নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
গরু খুবই উপকারী প্রাণী। চারটা পা ও একটা লেজ থাকলেও গরু পশু নয়, সম্মানীয় ব্যক্তি। এ জন্য অনেকে আবার গরুকে ‘মাতা’ বলে ডাকে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লিখেছেন, ‘মা-গো আমায় ছুটি দিতে বল।’ কিন্তু গুরুদেব বললেও কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়, গরু আসলে মায়ের চেয়েও বড়। গরুর গোবর হয়, মায়ের হয় না। মায়ের দুধে ছানা হয় না, গরুর দুধে হয়। মায়ের মল কোনও কাজে লাগে না, কিন্তু গোবর খুব উপকারী খাবার। প্রায়শ্চিত্তের সময় কাঁচা খেলে শরীরের উপকার হয়। রান্নার সময় ঘুঁটে বানিয়ে এবং চাষবাসে সার হিসেবে দিয়ে খাদ্য সমস্যার সমাধান হয়। মাটিতে গোবর দিলে তা থেকে ধান, আমড়া, রজনীগন্ধা ইত্যাদি নানা ফল ও ফুল ফলে। এই কারণে ফলের রাজার অন্য নাম ম্যাং-গো এবং ফুলের রানিকে গো-লাপ বলে।
গরু গোবর ছড়িয়ে এবং শিং দিয়ে গুঁতিয়ে পৃথিবীকে ফুলে ফলে ভর্তি করে রাখে। এখান থেকেই সংস্কৃতে ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গো-রিয়সী’ কথাটি এসেছে। এর অর্থ হল, জননীরা জন্মভূমিতে থাকে, আর গরুরা স্বর্গে দাপাদাপি করে। এই জন্য ভগবানের অন্য নাম গো-বিন্দ। এ নিয়ে বাংলায় হাজার হাজার গান-কবিতাও লেখা হয়েছে। তাদের একটির নাম গীত-গো-বিন্দ। গরুর স্ত্রীলিঙ্গ ‘গাই’। একটি বিখ্যাত বাংলা ভক্তিগীতির প্রথম লাইন ‘আমি বাংলায় গান গাই।’
পুজোকে ভক্তিমার-গো বলে, তাই গরুকে আমরা বিশেষ সম্মান দিই। ভালো লোকেদের আমরা বং-গো-ভূষণ বলে থাকি। ফর্সা মেয়েদের গো-রি বলা হয়, তাদের ভালো ভালো পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়। পছন্দের জিনিস হারানোকে ‘গরু হারানো’ এবং প্রাণপণ খোঁজাকে ‘গরু খোঁজা’ বলা হয়।
আমাদের জন্মভূমিকে প্রায়ই কেটেকুটে পিস পিস করা হয়, একে দেশভাগ বলে। পাহাড়-জঙ্গল নরখাদকে ভর্তি, তারা মানুষ পেলেই কেটে খায়। জিম করবেট এই নিয়ে তাঁর বিখ্যাত গা-ছমছমে বই ‘ম্যানইটার্স অব কুমায়ুন’ লিখেছেন। নিজের মাতাকেও অনেকেই আহার করে, জাপানি ভাষায় এদের ‘মাতাহারি’ বলা হয়। কিন্তু মা এবং জন্মভূমির চেয়েও বড় বলে উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্র সহ পৃথিবীর কোথাও কোথাও গরুকে হত্যা করা এবং খাওয়া হয় না। এই ধরনের ভয়ানক খারাপ কাজকে গো-খুরি বলা হয়। আইন এই বাজে লোকেদের কঠোর শাস্তি দেয়।
আগে এদেরকে পাহাড়ে জঙ্গলে নির্বাসন দেওয়া হতো, যে জন্য সুদূর উত্তরবঙ্গের এক গভীর জঙ্গলের নাম হল ‘গরুমারা’। এখন অবশ্য শাস্তির নতুন পদ্ধতি বেরিয়েছে, ধরা পড়লেই বেধড়ক পিটিয়ে একেবারে মেরে ফেলা হয়, কারণ, গরুর চেয়ে মানুষের দাম অনেক কম।
এই জন্য সব মানুষই গরু হতে চেষ্টা করে। কেউ এঁড়ে হয়, আর কেউ বকনা। কেউ বলদ হয়, কেউ ষাঁড়। কবি বলেছেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে গাই।’ এ কারণে ভূ-ভারতকে অং-গো, বং-গো, কলিং-গো, আর পৃথিবী ভর্তি ভালো মানুষকে গো-বেচারা বলা হয়।
সূত্রঃ অাকাশ
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চিনি আর পানি ছাড়া কিচ্ছু নাই! ক্যামনে যে আপনাকে চা দিমু...
