নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
মেয়েটার নাম ছিল শর্মিলা। “ভালুকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” এর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সে। তূর্য তাকে পড়াতে যেত। মাঝে মাঝে সেও তূর্যের কাছে পড়তে আসত। ঠিক পড়ানো বলে না, একটু-আধটু দেখিয়ে দেওয়া আর কী!
মেয়েটা তূর্যের উপস্থিতি একদম পছন্দ করত না। দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী ছিল বলে তার দেমাগও ছিল বেশ। অনেক ছেলে তার জন্য পাগল, পেছন পেছন ঘুরঘুর করে। সে ভেবেছিল তূর্যও বোধহয় একই গোছের। কয়েকদিনের মধ্যেই অবশ্য শর্মিলার ভুল ভেঙে যায়। সে তূর্যের অনুগত হয়ে ওঠে।
মায়ের সাথে শর্মিলার প্রায় প্রায়ই তুচ্ছ কারণে ঝগড়া হতো। তার মা তূর্য্যের কাছে নালিশ দিতেন। তূর্য্য গম্ভীর হয়ে শর্মিলাকে বকে দিত। অবশ্য তার বকুনি শর্মিলা কখনোই আমলে নিত না, মিটিমিটি করে শুধু হাসত।
শর্মিলার বাবা প্রচণ্ড রকমের রাগী মানুষ ছিলেন। মেয়ের সম্পর্কে অনেক আজেবাজে কথা শোনা যায়। ক্রুদ্ধ হয়ে অনেকদিন মেয়েকে উত্তম-মধ্যমও দিয়েছেন।
ভদ্রলোক তূর্যকে খুব স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। তূর্যের প্রবাসী মামা যখন তার কাছে তূর্য সম্পর্কে জানতে চাইতেন (তরুণ ছেলেরা যেহেতু একটু উচ্ছৃঙ্খল হয়, মামা ভেবেছিলেন তূর্যও হয়ত তাই- তূর্য উচ্ছৃঙ্খল ছিল না), তিনি তূর্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলতেন, “আপনার ভাগ্নের মতো ছেলেই হয় না।”
যদিও একদিন কোনো এক কারণে তূর্যের সাথে উনি কথা বলা বন্ধ করে দেন, তবুও তূর্যের প্রতি তাঁর পূর্ব অনুরাগ শেষ পর্যন্তই ছিল।
রাত-বিরাতে তূর্যের কাছে পড়তে আসত শর্মিলা। অনেকে বাঁকা চোখে দেখত। শর্মিলার বাবা এসবে ভ্রুক্ষেপ করতেন না। তিনি তূর্যের ওপর সর্বোচ্চ আস্থা রেখেছিলেন, তূর্য তার যোগ্য প্রতিদানও দিয়েছিল।
একদিন রাত নয়টায় হন্তদন্ত হয়ে তূর্যের কাছে এলো শর্মিলা। বইপত্র রেখে ভোঁ দৌড় । তূর্য জিজ্ঞেসও করতে পারল না সে কোথায় যায়। রাত ১১টায় এসে বইপত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেল শর্মিলা। যাওয়ার সময় তূর্য জিজ্ঞেস করল, “কোথায় গিয়েছিলে?”
সে বলল, “বান্ধবীর বাড়ি।”
আসলে আশপাশে ওর কোনো বান্ধবীই ছিল না। ও গিয়েছিল প্রেমিকের সাথে দেখা করতে। পরে একজনের কাছ থেকে এ কথা জানতে পেরেছিলো তূর্য।
শর্মিলা যখন বাড়ি পৌঁছল, ওর বাবা ঘরেই ছিলেন। তিনি মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন, “কোথায় গিয়েছিলে?”
