। নিজেকে লুকিয়ে রাখা ব্যক্তিত্বের ডাউন স্ট্রিমে থাকা একটা চরিত্র, যার চোখ সবসময় আনত থাকে, শেষে হাত বাঁধা অবস্থায় যখন দেবী তাঁর ভেতরে প্রবেশ করে আর সাথে সাথে যেভাবে সে তাকায় আমি মনে মনে বলে উঠেছি, বিউটিফুল! নমনীয় এবং দুর্বল চোখ থেকে হঠাৎ করেই তাঁর এই উত্তরণ এবং দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা আমার খুব ভালো লেগেছে।
পুরো ছবিতে একমাত্র যেখানে আমি চোখে-মনে পূর্ণভাবে তৃপ্তি পেয়েছি বা বিমোহিত হয়েছি সেটা হল মিসির আলির ঘর। উপন্যাসে অন্ধকার ঘর লেখা থাকলেও, ছবিটিতে তাঁর ঘর আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে বিভিন্ন জায়গায় গাছগুলো সাজানো ছিল, চারিদিকে বইয়ের ভিড় আর চিলেকোঠায় আলোর খেলা সব মিলিয়ে তাঁর ঘরটিকে আমার এই ছবিতে আর্ট ডিরেকশনের সবচেয়ে ভালো কাজ মনে হয়েছে। এবং যতবারই তাঁর ঘরে ক্যামেরা এসেছে ততবারই আমি মনে মনে বলেছি বিউটিফুল! এবং চেয়েছি ক্যামেরাটা আরও কিছুক্ষণ এখানে থাকুক। রানু ও আনিসের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যগুলো সুন্দর ছিল। নিঃসঙ্গ প্যাঁচার সাথে রানুর বসে থাকার সিম্বলিক দৃশ্যটাও ভালো লেগেছে। রানুর ছোটবেলায় কিশোরীদের একসাথে দৌড়ে নদীতে যাওয়ার দৃশ্যটা সুন্দর ছিল। স্বল্প সময়ের উপস্থিতিতে ইরেশও বেশ ভালো অভিনয় করেছে।

সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম এবং প্যারাসাইকোলজিক্যাল ইন্সিডেন্ট এক জিনিস নয়। আমাদের অজ্ঞতায় আমরা অনেক মানসিক সমস্যাকেই ভৌতিক বলে মনে করি। আবার সত্যিই ব্যাখ্যার অতীত কিছু ঘটনা ঘটে চলে পৃথিবীতে। আমেরিকার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংক্রান্ত একটি বিভাগ আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর মিসির আলি সিরিজগুলো এই ব্যাখ্যাযোগ্য এবং অব্যাখ্য দুটি ব্যাপারকে মিলিয়ে লেখা। উপন্যাস পড়লে বিনোদনের সাথে মানুষের মন নিয়ে অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানা হয়, জ্ঞান লাভ হয়, কিন্তু ছবিটি দেখে কোন কিছুই জানা হয় না। বিনোদন হয়তো কিছুটা পাওয়া যায়, তাও তো পূর্ণ বিনোদন নয়। রানুর ছোটবেলায় মন্দিরে গিয়ে জালাল উদ্দিনের দ্বারা যৌন হেনস্তা হওয়ার বিষয়টা নিয়েও তেমন কিছু ভাবার বা বোঝার অবকাশ পাওয়া যায় না। বাস্তবে সত্যি এমন কোন দেবী এসে আমাদের মেয়েদের কাউকে বাঁচিয়ে দেয় না।

তবে যাই হোক, এটা তো অযথা নাচ-গান ওয়ালা, যুক্তিহীন মারামারির কমার্শিয়াল ছবি নয়। এধরনের সিনেমা দেখা দরকার নির্মাতা ও কলাকুশলীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। ঘাটতি বুঝে নিয়ে সামনে আরও ভালো কাজ করার জন্য। যদি না-ই দেখেন তাহলে তো আর সামান্য উৎসাহটুকুও থাকে না। আর মিসির আলির ঘরটা দেখলে সত্যি অনেক আনন্দ পাবেন। মন ভালো করে দেয়ার মত ঘর।পরিচালক অনম বিশ্বাসের টেকনিক্যাল দিক খুব ভালো। অন্তত এই আস্থা জন্মেছে যে তিনি অবশ্যই চাইলে ভালো ছবি নির্মাণ করতে পারবেন।

অনেক লিখলাম ছবিটি নিয়ে। আমার কথার সাথে কারো একমত হওয়ার কোন দরকার নেই। আমি মিসির আলিকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছি বলেই আমার এই রিভিউ লিখতে ইচ্ছে হয়েছে। পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

বিজন রয় বলেছেন: ++++

আপনার লেখা অনেক রিচ্।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বহুদিন পরে ব্লগে পোস্ট দিয়ে বহুদিন বাদে আপনার মন্তব্য পেলাম। কিযে ভালো লাগছে! আর এক বাক্যের এই প্রশংসা শুনে তো খুশিতে ভরে উঠলাম :D । অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালোলাগা, কৃতজ্ঞতা, শুভকামনা সব আপনাকে দিলাম, বিজন দা :)

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

লাবণ্য ২ বলেছেন: সিনেমাটা দেখার ইচ্ছা আছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তাহলে অনুরোধ, হলে থাকতে থাকতে দেখে ফেলুন, লাবণ্য। বাসায় ছোট মনিটরে দেখা আর হলের বড় পর্দায় দেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। হলে দেখলে চলচ্চিত্র নির্মাণ কুশলীদেরও সম্মান করা হয়, যেটারই কিনা সবচেয়ে বড় সংকট বর্তমানে বাংলাদেশ।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

মুসাফির নামা বলেছেন: সুন্দর পর্যালোচনা করেছেন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, মুসাফির নামা। এই প্রথম আপনার মন্তব্য পেলাম, শুভেচ্ছা নেবেন। ব্লগে আমন্ত্রণ রইলো।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা .......
আপনার এখানে শেষ কবে এসেছিলাম মনে করতে পারছি না। তবে ব্লগে আমি কিছুদিন অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম, পেশাগত দায়িত্ব ও অসুস্থতা । এখন বেশ ভাল আছি, যদিও অনেক ব্যস্ততা এখনও আছে। ব্লগে ইদানিং একটু সময় দিতে পারছি, সেটা আমার ব্লগবাড়ি গেলেই দেখতে বুঝতে পারবেন।

আপনার কথাশুনে মনে হলো আপনি আমাকে খুব করে মনে রেখেছেন, এটা আমার ভাল লেগেছে খুব!
আসলে আপনার সাথে আমার খুব বেশি কথা হয়েছে কিনা মনে করতে পারছি না, তবে আপনার নিকটি আামর মনে আছে, আজকাল কেমন জানি ভুলে যাই, কিছু মনে করবেন না!

আসলে ... কথার ফুলঝুরি, অচেনা হৃদি আর চঞ্চল হরিণী ( আপনি ) আমি গুলিয়ে ফেলেছিলাম, আজ সব পরিস্কার হলো।

আপনি নিয়মিত লেখেন কিনা জানিনা। লেখক হতে সবাই পারে না, আপনি কি মনে করেন? যেমন আমি চেষ্টা করিনি কখনো।
আপনার শৃঙ্গার লেখাটি পড়েছিলাম কদিন আগে, আজও পড়ে আসলাম, ওখানে কোন কথা বলতে পারলাম না, আমার বিস্ময়বোধ আমাকে মুক রেখেছে।

আজ এই লেখাটিও পড়লাম, যদিও বলেছেন মিসির আলী নিয়ে আপনি প্রবন্ধ লিখেছেন তাই এটি লিখতে সহজ হয়েছে, তারমানে আপনি লেখায় সাবলিল। জানতে চাই আরো।

প্রতিউত্তরে যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তাতে আপনাকে আর ভুলবো না।
আপনার দেওয়া কিছুই নিলাম না, যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে না পারি, যদি হারিয়ে ফেলি। আমার ভাললাগারা আমাকে আপনার প্রতি সম্পূর্ণ সৎ থাকার নির্দেশ দিয়েছে!!

