![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
লক্ষ্যহীন জীবন গন্তব্যহীন জাহাজের মতো।
ভালুকা হইতে গাজীপুর আসিয়াছি অদ্য পঞ্চম দিবস অতিক্রান্ত হইলো। ভালুকায় (সদরে) মোটামুটি চৌদ্দ মাস কাটিয়াছে, আর কিছুতেই মন টিকিতেছিলো না; পড়ালেখাও হইতেছিলো না। বিভিন্ন তিক্ত অভিজ্ঞতায়...
পথের ধারে রেখে এলাম
স্মৃতির পাহাড়,
মন চাইলে তাকিয়ে দেখো
সে-ই হাহাকার!
স্তুপের মতো জমিয়ে রাখা
শত দুঃখকথা,
জানান দেবে আমার যতো
স্মৃতিকাতরতা!
কী কথা যে বলতে গিয়েও
হয় নি প্রকাশ,
বাঁধ ভাঙা জোয়ার হয়েই
ফাটাবে আকাশ!
সারা জাহান তন্ময় হয়ে
শুনবে ভাষণ,
অদ্ভূত...
সর্বস্ব উজাড় করে যারে বাসি ভালো,
শয়নে-স্বপনে যে অন্তরে বাস করে;
আমায় ত্যাগ করে সে কোথায় হারালো?
নিয়েছে আশ্রয় কার মনের কোটরে?
পৃথিবী চষে বেড়াই পাবো বলে খোঁজ,
পাই না কোথাও তার টিকিরও ছায়া;
গায়ের রক্ত...
যারা আমায় আঘাত দিলো সীমারের মত,
হৃদয়ে তৈয়ার হলো পাহাড় সমান ক্ষত-
হাজার মলম মাখলেও কমে না কিঞ্চিৎ,
সবার মাঝে পরিগণিত আমি অবাঞ্ছিত;
বেঁচে থাকাই দুঃসহ আজ মর্ম যন্ত্রণায়-
কুকড়ে কুকড়ে মরি আমি অসীম তেষ্টায়;
মরলেই...
নারাঙ্গী বাজারে এসে যখন গাড়িটা থামল, তখন অনেক রাত্রি। অন্ধকারে পথঘাট ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না। মা শবনম বেগম আর তাঁর কিশোরী মেয়ে সুরাইয়া বেশ বিপদেই পড়ল। ঢাকা থেকে এসেছে...
আবিদ ও আবীর দুই ভাই। আবিদের বয়স বারো, আর আবীরের দশ। তারা ঢাকার একটা বেসরকারি স্কুলে পড়ে। আবিদ সপ্তম শ্রেণিতে, আবীর পঞ্চম শ্রেণিতে। তাদের অনেক দিনের ইচ্ছে নানার বাড়ি যাবে।...
অভিরাম কিছুদিন যাবত নানার বাড়ি বেড়াইতে আসিয়াছে। উপলক্ষ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া। এইস্থানে আসিয়া সে বেশ সমস্যায় পড়িয়াছে। তন্মধ্যে জল সঙ্কট প্রকট। জলের স্তর নিম্নগামী। চৈত্র মাস আসিলে এই অঞ্চলের...
“স্যার, একটু কাছে আসেন; একটা জোক্স বলি।” ক্লাস ভর্তি ছেলেমেয়েদের সামনেই মেয়েটা বলল।
“না, এখন কোন জোক্স না; পড়ায় মনোযোগ দাও।” অনিমেষ ধমক দিল মেয়েটাকে।
আরও অনেকের সাথে মেয়েটাকে কোচিংয়ে পড়ায় অনিমেষ;...
এক গ্রামে আব্বাস ও মনসুর নামে দুই জন গরুচোর ছিল। তাহারা ছিল অন্তরঙ্গ বন্ধু। গরু চুরি তাহাদের শুধু পেশাই ছিল না, নেশাও ছিল বটে।
তখন ছিল পৌষ মাস। শীত একেবারে জাঁকিয়া...
পাঁচতলা বাসা আর ছাত্রাবাসটার অবস্থান একেবারে মুখোমুখি। মাঝখান দিয়ে চলে গেছে একটা সরু রাস্তা। টিংটিং শব্দ করে দু-একটা রিক্সা চলাচল করে সে রাস্তা দিয়ে মাঝেমাঝে। ময়মনসিংহের এ জায়গাটার নাম “হাজী...
আমি যে এক দুরন্ত যাযাবর,
নেই বাড়িঘর;
পথে-ঘাটে, জলে-স্থলে
ঘুরে বেড়াই অষ্টপ্রহর ।
পথই আমার সাথী; নিত্য তাই
বিহঙ্গের মতো ডাক দিয়ে যাই!
অনন্য, অবিনশ্বর
ধরিত্রীর অকৃত্রিম মমতায়
বিমুগ্ধ অন্তর,
নিদারুণ করুণায় ঘিরেছে শহর!
কামনা-বাসনা, রোগ-শোক-খরা,
বিপর্যস্ত করে তোলে বসুন্ধরা;
সাধ্য কার...
তারে আমি চিনি বঁধূ খুব ভালো করে,
নিরবে বসত করে বুকের ভেতরে।
চেয়ে চেয়ে দেখি আমি তার হাসি মুখ,
শিহরণে দোলায়িত বাসনার সুখ!
সারাদিন কাটে সুখের ভেলায় চড়ে,
হৃদয়ের যতো ব্যথা সব যায় সরে।
তার কথা...
স্বপ্না মণির বিয়ে,
বর এলো রে রিক্সা নিয়ে
টোপর মাথায় দিয়ে।
সাজুগুজো করে স্বপ্না
বসেছিলো ধ্যানে,
কেমন বর যে ভাগ্যে জোটে
আল্লাহপাক্ই জানে!
রিক্সাঅলা বর,
পাঁচশো টাকা বেঁচে থাকে
সব খরচের পর!
এমন বর কি চেয়েছিলো স্বপ্না মণি?
তার কপালে লাগালো...
©somewhere in net ltd.