নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
“উনি আমার মেয়েকে সরাসরি কুপ্রস্তাব দিয়েছেন।” ভরা মজলিশে মহিলা কথাটা এত আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন, কেউ অবিশ্বাস করতে পারল না। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই মিহিরও বিশ্বাস করে ফেলল। কোন মা কি তার মেয়েকে নিয়ে এমন মিথ্যাচার করতে পারেন? তাছাড়া মিহিরের সাথে তাদের ব্যক্তিগত বিরোধও তো থাকার কথা নয়। মিহিরকে কেন ফাঁসাবেন?
সবাই একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে। মিহির এমন কাজ করতে পারে সবার ধারণার বাইরে ছিল। এই কয়েকমাসে তাকে সবাই ভালোভাবেই চেনে। নর-নারী সবার সাথেই তার সখ্য। তার এমন চারিত্রিক ত্রুটি কারও চোখে ধরা পড়েনি।
কয়েকমিনিটের জন্য পুরো ঘর চুপচাপ হয়ে গেল। কারও মুখে কোনো কথা নেই। দুয়েকজন কথা বলতে গিয়েও থেমে যাচ্ছে, মুখ ফুটে কেউ কিছু বলতে পারছে না। দমবন্ধ পরিবেশ।
মিহিরই নিরবতা ভাঙল। মহিলাকে জিগ্যেস করল, “আপনি কি সজ্ঞানে এ কথা বলছেন?” উনার মুখায়বয়ব বদলে গেল মনে হলো। কিছুই বললেন না। মিহির বলল, “আপনার মেয়ের সামনে এ কথা বলতে পারবেন? আমি কিন্তু আপনার সন্তানের বয়সিই। বুঝেশুনে বলুন।” এখনও মহিলার মুখে কোনো কথা নেই।
২
“ক্লাসে দু’জনকে পড়া জিগ্যেস করেছিলাম, পারেনি। আপনার মেয়ে বলতে গিয়েও বলেনি। অথচ সে পারত। কীভাবে বললাম? ও যখন বলছিল, বাকিরা ইশারায় নিষেধ করছিল। ও তো মোটামুটি ভালো ছাত্রী। আমি যে প্রশ্নটা করেছিলাম, ওটা ওর না পারার কোনো কারণ নেই।”
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল মিহির। তারপর বলতে লাগল, “আমি ওর সাথে এ ব্যাপারে একা কথা বলতে চেয়েছিলাম, ও আপনাকে এ কথা বলেছিল। আপনি বলেছিলেন, শিক্ষকের সাথে একা কোনো কথা নেই। যাহোক, আমি কথা বলেছিলাম। কী কথা বলেছিলাম? বলেছিলাম, বন্ধুত্বের সময় বন্ধুত্ব আর পড়ালেখর সময় পড়ালেখা। একটার জন্য আরেকটা ত্যাগ করা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, ওরা তোমার ভালো চায় না। সতর্ক থেকো। আমি তাকে কোনো কুপ্রস্তাব দেইনি।”
“সেদিন আপনাকে ডেকে নিয়ে কথা বললাম। ওটা ভুল বোঝাবুঝি এড়ানোর একটা প্রচেষ্টা ছিল। আপনার মেয়েকে কোনোদিন ক্ষমা করব না বললাম। কেন করব না, সেটা জানতেও চাননি। ও ওর বান্ধবীদের সাথে সমস্বরে বলেছিল, আমাদের ব্যাপারে নাক গলাবেন না। শিক্ষক কি শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ বলতে পারেন না? আপনার মেয়েকে তো সহজ-সরল মনে হয়, আর সহজ-সরলদের প্রতি সবারই একটা সহজাত টান থাকে; এটা কি দোষের?”
“উনি বলেছেন, আমার মেয়ে কোনোদিনও কিছু করতে পারবে না।” সহকারী প্রধান শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে মহিলা কথাটা বললেন। উনি মনে হয় বিশ্বাসও করলেন। করবেনই বা না কেন- মহিলা স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় বড়ো অঙ্কের অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন। এখনও সহায়তা দেন। উনি কি মিথ্যে বলতে পারেন?
“আমি আসলে ৮ম শ্রেণিতে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৯ম শ্রেণিতে গিয়ে আমি ওদের সম্পর্কেই বলেছিলাম। এত আহ্লাদী ছেলেমেয়ে, একেবারে মাথায় উঠে বসে আছে। এসব আর কী। আপনার মেয়েকে অভিশাপ দেব কেন?”
“আপনি বলেছেন, ওকে কখনও ক্ষমা করবেন না।”
“ও কি ক্ষমা চেয়েছে? তাছাড়া ও যে বেয়াদবিটা করেছে; এর কি ক্ষমা আছে? ও তো ক্ষমা চায়ও নি। আমি কি এমনিই সব ভুলে যাব?”
