নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিই কি শেখ কামাল দুর্বৃত্ত, ব্যাংক ডাকাত, চরিত্রহীন ছিলেন?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩


শেখ কামাল সম্পর্কে কয়েকটা গুরুতর অভিযোগঃ
১) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গন্ডগোল পাকাতেন। আসলেই কি তাই? এই লেখাটা পড়ুন Click This Link
২) শেখ কামাল ব্যাংক লুট করেছিলেন? ১৫ আগস্টের পর তাঁর বাড়িতে কোনো টাকা-পয়সা কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছিল? এই লেখাটা পড়ুন Click This Link
৩) শেখ কামাল মেজর ডালিমের বউকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন? আসল ঘটনাটা কী? Click This Link

১৯৭১-এ সৈয়দ মুজতবা আলী এবং ডালিম-নিম্মী কেচ্ছা

সৈয়দ মুজতবা আলীকে প্রথম দেখি ১৯৭৪ সালে ধানমন্ডীর বাড়িতে। ঢাকা কলেজে যাওয়া-আসার পথে ওই বাড়িটির অবস্থান ছিল। সকালে দেখতাম দোতলার বারান্দার দেয়ালে হাত দুটো ঝুলিয়ে বসে আছেন। কখনো সংবাদপত্র হাতে। বিকেলে মাঝেমাঝে দেখতাম একই অবস্থায়। বাড়ির কাছেই ছিল ইউসিস ও রুশ পাঠাগার। এক সন্ধ্যায় রুশ পাঠাগারে দেখি নিমগ্ন হয়ে ইংরেজি বই পড়ছেন। সালাম ঠুকেছিলাম। ১৩ সেপ্টেম্বর ওনার জন্মদিনে এসব মনে এলো।

১৯৭১। মুজতবা থাকতেন পেয়িংগেস্ট, আবু সয়ীদ আইয়ুবের বড় ভাই ডা. এমও গণির বাড়ির তিনতলায়। তিনিই বাড়ির মালিক। ওনার বাড়িতে বাংলাদেশিদের আশ্রয়স্থল ছিল। বিশেষ করে ন্যাপ কমিউনিস্ট। গণিও কমিউনিস্ট এমএলএ তখন। পাশের ফ্ল্যাটে সয়ীদ।
একরাতে মুজতবা বাঙলাদেশিদের ওপর ক্ষিপ্ত হলেন খাবার টেবিলে। বললেন, ‘তোমরা মুক্তিযোদ্ধা না চুক্তিযোদ্ধা হে?’ মুজতবা বললেন, বাড়ি ফেরার পথে ট্রাম থেকে নেমেই তার মনমেজাজ তিরিক্ষিপ্রায়। মেজর ডালিমকে দেখেছেন সেখানে। তার এক হাতে ব্যান্ডেজ। ডালিমের সঙ্গে তার গার্লফ্রেন্ড নিম্মী ছিল। নিম্মীর পরনে উত্তেজক স্বল্প পোশাক। ডালিম নিম্মীকে নিয়ে পার্ক ওযাইন হাউসে গিয়েছিল।পার্ক স্ট্রীট ট্রাম ডিপোর উল্টোদিকে অবস্থিত ওযাইন হাউসটি নির্ধারিত সময় শেষে তখন বন্ধ। কলাপসিবল গেইট লাগিয়ে কমর্চারীরা ক্যাশ মিলাচ্ছে। কিন্তু ডালিমের এক কথা তাকে মদ দিতে হবে। কর্মচারীরা বলছে, কোনোভাবেই এখন আর দেওয়া যাবে না। ডালিম তুমুল হৈচৈ করতে লাগল। একপর্যায়ে পাড়ার যুবকরা দৃশ্যপটে হাজির।

ডালিমের মারমুখি আচরণ, নিম্মীর স্বল্পবসনা সাজপোশাক ক্ষিপ্ত করে তুলেছে যুবকদের। ডালিম যখন কোনো কথাই শুনতে রাজি নয়, তখন তারা বেশ কয়েক ঘা ঝাড়ে। ঘুসি খেয়ে ডালিম রাস্তায় পড়ে গেলে হুঁশ ফেরত পায়। এমনিতে তার একহাতে স্লিং ঝোলানো। মেয়ে বলে রক্ষা পেয়েছে নিম্মী। মুজতবাকে ঘটনাটি পীড়া দেয়। রণাঙ্গন হতে ভুল তথ্য নিয়ে ডালিম কলকাতায় প্রায়ই আসত।

এই নিম্মীই ১৯৭৪ সালে গাজী গোলাম মুস্তফার পুত্রদের সাথে বচসার সেই পল্লবিত কাহিনীর নায়িকা।   

