নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লিখতে ভালোবাসি। তাও আবার শুধুই বাংলায়..........

রুপালী তারা

রুপালী তারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৩

৭।।
তড়িঘড়ি করে রিকশা থেকে নামলো রিয়া। সামনের দিকে হাটতে হাটতে ঘড়ি দেখলো সে। সাড়ে চারটা বাজে। বেশ দেরী হয়ে গেছে। ঠিক চারটায় আরিফের সাথে দেখা হবার কথা ছিল একটা রেস্টুরেন্টে। সেখানে আধা ঘন্টার মত লেট হয়ে গেছে। প্রথম দিনেই এই অবস্থা। আরিফ কি ভাবছে কে জানে। মনে মনে নিশ্চয়ই রিয়ার সম্পর্কে একটা খারাপ ধারনা তৈরী করে ফেলেছে। মেয়েটার একটুও সময়জ্ঞান নাই, নাকি ভাব ধরছে। অনেক মেয়ে আছে, ভাব ধরাটা প্রকাশ করতে মানুষকে অপেক্ষা করায় ইত্যাদি ইত্যাদি। হিহিহিহি...ভাবলে ভাবুক। সে রিয়াকে বিয়ে করতে রাজি না হলে রিয়াও বেঁচে যাবে।
রেস্টুরেন্টে ঢুকে রিয়া ডানে বায়ে তাকালো। কোথাও দেখা যাচ্ছেনা আরিফকে। চলে গেলো নাকি?? নিশ্চয়ই রাগ করে চলে গেছে। বাসায় গিয়েই বাবা মাকে বলবে, তোমরা অন্য মেয়ে দেখ, এই মেয়েকে আমি বিয়ে করবো না। যাক...বাচা গেল। আরিফের সাথে দেখা করতে সায় দিচ্ছিলনা রিয়ার মন। এক রকম জোর করেই ফুপু ওকে পাঠিয়েছে। আজকের দেখাটা তো এক রকমের ডেটিং, তাই না? রিয়া কারো সাথে ডেটিং করতেছে, অথচ সেই মানুষটা স্বপ্ন না...রিয়া কখনো এমন করে ভাবেইনি। সে যখন রেডি হচ্ছিল, তখন স্বপ্ন ভেতর থেকে ওকে বলছিল, দেখব আমি...কিভাবে আমাকে বাদ দিয়ে তুমি অন্য ছেলের সাথে দেখা কর, তার সাথে ডেটিং কর, সেটা আমি দেখে নিব। এক মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিল রিয়া। স্বপ্ন কি ওকে হুমকি দিল নাকি? দিক... হুমকি দেয়া ছাড়া আর কি করতে পারবে সে? এই কথাগুলো অন্য কেউ হলে আমলে নিত রিয়া...কিন্তু স্বপ্ন হুমকি দিচ্ছে?? সে কিভাবে দেখে নিবে রিয়াকে? অবশ্য এক অর্থে এই হুমকিটা রিয়ার পাওনা। কিন্তু এছাড়া আর কি করার থাকতে পারে ওর? এভাবে কল্পনায় আর কতদিন বাঁচবে? বিয়ের বয়স হয়ে গেছে, বাবা মা বিয়ে বিয়ে করে মাথা খেয়ে ফেলছেন। একমাত্র আদরের মেয়ে বলে কখনো কোনকিছু চাপিয়ে দেননি ওর উপর। স্বপ্নর জন্য সে বিয়ের প্রস্তাবগুলো একের পর এক ফিরিয়ে দিয়েছে। বাবা মাও মেনে নিয়েছেন। কখনো জোর করেন নি। কিন্তু এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে বাবা মা পালটে যেতে সময় নিবেন না। তখন তো জোর করেই রিয়ার বিয়ে দিবেন তারা। তখন কি করবে স্বপ্ন?? কি করার মুরোদ আছে ওর? পারে তো শুধু রিয়াকে হুমকি দিতে? এতই যখন রিয়াকে ভালোবাসে, তাহলে মন-কল্পনার জগত ছেঁড়ে বাস্তবে আসুক, ওর বাবা মায়ের সামনে গিয়ে বলুক, সে রিয়াকে বিয়ে করতে চায়। সেটা তো করতে পারবেনা। পারবে শুধু হুমকি ধামকি দিতে। বাসা থেকে বের হবার আগে রিয়া স্বপ্নকে বলেছে, আমাকে হুমকি দিয়ে লাভ হবেনা স্বপ্ন। তার চেয়ে মেনে নাও এই কঠিন বাস্তব। তোমার আমার মিল কখনোই হবেনা। আমার বিয়ে হবে অন্য কারো সাথে। তুমি দেখে দেখে শুধু কষ্টই পাবা। তার চেয়ে চলে যাও দূরে কোথাও। অন্য কারো মনে গিয়ে বাসা বাঁধো। স্বপ্ন পালটা উত্তর দিয়েছিল, বলেছি না, দেখে নিব। আজকে আমি দেখে নিব, কি করে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে দেখা কর তুমি।