“ভুল করবে, আপনারাই তা শুধরে দেবেন।”
“ও বাচ্চা না। অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলে হয়তো করতাম। ওর মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনাবোধ নেই।”
একটু দম নিয়ে মিহির বলল, “প্রতিটা শিক্ষার্থীকে আপনজন হিসেবেই দেখি। কে ক্লাস করছে না, পরীক্ষা দিচ্ছে না, বেতনাদি নিয়ে কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে কী না দেখি অথচ...”
“তা বেতন নেন কেন? সব দিয়ে দিলেই তো পারেন।” মহিলা তাচ্ছিল্যের স্বরে বললেন। “তাই দিতাম। কিন্তু নিজেরও তো চলতে হবে।” মিহির রাগতস্বরে বলল।
৩
এ মহিলা যে দজ্জাল টাইপ, ছোটন নামের জনৈক স্যার আগেই বলেছিলেন। উনি এই মহিলার সাথে কথা বলতেই নিষেধ করেছিলেন। মিহির শোনেনি। সে তো তার মেয়েকে মন্দ কথা বলেনি। তাহলে উনি কেন তার সম্পর্কে বাজে ধারণা পোষণ করবেন?
কোনো একদিন ঐ মহিলা সামান্যতম ভদ্রতাও ভুলে তার সম্পর্কে অহেতুক অযাচিত কথা বলেছিলেন। ক্লাসে পড়া না পারায় কয়েকজনকে আটকে রাখা হয়েছিল। এ আটকে রাখা নিয়েই বিভ্রান্তি। প্রধান শিক্ষকের উপদেশ মোতাবেক যে এ কাজটি হয়েছিল, এটা উনি বুঝতেই চাচ্ছিলেন না।
শিক্ষক অফিসকক্ষে আসার সুযোগে ছেলেরা পালিয়েছিল। মহিলার আপত্তি হলো, শুধু মেয়েদেরই আটকে রাখা হলো কেন? উনি বুঝতে চাচ্ছিলেন না, পালিয়ে যাওয়ায় ছেলেদের পরেরদিন কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। মহিলা যে একটা ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন, সেটা জানানো জরুরি ছিল।
এখন মিহিরের মনে হচ্ছে, বিপত্তি আরও বাড়ল। ঐ দিন উনার সাথে কথা না বললেই ভালো হতো। উনার সাথে কথা বলে তো পাত্তাই পাওয়া যায়নি। মিহিরকে তো কথা বলারই সুযোগ দেননি। মনে মনে সাপের মতো ফুঁসছিলেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় আজকের ঘটনা। এ যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া।
৪
দুপুরে যখন এলেন, বোঝাই যাচ্ছিল আজকে মিহিরকে হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বেন। হাতে ছিল প্রগতিপত্র। কী এক অদ্ভুত কারণে সব নম্বরে গোলমাল। কাকতালীয় ব্যাপার বৈকি। অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়।
উনি ধরেই নিয়েছিলেন মিহির ইচ্ছে করেই এমনটা করেছে। উনাকে বলা হলো, কাজটা অন্য এক ম্যাডাম করেছেন, ভুলটা আসলে উনারই (উনি ইচ্ছে করেই করেছেন কী না কে জানে। জগৎ-সংসারে একে অপরকে হেয় করে কেউ কেউ তো সুখ পায়। মিহিরের বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হলো। উনি পারবেনই না যদি কেন নিলেন?)। সব শুধরে দেওয়া হবে। সবারই প্রগতিপত্রে ভুল। মিহির যদি ইছে করেই করত, সবাইকেই নিশ্চয়ই ভুল নম্বর দিত না?
মহিলাকে কোনোমতে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলো। প্রধান শিক্ষক রগচটা স্বভাবের। উনি চলে এলে এখানে লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে যাবে। কিন্তু সবার মাঝে অবিশ্বাসের যে দেয়াল দাঁনা বেঁধে উঠল, তা কি কখনও ভাঙা যাবে?
৩ মাঘ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
গাজীপুর।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও। ভালো থাকুন নিরন্তর।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বন্ধুত্বের সময় বন্ধুত্ব আর পড়ালেখর সময় পড়ালেখা। একটার জন্য আরেকটা ত্যাগ করা সমীচীন নয়।
কথাটি ভালো লেগেছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কমন প্লট.......
তবে পড়াটা বৃথা যায় নি......