ডলি জহুরের জবানবন্দিতে শেখ কামাল

আমাদের পত্রিকার সংস্কৃতিমুখ বিভাগের জন্য ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছিলাম দেশের প্রখ্যাত সিনিয়র অভিনেত্রী ডলি জহুরের কাছে। তিন পাতার বিশাল সেই ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল কিছু রাজনৈতিক প্রসঙ্গ কেটে দিয়ে। আমি কষ্ট পেয়েছিলাম কিন্তু কিছুই করার ছিল না। শুধু একটা বিষয় অনুধাবন করেছি, কালে কালে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ওপর যেসব মিথ্যে অভিযোগ দেশময় ছড়িয়ে আছে, তার অন্যতম বাহন ছিল গণমাধ্যম। এমনকি এই সময়ে এসেও কেউ সত্যি কথাগুলো প্রকাশ করতে চায় না। পাছে আওয়ামী লীগের সিল লেগে যায়। কিন্তু আমার এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নাই। জাতির পিতার পরিবারকে টম এন্ড জেরি কার্টুন বানানো হবে কতিপয় স্বার্থবাদী মানুষের জন্য, সেটা আমি মানতে পারি না। তাই যেসব কথা ডলি জহুরের ইন্টারভিউ থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল, সেই কথাগুলো এখানে তুলে ধরলাম। কারণ এখনই সুসময় সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের। স্বার্থবাদীরা আজ বিপন্ন হওয়ার অপেক্ষায়। অবশ্য দুনিয়াতে কখনই স্বার্থবাদীরা টিকে থাকেনি।

যাহোক, ওইদিনের ইন্টারভিউয়ে ডলি জহুরের জন্য একটা প্রশ্ন ছিল, ‘ম্যাডাম আপনার মঞ্চ নাটকের শুরুটা কীভাবে?’ তখন তিনি নানা কথা বলেন। সেসব কথার ফাঁকে উঠে আসে বঙ্গবন্ধুপুত্র শেখ কামালের কথা। আমি তাঁর মুখে শেখ কামাল সম্পর্কে এসব নতুন কথা শুনে একেবারেই তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম, শেয়ার করছি আপনাদের সাথেও।

শেখ কামাল আর ডলি জহুর একই নাট্যদলে কাজ করতেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু হতো নাটকের রিহার্সাল। একটানা চলত রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত। রিহার্সাল শেষে ডলি জহুর বাসায় ফিরতেন শেখ কামালের সাথে। কারণ ডলি জহুররা তখন হাতিরপুলে থাকতেন। ডলি জহুরকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে তারপর ধানমন্ডী ৩২ নাম্বারের বাসায় যেতেন কামাল।

ডলি জহুর আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘…১৯৭৩-৭৪ সালে ঢাকা শহরে রাত ১০টা মানেই অনেক রাত। রাস্তা একেবারেই ফাঁকা। সেখানে প্রতিদিন কামাল ভাই আমাকে ১১টা-১২টার দিকে বাসায় পৌঁছে দিতেন। প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও তাঁর কাছে সবসময় টাকা থাকত না। এ নিয়ে অনেক ক্ষ্যাপাতাম।

শুধু আমি না ক্যাম্পাসেও তাঁর বন্ধুরা তাঁকে এই জন্য ক্ষ্যাপাত। যেদিন কামাল ভাইয়ের কাছে টাকা থাকত না, সেদিন রাতে হেঁটে যেতাম। যেদিন টাকা থাকত, সেদিন যেতাম রিকশায়। কত রাতের পরে রাত উনার সাথে আমি একা বাসায় ফিরেছি অথচ এক বারের জন্যও আমি তাঁকে আমার দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাতে দেখিনি। আমি উনার ছোট বোন শেখ রেহানার বান্ধবী ছিলাম। ছেলেরা ছোটবোনের বান্ধবীদের সাথে কত রকম দুষ্টুমি করে। উনি কোনোদিন তাও করেননি। ভুল করেও বলেননি, ‘ডলি, তোর হাতটা দে তো ধরি’।’

‘এককথায় কামাল ভাই ছিলেন ভাইয়ের মতোই ভাই। শুধু আমি কেন, যেসব মেয়ে উনার সাথে মিশত; সবাই এই কথা স্বীকার করবেন। আর এই দেশের মানুষ তাঁকে নিয়ে কত রকমের অপপ্রচার চালাল। কামাল ভাই নাকি কার বৌকে তুলে নিয়ে গেছেন হ্যানত্যান। মানুষ এত মিথ্যাবাদী হয় কী করে আমি ভেবে পাই না! স্বার্থ মানুষকে ভিতর-বাহির থেকেই নষ্ট করে দেয়। তাছাড়া কামাল ভাই ছিলেন প্রেসিডেন্টের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর জন্য শত শত মেয়ে পাগল। কখনও কোনোদিন আমরা তাঁকে সেসব মেয়ের পাল্লায় পরতে দেখিনি। তিনি কি পারতেন না সেসব মেয়ের সাথে নোংরামি করতে?’