শুভকামনা রইল।
ভাল থাকুন সবসময়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনি আমার প্রথম পোস্টেই আপনার পদচিহ্ন রেখেছিলেন, বিজন দা। এরপর আরও কিছু পোস্টে এসে আমাকে অনেক সম্মানিত করে গেছেন। ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত সময় দিতে পারেন না, সে বুঝি। আমিও নিয়মিত ব্লগে থাকতে পারি না। আপনাকে আমি এত করে মনে রেখেছি যে একবার আপনার ব্লগ বাড়িতে গিয়ে লিখেছিলাম, 'আমি যতটা আপনাকে খুঁজি, আপনি ততটা ব্লগ দেখেন কিনা'। বলেছিলেন, 'না, আমি সময় পাই না'।

আমি প্রায় নিয়মিত লিখি কিন্তু নিয়মিত পোস্ট দেই না। লেখক হওয়ার চেষ্টা আমিও করিনি। ভেতরে কেমন একটা তাগিদ থেকে লিখতে শুরু করেছিলাম, আর সেটা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনি ব্যস্ততার কারণে সময় না পেয়েও যতটুকু আর যেমন লেখেন, ভীষণ অবাক হই! জীবনের অমন বাস্তবতায় আমি এখনো পড়িনি তাই লিখতে পারছি। পড়লে বোধহয় আমি মোটেও সময় পাবো না। সময় পেলেও তাগিদ থাকবে না, কে জানে কি হবে।

আপনি যে 'শৃঙ্গার' পড়েছেন সেটি জেনে আমার খুব ভালো লাগলো। আর দ্বিতীয়বার এসে এত বড় মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কিভাবে আনন্দ প্রকাশ করবো আমার ঠিক জানা নেই।

"আমার ভাললাগারা আমাকে আপনার প্রতি সম্পূর্ণ সৎ থাকার নির্দেশ দিয়েছে!!" এই বাক্যটার দিকে আমি যে কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম ! এমন নির্মল আন্তরিকতা আমার মণিকোঠায় আজীবনের জন্য গেঁথে গেলো।

আপনি কিছু না নিলেও আমি উজাড় করে আবার একরাশ ভালোবাসা আপনাকে দিলাম। লক্ষ্মী পূজার দিনে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে আপনি পুষ্ট হন, ধনে আবাদ হন, এমন প্রার্থনা করলাম। :>

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

রাকু হাসান বলেছেন:

নতুন পোস্টে স্বাগতম :-B !:#P
ঠিকাচ্ছে তর্কবাজ মেয়ের চরিত্র নিয়ে গল্প লিখ ,গল্পের নায়িকা হবে,আমাকে নায়ক বানিয়ে দাও ;) =p~
মানুষখালি ভিলেন বানাতে চাই আমায় B:-)
আমার পড়া সেরা রিভিউ ব্লগ ,সোসালমিডিয়া,পত্রপত্রিকা মিলিয়ে ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তোর এত্ত নায়ক হওয়ার শখ! আহারে! ভাইটা আমার !
যাহ, তোরে নায়ক বানাইয়া লিখমু একটা গল্প, কথা দিলাম। পরিণতি যাই হোক, মাইনা নিতে হইবে কিন্তুক B-))

"আমার পড়া সেরা রিভিউ ব্লগ ,সোসালমিডিয়া,পত্রপত্রিকা মিলিয়ে" । এটা তো একটা বিরাট কমপ্লিমেন্ট হল। এতটাও বোধহয় না :`> । থাক, আর কিছু বলিস না তুই। নিজেরে গল্পের মাঝে চিন্তা করতে থাক :P

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

নিশাচর১/১০০ বলেছেন: 'দেবী' ছিল 'মিসির আলি' সিরিজের প্রথম বই। স্বভাবতই গল্পে মিসির আলি চরিত্রটি পুরোপুরি গুছিয়ে উঠেনি। অন্য গল্প নিয়ে ছবিটি বানানো উচিৎ ছিল। চরিত্রটির আবেদনের কথা মাথায় রেখে একই সাথে ব্যবসায়িক মাল-মশলা যোগ করে প্রয়োজনে একাধিক গল্প সম্পাদনা করে একটি ভাল সিনেমা উপহার দেওয়া যেত।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন, এই উপন্যাসে মিসির আলি চরিত্রটি পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু ছবি বানানোর সময় তাঁর চরিত্রটিকে গুছিয়ে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা যেত। উপন্যাসে যেমনই হোক, ভিজ্যুয়ালি সেটা করা যেত এই কাহিনী রেখেই। সামনে যদি এমন আরও কাজ হয় সেক্ষেত্রে নির্মাতারা বিষয়টি মাথায় রাখবেন বলে আশা করি।

এই প্রথম আমার পোস্টে আসায় আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, নিশাচর। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ব্লগে আমন্ত্রণ রইলো :)

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন! সাম্প্রতিক সময়ে যে কয়টি পোষ্ট এসেছে, তার মধ্যে আপনার লেখাটি অন্যতম সেরা। আপনার বিশ্লেষনের সাথে আমি সহমত। আসলে রানুকে এত বেশি ফোকাস করা হয়েছে যে মিসির আলি যে গুরুত্বপূর্ন একটা চরিত্র তা হারিয়েই গেছে। অথচ এই সিনেমায় তিনটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলো। এই বিষয়টা কিছুটা হতাশাজনক। আমি বাংলাদেশের প্রথম নির্মিত অতিপ্রাকৃত চলচ্চিত্র হিসেবে এই ছবিটিকে ইতিবাচকভাবে দেখেছি।

দারুন এই পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার এমন প্রশংসাসূচক মন্তব্য পেয়ে আমার আনন্দের সীমা নাই, কাভা ভাই !:#P । আমার রিভিউ লেখা এবং ব্লগে পোস্ট দেয়া একদম সার্থক মনে হচ্ছে এখন । আপনার কাছ থেকে মূল্যবান এই মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ হলাম।

আমিও বিষয়বস্তুর কারণে ছবিটি ইতিবাচকভাবেই নিয়েছি। আমি চাই সামনে এমন আরও ছবি হোক। আর সেজন্যই রিভিউ লেখার তাগিদ আরও বেশি করে অনুভব করেছি। এখন যে ঘাটতিগুলো পেয়েছি, সামনে এগুলো না থাকুক এমনটাই চাওয়া।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে, মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। শুভেচ্ছা, কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাইয়া। :)

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ‘আজকের নৈঃশব্দ হোক যুদ্ধারম্ভের স্বীকৃতি’
সুকান্ত ভট্টাচার্য

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। ওম শান্তি !

রাজীব ভাই, কুশলেই আছেন আশা করি। পোস্ট পড়েছেন কিনা জানিনা, তবে ধন্যবাদ নেবেন মন্তব্য করার জন্য :)

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


হরর মুভি নিয়ে এত ম্যাঁওপ্যাঁও কেন?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহাহাহা =p~ । চাঁদগাজী ভাই, সুস্থ আছেন আশা করি।

আসলে মিসির আলি চরিত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গুরুত্ব আছে। ভুতে ধরা, জ্বীনে ধরা বলে আমাদের সমাজে কতগুলো কুসংস্কার আছে। মানসিক রোগ সম্পর্কে এদেশের বেশিরভাগ মানুষের ধারণা নাই। মানসিক সমস্যা বললেই পাগল বোঝে। মিসির আলি এধরনের অস্বাভাবিক অবস্থার যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা দেন। তিনি বিজ্ঞানের ভিত্তিতে কার্যকারণ খুঁজে সুস্থ বা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। যেগুলো পারেন না, সেগুলো রহস্যময় বা অতিপ্রাকৃত রয়ে যায়। কিন্তু সাইকোলজি সম্পর্কেও তো মানুষের জানা দরকার। তাই মিসির আলিকে আমি পছন্দ করি, পড়তে উৎসাহ দেই। মুভিটা নিয়ে আগ্রহ এই কারণেই ছিল। কিন্তু শেষমেশ এটা হরর মুভিই হয়ে গেলো।

অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লেগেছে, চাঁদগাজী ভাই। অনেক ধন্যবাদ নেবেন।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

মিসির আলী তেমন একটা আমার পড়া নাই। মনে হয় ক্লাস টেনে থাকতে টেনে টুনে কয়েকপাতা পড়েছিলাম।
তাই আসলে মিসির আলীকে তেমনভাবে চিনি না।
দেবী সিনেমা মুক্তির পর থেকে যেভাবে ব্লগ ফেসবুকে এই সিনেমার রিভিউ দেখতে পাচ্ছি। তাতে মনে হলো এইটা না পড়ে আসলেই ভুল করেছি।
আপনার এই লেখাটাও পড়লাম। মূলত শিরোনামটা ভালো লেগেছে দেখে ভিতরে ক্লিক করেছি। এবং পড়ে কিছু কিছু বুঝতে পেরেছি।
দেবী সিনেমা নিয়ে খায়রুল আহসান, কাল্পনিক_ভালোবাসা এই দুইজনের পোষ্টও পড়েছি। চাঁদগাজী সাহেব প্রায় সব পোষ্টেই একটা মন্তব্য করেছেন যে, এটা একটা মোটামুটি হরর মুভি; রিভিউ পড়ে তিনি যতটা আন্দাজ করেছেন।
আমারও তাই ধারনা যে এটা একটা মাইন্ড গেইম, সেমি থ্রিলার টাইপ।

শুভেচ্ছান্তে

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার ধারণা আপনার ভালো লাগতো মিসির আলি। কারণ আপনি মূলত ভাববাদী কবি। আপনার পক্ষে কল্পনার রাজ্যে, ভাবের জগতে, রহস্যময় মনের ভেতরে প্রবেশ করাটা সহজ এবং আনন্দময় হত। তারপরও নিশ্চিত করে বলা যায় না, কারণ প্রতিটা মানুষই আলাদা।

আসলে মাইন্ড গেইম নয়। মোটেই তা নয়। ইরেশ যাকেরের চরিত্রটা একটু এমন হলেও এটা মূল কাহিনীর অংশ নয়। চাঁদগাজী ভাইকে যে প্রতিউত্তর করেছি তা থেকে আরেকটু ভালো বুঝতে পারবেন আশা করি। ছবিটি দেখেই ফেলুন ;)

পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, জাহিদ অনিক :)

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

ইসমত বলেছেন: শিরোনামই টেনে আনলো, যদিও ব্লগার রাজীব নুরের মতো হেডলাইনের সাথে বিষয়ের মিল ছিল না।

তবে 'দেবী' মুভি বিশ্লেষণ অসাধারণ হয়েছে। আমি মুগ্ধ। 'দেবী' ছিল মিসির আলীর প্রথম কেস; মিসির আলীর গল্প; অথচ সেখানেই সে অল্প রয়ে গেলো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে শুভেচ্ছা জানাই, ইসমত। আসলেই হেডলাইনের সাথে বিষয়ের প্রত্যক্ষ মিল নেই। তবে পরোক্ষ সংযোগ কিন্তু আছে।

বিশ্লেষণ পড়ে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন শুনে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। উৎসাহ পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন :)

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৪

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: Sorry for unable "bangla keyboard" at tab.
i have entered after many years at cinema hall. The light was very blur. Sound was excellent. Misir Ali's roof top room decoration may be inspired by "holy father" of new Romeo Juliet ( where Leonardo DiCaprio was Romeo ), and

Failed case but some charismatic activities of Misir Ali's should be celluloid in this cinema.

Only "Joya's" face focused. But great opportunity of presenting body appearance ignored.

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কীবোর্ডে বাংলা লিখতে না পারলেও আপনি যে পড়ে মন্তব্য করতে আগ্রহী হয়েছেন এতেই অনেক খুশি হয়েছি, আলাপচারী প্রহর। আপনার এই আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ।

এত বছর পর হলে নিশ্চয়ই খুব আশা নিয়ে দেখতে গিয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদ অথবা মিসির আলি আপনাকে টেনে নিয়ে গেছে অনুমান করতে পারি, যদি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কেউ না হয়ে থাকেন। 'হলি ফাদার' আমি দেখিনি। তাই বলতে পারছি না, ওখানে ঘরটা কেমন ছিল। তবে উপন্যাসেও মিসির আলির ঘরে এমন বই আর গাছের বর্ণনা ছিল। ঠিক বলেছেন, মিসির আলির ক্যারিশম্যাটিক কাজগুলোই সিনেমায় তুলে ধরা হয়নি। হ্যাঁ, জয়ার মুখশ্রীটাই বেশি ফোকাস করা হয়েছে।

ব্লগে আমন্ত্রণ ও শুভেচ্ছা রইলো, আলাপচারী প্রহর :)

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

বলেছেন: দারুন এই পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পোস্টটি পড়ে মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, লতিফ ভাই। এতদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি কুশলেই আছেন :)

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: "পুলিশের সঙ্গে রাত দুপুরে যে মেয়েটা সমানে তর্ক করেছে সেই আসলে প্রকৃতপক্ষে দেবী। তাঁর ভেতরেই দেবী ভর করেছিলেন।"
--অতপর সুন্দর একটি অশ্বডিম্ব প্রসবিত হলো। সুন্দর, কারণ লেখনির ক্ষমতা ভালো; অশ্বডিম্ব, কারণ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা আছে এতে। শুধু তাই নয়, সমাজের সাম্প্র‌তিক একটি করুণ ঘটনাকে উপেক্ষা ও হাস্যাস্পদ করা হয়েছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি দুঃখিত যে অশ্বডিম্ব প্রসব করেছি। আমি দুঃখিত যে আপনি অশ্বডিম্বটি গিলেছেন ।

"পুলিশের সঙ্গে রাত দুপুরে যে মেয়েটা সমানে তর্ক করেছে সেই আসলে প্রকৃতপক্ষে দেবী। তাঁর ভেতরেই দেবী ভর করেছিলেন।" এই বাক্যদ্বয়ে, "সেই আসলে প্রকৃতপক্ষে দেবী। তাঁর ভেতরেই দেবী ভর করেছিলেন" এইটুকু অংশ দিয়ে কি প্রশ্ন জাগে না, প্রকৃতপক্ষে দেবী কেন বলা হল? তাঁর ভেতরেই, লক্ষ করুন ই-যুক্ত 'ভেতরেই' দেবী ভর করার কথা বলা হল, তার মানে আগে আরও কিছু আছে যার প্রেক্ষিতে এই কথা বলা। আমি রিভিউটি লেখার পর শেষে এই বাক্য দুটি বলতাম, আর শেষের বাক্য দুটিই এখানে শিরোনামে দিয়েছি ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনায়। আমি যে মেয়েটিকে দেবীর আসনে নিয়ে গিয়েছি এতেই মেয়েটির পক্ষে আমার অবস্থান পরিষ্কার। চ্যালেঞ্জ করছি আমার মত এভাবে কেউ মেয়েটির ব্যাপারে বলেনি। দেবী সিনেমাতে দেখা যায় যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া এবং বিপদে পড়া দুটি মেয়ের ভেতর দেবী ভর করে তাঁদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। রিভিউতে লিখেছি বাস্তবে এভাবে দেবী এসে আমাদের মেয়েদেরকে বাঁচান না। তাহলে ওই একা মেয়েটি যে দুঃসাহস নিয়ে কথা বলে গেছে, রক্ষককেই ভক্ষকের ভূমিকাতে দেখেও গলার আওয়াজ নামায়নি সেই মেয়েকে তো আমি একমাত্র এমন দেবীর সাথেই তুলনা করতে পারি।

আপনি ভেবেছিলেন ঘটনাটি নিয়ে আমি কিছু লিখবো, কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে লিখতে গেলে সেটা ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান ছাড়া কিছু হতো না। কারণ মেয়েটির প্রতিবাদ অত্যন্ত সাহসী আর পুলিশ করেছে গর্হিত অপরাধ, এর বাইরে এখানে আর কিছু নেই। পুলিশের দায়িত্বহীনতা নিয়ে বহুজনই ইতোমধ্যে লিখেছে। কিন্তু যেহেতু আমার দেবী সিনেমাটি দেখা এবং এই মেয়েটির ঘটনা একইসময়ে ঘটেছে আর আমি মেয়েটির প্রতি একইসাথে সহমর্মিতা ও গর্ব অনুভব করছিলাম তাই মাত্র দুটি বাক্যেই আমি আমার মনোভাব প্রকাশ করে সিনেমার সাথে বাস্তব জীবনের পার্থক্যটাও দেখিয়ে দিয়েছি।

