নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।
আমাদের জনপ্রিয় ব্লগার চাঁদগাজী ভাই একটি অত্যন্ত সঠিক কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আশেপাশে অত্যন্ত বুদ্ধিমান কাউকে রাখেন না। এবং অত্যন্ত গবেট কাউকেও রাখেন না। তিনি তাঁর চেয়ে অবশ্যই কম বুদ্ধির এবং মাঝারী বুদ্ধির লোকদের তাঁর আশেপাশে রাখেন। নতুন মন্ত্রীসভা। এটা এখন একেবারে পরিষ্কার যে রাজনীতির দক্ষ চালে এমুহূর্তে দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ধারে কাছে কেউ নেই। চাঁদগাজী ভাই আরেকটি কথা বলতেন প্রায় সময়ই, শেখ হাসিনা প্রতিশোধ নিতে চেয়েছেন, তাঁর প্রতিশোধ নেয়া শেষ হয়েছে এখন উনার সেই ভাবনা থেকে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেয়া উচিত। বিভিন্ন পত্রিকায় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্লেষকদের লেখাতেও এই বিষয়টি ঘুরেফিরে দেখতে পাচ্ছি। পিতৃ হত্যার সাথে বংশ সমূলে নির্মূল করার এবং নিজেও হত্যা হামলার শিকার হওয়ার এই সবকিছুর কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার বাসনা এবং দায়িত্ব তাঁর ছিল। তিনি সফল হয়েছেন।
তিনি কখনো সাময়িক বা মুহূর্তের পরিকল্পনা করেন না। অনেক দূরে তাকিয়ে এবং অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় ধীরস্থিরভাবে পরিকল্পনা করেন। নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে নিজেদের শক্তি জাহির করা বা দল গঠন করার চিন্তাভাবনার রাজনীতিবিদ থেকে রাজনৈতিক চিন্তায় তিনি হাজার মাইল এগিয়ে। তবে অবশ্যই একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ আর একজন প্রকৃত জনবান্ধব শাসক এক কথা নয়।
বহু বছর আগে থেকেই ধাপে ধাপে কাজগুলো সাজিয়ে নিয়ে যা করার তিনি করেছেন। ঝামেলাকারীদের নিজের আয়ত্তে আনার জন্য যে যে পথে চলা দরকার ঠিক তেমন চালই তিনি চেলেছেন। এবার আরও সূক্ষ্মতর পথে চলা। তার প্রথম নিদর্শনটি হল, মহাজোটের শরীক কাউকে মন্ত্রিত্ব না দেওয়া। জোট গঠনের পর বাবার হত্যা পরিকল্পনাকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছেন এমন অনেক কথা এবং বিদ্রুপ তিনি শুনেছেন। তিনি নিজেও প্রকৃত সত্য জানেন। কিন্তু তাঁদের নিয়ে জোট গঠন করা ছিল ওই সময়ের দাবী এবং তাঁর পরিকল্পনারই অংশ। এখন তাঁদের আর কোন প্রয়োজনীয়তা তাঁর কাছে তো নেইই, দলেরও বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই। জোটের উনারা নিজেরাও যে দলের বাইরে একেবারে শক্তিহীন সে কথা বলাই বাহুল্য। জোট গঠনের আগে আলাদা আলাদা ক্ষুদ্র ঝামেলাকারী হিসেবেও যে গলাটা তাঁদের ছিল এখন সবাই মিলে একযোগে চেঁচালেও সেটা ফ্যাসফ্যাসেই শোনাবে। তাঁরা আরও দুর্বল, একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পনাকারী আসামী হিসেবে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিতে পারে। অতিসত্বর নয় অবশ্যই তবে খুব বেশি দূরের পরিকল্পনাও নয় বলেই আমার বিশ্বাস। জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে বিষয়টা একদম ভিন্ন। প্রধান বিরোধীদল হিসেবে জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ স্থান তো পাচ্ছেই, তার পাশাপাশি এক রংপুরেই ছয়জন মন্ত্রী! আর কি লাগে বয়োবৃদ্ধ এরশাদ সাহেবের।