‘এখানেই শেষ নয়। সুলতানা কামালকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন কামাল ভাই। সুলতানা আপা ছিলেন নামকরা একজন খেলোয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলার জন্য তিনি এক নামে পরিচিত। অনেক লম্বা আর শক্ত পেটা শরীর। আমরা উনাকে ভয় পেতাম। সহজে কেউ সুলতানা আপার কাছে যেতাম না। ছেলেরাও ভয় পেত তাকে। এড়িয়ে চলত। সেই সুলতানা আপাকে পছন্দ করে বসলেন কামাল ভাই। আর তাঁর হয়ে সুলতানা আপার কাছে এই কথাটা বলার দ্বায়িত্ব দেন আমাকে। আমি তো ভয়েই শেষ। না করে দিলাম। কিন্তু কামাল ভাইয়ের জোরাজোরিতে রাজি হলাম। কথা দিলাম সুলতানা আপাকে জানাব যে, কামাল ভাই তাঁকে পছন্দ করেন। কিন্তু দিন যায়, মাস যায় জানানো আর হয় না। কী করে হবে? আমি যতবার সুলতানা আপার কাছে এই কথা বলতে গিয়েছি, ততবারই ভয়ে আমার গলা শুকিয়েছে। আমি ভীতু, তেলাপোকা দেখে মরে যাই; এসব কত্ত রকমের কথা শুনাল কামাল ভাই। অবশেষে নিজেই একদিন সুলতানা আপাকে জানালেন তার মনের কথা। হলেন প্রত্যাখ্যাত। সুলতানা আপা বলে দিলেন, প্রেম ট্রেম করতে পারবেন না। এতই যদি ভালো লাগে, তবে যেন বাসায় লোক পাঠায়। তাই করেছিলেন কামাল ভাই। এবার ভেবে দেখো, যে মানুষ একটা মেয়েকে ভয় পেয়ে তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারে না, যে মানুষ তাঁর ভালোবাসার কথা জানাতে আড়াই বছর সময় নেয়, সে মানুষ কী করে অন্যের বউ তুলে নিল?’

‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশের মানুষকে শান্ত রাখতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি ঘৃণার জন্ম দিতে সব রকমের চেষ্টা চালিয়েছে। কামাল ভাইও সেই অপচেষ্টার শিকার। ৫ টাকার বাদাম কিনে যে ছেলে তার ছোট বোন আর তার বান্ধবীদের খুশি করতে পারত না, তাঁর নামেই ছড়ানো হয়েছে ব্যাংক লুটের কিচ্ছা-কাহিনী। আমার কথা হলো, কামাল ভাই যদি এত বড়োই লুটেরা হবেন; তাহলে সেসব টাকা গেল কই? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর বাসায় কিছুই পাওয়া যায়নি, পাওয়া যায়নি উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। তাহলে ব্যাংক লুটের টাকা কোথায় গেল?’

মূল লেখাঃ লিমন আহমেদ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কমেন্ট করতেছি। যাচ্ছে কোথা?
৩ বার করলাম

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এসেছে একটা ।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


"১) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গন্ডগোল পাকাতেন । "

-এটাই সঠিক; আমি কামালকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে "ছাত্রলীগ" এর বাবা হিসেবে গন্ডগোল পাকাতে দেখেছি।
শেখ সাহেব, শেখ কামাল সবই ছাত্রলীগের প্রোডাক্ট; ছাত্রলীগই কালপ্রিট

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছাত্রলীগই কালপ্রিট? দেশের সকল রাজনৈতিক/সামাজিক/অর্থনৈতিক/মুক্তির সংগ্রামে কাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য ছিলো? স্বাধীনতার বীজটা কারা বপণ করেছিলো? কারা সে অনুযায়ী অগ্রসর হয়েছিলো? সিরাজুল আলম খান, রব, তোফায়েল, রাজ্জাক- এঁরা কীসের প্রোডাক্ট? চীনা চরমপন্থি মওলানা তো ছয় দফাকে পর্যন্ত সমর্থন করেননি! স্বাধীনতার পর দানবের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন । হ্যাঁ, ছাত্রলীগ এর ব্যর্থতা কিছু ছিলো/অাছে, তাই বলে তাদের অস্বীকার করা যথাযথ না ।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাহা রটে, তাহা কিছুটা হলেও বটে...