শিরোনামের পর শুরুতে পোস্টার এবং মুভি রিভিউ লেখা দেখার পরেও আপনি এই অশ্বডিম্বটি পড়েছেন বলে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। তবে আপনার এই মন্তব্যের পর আমি শিরোনামটা একটু সম্পাদনা করে নিলাম, যাতে আর কাউকে অশ্বডিম্ব গিলতে না হয় :)

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৪৬

অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন:
ট্রেলার দেখে মনে হয়েছে এই চলচ্চিত্রের সাথে মিলে যাচ্ছে ;)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: স্বাগতম, অবেলার পানকৌড়ি। হাহা, না এই ছবিটির সাথে মিল নেই। ঊর্মিলার 'ন্যায়না' ছবিটি আমি দেখেছি। অতিপ্রাকৃত হলেও মোটেও এক নয়। আশা করি দেখবেন :) । ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাম্প্রতিককালে ব্লগে যতগুলি মুভি রিভিউ দেখলাম তার মধ্যে এটাই বেস্ট বলে আমার মনে হয়েছে । হুমায়ুন আহমেদে র উপন্যাসটি আপনি পড়েছেন। পাশাপাশি মুভিটি যে ভালো করে দেখেছেন তারই প্রমাণ এই পর্যালোচনায় । উপন্যাসে লেখক মিসির আলি কে যে ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পর্দায় চঞ্চল চৌধুরীকে সে ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি । আমার মনে হয় পরিচালক এখানে মিসির আলি পরিবর্তে দেবীর উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ঠিক যেভাবে মেঘনাদবধ কাব্যে মাইকেল মধুসূদন উল্টোভাবে রাবণ চরিত্র কে চিত্রিত করেছিলেন । এ কারণেই বোধহয় রানুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখক যতটা গুরুত্ব দিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন পরিচালক মুভিটিতে ।আপনার কথাতেই পরিস্কার রানুর মধ্যে যে অলৌকিক সত্তা ছিল পরে সেটি যখন নীলুর মধ্যে ট্রানস্ফার হয় সেটা কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পরিচালক ফুটিয়ে তুলেছেন । সেখানে বরং চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় টি একটু নিস্প্রভ হওয়াটা স্বাভাবিক । হয়তো উপন্যাসে দেবী মুভিতে পরিচালক সত্যি করে দেবী হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন ।

সাইকোলোজিক্যাল এর সঙ্গে প্যারাসাইকোলজি র একটি পার্থক্য তো থাকবেই । মুভিতে যেটার অভাব আপনি লক্ষ্য করেছেন । এক্ষেত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আরো পারদর্শিতা হওয়া দরকার ছিল । আসলে ব্যতিক্রমী মুভিটিতে বোধ হয় এরকম কিছু গ্যাপ থেকেই যায় । তবে আপনার বন্ধুকে মুভিটি প্রতি কিছুটা আগ্রহী করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । এমনটি না হলে আপনাকে প্রথায় মাঝপথেই মুভি টি দেখা থেকে বিরত থাকতে হতো । আপনি শুধু ওনাকে নন ব্লগের সমস্ত পাঠককেও মুভিটির প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন ।

এই মুভিটি আপনার আগে কাভা ভাই ও শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যারের কাছ থেকেও কিছুটা আভাস আমরা পেয়েছিলাম । সব মিলিয়ে আমরা ঘরে বসেই মুভিটি দেখে ফেললাম । হা হা হা ।

একেবারে নাচ গানওয়ালা ছবি নয় নিতান্ত ব্যতিক্রমধর্মী ছবিটি দেখতে ও দর্শকরা ব্যাপকভাবে হলের দিকে যাচ্ছে এটা সিনেমা শিল্পের পক্ষে অত্যন্ত ভালো দিক । আগামীতেও আমরা এমন রিভিউ এর অপেক্ষায় থাকবো ।

শুভকামনা প্রিয় আপু কে ।


২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: রাবণকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে চিত্রায়িত করার জন্য তাঁর মধ্যে অসংখ্য উপাদান ছিল যেসব দিয়ে তাঁকে সফলভাবে চিত্রায়িত করা গেছে। কিন্তু দেবী উপন্যাসে রানুর সৌন্দর্য, একটু অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা এবং সমস্যাগুলো ছাড়া আর চিত্রায়িত করার মত কিছু নেই। কিন্তু রহস্যভেদে মিসির আলির কর্মকাণ্ডের মধ্যে অনেক গতিশীলতা এবং বিভিন্ন মাত্রা ছিল। যেগুলো তুলে না ধরাতে শুধুমাত্র অস্বাভাবিক অবস্থার পুনরাবৃত্তি দেখতে দেখতে বিরক্তি ধরে যায় এবং ছবিটি খুব স্লো হয়ে যায়।

"আপনি শুধু ওনাকে নন ব্লগের সমস্ত পাঠককেও মুভিটির প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন "। আপনার এই মন্তব্যটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে, পদাতিক ভাই। একেবারে খুশি হয়ে গেছি। মনে হচ্ছে রিভিউ লিখে আমি সফল :#)

এত সুন্দর এবং উৎসাহমূলক একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, প্রিয় পদাতিক ভাই :)

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১০

রাফা বলেছেন: একেবারে সত্যি ,পুলিশের সাথে চ্যালেন্জের সুরে যে মেয়েটি রাত দুপুরে কথা বলছিলো সেই হচ্ছে সত্যিকারের "দেবী"।হুমায়ুন স্যারের অনবদ্য সৃষ্টি মিসির আলী ও হিমু চরিত্র পর্দায় পরিপুরণ রুপ দেওয়া খুবই কঠিন একটি কাজ।জানিনা ছবিটি কেমন হয়েছে ।অপেক্ষা করতে হবে কতদিন দেখার জন্য তাও জানিনা।বড় পর্দায় আমার দেখা শেষ ছবি "হালদা"।প্রবাসে অতি অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহে বসে দেখে মনে হয়েছিলো ,আমি যেনো হালদার তীরে দাড়িয়ে এর বৈচিত্র রুপ দেখছি।

আপনার লেখা খুব সাবলিল।বইটি আপনি খুব ভালো করেই পড়েছেন এবং মনে রেখেছেন।তাই আপনার দৃষ্টিতে প্রতিটি পার্থক্য ধরা পরেছে।কোন উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হলে দেখার সময় উপন্যাসটি মাথায় না রেখে দেখলেই ভালো।তাহলে চলচ্চিত্রটির সঠিক সমালোচনা করা যায়।টেকনিক্যালি আমরা খুব রিচ নই ,যা প্যারাসাইকোলজি ছবি নির্মাণের জন্য অতি আবশ্যক।বিভিন্ন রিভিউ ও মানুষের ওপিনিয়ন শুনে এটুকু বুঝতে পেরেছি "জয়া আহসান " যে লক্ষ রেখে ছবিটি নির্মাণ করেছেন সেখানে তিনি শতভাগ সফল।মিসির আলী নয় তার সাফল্য রাণু চরিত্রটি পরিপুর্ণরুপে উপহার দেওয়া ।আমার মনে হয় সেখানে তিনি সফল।

ধন্যবাদ,চমৎকার আলোচনার জন্য "দেবী" নিয়ে। :) :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, রাফা। পুলিশের সাথে প্রতিবাদী কথা বলা ওই মেয়েটির ব্যাপারে আমার সাথে সহমত পোষণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো :)

