নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
মৃত্যু ব্যাপারটা আসলে কেমন? ভয়ঙ্কর? ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর? এটা মনে হয় ঠাহর করা যায় না। কারণ, কেউ মরে এসে বলে যায়নি। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার যথার্থই বলেছিলেন, ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? কী যাতনা বিষে বুঝিবে সে কী সে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।’ বাস্তবিকই সুখী মানুষ, দুঃখীদের বেদন বুঝতে পারে না। সাপ যাকে কামড় দেয়নি, সে কামড়ের ব্যথা বুঝবে না।
অবশ্য সবকিছু যে সরাসরি উপলব্ধি করতে হবে; এমন না। আগুনের কাছাকাছি গেলেই বোঝা যায় যন্ত্রণাটা কেমন হবে! জলে ডুবে মরা, সড়ক দুর্ঘটনায় মরা যে কাউকে দেখলেই সামান্য হলেও ধারণা করা যায় মৃত্যু আসলে কী!
মৃত্যু যদি নিজের হাতে হয়, সেটা কেমন? সেটা মনে হয় আরও ভয়ঙ্কর। মানুষ মৃত্যুর তারিখ জানে না, তাই তো আশা নিয়ে বাঁচতে পারে অনেকদিন। আর যদি জানতে পারে, মৃত্যুটা তারই হাতে সেই বিভীষিকার আঁচটা কেমন?
কেউ তো আর স্বেচ্ছায় মরতে চায় না, জগতের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেয়। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যখন দাঁড়িয়ে থাকে, তার অনুভূতিটা তখন কেমন থাকে?
মরার সময় বেঁচে থাকার একটা স্পৃহা জাগে হয়তো। সমুদ্রে ডুবে যাওয়া লোকটা যেমন খড়কুটো আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়, গলায় ফাঁস নেওয়া লোকটাও গলা থেকে দড়ি খুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়, যদিও খোলার মতো শক্তি থাকে না। কিংবা বিষ খেয়ে নীল হয়ে যাওয়া লোকটার বাঁচার আকুতি দেখেও বোঝা যায় মানুষ আসলে যে করেই হোক বাঁচতেই চায়, সুখী-দুঃখী সবাই।
২
খুব সম্ভব ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ার সময়কার ঘটনা। একদিন স্কুলে গিয়ে দেখি ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক সবাই পূর্বদিকে ছুটছে। কৌতূহল চেপে রাখতে পারলাম না, আমিও দিলাম ছুট। এক কিলোমিটার হেঁটে একটা আমগাছের নিচে এসে দাঁড়ালাম। আমার মতো অনেক কৌতূহলী মুখ সেখানে দাঁড়ানো। সবাই আমগাছের ডালের দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও এক নজর তাকালাম।
ঝুলে থাকা লাশটা কমবয়েসি মোটামুটি সুন্দরী মতন এক স্ত্রীলোকের। ভিক্ষে করত এলাকায়। কেন ফাঁস নিয়েছে কেউ বলতে পারে না। একটা ঘরে একা থাকত। কারও সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না। হত্যা না আত্মহত্যা কেউ বলতে পারেনি।
গলায় দড়ি গেঁথে গিয়েছিল, জিহ্বা বেরিয়ে এসেছিল। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য এখনও মনে দাগ কেটে আছে, মনে হলে গা শিউরে ওঠে।
৩
সন্ন্যাসী হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল বরাবরই। তবে এ আকাঙ্ক্ষায় কিছুটা ভাটা পড়েছে শরৎচন্দ্রের ‘বিলাসী’ গল্পটা পড়ার পর। মশার কামড় সহ্য করতে না পেরে উনি সন্ন্যাসধর্ম ত্যাগ করেছিলেন। মশার ভয় পাই না, হয়তো একদিন সন্ন্যাসী না হোক ভবঘুরে হয়েই যাব।
‘বিলাসী’ পড়ার পর আরও একটা অদম্য ইচ্ছে অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়ে গেছে, সেটা হলো সাপুড়ে হওয়া। ঐ সময়ই উপলব্ধি করি সাপুড়েদের পেশাটা ছল-চাতুরীর, বড্ড লোক ঠকানো।