হঠাত পেছনে এক্সকিউজ মি শুনে ঘুরে তাকালো। স্বপ্ন!!!!! বরফের মত জমে গেলো রিয়া। স্বপ্ন তো নাকি? কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? তারপরেই ওর মনে পড়লো নাদিভের কথা। নাদিভ দেখতে হুবহু স্বপ্নর মতই। নাদিভই হবে। স্বপ্ন না। কিন্তু নাদিভ এখানে কি করে? রিয়ার ইচ্ছে হলো, ঘুরেই দৌড় দেয়। কিন্তু এক পা নড়তে পারলোনা সে। মাটিতে পা আটকে গেছে। পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে। এই প্রথম সে নাদিভকে সামনা সামনি দেখলো। এত কাছে দাঁড়িয়ে আছে নাদিভ। একদিন এই মুহূর্তটার জন্য রিয়া অস্থির হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা করে ছিল কবে নাদিভ ওর সামনে এসে দাঁড়াবে। ওকে বলবে, ভালোবাসি। কিন্তু আজ এসব কিছু রিয়ার কাছে অর্থহীন। আজকের রিয়া আর এক মাস আগের রিয়ার মধ্যে অনেক ফারাক। এক মাস আগের সেই রিয়া মরে গেছে। সেদিনই মরে গেছে, যেদিন সে শুনেছিল, তানহা নাদিভের হবু বউ। সেদিনই ওর মনটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আজকের রিয়া শুধু জীবন্মৃত, চলতে ফিরতে পারা একটা জীবন্ত লাশ শুধু।
রিয়ার চমকে যাওয়া, কিছু মুহূর্তের জন্য স্থবির হয়ে যাওয়াটা খেয়াল করলো নাদিভ। রিয়া ওকে দেখে এমন শক্ত হয়ে গেলো কেন? দেখে মনে হচ্ছে একটা মূর্তি। চোখটাও এক সেকেন্ডের জন্য কেমন বড়ো করে ফেলেছিল। যেন ভুত দেখেছে।
- আপনি রিয়া? আমার নাম নাদিভ।
রিয়া বুঝতে পারলো, নাদিভ ওকে চিনতে পারেনি। চিনলে আপনি করে বলতো না। চিনবে কেমন করে? সে তো কখনো রিয়াকে দেখেইনি। রিয়াকে চুপ থাকতে দেখে নাদিভ আবারো বললো,
- আরিফ আমাকে পাঠিয়েছে আপনার সাথে দেখা করার জন্য।
- উনার তো নিজেরই আসার কথা ছিল। আপনাকে পাঠাবে তা তো বলেনি।
- হ্যা... আসলে... কিছু কথা ছিল আপনার সাথে। এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলাটা ভালো দেখাচ্ছেনা। চলুন ঐদিকটায় গিয়ে কথা বলি। নাকি রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসবেন?
- ওইদিকেই ভালো হবে।
রেস্টুরেন্টের উলটো দিকেই একটা লেক। লেকের সাইডে রেলিং দেয়া। ওরা সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। রিয়া চুপ করে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। গভীর মনোযোগ দিয়ে লেকের পানি দেখছে। ওর মাথায় অনেক প্রশ্ন। আরিফ নাদিভকে কিভাবে চিনে? সে নিজে না এসে নাদিভকে পাঠালো কেন? ওদিকে স্বপ্ন খুব হাসতেছে। রিয়াকে বলছে, আমি বলেছিলাম আমি আসবো। তোমার সামনে এসে দাঁড়াবো। দেখে নিব আমাকে বাদ দিয়ে তুমি কিভাবে অন্য কোন ছেলের সাথে দেখা কর। এখন বিশ্বাস হলো আমার কথা? তুমি বলেছিলে না, হুমকি দেয়া ছাড়া আর কিছু করার মুরোদ নেই আমার। এখন বিশ্বাস হলো আমার কথা?