উপন্যাসটি আমার ভালো করে মনে রাখার একমাত্র কারণ গবেষণা প্রবন্ধটি লেখা। সংকলনটি গতবছর ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। আপনি ঠিক বলেছেন, চলচ্চিত্র দেখার সময় উপন্যাস মাথা থেকে সরিয়ে রাখা উচিত। আমার প্রথম দিকে সমস্যা হলেও কিছুক্ষণ পরেই আমি এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম। আর তাই উপন্যাসে বর্ণিত মিসির আলির সাথে এবং তাঁর ঘরের সাথে চলচ্চিত্রের মিসির আলি ও ঘরের পার্থক্য থাকলেও আমার ভালো লেগেছে। জয়া আহসান তাঁর প্রযোজনার ছবিতে রানুকে পরিপূর্ণভাবে দেখাতে চেয়েছেন, পরিচালক সেটি দেখিয়েছেন এবং তাঁকে একঘেয়ে করে ফেলেছেন। বিপরীতে দর্শক সুন্দরী, অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার অধিকারী রানুর পাশাপাশি সমান গুরুত্বে মিসির আলিকে দেখতে চেয়ে খুবই হতাশ হয়েছে। উপন্যাসের সাথে ঘটনাবলীর পার্থক্য রেখেও সিনেমাটিকে অনায়াসে দর্শকের কাছে চমকপ্রদ করা যেত যদি শুধুমাত্র মিসির আলিকে ঠিকভাবে পোট্রেট করা হত।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, রাফা, লেখাটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য :)

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "আমার ভাললাগারা আমাকে আপনার প্রতি সম্পূর্ণ সৎ থাকার নির্দেশ দিয়েছে!!"
কি চমৎকার অভিব্যক্তি

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কলাবাগান ভাই, মন্তব্যটি আমার উদ্দেশ্যে নয়, কিন্তু আমার পোস্টে, কি করি বলুন তো ! আমি বরং আপনাকে অনেক বেশি শুভেচ্ছা জানাই এই প্রথম আমার পোস্টে আসার জন্য :)

অভিব্যক্তিটি প্রকৃতপক্ষেই চমৎকার। অসাধারণ !

আপনি এই পোস্টে এসেছেন এবং মন্তব্য পড়ে এই বাক্যটি তুলে এনেছেন দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ও শুভকামনা নেবেন।

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

বিজন রয় বলেছেন: @ কলাবাগান১ .... ধন্যবাদ ওই লাইনটি মার্ক করার জন্য। আপনাকে আমি জানি। কিভাবে জানি সেটা বললে আপনি অনেক অবাক আর খুশি হবেন। কখনো সুয়োগ হলে বলবো।

চঞ্চল হরিণী...... আপনার প্রতিউত্তর গতকাল রাতে দেখেছিলাম। ওসব নিয়ে আরো কতা হবে।
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে বলেছিলাম আপনার লেখা অনেক রিচ, দেখলেন তো আমাদের সহব্লগার বন্ধুরা সেটা কত সত্যভাবে প্রকাশ করছেন।

তাই আর ব্লগে অনিয়মিত হবেন না। কিছু সময় হলেও আমাদের জন্য রাখবেন।

সুখে থাকুন, ভাল থাকুন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমিও নিয়মিতই ব্লগে থাকতে চাই। কিন্তু একটা সত্য কথা বলে দেই, আমি আসলে খুবই স্লো। নাম চঞ্চল হরিণী, কিন্তু চঞ্চল আমি মনে, বাস্তব চলনে নই। তাই ব্লগটা খুব ভালোভাবে চালাতে গেলে অন্যদের চেয়ে একটু বেশি ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন হয় আমার। আজ যতক্ষণ ধরে আমি মন্তব্যের উত্তর দিলাম ততক্ষণে নিশ্চিত কোন লেখা লিখে ফেলতে পারতাম।

যাইহোক, ব্লগ ভালোবাসি, আপনাদের খুব ভালোবাসি। তাই যেমনই হোক, যেভাবেই হোক ব্লগের সাথে থেকে যাবোই। এমনটাই মনের আশা।

অনেক অনেক ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন আপনিও :)

২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: রিভিউ শুধু পড়েই যাচ্ছি, ছবি দেখার সময় পাচ্ছি না ।
তার মধ্যে সকালে উঠে আপনার লেখাটা পড়লাম।
গতকাল অনলাইনে আসতেই পারি নাই । বেশ অবাক হলাম
এত সুন্দর রিভিউ অথচ গত কয়েক মাস খুঁজেই পাচ্ছি না।
আমাকে সবচেয়ে অধিক উৎসাহদাত্রী আমার ব্লগ বাড়ী থেকে হাঁরায়ে গেছে ।
কেউ একজন বল্ল অসুস্হ, তো অসুস্হ রোগী দেখতে যাওয়া সুন্নত,
কিন্ত উপায় কি, কোন সুত্র নাই যে, তাই আকাশের ঠিকানায় মনের ইচ্ছা গুলি
পাঠায়ে দিলাম ।
..................................................................................................
রিভিউ নিয়ে আরও কথা বলব ছবি দেখার পরে ।
..................................................................................................

.................................................................................................
ব্লগে আবারও দেখতে পাওয়া এবং সুন্দর রিভিউর জন্য ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তাই তো বলি, আমার আকাশের ঠিকানায় এত চিঠি কোথা থেকে উড়ে আসলো 8-|

আমি অসুস্থ ছিলাম, আবার কাজেও ব্যস্ত ছিলাম। এখন পুরোপুরি না হলেই মোটামুটি সুস্থ। আপনার এই আন্তরিকতায় আমি খুব আপ্লুত হয়ে গেলাম। ভালোবাসা নেবেন, স্বপ্নের শঙ্খচিল। ছবিটি দেখবেন আশা করি।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো :)

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার আলোচনা, সমালোচনা বেশ হয়েছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, মাইদুল ভাই, লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আশা করি ছবিটি এখনো না দেখে থাকলে দেখে ফেলবেন :)

২২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শুভেচ্ছা, মোস্তফা কামাল। লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ নেবেন :)

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাবছিলাম, না দেখে বেঁচে যাব! এখন দেখছি না দেখে উপায় নাই! লিংক দেন তো বোন!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহাহা, মনে হচ্ছে আমি রিভিউ লিখতে শুরু করলে ভালোই করবো :#)

অবশ্যই দেখবেন, তাজুল ইসলাম ভাই। একটি ভালো সিনেমা তৈরি করতে প্রচুর অর্থ, মেধা এবং শ্রম যায়। দর্শকরা যদি হলে গিয়ে সিনেমা না দেখেন তাহলে নির্মাতারা উৎসাহ পাবেন কিভাবে আর পুঁজিই বা পাবেন কোথায়। এই মুহূর্তে আমার জানা ভালো লিঙ্ক হল বলাকা সিনেমা হল ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো :)

২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। যদিও মিসির অালী-টিসির অালী অামার কখনই পঠিত প্রিয় চরিত্র ছিল না।
লজিকবিহীন হিমু-টিমুই আমার ফেভারিট। :D

তাই দেবী দর্শনও বোধ হয় সম্ভব হবে না। :(

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আহাহা কি বলেন ! মিসির আলি টিসির আলি প্রিয় না হোক, দেবী দর্শনে তো সমস্যা নাই। দেবীর আশীর্বাদ, প্রেম সবার জন্য ;)

প্রিয়, আখেনাটেন ভাই, আপনাকে পেয়ে আমি সাথে সাথে একগাল হেসেছি। এবার বুঝুন হিমুর মত লজিকবিহীনই আপনাকে কত মিস করেছি :>

অনেক ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ভালোবাসা নিয়ে বাঁচুন :)

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। ওম শান্তি !

রাজীব ভাই, কুশলেই আছেন আশা করি। পোস্ট পড়েছেন কিনা জানিনা, তবে ধন্যবাদ নেবেন মন্তব্য করার জন্য :)


খুব মন দিয়ে পড়েছি।
তারপর মন্তব্য করেছি।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন এবং সুখী হোন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো :-B

আপনিও ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুখী হোন :)

২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। ভালো লাগল। +।

কিছু জানি না, এমন ভাব নিয়ে মুভিটি দেখব। তারপর.....