‘বিলাসী’ নিয়ে এত কথা কেন বলছি? প্রাসঙ্গিকতা আছে বৈকি। কারণ, কৈশোরে এই গল্প পড়ে আমি কেন জানি না আত্মহত্যাকে মৌন সমর্থন করতে শুরু করি। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হওয়ার পর বিলাসীর আত্মহত্যাকে আমি সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করি। শাস্ত্রমতে তার নরকে যাওয়ার কথা। এমন ঘটনা পরিক্রমায় গল্পের লেখকের মতো আমিও নরকে যাওয়ার পক্ষে।
৪
সেদিন গাজীপুরের একটা গ্রামে ঢুকলাম। ঐ গ্রামেরই দু’জন আমার সঙ্গে ছিল। আমরা যখন হাঁটছিলাম, মাটির তৈরি সুন্দর একটা বাড়ি চোখে পড়ল। দরজা বন্ধ থাকায় পাশের একজনকে জিগ্যেস করলাম, এখানে কেউ থাকে কী না। সে জানাল, কেউ থাকে না।
বাড়িটা ঘুরে দেখলাম। কোনো এক সময়ের জমজমাট বাড়িটা অনাদরে-অবহেলায় জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। কথা বলে জানতে পারলাম, এখানে এক স্ত্রীলোক তার স্বামীকে নিয়ে থাকতেন। স্বামীটা ছিল পাঁড় মাতাল। রোজ রাত করে বাড়ি ফিরত। কোনো এক প্রত্যুষে দেখা গেল, স্ত্রীলোকটা গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলে আছে। শুনলাম, স্বামী তাকে মারধর করত না। ভালোবাসত যথেষ্ট। তাহলে কেন আত্মহত্যা করল? স্বামীর প্রতি বিরক্ত হয়ে? নাকি মাদকাসক্ত স্বামীই খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছিল? সদুত্তর পেলাম না, পুলিশও নাকি ব্যাপারটা নিয়ে এত মাথা ঘামায়নি।
একটা ব্যাপার খুব রহস্যজনক। লাশ নাকি মাটি ছুঁয়ে ছিল। এটা কী করে সম্ভব? বলা হয়ে থাকে, ফাঁস অন্য জায়গায় নিয়েছিল। লোকজন লাশ নামিয়ে পুলিশি ঝামেলা হবে ভেবে তড়িঘড়ি করে লাশটা আবার গলায় দড়ি লাগিয়ে ঐ অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখে। খুব সম্ভব আইন-আদালতের ফাঁপড়ে পড়তে চায়নি। আত্মহত্যা করেছে এটাই ঠিক। পুলিশকে তাই বুঝিয়েছে। তবে এ কথাগুলো আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। কেন হয়নি জানি না।
সুন্দর একটা পরিবার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। কেন পড়ল? মানুষ কেনই বা ঘর বাঁধে?
বাড়িটা কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। হালকা বাতাসে শরীরটা কেঁপে ওঠেছিল আমার। মনে হচ্ছিল বাতাস কিছু বলে যাচ্ছে। কী বলে যাচ্ছে আমি বুঝতে পারি না। আমি আসলে কিছুই বুঝি না।
জন্ম নিলে মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মানুষের জন্মই তো হয় মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার জন্য। মধুসূদন বলেছিলেন, ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমরকে কোথা কবে? স্থির কবে নীর হায় রে জীবন নদে?’ জগতে কোনোকিছুই স্থায়ী নয়। জন্মটা যেমন স্বাভাবিকভাবে হয়েছে, সবার মৃত্যুটাও যেন তেমন স্বাভাবিক হয়। প্রকৃতির কাছে এরচেয়ে বেশি কী চাওয়ার থাকতে পারে?
৩ মাঘ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
গাজীপুর।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাংঘাতিক একটা ব্যাপার, না?
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১১
কাওছার আজাদ বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন দাদুভাই। মরিতে চাহিনা মুই সুন্দুর বাংলাদেশে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এক জীবনে মেটে না বেঁচে থাকার সাধ, শত কষ্টেও বাঁচতে চায় মানুষ ভুলে অবসাদ।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: মৃত্যু অনিবার্য। লেখা অত্যন্ত ভাল হয়েছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুম। নো ওয়ে টু এভয়েড ডেথ!
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫
শায়মা বলেছেন: কৈশোরে মরনকে খুব ক্রেডিটের ব্যপার মনে হয় ....বৃদ্ধকালে সেই ক্রেডিট ডিসক্রেডিট হয়ে যায়.....