বারবার ফ্লিপচিপ করা এবং সেটা সহসা কেউ বুঝতে না পারা একজন দক্ষ রাজনীতিবিদের অতীব জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। জলের মত বিভিন্ন পাত্রে বিভিন্ন আকার ধারণ করা, লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট কিন্তু বিভিন্ন পথে ঘুরে এমনকি উল্টো পথে হেঁটেও কাউকে বুঝতে না দেয়া শেষ গন্তব্য কি সেটাই এমন বৈশিষ্ট্যের অংশ। শেখ হাসিনা অত্যন্ত সুচারুভাবেই সেটা করছেন। জোটের শরীকরা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা দেবেন, তাঁরা সন্তুষ্টও হবেন। তাঁদের একজনের বক্তব্য অনুযায়ী বছর খানেকের মধ্যে মন্ত্রীসভায় রদবদল হতে পারে, তখন আবার কেউ মন্ত্রিত্ব পেতেও পারে। হতেও পারে সেটা। তবে এসবই ফ্লিপচিপের অংশ। ভাবনাকে বিভিন্ন দিকে ধাবিত করে এলোমেলো করে ফেলার অংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ও চাল স্বয়ং তাঁর বোন, ছেলেমেয়েরাও জানে না। এটা একান্তই তাঁর নিজের কাছে সুরক্ষিত।
নতুন মন্ত্রীসভায় অনেক নতুন মুখ এসেছেন। নতুনদের স্বাগতমই জানাতে হয় নতুন কিছু দেখার আশায়। অভিনন্দন এবং স্বাগতমই জানালাম। কিন্তু শঙ্কাটা হল, দেশের অর্থনীতিক স্তম্ভের প্রায় সবগুলো খাতের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা। টাকার বন্ধুরা মানুষের বন্ধু কতটা হবে সেটা আর লিখে বোঝানোর অবকাশ নেই। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে কিনা জানি না, তবে তার বহু আগেই পৃথিবীর শীর্ষ দশ ধনী ব্যক্তির তালিকায় এক বাংলাদেশীর নাম ঢুকে যেতে পারে বলেই মনে হয়। তখন সেটাও আবার দেশের একটি অর্জন বলে এদেশের বহু মানুষ এবং মিডিয়াগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে খবর করবে, আনন্দ উদযাপন করবে ! আমি ও আমার মত আমরা আপাতত নিজের কাজে ধ্যান দেই।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া ভাইয়া জীবন কি রাজনীতির বাইরে হতে পারে ! রান্না করি, কবিতা লিখি আর যাই করি একটুমাত্র সংবেদনশীল এবং ভাবুক মানুষ মাত্রই বোঝে মানুষের জীবনে রাজনীতির প্রভাব কতটা !
"উন্নয়নের চাইতে সুস্থ রাজনীতি দেশের জন্য বেশী দরকারী"। কিন্তু আমি অনেক সচেতন মানুষকেও এই ব্যাপারে অচেতন থাকতে কিংবা একেবারে বুঝতে না পারার অবস্থানে থাকতে দেখছি। দুঃখজনক সেটাই।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১০
হাবিব বলেছেন: কেমন আছেন আপু?
নতুন মন্ত্রীদের সাথে আপনাকেও শুভেচ্ছা
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাবিব স্যার, ভালো আছি। ধন্যবাদ ভাই। আপনিও কুশলেই আছেন আশা করি।
আমাকে নতুন মন্ত্রীদের সাথে না ভাই, আলাদা শুভেচ্ছা জানান । আমিও আপনাকে নতুন বছরের এবং নতুন সময়ের প্রত্যাশার শুভেচ্ছা জানাই।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: স্যরি ডিয়ার হরিণ,
সহমত জানিয়ে লাইক দিলাম।
প্রাইম মিনিস্টার নিজের দল থেকেই সবাইকে মন্ত্রী বানালেন, সংসদে কোন কার্যকর কোন বিরোধী দল নেই। একচাকায় দেশ এগুবে কী করে??
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: স্যরি কেন ভাইয়া ?