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সুমন কর দা, এতদিনে আশা করি মুভিটি দেখে ফেলেছেন :) । তারপর... জানার আগ্রহ থাকলো।

বেশ অনেকগুলো পোস্টের পরে আপনাকে এই পোস্টে পেয়ে যারপর নাই আনন্দিত হয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন 8-|

২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

শিখা রহমান বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মুভিটার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করেছেন। ব্লগে আমার পড়া সেরা মুভি রিভিউ।

একরাশ ভালোলাগা আর মুগ্ধতা!! শুভকামনা।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শিখা আপু, প্রথমেই হার্দিক শুভেচ্ছা নেবেন আমার ব্লগে এই প্রথম আসার জন্য :)। আপনি পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন দেখে অনেক অনেক খুশি হয়েছি। বিশেষ করে এমন প্রশংসাসূচক মন্তব্য পেয়ে মন একদম ভরে গেলো। :#)

অসংখ্য ধন্যবাদ আর একরাশ শুভকামনা, আপু :)

২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এ্যারেন্জ ম্যারেজ? ডেট কবে পড়েছে?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: একেবারে চিত্তাকর্ষক প্রশ্ন করেছন, উদাসী স্বপ্ন ভাই ! আপনি কি আসবেন? যদি কথা দেন আসবেন, তাহলে অবশ্যই ডেট জানিয়ে দেবো :`>

শুভেচ্ছা রইলো।

২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

করুণাধারা বলেছেন: দেবী দশভূজা!!!!!!

সেরা রিভিউ, খুবই ভালো লাগলো। অবশ্য রিভিউ পড়েও সিনেমা দেখার আগ্রহ হচ্ছে না মিসির আলীর ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে। মেনে নিলাম চঞ্চল চৌধুরী খুবই ভালো অভিনেতা, কিন্তু মিসির আলির চেহারার বর্ণনা পড়তে পড়তে নিজের মনে মিসির আলির যে চেহারা এঁকেছি, চঞ্চল চৌধুরীর সাথে তার কোন মিলই নেই। সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখতে এত ভালো লাগে, কারণ বইয়ে পড়া চরিত্রগুলো হুবহু দেখা যায় তার সিনেমায়। অপুর সংসার তৈরি করার সময় কিছুতেই মনোমত অপর্ণা পাচ্ছিলেন না। এজন‍্য যখন সিনেমা করার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দিচ্ছিলেন, তখনই কনভেন্টে পড়া শর্মিলা ঠাকুর কে পেলেন, এবং তাকে দিয়ে গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রে পারফেক্ট অভিনয় করালেন। অপু হিসেবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেও অনেক খুঁজে তারপর নির্বাচন করেছিলেন। প্রতিটি শিশু শিল্পী ও নির্বাচন করতেন অনেক যাচাই-বাছাই করে। চরিত্র অনুযায়ী অভিনেতা নির্বাচনের এই জিনিসটা "দেবীর" পরিচালক একটু ভেবে দেখলে ভালোই হত.......

চমৎকার একটা রিভিউ উপহার দেয়ায় ধন্যবাদ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন, করুণাধারা আপু। গুরুত্বপূর্ণও বটে। আসলে উপন্যাস থেকে সিনেমায় রুপান্তরে নানা ধরনের মতামত আছে। কোথাও চারিত্রিক বিন্যাস ঠিক থাকে তো কাহিনী নড়েচড়ে যায়, আবার কোথাও কাহিনী ঠিক থাকে চরিত্রগুলো মেলে না। একজন মানুষের শারীরিক গঠন, মানসিক গঠন, পোশাক, রুচি, পছন্দ, কাজকর্ম করার ধরন সবকিছু মিলেই তাঁর ব্যক্তিত্ব। বইতে পড়ে মিসির আলির যে অবয়ব আপনি কল্পনা করেছেন তেমনি অসংখ্য পাঠকও করেছে। একই বর্ণনা পড়লেও প্রত্যেকের কল্পনায় কিছু ভিন্নতা থাকবেই। উপন্যাসে বর্ণিত শারীরিক গঠনের সাথে পর্দার মিসির আলি সত্যি মেলে না। তবে চলচ্চিত্রের জন্য হুবহু এমন মেলাটা খুব জরুরীও কিছু নয় বলেই মনে হয় আমার। বরং গেটাপের চেয়েও ব্যক্তিত্ব স্থাপনের জন্য অন্যান্য বিষয়গুলোর জোরালো উপস্থাপনে সেটা পরিস্ফুট হয় বেশি। সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী'-কে বিভূতিভূষণের 'পথের পাঁচালী' থেকে অনেকটাই আলাদা মনে হয়। তিনি চরিত্র ডিজাইন করেছিলেন উপন্যাসের প্রায় কাছাকাছি কিন্তু কাহিনী সাজিয়েছিলেন নিজের মত করে। কাজেই উপন্যাসকে চলচ্চিত্রে রূপান্তর করার সুনির্দিষ্ট কোন সূত্র নেই। কিন্তু সবমিলিয়ে পর্দায় আমরা কি দেখলাম, আমাদের কেমন লাগলো সেটাই শেষপর্যন্ত মাপকাঠি হয়। 'দেবী' সিনেমায় চরিত্রগুলো ডিজাইনের চেয়ে চিত্রনাট্যই মূলত দুর্বল ছিল বেশি।

পরিশেষে মূল্যবান এই মন্তব্য করার জন্য আমার অনেক ধন্যবাদ এবং শুভাশিস গ্রহণ করবেন, আপা :)

৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: চঞ্চলা, কেমন আছেন?
ঠিক ঠিক কথাগুলোই শুনলাম।
চাই, আপনারা নিয়মিত আশা অক্ষুন্ন থাক।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মোটামোটা মুটিমুটি আছি =p~ । তবে ছোট্ট একটা সমস্যা আমাকে পুরোপুরি ছেড়ে যাচ্ছে না :-<

ঠিক ঠিক শুনেছেন পড়ে মনে হল আপনি সিনেমাটি দেখিয়াছেন :)

আমার নিয়মিত আসার ব্যাপারে আপনার আন্তরিক মন্তব্যে ভালো লাগলো। চেষ্টা করবো আসার :)

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন।

৩১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন !
ভালোলাগা লেখায়।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপু। খুব খুশি হয়েছি আপনার মন্তব্য পেয়ে। আপনাকে ব্লগে দেখলেই খুব ভালো লাগে আমার :)

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন, মনিরা আপা। কামনা করি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সবসময়।

৩২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সূর্যালোক । বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সূর্যালোক, আপনার মন্তব্যে প্রেরণাদায়ী আলোর ঝলক পেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন :)

৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

অমক বিন তমক বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, সবাই সহমত পোষন করছে, সেই মতে আমিও মতিত। কিন্তু প্রথম কথা হচ্ছে, সিনেমা সাহিত্যের কাছে দায়বদ্ধ না, কুব্রিক এর শাইনিং ও স্টিফেন এর কাছ ভালো লাগেনি, পথের প্যাচালির মত সিনেমাও উপন্যাসের মুল রস পান করতে পারেনি। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, এ্যাটলিস্ট ১২-১২ টা বই পড়ে মিসির আলিকে আমরা যেভাবে ইলাসট্রেট করছি সেভাবে দু ঘন্টা ব্যাপ্তির একটা সিনেমায় সেই ব্যাপকতা আনা কি আদৌ সম্ভব। রানুকে বেশি ফোকাস করা হ্যেছে, এইটার সাথে আমি একমত, কিন্তু ব্যাপারটা আমি অন্যভাবে নিয়েছি, আমার মনে হইছে লেখক মিসির আলির চেয়ে গল্পটাকে একটু বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন। সিনেমার ক্ষেত্রে সেইটাকে আমার পজিটিভই মনে হয়েছে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন ! এমন মন্তব্য পেলে আলোচনা করতে খুবই ভালো লাগে। আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত, সিনেমা সাহিত্যের কাছে দায়বদ্ধ না (কপিরাইট সমস্যা না থাকলে)। সমস্যাটা হচ্ছে, পরিচালক কি বলছেন তার উপর বিবেচনাটা নির্ভর করে। যদি বলা হয়, 'এই উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে' তাহলে একরকম, আর যদি বলা হয় 'এই উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে' তাহলে বিবেচনায় পার্থক্য দাঁড়ায়। 'ছায়া' শব্দটি থাকলে গল্পে পরিচালকের অনেক বেশি স্বাধীনতা সহজে মেনে নেয়া যায়। তারপরেও অন্য কোন ঝামেলা না থাকলে আসলে এটা পরিচালকের স্বাধীনতাই। উপন্যাস যেমনই হোক, মূল ঘটনা ঠিক রেখে সিনেমা নির্মাণটা পরিচালকেরই স্বকীয়তা। আমি উপন্যাসের সাথে মিলিয়ে খারাপ লাগা ব্যক্ত করিনি। আমি সবকিছু ভুলে গিয়েও শেষ পর্যন্ত তেমন আনন্দ পাইনি। কারণ, অহেতুক রিপিটেশনে সিনেমাটি গতিহীন হয়ে গিয়েছিল। আর আমার সঙ্গী তো উপন্যাসটাই পড়েননি, তাঁর মন্তব্য তো পোস্টেই লিখেছি।