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সেটাই সই।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন দাদা। সবার মাঝে অবিশ্বাসের যে দেওয়াল তাকে যে কখনো ভাঙা যাবে না । আমাদের মধ্যে সুকুমারবৃত্তির প্রসার ঘটুক । সমস্ত রকম অবিশ্বাসের বাতাবরণ দূর হোক ।
বসন্তের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হতাশ হওয়ার মতো ব্যাপার। মানুষ যে কী করে এত সংকীর্ণমনা হয় ভাবতেই খারাপ লাগে।
বাসন্তি শুভেচ্ছা আপনাকেও।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: এখন অভিভাবকরাও অনেক আগ্রাসী। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়।
জীবনের গল্প বলার চেষ্টা করছেন মনে হয়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পড়ালেখার জন্য চাপ দিলে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আবার ফল খারাপ করলেও জবাবদিহি করতে হয়। মুসিবত। অভিভাবকেরা আসলে কী চান নিজেরাও জানেন না। আজকালকার ছেলেমেয়েরাও বেপরোয়া। ওদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। কিছু কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষকদের নাজেহাল করার চেষ্টায় থাকে।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বেশ ভাল লেগেছে!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকে। ভালো থাকুন।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: আজকাল তো সামাজিক বিষয় নিয়ে বেশ ভালোই গল্প লিখছেন দাদা। আজকেরটা বেশ ভালো হয়েছে।।মনে হচ্ছিল চোখে সামনে দেখছি। আজকাল অনেক বাবা মাই শিক্ষকদের সম্মানই দিতে চান না। এইসব আংগুল ফুলে হঠাৎ কলাগাছে বনে যাওয়া শ্রেনি, নিজেকে যে কি মনে করে বেড়ায়!
ধন্যবাদ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেে একজন শিক্ষার্থীর সমানও মূল্যায়ন নেই শিক্ষকের। সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে খাবি খেতে হয়। মতের অমিল হলে অভিভাবকেরা সুযোগ খুঁজেন কীভাবে শিক্ষককে তুলোধুনা করা যায়। এসবের দরুণ সমাজে নৈতিকতার স্ফলন ঘটছে। শিক্ষার্থীরা ভুলে যায় তাদের করণীয় কী।
৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০২
রাজীব নুর বলেছেন: কুপ্রস্তাব দিতে সাহস লাগে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নির্লজ্জও হতে হয়।
৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
প্রামানিক বলেছেন: বন্ধুত্বের সময় বন্ধুত্ব আর পড়ালেখর সময় পড়ালেখা। একটার জন্য আরেকটা ত্যাগ করা সমীচীন নয়।
যুক্তিযুক্ত কথা। খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও মতামত জানানোয়।
১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নজসু বলেছেন:
প্রিয় ভাই।
আপনার পূর্বের পোস্ট পাঠ পূর্বক অনুমান কিংবা জানতে পেরেছি আপনি শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।
এখনও আছেন কিনা জানিনা। তবে, লেখাটা মনে হয় বাস্তবতা থেকে লিখেছেন।
আপনি যে বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তা প্রায় সময়ই অনেক শিক্ষককে বিব্রতকর কিংবা মান হানিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। ছাত্র/ছাত্রীর ভালো করতে গিয়ে হিতে বিপরীত ঘটে য়ায়।
কিছু অভিভাবক আছেন (যেমনটি পোষ্টে উল্লেখিত মহিলা) সামান্য কারণেই তিলকে তাল করেন। মানুষকে অপদস্থ করে আনন্দ পান। ঐ অভিভাবকরা একবারও চিন্তা করেন না যে, তাদের ছেলেমেয়ের জন্য শিক্ষক/শিক্ষিকার দুআ/ আশীর্বাদের প্রয়োজন আছে।
আবার, কিছু কিছু শিক্ষক আছেন যারা এই মহান পেশাটাকে কলুষিত করছেন। তাদের কারণে কেউ কেউ সবাইকে একই পাল্লায় পরিমাপ করে থাকেন।
ঐ মহিলা নিজেই নিজের সন্মান নষ্ট করেছেন। নিজের মেয়ের নামে মিথ্যাচার করে নিজেকেই ছোট করেছেন। তাই মিহিরদের উচিত মন খারাপ না করে মহান দায়িত্বটাকে সততার সাথে এগিয়ে নিয়ে চলা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। যতটুকু দায়িত্ব্য ঠিক ততটুকুই পালন করা উচিত মনে হয়। বেশি করতে গেলে সন্দেহ তৈরি হয়। কী দরকার ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর?
১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
শুভকামনা
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৮
ইসিয়াক বলেছেন: আখেনাটেন বলেছেন: এখন অভিভাবকরাও অনেক আগ্রাসী। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়।
জীবনের গল্প বলার চেষ্টা করছেন মনে হয়।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখক বলেছেন: পড়ালেখার জন্য চাপ দিলে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আবার ফল খারাপ করলেও জবাবদিহি করতে হয়। মুসিবত। অভিভাবকেরা আসলে কী চান নিজেরাও জানেন না। আজকালকার ছেলেমেয়েরাও বেপরোয়া। ওদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। কিছু কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষকদের নাজেহাল করার চেষ্টায় থাকে।
একশত ভাগ বাস্তব সত্য ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পড়ালেখার প্রতি ওদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। খোলামেলা পরিবেশ পায় না বললেই চলে। বদ্ধ পরিবেশে মানসিকতার বিকাশও ঠিকমতো হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার পটভূমিতে সুখপাঠ্য গল্প
ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা জানবেন।