কোন কার্যকর বিরোধী দল না থাকলে এক চাকায় সার্কাসের মত চলবে দেশ। সংসদ অধিবেশন হবে সার্কাসের প্রদর্শনী এবং বিনোদনের জায়গা। দেশ না চললে দেশের মানুষই তার সিদ্ধান্ত দেবে। দেশ চলার যে নিয়ম, রাজনীতির যে নিয়ম, ভাঙ্গন ও গড়ার যে নিয়ম সে নিয়ম অনুযায়ীই প্রতিফলন ঘটবে। আমরা শুধু পূর্বানুমান করতে পারি। 'রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি উত্তম' এটা এদেশের মানুষের বুঝতে আরও অনেক দেরি। অতএব রোগাক্রান্ত হওয়ার পরই চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
সনেট কবি বলেছেন: সহমত
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০২
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ, সনেট কবি ভাই। আশা করি সুস্থ্য এবং সহী সালামতে আছেন।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। রাকুর কাছে শুনেছিলাম আপনার শরীর খারাপ ছিল । কতটা সত্য জানি না ; তবে ব্যস্ততার কারণে হোক বা শরীর খারাপ যাই হোক ; এখন ভালো আছেন আশা করি ।
ভোট-পরবর্তী পর্যবেক্ষণ ও ব্যাখ্যা বেশ ভালো লিখেছেন। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে। আশা করে এক স্বপ্নের বাংলার।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুকে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: রাকু, মিথ্যে বলে না পদাতিক ভাইয়া। আমি অসুস্থ্যই ছিলাম। সুস্থ্য হয়েছি অনেক আগে। তবে পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। আর ব্লগে তো একটা বড় সময় দিতে হয়, তাই আসা হচ্ছিলো না। কিন্তু আমি খুব মিস করি আপনাদের।
এতদিন পরে ব্লগে এসে আমারও খুব ভালো লাগছে এবং আপনার মন্তব্য পেয়েও খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই ভালো আছেন আশা করি। নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা জানাই ভাইয়াকে।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: নব্বর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন। ভাল আছেন আপনি?
একটা উন্নত দেশ আমাদেরও স্বপ্ন। দেখা যাউক কতদূর আগায়।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা, মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই। আমি এখন ভালো আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন।
ঠিক বলেছেন, একটা উন্নত দেশ সব মানুষেরই স্বপ্ন। শুধুই অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, মানুষের উন্নত জীবন যাপন এবং সমাজ ব্যবস্থাই প্রকৃত সেই স্বপ্ন। আমরা আশা করে যাই, আশা করতেই হবে।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: বেশ ভালো বিশ্লেষণ।
ওয়ান-ইলেভেনের সংস্কারপন্থীদের প্রতি উনার ক্ষোভ এত সহজে দূরীভূত হওয়ার কথা না। সেটার ফাইনাল পেরেকটা কি মেরে দিলেন? সামনে তা বুঝা যাবে.........
সতের কোটি মানুষকে একাই নাচানো চাট্টিখানি কথা না। ক্ষোভের কোপগুলো জনগণের উপর দিয়ে না গেলেই হয়।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আখেনাটেন দাদা, আমি কিভাবে ফাইনাল পেরেক মারি বলুন, আমার কি সেই ক্ষমতা আছে । অনুমান করেছি, লেগে গেলে লেগে যাবে ।
"সতের কোটি মানুষকে একাই নাচানো চাট্টিখানি কথা না"। অথচ দেখুন উঠোন বাঁকাত্যাড়া যাই হোক নেচেছে, আবার সমান উঠোনও নেচে একেবারে বাঁকিয়ে দিয়েছে। যে কয়জন বুঝেছে নাচানো হচ্ছে, যারা নাচেনি তাদের কিছু করার ক্ষমতাই ছিল না বসে বসে নাচ দেখা ছাড়া। চাঁদগাজী ভাইয়ের মত বলতে হয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশে গণতন্ত্রের একটি ঝামেলা আছে। উহার ওজনটাই সমস্যা।
"ক্ষোভের কোপগুলো জনগণের উপর দিয়ে না গেলেই হয়"। সে কথা আর বলতে। ভাই উনি প্রধানমন্ত্রী ! শুধুই একটি আসনের এমপি বা সংসদীয় সদস্য নন। উনার প্রতিটা অ্যাকশনের প্রভাবই জনগণের উপর পড়বে অবধারিতভাবেই।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে নিজেদের শক্তি জাহির করা বা দল গঠন করার চিন্তাভাবনার রাজনীতিবিদ থেকে রাজনৈতিক চিন্তায় তিনি হাজার মাইল এগিয়ে
সহমত
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৯
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ, কলাবাগান ভাই। উনার কাছাকাছি যেতে হলে বাকি রাজনীতিবিদদের আরও হাজার প্লাস হাজার মাইল হাঁটার পরিকল্পনা করতে হবে এখন থেকেই।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুল্যবান রাজনৈতিক বিশ্লেষন ।