এই প্রসঙ্গে আরও কিছু কথা উপরের একটি প্রতিমন্তব্য থেকে কপি করে দিলাম।
আসলে উপন্যাস থেকে সিনেমায় রুপান্তরে নানা ধরনের মতামত আছে। কোথাও চারিত্রিক বিন্যাস ঠিক থাকে তো কাহিনী নড়েচড়ে যায়, আবার কোথাও কাহিনী ঠিক থাকে চরিত্রগুলো মেলে না। একজন মানুষের শারীরিক গঠন, মানসিক গঠন, পোশাক, রুচি, পছন্দ, কাজকর্ম করার ধরন সবকিছু মিলেই তাঁর ব্যক্তিত্ব। বইতে পড়ে মিসির আলির যে অবয়ব আপনি কল্পনা করেছেন তেমনি অসংখ্য পাঠকও করেছে। একই বর্ণনা পড়লেও প্রত্যেকের কল্পনায় কিছু ভিন্নতা থাকবেই। উপন্যাসে বর্ণিত শারীরিক গঠনের সাথে পর্দার মিসির আলি সত্যি মেলে না। তবে চলচ্চিত্রের জন্য হুবহু এমন মেলাটা খুব জরুরীও কিছু নয় বলেই মনে হয় আমার। বরং গেটাপের চেয়েও ব্যক্তিত্ব স্থাপনের জন্য অন্যান্য বিষয়গুলোর জোরালো উপস্থাপনে সেটা পরিস্ফুট হয় বেশি। সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী'-কে বিভূতিভূষণের 'পথের পাঁচালী' থেকে অনেকটাই আলাদা মনে হয়। তিনি চরিত্র ডিজাইন করেছিলেন উপন্যাসের প্রায় কাছাকাছি কিন্তু কাহিনী সাজিয়েছিলেন নিজের মত করে। কাজেই উপন্যাসকে চলচ্চিত্রে রূপান্তর করার সুনির্দিষ্ট কোন সূত্র নেই। কিন্তু সবমিলিয়ে পর্দায় আমরা কি দেখলাম, আমাদের কেমন লাগলো সেটাই শেষপর্যন্ত মাপকাঠি হয়। 'দেবী' সিনেমায় চরিত্রগুলো ডিজাইনের চেয়ে চিত্রনাট্যই মূলত দুর্বল ছিল বেশি।

সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী' মূল উপন্যাসের রস পান করতে না পারলেও এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের অমৃত রস পান করিয়েছে দর্শকদের। এবং এটি সত্যজিৎ রায়ের নিজস্ব 'পথের পাঁচালী' হয়ে উঠেছে, যা এখনো মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয়। 'দেবী' ও এমন কিছু হয়ে উঠলে ভীষণ আনন্দ পেতাম এবং নির্দ্বিধায় সেটা প্রকাশ করতাম। তবে যাইহোক, আমি চাই এই যাত্রা চলতে থাকুক। সামনে এমন ধরনের আরও ভালো ভালো অনেক কাজ হোক।

আলোচনা করার মত একটি ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন, অমক বিন তমক। ব্লগে আমন্ত্রণ রইলো :)

৩৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনার খবর কি? কেমন আছেন?

আপনি কি মনে করেন আপনাকে আমরা হারিয়ে ফেলবো?

সাড়া দিন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: :D আপনার এই মন্তব্যটা পড়ে কি আনন্দানুভব যে পেলাম :#) ! আমাকে কেউ এভাবে সাড়া দিতে বলবে ... রীতিমত ইমোশনাল ব্যাপার :`>

হারিয়ে আর যাবো কোথায় ! ফিরে ফিরে এখানেই আসতে হবে। ভেতরে জমে থাকা কথাগুলো, মুহূর্তগুলো সবার মাঝে ভাগ করে দিয়ে লীন হতে হবে। হয়তো এরই মাঝে কিছু সময় একান্ত বিহারে, ঔদাসীন্যে কেটে যাবে এই আর কি। নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ থাকাটাও তো একধরণের একঘেয়েমী। সময়ই দাবী করে নিজের থেকেও নিজেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলতে।

আপনার এই সামান্য খোঁজ যেভাবে আমার অন্তর ছুঁয়ে গেলো... তাতে আর কথা বাড়িয়ে অনুভূতিটাকে হালকা করতে চাই না। উষ্ণ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই, প্রিয় বিজন দা।

৩৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু কেমন আছেন? গত দেড় মাসে নতুন কোন পোস্ট নেই!! আশা করি ভাল আছেন। ব্লগে আপনাকে মিস করি প্রতিনিয়ত। সময় সুযোগে ব্লগে আসলে, লিখলে খুশি হব। শুভ কামনা রইলো, আপনার জন্য।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কাওসার ভাই, ভীষণ ভালো লাগলো আপনার আন্তরিকতা। কারণ এবং অকারণ দুটো কারণেই আসলে ব্লগে আসা হয়নি। অসুস্থতা এবং ব্যস্ততা যেমন ছিল তেমনি এগুলো কেটে যাওয়ার পরও কেন যেন ইচ্ছে করে আসা হয়নি। আমিও কিন্তু মিস করেছি অনেক। ব্লগকে মিস করেছি, আপনাদেরকে মিস করেছি, প্রায় প্রায়ই ভেবেছি অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার হল আমি আসিনি। যেন ইচ্ছে করে মিস করাটা যাপন করেছি। সুযোগ পেয়েও পানি পান করিনি। কেন এমন হয় সেই ব্যাখ্যা কি করে দেবো যখন নিজেই জানি না।

আমার অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা নেবেন, সুহৃদ কাওসার ভাই। ভালো থাকুন সবসময়। নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

৩৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৯

চাঙ্কু বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার লেখাটা চোখে পড়ল। দেবী দেখব দেখব করে দেখা হয়নি বা আসলে ইচ্ছা করেই দেখিনি। এই পর্যন্ত মূল বই থেকে চিত্রনাট্য করে বানানো যতগুলো সিনেমা দেখালাম, সবগুলো দেখে মনে হয়েছে কয়েকশ পাতার একটা বইকে ২/৩ ঘণ্টার সিনেমাতে ফুটিয়ে তোলা প্রায় বেসম্ভব। হিমু বা মিসির আলীরা আমার কল্পনাতেই থাকুক তবে আপনার রিভিউটা ননাফসুসিত হয়েছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, চাঙ্কু ভ্রাতু। একটি বইতে ভাবনার এবং বর্ণনার অনেক বিস্তৃতি থাকে। কিন্তু সিনেমার সীমাবদ্ধতা অনেক। তবুও উপন্যাস থেকে করা অনেক ছবিই আমার ভালো লেগেছে। সেগুলোর সবই বিদেশী ছবি। রিভিউটা ননাফসুসিত হয়েছে শুনে ভীষণ আনন্দ পেলুম। অনেক ভালোলাগা সমেত ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন, ভাইয়ু।