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
আলগা কপাল বলেছেন: ঘুম থিক্কা উইঠ্যা আমি এইডা কি পড়লাম!! সাধু ব্যাটার উপ্রে এহনি গাধা চড়িয়ে কানে ঘোল ঢেলে নাকে সুড়সুড়ি দিয়ে রাজ্যছাড়া করা হউক। এহেন বেদ্দপের বংগো দেশে স্থান নাই। ইহাকে ঝাটাপেটা, লাঠিঝাটা করে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হোক। জয় গো- বিন্দু। হায়রে শালার হিন্দু!.....
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: Oh No! এগুলা কী কন?
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
কামরুল হুদা দুর্জয় বলেছেন: ভালো ছিলো
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো ।
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
নীলপরি বলেছেন: হুম । গরু রচনা ভালো লেগেছে । কিন্তু কবি ,গরু সেই চারটা পা ও একটা লেজ দিয়ে লেজ দিয়ে বর্ণনা করা কেনো ? আপনি কি কখনো ওদের সজলকালো মায়াভরা চোখের দৃষ্টি দেখেননি ? গরু সুন্দরীরা জানতে পারলে গোঁসা করবেন !
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নারী বিষয়ক রচনা লেখার সময় শুধু সজলকালো মায়াভরা চোখের দৃষ্টি কেন ভুবন ভোলানো হাসি কিংবা মেঘবরণ কেশ এর উল্লেখও থাকবে আশা করি ।
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কেউ বলদ হয়, কেউ ষাঁড়। কবি বলেছেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে গাই।’ এ কারণে ভূ-ভারতকে অং-গো, বং-গো, কলিং-গো, আর পৃথিবী ভর্তি ভালো মানুষকে গো-বেচারা বলা হয়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুঁ!
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা.....মজার
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন সতত!
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
মজা পাইছি।
আমি বাংলায় গান গাই*
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো, রাজপুত্তুর!
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ব্যাপক গবেষণালব্ধ রচনা।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তা তো বটেই...
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল লাগল গরু নিয়ে লিখা এ সুন্দর রচনা ।
এ জন্য্ই তো লোকে বলে স্বার্থক জনম
যদি হয় গো জনম । এর পরে নাকি
আর পুণ:জনম নিতে হবেনা।
ঠিকই বলেছেন ভাল
মানুষদেরকে বলা
হয় গো বেচারা।
ধন্যবাদ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন সবসময় ।
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ মাঝে মাঝে নিয়মের বাহিরের কথা শুনতে চায়; সেজন্য গো-পাল ভাঁড় ও হোজ্জা জনপ্রিয়; আপনার লেখায়, হোজ্জা হোজ্জা ভাব আছে!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন ।
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪০
মহা সমন্বয় বলেছেন: ভাল লাগিল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো । ভালো থাকুন নিরন্তর ।
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮
রোদেলা বলেছেন: সবাই এখন গোবেচারার ভূমিকায় আছে।শুভেচ্ছা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও । অচিরেই সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠবেন- শুভ কামনা রইলো ।
১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
পথহারা মানব বলেছেন: রচনটা ভালো লেগেছে। ভাল থাকবেন সাধু দা, আপনার জন্য শুভকামনা
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো । শুভ কামনা আপনার জন্যও...
১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সমগ্র রচনার জন্য ১০ এ ১০ । আর শেষের লাইনের জন্য আরো ১০।
//এ কারণে ভূ-ভারতকে অং-গো, বং-গো, কলিং-গো, আর পৃথিবী ভর্তি ভালো মানুষকে গো-বেচারা বলা হয়।//
ভাল থাকুন । সবসময় ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা । ভালোই ছিলেন আশা করি...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
প্রামানিক বলেছেন: সকাল বেলা দারুণ একটা গো-রচনা পড়লাম। সাধু তাড়াতাড়ি গো-দু্গ্ধের চা দেন।