রিয়াকে চুপ করে থাকতে দেখে নাদিভ নিজেই কথা বলতে শুরু করলো,
- আপনি এত দেরী করলেন, এতক্ষন বসেই ছিলাম আপনার জন্য। তারপর মনে হলো, আপনি হয়ত আসবেন না। তাই চলে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম, আপনি রিকশা থেকে নামলেন।
- আপনি আমাকে চেনেন? মানে কিভাবে বুঝলেন আমি রিয়া?
- আরিফ আমাকে আপনার একটা ছবি দিয়েছে। ছবি দেখে চিনেছি।
- ও আচ্ছা।
- জায়গাটা অনেক সুন্দর, তাইনা? এদিকে আগে কখনো এসেছেন?
- না। এদিকে আসা হয়নি।
- একটা কথা বলি। কিছু মনে করবেন না প্লিজ
- বলুন
- আপনাকে যেন কোথায় দেখেছি। খুব চেনা চেনা লাগতেছে
রিয়া এবার সরাসরি নাদিভের দিকে তাকালো। নাদিভের দিকে তাকাতে গিয়ে ওর চোখের পাতা কেঁপে উঠলো।
- কোথায় দেখেছেন?
- সেটাই মনে করতে পারতেছিনা।
- ও। আমি তো আপনাকে আগে কখনো দেখিনি।
ভেতর থেকে স্বপ্ন প্রতিবাদ করে উঠলো, মিথ্যুক!
- আপনার নামটাও অনেক পরিচিত।
- রিয়া নামটা তো খুব কমন। এই নামে অনেকেই আছে।
নাদিভ আর কোন কথা খুঁজে পেলোনা। আরিফ তাকে পাঠিয়েছে কিছু কথা বলার জন্য। কিন্তু সে বুঝতে পারছেনা, কিভাবে কথাগুলো বলবে? অনেকবার মনে মনে কথাগুলো গুছিয়েছে। কিন্তু এখন রিয়ার সামনে এসে সব গুলিয়ে ফেলেছে সে।
- আপনি আরিফকে কিভাবে চিনেন?
- আমি ওর বন্ধু। স্কুলে আর কলেজে একসাথে পড়তাম।
- উনি নিজে না এসে আপনাকে কেন পাঠালো?
- আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে...আরিফ আপনাকে কিছু বলতে চায়। কিন্তু সরাসরি বলতে পারতেছেনা। তাই আমাকে রিকোয়েস্ট করলো যেন আমি ওর হয়ে আপনাকে কথাগুলো বলি।
- কি কথা বলুন?
নাদিভ মনে মনে কথাগুলো গুছিয়ে নিতে লাগলো। কিন্তু কোথা থেকে বলা শুরু করবে বুঝতে পারছেনা। অথচ, সকালেই সবকিছু মনে মনে ঠিক করে রেখেছিল। রিয়াকে দেখা মাত্রই গুলিয়ে গেছে। রিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে অনেকদিনের চেনা পরিচিত কেউ। কিন্তু ঠিক মনে করতে পারছেনা সে। রিয়া ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। নিশ্চয়ই কি বলবে সেটা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু কি বলবে নাদিভ? আরিফ এত সুন্দর করে শিখিয়ে দিয়েছিল, সব গুলে খেয়ে ফেলেছে।
- আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে, কিছুদিন আগে তো আরিফরা গিয়েছিল আপনাদের বাসায়। ওর কাছে মনে হয়েছে আপনাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেদিন নাকি আপনি খুব মনমরা আর অন্যমনস্ক হয়েছিলেন।
- মনমরা আর অন্যমনস্ক হবার অন্য কারনও তো থাকতে পারে। আপনার বন্ধুর কেন মনে হল, আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে?
- এরকম তো হরহামেশাই হচ্ছে...বিয়ের পরে দেখা যাচ্ছে, মেয়েটার আগে কারো সাথে প্রেম ছিল। বাবামায়ের চাপে পড়ে বিয়ে করেছে অন্য কাউকে।
- তাতে করে তো মেয়েটাকেই সারাজীবন কষ্ট পেতে হচ্ছে। ছেলেটা তো পছন্দ করেই বিয়ে করেছে। এখানে আপনার বন্ধুর সমস্যাটা কোথায়? সে তো নিজের পছন্দেই বিয়ে করবে।
- দেখুন...ব্যাপারটা অন্যভাবে নিবেন না প্লিজ। সবাই তো আর একরকম হয়না। আরিফ তেমন ছেলে না। ওর কাছে মনে হইছে যে, আপনি হয়ত অন্য কাউকে ভালোবাসেন। কিন্তু আপনার ফ্যামিলি তাকে মেনে নেয়নি।
- সে তো কখনো আমাদের ফ্যামিলির সামনেই এসে দাড়ায়নি...মেনে নেওয়া তো পরের কথা।
- স্যরি...আমি ঠিক শুনতে পাইনি
- কিছু না। আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা এটা জানতে তো আপনার বন্ধুই আসতে পারতো। সে নিজে না এসে আপনাকে কেন পাঠালো?