৩৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

কালীদাস বলেছেন: সিনামাটা দেখিনি বা দেখার খুব একটা আগ্রহও নেই। আপনার রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, প্রশংসনীয় একটা রিভিউ। আমি ব্লগের মডারেশনে থাকলে ব্লগে দিনের পর দিন রিভিউয়ের নামে স্পয়লার লেখা বেশ কয়েকজন ব্লগারকে মেইল করতাম আপনার লেখাটা পড়ার জন্য।

যেকারণে মুভিটা দেখার তেমন একটা ইচ্ছা নেই, সেটা খানিকটা বলি। আমি বাংলা নাটক/মুভি দেখিনা অনেক বছর হয়। জয়া আহসানের শুরুর দিকের কিছু নাটক দেখেছি, রিসেন্ট কাজগুলোর কয়েকটার ট্রেইলর দেখেছি। আমি অতিরিক্ত কাঠখোট্টা বলে কিনা জানিনা, এই মহিলার এক্টিংএ একটা ন্যাচারাল ন্যাকামির টাচ দেখি সবসময়, যে কারণে দেবীতে সেটা বদলেছে কিনা দেখার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না। আপনার রিভিউয়ে এই সাইডটার সম্পর্কে ইনফো পাইনি। এই মুভিটার প্রচারণা যেটুকু চোখে পড়েছে, সেখানে জয়া আহসানের কাজই ফোকাস পেয়েছে বেশি। অথচ মেইন বইটাতে বা এমনিতেও এটা যে মিসির আলীর আরেকটা উপন্যাস ছিল সেটা কোথাও সেভাবে ফোকাস করা হয়নি। আপনি এই পয়েন্টটা বেশ ভাল দেখিয়েছেন।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বলি। বাংলাদেশের কমার্শিয়াল মুভিগুলো শুরু থেকেই ইন্ডিয়ান মুভির স্ট্রাকচার ফলো করে বানিয়ে আসছে। সেই একঘেয়ে প্রেম কাহিনী, তিনচারটা জগাখিচুরি মার্কা গান আর ভিসুইয়া ভিসুইয়া শব্দওয়ালা মারামারি ওয়ালা। হাসান মাহবুব ভাই এই পয়েন্টটা খুব ভাল ফোকাস করেছেন দেবীর ব্যাপারেও। আমি খুবই বিরক্ত হয়েছি যখন শুনেছি দেবীতেও একটা ম্যান্দ্রা মার্কা গান ঢুকিয়ে দিয়েছে। দেবীর মত মুভি বানানো বিশাল একটা চ্যালেন্জ ছিল কারণ এখানে গতবাঁধা স্টাইলের বাইরে সজ্ঞানে আসার চেষ্টা করেছে প্রডিউসার, ডিরেক্টররা। তাহলে আবার সেই সেইম ছকে কেন?



কয়েকটা কমেন্টে দেখলাম দুয়েকজন আপনার টাইটেলের বিরুদ্ধে সুতীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে =p~ আমি আপনার টাইটেলটা পছন্দ করেছি সেই সাথে লেখাটাও উপভোগ করেছি আগাগোড়া। আমার অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ রইল একটা ভাল রিভিউ লেখার জন্য :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভীষণ ভালোলাগার মত একটা মন্তব্য। আপনার প্রথম তিন লাইন পড়ে খুবই সম্মানিত বোধ করছি।

জয়ার ব্যাপারে বলি, জয়া আহসানের প্রথম দিকের অনেক নাটক দেখে আমিও কখনো তেমন ইমপ্রেসড হইনি। গতানুগতিক মনে হয়েছিল। পরে গত কয়েকবছর ধরে যখন তাঁর প্রশংসা শুনছিলাম তখনও কিছু সিনেমায় অভিনয় দেখে বিশেষ কিছু মনে হয়নি। প্রথম 'ভালোবাসার শহর' নামে কলকাতার একটি শর্ট ফিল্মে ওর অভিনয় আমার নজর কাড়ে। ভালো লাগে। তবুও নির্দ্বিধায় বলে ফেলার মত নয়। কিন্তু এরপরে কলকাতার আবির মুখার্জি/ চট্টপাধ্যায়ের বিপরীতে 'বিসর্জন' ছবিটা দেখে আমি ভীষণ বিমোহিত হই। কাহিনীটা তো অবশ্যই দারুণ সেই সাথে কিছু জায়গায় মনে হয়েছে এর চেয়ে ভালো অভিনয় আর কিছুতেই হতে পারতো না। কয়েকটি দৃশ্যে মনে হয়েছে, এই অনুভূতিকে এর চেয়ে ভালো করে ধারণ করে প্রকাশ আর কিছুতেই হতে পারতো না। আর ওই ছবি দেখার পরই আমি তাঁর অভিনয়ের সৌন্দর্যে জারিত হই। এমন অভিনয় বের করার পেছনে অভিনেত্রীর সক্ষমতার পাশাপাশি পরিচালকের কারিশমাও নিশ্চয়ই ছিল। পরিচালকের প্রসঙ্গ আনতেই হল, একই অভিনেত্রীর 'দেবী' সিনেমায় অভিনয়ের কথা বলতে হবে তাই। দেবীতে জয়া আহসান ভালো অভিনয় করেছে। নায়িকাসুলভ ন্যাকামি ছিল না, কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থ্যতাসুলভ ন্যাকামি ছিল। চরিত্রের জন্য এটা স্বাভাবিক ছিল। তবে ওই যে পোস্টে লিখলাম, কিছু জায়গায় অতি অভিনয় মনে হয়েছে। তবে সেটা খুব বেশি না, মেনে নেয়া যায়। মেনে নেয়া যায়নি খামাখাই তাঁর এত বেশি উপস্থিতি।

দেবীর গানের ব্যাপারে বলি। না, মোটেও কোন তথাকথিত বাংলা সিনেমার মত ইচ্ছেমত পোশাকে নাচানাচি করে নায়ক নায়িকার ঠোঁটে কোন গান ছিল না। রানুকে নিয়ে আনিস সাহেব যখন ডাক্তারের কাছে যান সেখান থেকে ফেরার পথে তারা পার্কে যান। বাদাম, আইসক্রিম খান, বেলুন ওড়ান। আর এই সময়ই ব্যাকগ্রাউন্ডে গানটি বাজে। অসুস্থ্য স্ত্রীর সঙ্গে একটু ভালো সময় কাটাতে স্বামী তাকে পার্কে নিয়ে যেতেই পারে, কিছু কোয়ালিটি টাইম কাটাতেই পারে। আর সিনেমা বলেই প্রাসঙ্গিকভাবে সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি গান বাজতে পারে। এমন নয় যে তারা ঠোঁট মিলিয়ে গাইছে, নাচছে কিংবা হঠাতই ড্রেস বদলে যাচ্ছে অথবা খুবই ঝাকানাকা গান বাজছে। সিনেমায় সেটা দেখতে খারাপ লাগেনি। প্রোডিউসার, ডিরেক্টররা যখন গৎবাঁধা স্টাইলের বাইরে আসার এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তখন এইটুকু মেনে নিতে আমার কোন কষ্টই হয়নি। অবশ্য এই দৃশ্য বাদ দিলেও এমন কোন ক্ষতি বৃদ্ধি ছিল না। কিন্তু চোখের একটু আরাম এবং প্রেমময় অনুভূতির বিনোদন ছিল দৃশ্যটিতে।

টাইটেলটা আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে আমার যে কি আনন্দ লাগলো ! :D আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন, কালীদাস ভাই।

৩৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
চঞ্চল আপু আপনাকে অনেক দিন পর পাইছি। কেমন আছেন??? এবার থেকে নিয়মিত থাকবেন তো। নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবেন ____ !:#P

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ওহো স্রাঞ্জি সে, আছো কেমন হে? আমি আছি ভালোই। কিন্তু ব্লগে বেশ একটা বড় সময় দেয়া লাগে আর সেটাই আমার নাই, সমস্যাটা সেখানেই। একেবারে বিলুপ্ত তো হবো না, একটু একটু হলেও লেজ নাড়বো =p~ । টান আছে না একটা ;) :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.