শর্মিলা বলল, “তূর্য ভাইয়ের কাছে পড়তে।”
৪ অগ্রহায়ণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ
১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রেমের কোন বয়স নেই, প্লে থেকেও শুরু হয় । আমার সব লেখাই প্রায় সত্য ঘটনা অবলম্বনে । এটাও ব্যতিক্রম নয় ।
২| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
নতুন গেম বলেছেন: ভালো লেখছেন ঘটনাটি সাঁজিয়ে ।
১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হলাম । শুভেচ্ছা রইলো ।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
হুকুম আলী বলেছেন: অনেক সময় অনেক সত্য ঘটনা সিনেমার মত শোনায়। খুব ভালো লাগল।
১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন । শুভেচ্ছা জানবেন ।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: তারপর কী ঘটলো সেটিই কিন্তু বেশি আকর্ষণের বিষয় ছিল ।
১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আরও অনেককিছুই ঘটেছিলো । সবকিছু বলা যায় না, বলা বোধহয় উচিতও না! বর্ধিত আকারে একটা গল্প আছে । একদিন পোস্ট করবো ।
৫| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো লেখনী।
আমার মন্তব্য করা যদি আপনার অপছন্দ হয় , তাহলে মুছে দেবেন ।
১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কালকে ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম । পোস্ট নিয়ে ফেবুতে একজনের (মেয়ে মানুষ) সাথে তুলকালাম কান্ড! মনটা খারাপ ছিলো! আপনার ওখানে একটা মন্তব্য করেছিলাম, উত্তর দেখে কষ্ট লাগলো । তাই মন্তব্যটা দিতে বলেছিলাম ।
আমার যে চিঠিতে আপনি মন্তব্য করেছিলেন, যেটাতে জ্ঞান দান করেছিলাম; সেটা যে সত্য কাহিনী সেটা আপনি জানেন । আপনার চিঠিটা সত্য কী মিথ্যা, তা তো জানতাম না! আর আমার ঘটনার সাথে আপনার ঘটনার মিলও তো নেই, তাই জ্ঞান দান করতে গিয়েছিলাম ।
আমি ব্লগে লিখি নিজের দুঃখ-কষ্ট শেয়ার করার জন্য, প্রশংসার জন্য না । কে কী বললো সেটা জানতে ভালো লাগে । ধন্যবাদ
৬| ১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
রোষানল বলেছেন: টেনে টুনে লম্বা করলে আরো রোমান্টিক করা যেত
১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইচ্ছে করেই করিনি । যাহোক, শুভেচ্ছা জানবেন ।
৭| ১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
প্রামানিক বলেছেন: এরকম ঘটনা বাস্তবেই অনেক সময় ঘটে থাকে। ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ
১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুম । বাস্তব ঘটনাই বটে ।
৮| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২০
নীলপরি বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ কারনটা জানানোর জন্য।
আপনার আমার পোষ্টে মন্তব্যটা দেখে ভেবেছিলাম যে আপনি মজা করে বলেছেন। তাই আমি ও খুব হাল্কাভাবে উত্তর দিয়েছিলাম। কখনোই ভাবিনি বা বলতে চাইনি যে আপনি আমাকে জ্ঞান দিয়েছেন। ইশস আপনি এরকম ভাবলেন ! আমারই বোঝানোর ভুল। তবে অনিচ্ছাকৃত । সরি।
জীবনে কারোর ভালো করতে না পারলেও চেষ্টা করি অন্তত কাউকে কোনো ভাবে দু:খ না দিতে। কারন আমি নিজে ভুক্তভোগী ।
আর আপনার সত্যটা জানি । তবে আংশিক।সেটুকুতেই আপনার আগের পোষ্টে ওই মন্তব্যটা করা ঠিক হয়নি। এখন বুঝতে পারছি । সেজন্য ও সরি।
আমিও ব্লগে আসি শুধু নিজের হাবিজাবি খেয়াল বা চিন্তাগুলোকে শেয়ার করতে। যদি একজনও কেউ পড়েন সেটাই ভালোলাগা। ব্যস এইটুকুই।
কাল থেকে আপনার ব্লগে আসছি আর লিঙ্ক চলে যাচ্ছে । দেখি এবার কি হয় !
শুভকামনা ।
১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জ্ঞান দান করাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, পাল্টাতে হবে অভ্যাসটা । শুভ কামনা আপনার জন্যও । ভালো থাকুন ।
৯| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল
১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । শুভেচ্ছা জানবেন ।
১০| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: সংক্ষেপ উপস্থাপনের ঢংটা ভাল লেগেছে।
১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অগ্নি সারথি ভাই । ভালো থাকুন ।
১১| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার বধূয়া আন বাড়ী যায় আমারই আঙিনা দিয়া" - গল্প পড়ে এ কথাটাই মনে আসলো।
১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোক্ষম মন্তব্য । তূর্যর অন্তরটা পুুরোপুরি পড়তে পেরেছেন ।
১২| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১:২৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তৃর্যের মানসিক অবস্থাটা জানতে পারলে ভাল হতো না কি?? নাকি পাঠককেই নিজমত করে ভেবে নিতে হবে??
১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সই, কেমনে ধরিব হিয়া,
মোর বধূয়া আন বাড়ি যায় আমারই আঙিনা দিয়া ।
১৩| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৩০
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার গল্প।
ভীষন ভাল লেগেছে।
২০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা ।
১৪| ২১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৫০
সিলা বলেছেন: আমি তো ভাবলাম তূর্যর সাথেই প্রেম টা হবে ছবির মত কিন্তু হলনা....
জাক একটু ভিন্নতা আছে ভালোলাগল
২২ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বেচারার কপাল মন্দ!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্লাশ সেভেনে এই অবস্হা, সামনে কি আছে?
ঘটনা, নাকি অনুগল্প?