নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
কর্মক্লান্তিতে যখন নুয়ে পড়ে মাথা,
ভালো লাগে না মোটেও আর হইচই;
কোলাহল ছেড়ে খুঁজেফিরি নীরবতা
কিন্তু এ শহরে নীরবতা পাব কই?
গাড়ির শব্দে দিনের আগমন হয়,
গাড়ির শব্দেই ফের রাত নেমে আসে;
গ্রামের স্নিগ্ধ...
তোমাদের শহরটা রোদে খাঁ খাঁ করে ।
পথে-ঘাটে ভিড় নেই । সকলেই ঘরে
বন্দি আছে । কারো নেই কোনো কাজ-বাজ ।
করোনার ভয়ে বিরানভূমি সমাজ ।
প্রতিদিনই আসছে মৃত্যুর খবর ।
আতঙ্কিত সকলেই কাঁপে থরথর...
বাংলা মায়ের শান্ত ছেলে
হঠাৎ হলো অশান্ত;
এর পেছনের কারণটা কী
তোমরা সবাই জানো তো?
তোমরা যারা নিদ্রাচ্ছন্ন
রঙ্গিন ভাবনা বোনো,
আড়মোড়া ভেঙ্গে জাগো;
আমার কথাটা শোনো।
ভীনদেশীরা হঠাৎ করে
চাপালো উর্দু ভাষা,
এ জ্বালা কি প্রাণে সইবে?
এমন যন্ত্রণায় ফাঁসা?
"রাষ্ট্রভাষা...
দাবানলে পুড়ে ছারখার বনভূমি,
হাজারো বসতি-ঠিকানা, আবাদি ক্ষেত
মাইলের পর মাইল বিরানভূমি;
এমন দুর্যোগ এখানে অনভিপ্রেত।
হিংসা-বিদ্বেষ গেঁড়েছে আস্তানা বিশেষ
অজ্ঞতা, গোঁড়ামি, শঠতা, নীচতা আজ
শিরদাঁড়া বেয়ে অবিরাম অনিমেষ
লোকারণ্যে রাজরূপে করছে বিরাজ।
ত্রাহি ত্রাহি এ সংকটে বেদনার...
অনন্তকাল ভাসব নীল দরিয়ায়,
যেমন করে জাহাজ ভাসে নীল জলে;
ফিরব না আর তোমাদের দাওয়ায়-
মাগব না ভিখ তোমাদের ধরাতলে।
জাগতিক কুটিলতা থাকবে না কোনো,
আপনমনে সর্বদা করে যাব ধ্যান;
তোমাদের নিপীড়ন মাখব না, শোনো
নিবিড়-নিস্তব্ধতায় ঋদ্ধ...
বিষমাখা শেল কেউ গেঁথে দিলো বুকে,
অসহ্য যন্ত্রণা- আমি তড়পাতে থাকি;
ধোঁয়াশা বিরাজ করে দেখি চতুর্দিকে
মরণের আর বেলা কতক্ষণ বাকি?
এভাবেই বহুকাল কাতরাবো নাকি?
জলের মীন যেমন ছটফট করে
শুকনো ডাঙায় এসে পড়ে পড়ে মরে
আমারো...
উচিত কথা বলতে গিয়ে
সম্পদ হয়েছে ক্রোক,
চাকরি গেছে; তাতে কী! আমি
ভয় পাওয়ার লোক?
অভুক্ত হয়ে ঘুরেছি পথে
কেউ দেয় নি খাবার,
তেষ্টায় মরলেও জোটেনি
বিন্দু জল বাঁচবার।
তবুও আমি কারও কাছে
পাততে যাই নি হাত,
উঁহ আহ্...
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে
“এটা আপনার জন্য।” বাস থেকে নেমে বাসার দিকের গলিতে ঢুকতেই মৃণালের হাতে একটা হলুদ রঙের ফুল গুঁজে দিল নাহার। মৃণাল ফুলটা নেড়েচেড়ে দেখল, শুঁকলও। তেমন গন্ধ পেল...
অমোঘ নিয়তিকে আজ পরম সত্য মেনে
পদব্রজে ফিরি মহাকালের পথটা ধরে,
কাঁটা বিছানো পথকে নিজের আত্মীয় জেনে
দৌর্দন্ড প্রতাপে বীরেরা যেভাবে ফেরে ঘরে।
পেছনের যত ভুল-ত্রুটি ক্রমবর্ধমান
শকুনের চোখ মেলে চেয়ে আছে নির্নিমেষ,
সেদিকে তাকানোর সময়...
সন্ধ্যে নামলেই শুয়ে পড়ি মুখ ঢেকে,
রাজ্যের ঘুম আমায় নিয়ে যায় ডেকে।
তৎক্ষণাৎ ঘুমিয়ে পড়ি চিন্তা-ধারা ভুলে,
দুনিয়ার যত সুখ আছে এর মূলে।
ভুলে যাই দুঃখ-কষ্ট, মান-অপমান;
আমার কাছে সবই একই সমান।
রাত আর জাগি...
বাঁচার আশায় ছুটে চলা পথে পথে,
অজস্র মৃত্যুরে লঙ্ঘি দেখা স্বপ্ন কত!
রক্তের স্তুপ জমেছে পাহাড় সমান
শান্ত জনপদ আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত।
দিকভ্রান্ত মানুষেরা মৃত্যুভয়ে কাবু,
এই তো আজরাঈল এসে দিল হানা;
ধূলিসাৎ সবকিছু অসভ্য জোয়ারে
ভেসে...
পেছন থেকে আমি যখন
দিলাম তারে ডাক,
আমার দিকে চেয়ে সেজন
ভীষণ হতবাক।
আমিও যে ডাকতে পারি,
কণ্ঠে আছে জোর;
খুব করে সে জানলো এবার
কেটে গেল ঘোর।
আমিও যে বাসতে পারি
কাউকে যে ভালো,
বিস্ফোরিত হলো...
ফ্যাসিবাদের এমন ঘোর কলিকালে
প্রেমের জোয়ারে চলো আজ ভেসে যাই,
হাত দুটো ধরো- হাওয়া লাগুক পালে
ভয় নেই; এখানে আমরা আমরাই।
মিশে থাকো অঙ্গে প্রতি নিশ্বাসে নিশ্বাসে,
স্পর্শ যেন তোমার প্রতিক্ষণই পাই;
তোমার ছোঁয়ায় মড়ার দেহে...
রুচি-অভিরুচি
পাক-আশাকের প্রতি আকর্ষণ কোনোকালেই ছিল না। তারপরও কিছুটা সতর্ক থাকতেই হয়, যেহেতু সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মেলামেশা করি। মার্কেটে যাই কেনাকাটা করার জন্য। বাজেট কমও না, বেশিও না- মাঝারি।...
ঘরের বাইরে এসে দাঁড়াতেই চোখে
পড়ে আয়নাটা, প্রত্যেহ নিজেকে দেখি;
কোন নতুনত্ব নেই, আশা নেই বুকে-
বেঁচে থাকাটাই বুঝি অর্থহীন, মেকি!
একদা প্রত্যুষে এসে সামনে দাঁড়াতে
হঠাৎই চমকে ওঠি, কেউ একজন
দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার মতো দেখতে;
ভীষণ...
©somewhere in net ltd.