তাই অল্প বয়সী বা তরুন তরুনীদের মাঝেই আত্মহত্যার প্রবনতা বেশি থাকে.........
আত্মহত্যার সবচেয়ে বড় কারণ হতাশা....
সমাধান খুঁজে না পাওয়া ......
তবে সকল সমস্যারই সমাধান আছে.....
আত্মহত্যার টেন্ডেন্সী থাকা মানুষগুলো এটা কোনোভাবেই মানতে চায় না ....
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান খুঁজে মানুষ।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো ! মৃত্যু সব স্বাদ বিনষ্ট করে দেয় !
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রূঢ় বাস্তবতা সব এলোমেলো করে দেয় আর আমরা ভুলে যাই বেঁচে থাকাটাই আনন্দে, শত কষ্টের মধ্যে হলেও।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮
শায়মা বলেছেন: চিরস্থায়ী সমাধানও খুঁজে পাওয়া সম্ভব। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য্য, উত্তপ্ত মস্তিস্কের শীতলীকরণ ও সঠিক সমাধানের পথ খুঁজে পাবার চেষ্টা .........
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। কিন্তু অনেকেরই সে ধৈর্য থাকে না, ক্ষণিকের উন্মাদনা সবকিছু শেষ করে দেয়।
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০০
কনফুসিয়াস বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো. চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবন সুন্দর।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
একসময় যা ফ্যান্টাসী মনে হয়, অন্য সময়ে তাই ভয়ংকর!
জীবন যাপনে কতটা হতাশ হলে মানুষ আত্মহত্যা করে?
এত সুন্দর এ ভুবনে কর্ম এবং সৃষ্টিশীলতার দারুন সময়কে নিজেই শেষ করে দেয়া কি ভয়ংকর!
যত কষ্টই হোক -ধৈর্য ধারনই উত্তম। আজকের কষ্ট আগামীকাল সুবর্ণ সময় নিয়ে আসতে পারে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পরিস্থিতি মাঝেমাঝে এত প্রতিকূলে চলে যায়, ধৈর্য ধারণের সুযোগও হয়ত থাকে না। মনে হয় আত্মহত্যাই চূড়ান্ত সমাধান।
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬
অলিভিয়া আভা বলেছেন: মরণ রে তুহুঁ মম শ্যাম সম--- এটা বেশী আবেদন রাখে
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়।
১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মৃত্যু
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভয়ঙ্কর।
১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেঁচে থাকাই মানুষের অভিপ্রায়, বেঁচে থাকাই জীবন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একদম।
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মৃত্যু ভয়ংকর তো বটেই। কতোটা.....সেটা আগ বাড়িয়ে দেখার দরকার কি? সময় হলে এমনিতেই জানা যাবে।
আত্মহত্যা কোন সমাধান হতে পারে না। শুধুমাত্র পরাজিত আর মেরুদন্ডহীন মানুষরাই আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা ছাড়াও এই পৃথিবীতে করার মতো বহু কাজ আছে.....সেদিকেই মন দেয়া উচিত!
লেখা ভালো হয়েছে......কিন্তু জানতে ইচ্ছে করছে, আপনার এই লেখার কোন বিশেষ উদ্দেশ্য আছে, নাকি এমনিতেই লিখলেন?
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুধুমাত্র পরাজিত আর মেরুদন্ডহীন মানুষরাই আত্মহত্যা করে।" এটা আত্মহত্যাকারীরা ভালো করেই জানে, তারপরও করে। কেন করে? জগতের প্রতি বিতৃষ্ণা চরম পর্যায়ে পৌঁছলেই মনে হয় করে, অথবা বেঁচে থাকাটাই যখন অনর্থক মনে হয়।
না, বিশেষ উদ্দেশ্য নেই। আমি কেবল সমব্যথী!
