নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
পত্রিকা পড়ার ঝোঁক ছিল একসময়। প্রতিদিনের পত্রিকা তো বটেই, পুরোনো পত্রিকাও লাইন টু লাইন পড়তাম। অনেকেই ক্ষেপাত। বলত, পত্রিকা মুখস্থ করছি কি না।
মুখস্থ না করলেও মুখস্থর কম ছিল না। কোন জায়গায় কী আছে ফটাফট বলে দিতে পারতাম। সাহিত্যপাতা ছিল প্রথম পছন্দ। তারপর বিনোদন এবং খেলাধুলা। একসময় কলাম পড়তে ভালো লাগত। ‘প্রথম আলো’ পড়া হতো। এখানে সোহরাব হাসান, সৈয়দ আবুল মকসুদ, মিজানুর রহমানের লেখাগুলো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়তাম। আরও অনেকের লেখা ভালো লাগত।
‘প্রথম আলো’ ছাড়াও ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’, ‘ইত্তেফাক’, ‘সংবাদ’, ‘সমকাল’, ‘যুগান্তর’ পড়া হতো। ‘যায় যায় দিন’, ‘নয়া দিগন্ত’, ‘আমার দেশ’ এর সাহিত্য পাতাও পড়া হতো।
এখন কাগুজে পত্রিকা তেমন পড়া হয় না। ফেসবুকে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে লাইক দেওয়া। নিউজফিডে আসে। পড়ি। লোকজনের মতামত দেখি, নিজেও মতামত দেই। কাগুজে পত্রিকা পড়ার দরকার পড়ে না।
আজকে জাতীয় একটা পত্রিকায় চোখ বুলালাম। সাহিত্য পাতায় ঢুঁ মারলাম। হঠাৎ মনে হলো, বড়ো লেখা পড়তে ইচ্ছে করে না। কবিতাই ভালো। পড়ার পর মনে মনে চিন্তা করা যায়, নিজের মতো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়। যদিও গল্পও ভালো লাগে। কিন্তু পড়ার মতো ধৈর্য কই? খেয়াল করলাম, সব পানসে লাগছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিছু কিছু বড় লেখাও চুম্বকের মত আটকে রাখতে পারে, যদি পাঠকের মনোবীণার কোন তন্ত্রীতে সেটা সুর জাগাতে পারে। ঠিক বলেছেন। মাঝেমধ্যে অনেক বড়ো লেখা পড়ে মনে হয় সময়টার অপচয় হয় নি।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
ইসিয়াক বলেছেন: বিগত পাঁচ ছয় বছর আগে বছর তিনেক আমি কোন লেখাই পড়তাম না। যদিও আগে প্রচন্ড রকম বই পড়ুয়া ছিলাম। তারপর একদিন কি হল, মন ভীষণ খারাপ ছিল। সংগ্রহে থাকা বনফুলের ছোট গল্প পড়তে পড়তে আবার পড়ুয়া হয়ে গেলাম। তবে চার পাঁচ শত পৃষ্ঠার বই আগে যেখানে দুই তিন দিনে শেষ করতাম, সেরকম আর পারি না। কিছু দুর পড়তে হাঁপিয়ে উঠি। তা সে যত আকর্ষণীয় হোক। বয়সের কারণে মনে ধৈর্য কমে যাচ্ছে। তবে ব্লগে যত বড় লেখা হোক যদি মনে করি পড়বো সেটা পড়ে শেষ করি।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বয়সের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক বিক্ষিপ্ততার কারণেও হয়ত মনোযোগ বসছে না
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪২
উদারত১২৪ বলেছেন: আপনার সাথে এক মত
এক জান্নাতী সাহাবিয়ার ধৈর্য কতটুকু ছিল দেখুন
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক আছে।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
একই বিষয়ের উপর সংক্ষেপে লেখা হয় অভিজ্ঞ পাঠকের জন্য, বিশদভাবে লেখা হয় অদক্ষ পাঠকের জন্য!
আপনার সবকিছু ঠিক আছে তো?
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক আছে।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখা ভালো হলে বড় লেখা পড়তে আমার কোনো সমস্যা নাই।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: Okay.
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,
শ্রদ্ধেয় ব্লগার খায়রুল আহসান এর মন্তব্যে পুরো সহমত জানিয়ে বলি - জীবন যাপনের কৌশলগুলো জটিল থেকে জটিলতর হওয়ার কারনে অনেকেই এখন আর মনোবীণার তন্ত্রীতে কোনও সুর জাগাতে পারেন না। সব কিছু তার কাছে পানসে মনে হয়!
এখন দিন যতো যাচ্ছে আমরা ততোই অধৈর্য্য হয়ে যাচ্ছি..........
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখন দিন যতো যাচ্ছে আমরা ততোই অধৈর্য্য হয়ে যাচ্ছি। ঠিক তাই।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: বড় লেখা আপনার মত অনেকেরই ইচ্ছে করেনা
ইচ্ছে না করলে পড়বেন না- সেটাই ভাল।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আচ্ছা।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রত্যেকের পছন্দ আলাদা আলাদা।যে যার পছন্দের লেখা পড়ে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পছন্দের মধ্যেও পরিবর্তন এসে গেছে।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপধি কী ৯০ দশকের যায় যায় দিন এর বিশেষ সংখ্যাগুলি পড়েছেন
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পড়েছি।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: কাগজে পত্রিকা পড়া হয় না অনেকদিন, এক সময় অনেক পড়তাম, এখন পত্রিকা অন লাইনেই পড়ি। লেখা ভাল হলে বড় লেখা আমার কোন সমস্যা মনে হয় না!!
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখা ভালো হলে বড় লেখা আমার কোন সমস্যা মনে হয় না! তা তো অবশ্যই।
১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২
জ্যাকেল বলেছেন: পেপারের কিছু অংশ পড়া অনেকটা নেশা ছিল স্কুলের দিনে। হয়ত সোশাল মিডিয়া না থাকার কারণেই ছিল। এখন ঐসব লেখা দেখলে মনে হয় লিজেন্ডারি একটা টাইম আমরা পাএর করে এসেছি। বর্তমানে সব কলাপাতার মত হালকা, সে বই হোক কিংবা ফেব স্টাটাস/স্টরি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পেপারের কিছু অংশ পড়া অনেকটা নেশা ছিল স্কুলের দিনে। হয়ত সোশ্যাল মিডিয়া না থাকার কারণেই ছিল। এখন ঐসব লেখা দেখলে মনে হয় লিজেন্ডারি একটা টাইম আমরা পার করে এসেছি। বর্তমানে সব কলাপাতার মত হালকা, সে বই হোক কিংবা ফেব স্টাটাস/স্টোরি। আসলে ওই সময়টায় অন্য কোনো বিকল্পও ছিল না আমাদের। যারা খেলাধুলা পছন্দ করত, তারা খেলাধুলা করত। আর যারা পড়ুয়া ছিল, তারা এটাসেটা পড়ত। এখন তো গেমস, ইউটিউব, ফেসবুক সব দখল করে নিয়েছে।
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: কথা সত্য
১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জ্বি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সময়ের বড় অভাব!
তার পরেও, কিছু কিছু বড় লেখাও চুম্বকের মত আটকে রাখতে পারে, যদি পাঠকের মনোবীণার কোন তন্ত্রীতে সেটা সুর জাগাতে পারে।