মন্ত্রীরা নতুন হলেও পুরাতন আমলারা থাকবে ।
কোন ফাইলে কি মঝা আছে আমলারা তা
নতুন মন্ত্রীদেরকে দেখিয়ে না দিলে
নতুন মন্ত্রীরা ভালই কববে্ ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কাঁটার মত যে পয়েন্টটা খোঁচায় বা খচখচ করে মনে সেই পয়েন্টটাই তুলে ধরেছেন, এম আলী ভাই। আমলারা যে সেটা দেখাবে না তা তো একেবারেই মনে হচ্ছে না। তাদের স্বভাব এবং কাজই হল সেটা। এখন ফাঁদে না পড়া বা নৈতিকতা বিসর্জন না দেয়া কিংবা দিলেও একটু রয়েসয়ে দেয়া, যেমন দশ টাকা পেয়ে দুই টাকা খেলেও অন্তত আট টাকার কাজ করা এসব নির্ভর করছে মন্ত্রীর নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতার উপরই। আমরা আপাতত শুধু ভালো করবে এমন আশাই করে যেতে পারি।
শুনেছিলাম, আপনি অসুস্থ্য। এখন নিশ্চয়ই সুস্থ্য আছেন আশা করছি। অনেক ভালো থাকুন ও দীর্ঘজীবী হন, এম আলী ভাই।
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক জন অসাধারণ নেতা। উনার সাফল্য কামনা করি।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: জী, সাজ্জাদ ভাই, উনি নেতা হিসেবে অসাধারণ এবং সফল তো বটেই। আমি কামনা করছি এখন একজন প্রকৃত জনবান্ধব শাসক হয়ে ওঠার।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নেবেন।
১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখা বেশ ভালো হয়েছে।
উনাকে রাজনীতিবিদ বললে ভুল হবে, উনি আওয়ামী লীগের মালিক; উনি দীক্ষা লাভ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর কাছে; বাকীরা পড়েছে মধুর ক্যানট্টিনে।
তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার কথা কোনদিন ভাবেননি।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো, চাঁদগাজী ভাই। আচ্ছা, উনাকে যদি আপনি রাজনীতিবিদ না বলেন তাহলে এদেশের কাকে কাকে আপনার রাজনীতিবিদ মনে হয় অনুগ্রহ করে জানাবেন। ইন্দিরা গান্ধীর কাছে দীক্ষা নিয়েছেন মানছি। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী কি এতটা ফ্লিপচিপ করতেন ?
"তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার কথা কোনদিন ভাবেননি"। অত্যন্ত দুঃখজনক, পীড়াদায়ক এবং হতাশার বিষয় এটাই। প্রতিশোধ নেয়ার কাজগুলো যেহেতু বেশ ভালোভাবে শেষ করেছেন, এখন তাই আশা করি এবার সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তাভাবনা ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তিনি করবেন।
আপনার সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি, চাঁদগাজী ভাই।
১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯
ল বলেছেন: আরেওবা --
মহিলা রাজনৈতিক ব্লগার --- দারুণ লিখেছেন -- মনে হলো কবিতায় পড়ছি।
এমন ভাবনা যদি সবাই ভাবতো!!!!!
ধন্যবাদ দামী পোষ্টের জন্যে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহা, কি যে বলেন, ল ভাই ! লজ্জা পেয়ে গেলাম। আপনি তো কবি, তাই অতি আবেগে এই লেখাটাও কবিতা পড়ছেন মনে হল ।
আপনার এই মন্তব্য আমাকে খুব উচ্ছ্বসিত করলো এবং প্রেরণা দিল।
অনেক অনেক ভালো থাকুন ও শুভেচ্ছা নিন, লতিফ ভাই ।
১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঘুরে ফিরে আমার কেবলই হুমায়ুন আজাদের একটি কবিতা মনে পড়েঃ
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ পরিষদ; চ'লে যাবে অত্যন্ত উল্লাসে
চ'লে যাবে এই সমাজ সভ্যতা- সমস্ত দলিল-
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে , যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চ'লে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ'লে যাবে শহর বন্দর গ্রাম ধানক্ষেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ নির্জন প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ'লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো আবার কবিতাটা পড়ে। নষ্টদের অধিকারে গেলেও এর শেষ তো একটা অবশ্যই আছে। শেষ তো হয়ই আবার নতুন করে শুরুর জন্য। কিন্তু সেই শেষটা কাদের জীবদ্দশায় হয় আর কতটা রক্ত ঝরলে হয় সেটাই জানি না শুধু আমরা। আমাদের বেঁচে থাকা সময়ের মধ্যে হয় আমাদের লড়াই করে যেতে হবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যেতে হবে নয়তো একেবারে সব অনুভূতি, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে স্বার্থপরের মত অন্ধ-বধির-বোবা হয়ে থাকতে হবে। শুধু সুদিনের আশাই আমরা করতে পারি এখন।