- না মানে...ওর কাছে মনে হয়েছে যদি সত্যিই এমন হয়, তাহলে আপনি হয়ত ওর সামনে বলতে আনকম্ফোরটেবল ফিল করতে পারেন। তাই আমাকে বললো। আপনি আমাকে নির্ভয়ে সবকিছু খুলে বলতে পারেন।
- কি বলবো?
- মানে আসলেই কি এরকম কিছু... জোর করে আপনাকে বিয়ে দিচ্ছে আপনার ফ্যামিলি?
- ধরে নিন, আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি। আমার ফ্যামিলি আমাকে জোর করে আপনার বন্ধুর সাথে বিয়ে দিচ্ছে। তখন আপনার বন্ধু কি করবে?
- তার মানে আপনার জীবনে সত্যিই এমন কেউ আছে?
- হ্যা আছে। আপনি।
- হ্যা???
- বললাম, আমি যদি এখন বলি, আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনাকে বিয়ে করতে চাই। তাহলে কি করবে আপনার বন্ধু?
নাদিভ হা হয়ে গেলো। এই মেয়ে কি পাগল নাকি? সে তো কোনদিন লাদিভকে দেখেইনি। আজকেই প্রথম দেখা আর সে বলছে, সে নাদিভকে ভালোবাসে??? দুনিয়াতে ভালোবাসা এতই ফেলনা হয়ে গেছে? দেখলাম আর ভালোবেসে ফেললাম? হতে পারে। এই জন্যই এখন চারদিকে এত ব্রেক আপ।
- স্যরি, আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না আপনি কি বলছেন। আপনি আমাকে...
- এত সিরিয়াসলি নিচ্ছেন কেন? আমি জাস্ট কথার কথা বলতেছি। ­­­­­­­ধরে নিন, আমি আপনাকে ভালোবাসি। আমাকে জোর করে আপনার বন্ধুর সাথে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা জানার পর সে কি করবে? এই বিয়েটা বন্ধ করবে?
- তেমন কিছু হলে তো এই বিয়েটা হবার কোন প্রশ্নই আসেনা।
- সত্যিই কি তাই?
- তাহলে কি আরিফকে আপনার পছন্দ হয়নি?
- আমার পছন্দে অপছন্দে কি এসে যায়? আমি আপনার বন্ধুকে পছন্দ না করলেও এই বিয়েটা হবেই।
নাদিভ চুপ হয়ে গেলো। ওর খুব নার্ভাস লাগছে। কি বলতে এসে কি সব কথাবার্তা বলে ফেলছে। নাদিভের ইচ্ছা হলো, নিজের মাথায় নিজেই একটা বাড়ি দেয়। এমন কিছু তো বলার কথা ছিলনা। আরিফ পই পই করে নাদিভকে শিখিয়ে দিয়েছিল কথাগুলো...
- দেখুন... আসলে ব্যাপারটা হলো, আরিফ আমাকে যা যা বলতে বলেছে...
- আপনার বন্ধুকে গিয়ে বলবেন, আমি আমার বাবামায়ের একমাত্র মেয়ে। উনারা কখনোই আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমার বিয়ে দিবেন না। আমি নিজেই এই বিয়েতে রাজি হয়েছি। আর কিছু জানতে চান?
- না।
- আচ্ছা, আমি তাহলে এখন আসি।
রিয়া তাড়াতাড়ি করে একটা রিকশা ডেকে সেটায় উঠে বসলো। ওর চোখে পানি চলে এসেছে। ও চায়না নাদিভ ওর চোখের পানি দেখুক। যার কাছে রিয়ার চোখের পানির দাম নেই...তার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদার কোন মানে হয়না। রিকশা যত দূরে যাচ্ছে, রিয়ার কান্নাটা তত বাড়ছে। ভেতর থেকে স্বপ্ন বলে উঠলো, আমার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদলে কি তোমার মান সম্মান যেত? আমি কি তোমার চোখের পানি মুছে দিতাম না? সেই মুহূর্তে রিয়া যদি পেছনে তাকাতো, তাহলে দেখতে পেত নাদিভ দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই। অনড় ভঙ্গিতে। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে রিয়ার চলে যাওয়া। (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.