১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমিও এককালে আত্মহত্যার চিন্তা করতাম।
১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রাথমিকে স্মৃতিচারণের সঙ্গে বাকি পর্বগুলো ভালো লিখেছেন । কিন্তু হঠাৎ করে এসব আত্মহত্যা নিয়ে পড়ে গেলেন কেন? তবে এর মধ্যে মশার কামড়ে সন্ন্যাস হওয়ার বাসনা ত্যাগ করেছেন - এটা পড়ে না হেসে পারলাম না । হা হা হা .. ভাগ্যিস সেদিন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ' বিলাসী'তে এটি বলে গেছিলেন। তবে সাপুড়ে হওয়ার ইচ্ছেটি বেশ লাগলো। শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরের পরে অবশ্য সে সুযোগটি এখনো আছে।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় দাদাকে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইদানীং বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার বেড়ে গেছে। চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, এদের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম নয়। ব্যক্তিগত হতাশা থেকেই এমন হচ্ছে মনে হয়। ব্যাপারটা আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছেটা ছাড়লেও ভবঘুরে হওয়ার ইচ্ছে রয়েই গেছে। সাপুড়ে হয়ত হওয়া হবে না, ভবঘুরে হবোই, হবো। সে মতোই এগোচ্ছি।
জাপানি এক লেখক আত্মহত্যা বিষয়ক একটা বই লিখেছিলেন, সেখানে একটা জঙ্গলের বর্ণনা দিয়েছিলেন। বইটা পড়ে লোকজন গণহারে ঐ জঙ্গলে যাওয়া শুরু করেছিলো এবং ওখানকার গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে শুরু করেছিলো। কী অদ্ভুত একটা ব্যাপার, না?
১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,
যে ভাবেই লিখুন না কেন, পাঠক কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও দার্শনিক হয়ে উঠবেন।
ঠাকুরের লেখা দু'টোই সত্য।
আর সাধুর যে সন্যাসী হয়ে ওঠা হলোনা, এটাও সত্য!
অনেক ভাবনা গায়ে মেখে লেখাটি ভালো হয়েছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষের চিন্তা-ভাবনা যে কালক্রমে বদলায়, রবীন্দ্রনাথের উপলব্ধিতে তা সুস্পষ্ট।
সন্ন্যাসী না হতে পারলেও ভবঘুরে হওয়ার পথটা এখনও খোলা আছে।
১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৫
ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: জাপানি লেখকের নাম এবং বইটার নাম দিবেন সময় করে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বই এবং লেখকের নামটা ভুলে গেছি। মনে করে একসময় জানিয়ে যাব।
১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২০
প্রামানিক বলেছেন: মানুষ আত্মহত্যা করতে গিয়ে বাঁচার জন্য খুব চেষ্টা করে কিন্তু পারে না কথাটা সত্য। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বাঁচুক প্রতিটা মানুষ।
১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হত্যা ও আত্মহত্যার পেছনে অনেক মোটিভ থাকে, আত্মহত্যায় স্বীকৃতি স্বরুপ যদি নিজের হাতের লেখা চিঠিও থাকে তারপরও পাওয়া গেছে এটি সাজানো হত্যা !!! হত্যার পেছনে অনেক বড় যোগসাজস থাকে আবার নিছক কারণ ও থাকে ।
< আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম, খুবই সুন্দর গোছানো লেখা, এমন লেখা ব্লগে সচরাচর সবাই লেখেন না, আশ্চর্য্য আজ প্রথম আপনার লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হত্যা ও আত্মহত্যার পেছনে অনেক মোটিভ থাকে, আত্মহত্যায় স্বীকৃতি স্বরুপ যদি নিজের হাতের লেখা চিঠিও থাকে তারপরও পাওয়া গেছে এটি সাজানো হত্যা !!! হত্যার পেছনে অনেক বড় যোগসাজস থাকে আবার নিছক কারণ ও থাকে ।" ভালো বলেছেন। এখানে দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভ কামনা জানবেন।
১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: আসার সিরিয়াল আছে, যাওয়ার সিরিয়াল নাই।
নিজেই নিজের যাওয়ার সিরিয়াল তৈরি করা প্রকৃতির সাথে বেঈমানী
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রকৃতির সাথে বেঈমানী করা মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২২
নীলপরি বলেছেন: সহজ সমাধানের জন্য মানুষ আত্মহত্যা করে । বেশী কিছু ভাবে নাহ । খুব সুন্দর লিখেছেন ।
শুভকামনা
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাময়িক সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হচ্ছে আত্মহত্যা।
২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মৃত্যু, মানব জীবন এর সবচেয়ে রহস্য ঘেরা অধ্যায়, যা কালের পরিক্রমায় এতটুকু রহস্যময়তা হারায় নাই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই রহস্যময়তাই মানুষকে আকর্ষণ করে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ মরতে কেন ভয় পায় জানেন?
কারন মৃত্যুর পর আল্লাহ ভয়ঙ্কর শাস্তি দিবেন বলে।