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হ্যাঁ, তা ঠিক । কোন মানুষই ভুল-ত্রুটির উর্ধ্বে নয়; কিন্তু এখানে যে তিনটা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, কোনটাতেই শেখ কামালের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি । সব বিরোধীদের ছড়ানো গোজব । নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ!

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০১

নীলপরি বলেছেন: লেখাটার জন্য ধন্যবাদ । সাথের লি্ঙ্কগুলোও পড়লাম । জানতে পারলাম অনরক কিছু ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শেখ কামাল সম্পর্কে অনেক অপপ্রচার চালু আছে, অদ্ভূতভাবে মানুষ সেগুলো বিশ্বাসও করেছে!

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



" সিরাজুল আলম খান, রব, তোফায়েল, রাজ্জাক- এঁরা কীসের প্রোডাক্ট? "

-এরা ছাত্রলীগের প্রডাক্ট; এরা সবাই জাতির ক্ষতি করেছে প্রত্যক্ষ ভা পরোক্ষভাবে; কারণ, এদের বিদ্যাবুদ্ধি চিল ১২ ক্লাশ অবধি; ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে স্হান পেয়ে এরা ছাত্রলীগ করেছে, পড়ালেখা করেনি। এরা জাতির জন্য খারাপ উডাহরণ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাঁদের সব কাজকর্মকে সমর্থন করছিনা । অনেক ভুল-ত্রুটি ছিলো । কিন্তু এটা কি অস্বীকার করা যাবে তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামকে জিইয়ে রেখেছিলেন? এটা নিশ্চয়ই ভাবা যায়না স্বাধীনতা অান্দোলন করে ভুল করেছেন? দলের জন্য কী ত্যাগই না করেছেন । অথচ কী দুর্ভাগ্য, মতবিরোধ হওয়ার কারণে ৭২ সালে ছাত্রলীগ দুই ভাগ হয়ে গেলো!

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




মওলানা শেখ সাহেবকে স্নেহ করতেন, সেজন্য ১৯৬৯ সালে শেখের প্রাণ রক্ষা করেছেন; ১৯৭৫ সালে, আোয়ামী লীগ যেভাবে পালায়েছিল, ১৯৬৯ সালেও পালায়েছিল; সামনে আরেকবার পালাবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: টুকে রাখা তিনটি তথ্যঃ
এক। দুর্নীতির অভিযোগে '৭২ এর ৬ এপ্রিল ১৬ জন, ৭ এপ্রিল ৭ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৯ জন- মোট ৪৬ জন নিজ দলীয় গনপরিষদ সদস্যকে বহিস্কার করেন শেখ মুজিব।
('শেখ মুজিব শাসক ভালো ছিলোনা';)

দুই। '৭৩ এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে প্রত্যাখান করে হরতালের ডাক দেয় সিরাজ শিকদারের গলাকাটা পার্টি। দুদিন আগে হরতালে সমর্থন ঘোষণা করে ভাসানী বলেন 'এখন সশস্ত্র বিপ্লবই হইলো একমাত্র পথ, বয়স বেশী না হইলে নিজেই অস্ত্র ধারণ করিতাম'। তার জনসভার পর পর ঢাকাস্থ সোভিয়ে দূতাবাসের কালচারাল সেন্টার, ভারতের একটি বিমান কোম্পানীর অফিস, একটি দৈনিক পত্রিকায় গ্রেনেড নিক্ষেপ হয়- ঢাকার সন্নিকটে ডিনামাইট দিয়ে রেল লাইন উড়িয়ে দেয়া হয়।
( তিনি মজলুম জননেতা)

তিন। ১৯৭৯ সালে অক্টোবরে বাংলাদেশ ব্যাংক বুলেটিনে প্রকাশিত তথ্য- ১৯৭৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোটিপতি ২ জন আর বর্তমানে ৬৪ জন।
("জিয়াউর রহমান সবথেকে সৎ শাসক";)

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার কিছু সমস্যা হচ্ছিল; আপনি কি লেখাপরা করছেন?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সমস্যাতেই তো পূর্ণ জীবন! হ্যাঁ, পড়ালেখা করছি ।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

তোফায়েল আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চাঁদগাজী, আপনি তো অনেক শিক্ষিত। তো আপনার দু’লাইন লিখায় এতগুলো ভুল কেন? ডালিমের বউয়ের কাহিনী জানতে হলে ডালিমের লিখা বই 'যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি' পড়ুন, সত্যিটা জানতে পারবেন (যদি সত্যি জানার ইচ্ছা থাকে, নাহলে পড়ার দরকার নেই, চিলে কান নিয়েছে- বিশ্বাস নিয়ে থাকুন)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.