ভালো থাকবেন, ইফতেখার ভূইয়া।
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
রাফা বলেছেন: সবকিছু'তো চাঁদগাজীর ভাবনা বা বলা কথা বলে চালিয়ে দিলেন।আপনার ভাবনাগুলোও কি তাহলে চাঁদগাজীর মতই ? যদি তা না হয় তাহলে শুধু আপনার চিন্তা-ভাবনাগুলো আরো ভালো করে লিখুন।সেটা হোক নেগেটিভ অথবা পজিটিভ।
ধন্যবাদ,চঞ্চল হরিণী ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভাই, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন, বুঝুন ও পরিকল্পনা করুন। আমার কিছু চালিয়ে দেয়ার মত কোন দায় ব্লগ লেখায় নেই। একান্ত নিজের অনুভূতি ও তাড়না থেকে লিখি। চাঁদগাজী ভাইয়ের থেকে শুধু দুটো বাক্য পিক করেছি। বাকিগুলো তো আমার নিজেরই কথা। আমার ভাবনাগুলো কখনো চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে মেলে কখনো মেলে না। আমার চিন্তা-ভাবনাগুলো আরও ভালো করে লেখার আহ্বান জানিয়েছেন দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আমারও লেখার ইচ্ছে আছে ধীরে ধীরে। সময়ের সংকট বড় সংকট। আশা করি নেগেটিভ, পজিটিভ যাই লিখি লিখলে পড়বেন।
অনেক ধন্যবাদ, ভাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা।
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপা, নতুন সরকার গঠন ও রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ। +++
১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: আমি মনে হয় কেঁচে গুন্ডুস করে ফেলেছি হরিণী জী। আসলে পেরেক মারাটা আমি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি। সংস্কারপন্থীদের বেশিরভাগকে পদ না দিয়ে উনাদেরকে কি চরম বার্তাটা নেত্রী পরোক্ষভাবে আবার মনে করায়ে দিলেন কিনা সেটা বলতে চাচ্ছিলুম আর কি!! এবং এর সুদূরপ্রসারী ইফেক্ট হিসেবে রাজনীতির ময়দান থেকে ভেটেরানদের পাতাতাড়ি গুটানোরও ব্যবস্থা করলেন কিনা সেই বিষয়ে ইঙ্গিত করছিলুম।
চাঁদগাজী ভাইয়ের মত বলতে হয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশে গণতন্ত্রের একটি ঝামেলা আছে। উহার ওজনটাই সমস্যা। -- আসলে গনতন্ত্রের সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে আমাদের মানসিকতার। একজন সৎ ও প্রশাসনিকভাবে দক্ষ নেতার অভাব আমাদের এই স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দি পরেও কুরে কুরে খাচ্ছে।
এখানে যারা নেতা হয়েছেন বা হচ্ছেন তারা সকলেই একটা জায়গায় দক্ষ সেটা হচ্ছে কূটিলতা ও জীঘাংসায়। সত্যিকারের যোগ্য লোক যারা দেশের প্রকৃত মঙ্গল চেয়েছেন তা এ জাতি কখনও পায় নি। যারা সত্যি সত্যিই জাতির মঙ্গল চেয়েছেন তাঁরা হয়ত আবার দক্ষ ছিলেন না--যেমন, বঙ্গবন্ধু। ফলে জাতির সবচেয়ে ক্ষতিটা হয়েছে মানবিক দিকটায় তথা মূল্যবোধের অধঃপতনে। অথচ আধুনিক বিশ্বে উন্নয়নের চেয়ে এই স্যোসাল ক্যাপিটালকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তা না হলে সব কিছু নন-সাসটেইনেবল হতে বাধ্য। মূর্খ জনগণেরা তা বুঝতে পারে না এবং সুবিধাভোগীরা বুঝেও মাথা ঝাঁকি দেয়। লি কুয়ান, পার্ক কিংবা মাহাথিরা কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশকে প্রথম বিশ্বের দেশে পরিণত করেছেন সততা ও দক্ষতায়। কূটিলতা কিংবা জীঘাংসা কিংবা গনতন্ত্রের সমস্যায় নয়।
উনার প্রতিটা অ্যাকশনের প্রভাবই জনগণের উপর পড়বে অবধারিতভাবেই। -- সেটাই বলছি। ভালো কাজ পড়ুক তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে মাননীয়া জনগণকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দ্যান সেই কোপগুলোর কথা বলছি।
এখন উনার সামনে অমরত্ব ও একইসাথে এর বিপরীতটারও হাতছানি। এখন উনি লি কুয়ান হবেন নাকি ইদি আমিন হবেন কিংবা কোনটাকে উনি ধারণ করবেন সেটাই এখন আমাদের দেখার পালা। এটা উনার জন্য একটি চ্যালেঞ্জও। চালে সামান্য ভুল বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সেটা উনি ভালো করেই জানেন। তৃতীয় বিশ্বের দুপেয়েগুলোর আবার মাঝে মাঝেই মাথা বিগড়ানোর দোষ আছে!!!!
১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: ব্লগারনী, হরিনী জানতাম।
এত সুন্দর রাজনীতি বিশ্লষনবিদ জানতাম না।
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপনার মন্তব্য ভাবতে বাধ্য করবে যে কাউকে, যদি মনযোগ দিয়ে এটা পড়ে। উনাকে এতটা খল চরিত্রে না ভাবলেও কিন্তু পারতেন। যাদেরকে ডিমোশন দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই হিপোক্রেট ও কেউ কেউ আওয়ামিলিগের ইমেজ নষ্টের কারিগর। জনগনের চাওয়া ছিল এদেরকে ওই জায়গায় আর না দেখা। প্রধানমন্ত্রি আমাদের মনের চাওয়াটা পুরন করেছেন এটা বলতে দ্বিধা নেই।
জেনে রাখুন - বাংলাদেশ একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এটা হচ্ছে ৩ টা ধাপের ২য় ধাপ যা সবে শুরু হলো। প্রথম ধাপের সুচনা হয়েছিল ২০০১ সালের নির্বাচন দিয়ে, ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর যার অবসান হল। আনুমানিক ২০২৯-৩০ সালে ২য় ধাপের শেষ হবে। সুস্থ রাজনিতির আবহ তৈরি হবে দেশে, ইয়াং জেনারেশন তখন দেশের কর্তৃত্ব নিবে। প্রথম ধাপের মধ্যে ছিল শুধুই অবনমন, সহিংসতা আর দুর্নিতি। এখন সহিংসতা ধিরে ধিরে কমতে থাকবে তবে দুর্নিতি+উন্নয়ন আরো বাড়বে।
যাক, কথা বাড়িয়ে লাভ নেই, বড় লেখা/মন্তব্য পাবলিকের জন্য অসুবিধা। আপনার পোস্টের কারনে রাজনিতি নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশের সুযোগ হল। শুভকামনা রইল।
১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৭
জনতার আদালত বলেছেন: সুন্দর্যের পরিপূর্ণ আপনার ভাবনায়। ভালো থাকুন এবং ভালো ভালো বিশ্লেষন করুন।
২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৯
জনতার আদালত বলেছেন: সুন্দর্যের পরিপূর্ণ আপনার ভাবনায়। ভালো থাকুন এবং ভালো ভালো বিশ্লেষন করুন।
২১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩০
কালীদাস বলেছেন: গণতান্ত্রিক দেশে একজন সব সিদ্ধান্তের মালিক, এটা কতটা যুক্তিযুক্ত গণতন্ত্র শব্দটার সাথে? কথাটা অন্য কোন পার্টি জিতলেও বলতাম। এমনিতে পারসোনালি আমি খুশি আগের কেবিনেটের বিতর্কিত বেশ কয়েকজনকে অপসারণ করায়। এবারে যে কয়টা নাম দেখেছি কেবল একটা নাম আমাকে আতংকিত করেছে।
২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
বিজন রয় বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন।
ব্লগে ঢুকতে পারছেন কিনা জানিনা।
যদি পারেন তো সাড়া দিন।
শুভকামনা রইল।
২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনিও দেখছি আমার মতন হারিয়ে গেলেন হুট করে! ফিরে আসুন বন্ধু!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যাক, আপুরা যে রান্নাবাড়ি আর কবিতার বাইরে এসে রাজনীতি নিয়ে ভাবছে শুনে এবং পোস্ট পড়ে খুশি হলাম। সহমত জানিয়ে খুশি হলাম।
প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণতা মানুষ। তবে উন্নয়ন করতে গিয়ে দেশকে উনি সংকটে ফেলে দিচ্ছেন। সচেতন মানুষ এক বাক্যে স্বীকার করবে, উন্নয়নের চাইতে সুস্থ রাজনীতি দেশের জন্য বেশী দরকারী।